Thursday, September 15, 2011

গত দশকের ব্যর্থ ১০টি প্রযুক্তি

প্রযুক্তিগুলো বাজারে আসার আগেই এমন শোরগোল পড়েছিলো যে সবার ধারণা ছিলো এটিই হয়তো হতে যাচ্ছে চলতি দশকের সেরা প্রযুক্তি। বলা হয়, এসব প্রযুক্তিগুলো যখন বাজারে আসে তখন এগুলো বাজারে সমসাময়িক পণ্যের চেয়ে এগিয়েই ছিলো। তবে, জনপ্রিয়তার বিচারে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয় এগুলো। এসব প্রযুক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মাইক্রোসফটের ভিস্তা থেকে শুরু করে বর্তমানে জনপ্রিয় ইউটিউবের নামও।

মাইক্রোসফট ভিস্তা
৩০ জানুয়ারি ২০০৭-এ মাইক্রোসফট ভিস্তা বিশ্ববাজারে আসে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ টেক জায়ান্টের সর্বাধুনিক পণ্য ছিলো এটি। পিসি অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য এটি তৈরি করা হয়। কিন্তু যে লক্ষ্য নিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছিলো সেটিতেই ছিলো সমস্যা। এর নিরাপত্তা দিকগুলো উইন্ডোজের আগের সংস্করণের চাইতে খুব একটা ভালো ছিল না। এতে পুরোনো কম্পিউটারে ব্যবহৃত এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম আপগ্রেড করার সুযোগ ছিলো না। বিশ্লেষকরা মত দেন, এটি কম্পিউটারের গতিও কমিয়ে দেয়। ভিস্তা বাজারে ছাড়ার সময় প্রযুক্তি সাইটগুলো এর ইতিবাচক রিভিউ লিখে পাতা ভরে ফেলেছিলো। কিন্তু জনপ্রিয়তার বিচারে এটি কখনও ওপরে উঠে আসতে পারেনি। তাই প্রযুক্তিপণ্য হিসেবে ভিস্তাকেই গত একদশকের ‘লুজার’ তালিকায় প্রথম স্থান নিতে হয়েছে।

গেটওয়ে
কোম্পানি হিসেবে গেটওয়ে আত্মপ্রকাশ করে ১৯৮৫ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের সফল পিসি নির্মাতা কোম্পানিগুলোর অন্যতম এটি। ১৯৯০ এর দিকে গেটওয়ে কম্পিউটার বিক্রির পরিমাণ তিনগুণ বেড়ে যায়। ২০০৪ এ এর অবস্থান দাঁড়ায় তিন নম্বরে। সেসময় খুচরা ব্যবসার ২৫ ভাগ কোম্পানিটির দখলে চলে আসে। কিন্তু ২০০৭-এ প্রতিষ্ঠানটির এমনই দুর্দশা হয় যে, এটি মাত্র ৭১ কোটি ডলারে বিক্রি হয়ে যায়। আর ক্রেতা হিসেবে জোটে এসার। আর হঠাৎ ধ্বস এবং ব্যর্থতার কারণ হিসেবে বলা হয়, গেটওয়ে ল্যাপটপ ব্যবসায় ঢুকতে চায়নি। কারণ তারা ভেবেছিলো তাদের কম্পিউটার ব্যবসা রমরমা. ল্যাপটপে যাওয়ার দরকারটা কি! দশকের প্রথমভাগে ডেক্সটপ ব্যবসায় সফল হলেও স্থানান্তরযোগ্য কম্পিউটার তৈরির দৌড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে পিছিয়ে পড়ে গেটওয়ে। এ ছাড়াও এন্টারপ্রাইজ ব্যবসার দিকে ঝুঁকতেও ধীরগতির পরিচয় দেয় গেটওয়ে। এদিকে ডেল দাঁড়িয়ে যায়। এক সময় কম্পিউটারের বদলে ইলেকট্রনিক ভোগ্যপণ্য উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়ে গেটওয়ে। কিন্তু এই ব্যবসায় লাভের পরিমাণ কম হওয়ায় এটি কোম্পানির মূলধনের ওপর চাপ ফেলে। ফলাফল হিসেবে ‘লুজার’ তালিকায় নাম উঠে যায় গেটওয়ের।

এইচডি ডিভিডি
এখন পর্যন্ত উৎপাদিত হাই ডেফিনেশন (এইচডি) ডিস্ক দু’টির একটি হলো- এইচডি ডিভিডি, অন্যটি ব্লুরে। ২০০২ সালে এইচডি ডিভিডি তৈরি হয় এবং তোশিবা ও এনইসির অর্থায়নে ২০০৬ সালে এটি বাজারে আসে। সে সময় এর বিক্রি ব্লুরের চেয়ে বেশি ছিল। তবে, এইচডি ডিভিডি ব্যবসায় লাভের মুখ দেখেনি তোশিবা। বিশ্লেষকদের মতে, ২০০৮ সালে ত্যাগ করার আগে পর্যন্ত তোশিবা মোট একশো কোটি টাকার মতো গচ্চা দেয়। সনির ব্লুরের কাছে এইচডি ডিভিডির এই হারের পেছনে বেশ কিছু কারণ ছিলো। বড় ফিল্ম স্টুডিওগুলোকে সিনেমার হাই ডেফিনেশন সংস্করণ ব্লুরে ডিস্কে বাজারে ছাড়তে রাজি করাতে পেরেছিল সনি। সনি নিজেই অন্যতম বড় স্টুডিওর মালিক হবার কারণেই সনির পক্ষে এটি সহজ হয়। অন্যদিকে এইচডি ডিভিডির হারের কারণ হিসেবে তোশিবারও রয়েছে নিজস্ব কিছু ব্যাখ্যা। ডিজিটাল ভিডিও ডাউনলোডকে এই হারের অন্যতম কারণ বলে মনে করে তারা।

ভন্টেজ
ভন্টেজ বা ভিজি ছিলো আসলে ভয়েস ওভার প্রটোকল বা ভিওআইপির আগের প্রজন্ম। বর্তমানে কেবল এবং স্কাইপির মতো কোম্পানিগুলোর লাভের মূল রহস্য হলো ভন্টেজের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেয়া। প্রাথমিকভাবে স্কাইপির কথাই বলা যেতে পারে- ২০০৮ সালের শেষ নাগাদ এর রেজিস্টার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় সাড়ে ৪০কোটিরও ওপরে । এ সময় এর আয় বেড়ে দাড়ায় ৫৫কোটি দশ লাখ ডলারে। পরের বছর স্কাইপির জন্মদাতা ইবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ভিওআইপি কোম্পানি হিসেবে আত্ম প্রকাশের। আর একই বছরের প্রথম ৩ মাসে মধ্যে ভন্টেজ তার ২২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বিনিয়োগ তুলতে ব্যর্থ হয়। আগের কোম্পানি হিসেবেই ২০০০ সালে ভন্টেজ ব্যবসা চালিয়ে যায়। এরপর অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই ভন্টেজ আগ্রাসীভাবে তার ডায়াল আপ ফোনের বিকল্প সেবা দিতে শুরু করে। ২০০৬ সালে কোম্পানিটি সফলভাবে আইপিও খাত থেকে ৫ কোটি ৩১০ লাখ ডলার আয় করতে সমর্থ হয়। এ সময় এর নূন্যতম সেবার দাম রাখা হয় মাত্র ৭ ডলার। আর ডিসেম্বর নাগাদ দুর্বল আয় আর প্রতিযোগী কেবল কোম্পানিগুলোর চাপে এর শেয়ারের মূল্য এক ডলারে এসে ঠেকে। পাশাপাশি কিছু মামলাও জোটে ভন্টেজের ভাগ্যে। যার ক্ষতিপূরণ হিসেবে গুণতে হয় কোটি কোটি ডলার। এরপর থেকে ভন্টেজ-এর ভাগ্যে লাভের মুখ দেখা আর হয়ে ওঠেনি। ফলে চরম ব্যর্থ হয় ভন্টেজ।

ইউটিউব
ভিডিও শেয়ারে বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় ইউটিউবকেও গত দশকের ব্যর্থ প্রযুক্তির তালিকায় ফেলা হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব। অনলাইন জরিপ প্রতিষ্ঠান কমস্কোরের মতে, ২০০৯ সালের মার্চ মাসে কেবল আমেরিকাতেই প্রায় ১০ কোটি লোক ইউটিউবে প্রায় ছয় হাজার কোটি ভিডিও দেখেছে। ২০০৬-এ গুগল ১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারে ইউটিউব কিনে নেয়। একটি সার্চ ইঞ্জিনের পক্ষে এমন বড় ধরনের বিনিয়োগ না উঠে আসাই ছিলো স্বাভাবিক। অসংখ্য দর্শক আর কন্টেন্ট থাকার পরও বিজ্ঞাপন এবং প্রিমিয়াম কন্টেন্ট থেকে টাকা কামাই করার মডেল হিসেবে কখনই দাঁড়াতে পারেনি ইউটিউব। আর ইউটিউবের বেশিরভাগ ভিডিওর মানও খারাপ। তাই ব্যবসা জমেনি। তবে, গুগল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হচ্ছে, ইউটিউব ভিডিওগুলোকে অর্থের মানদণ্ডে মাপা মোটেই ঠিক হবে না। ফোর্বসের এক গণনায় দেখা যায়, ২০০৮-এ সাইটটির থেকে আয় ছিলো ২০ কোটি ডলার। সম্প্রতি ক্রেডিট সুইসির এক হিসেবে দেখানো হয় সাইটটি চালাবার জন্য কেবল তথ্য মজুদ আর ব্যান্ডউইথ খাতেই এবছর ইউটিউবের খরচ হবে ৪৭ কোটি ডলার। হিসেবে দেখা গেছে, স্রেফ খরচ তুলতেই ইউটিউবকে আরও তিনগুণ বেশি আয় করতে হবে। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, জনপ্রিয়তা স্বত্বেও ইউটিউবকে লাভের মুখ দেখতে এখনো অনেক লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আর এ ব্যর্থতাতে মুখ থুবড়ে ‘লুজার’ তালিকায় ইউটিউবের নামটিও যোগ হয়েছে।

সিরিয়াস এক্সএম
সিরিয়াস এক্সএম (এসআইআরআই) খুব চমৎকার একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস। স্যাটেলাইট রেডিও হিসেবে এতে একশোরও বেশি রেডিও স্টেশন শোনা যায়। এ ছাড়াও এর পোর্টেবল সংস্করণও বের হয়েছে। শুরুর দিকে সিরিয়াস এক্সএম নিয়ে কোন ব্যবসায়িক চিন্তা ছিলো না এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। সিরিয়াস এক্সএম এবং এক্সএম স্যাটেলাইট রেডিও নামের দুটি কোম্পানি এক হয়ে ২০০১-এ এই সেবা প্রদানের কাজ শুরু করে। বছরের শেষ নাগাদ এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮ হাজারে। ২০০২ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় সাড়ে তিন লাখ এবং পরের বছর ৬০ লাখ। তবে, গ্রাহক বাড়লেও সিরিয়াস এক্সএমের বাজারজাত, বিপণন, ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য ব্যায়ের কারণে কোম্পানিটি শত কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাড়ছিলো। আশা ছিলো একদিন লাভের মুখ দেখবে এটি। তবে যতো এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে তত দ্রুতই ধ্বস। অ্যাপলের তৈরি আইপড আর স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তাই সিরিয়াস এক্সএমকে লুজার তালিকায় স্থান করে নিতে অনেকটাই বাধ্য করেছে।

মাইক্রোসফট জুন
মাইক্রোসফটের আরো একটি পণ্য ব্যর্থতার তালিকায় রয়েছে। সেটি জুন প্লেয়ার। মাইক্রোসফট জুন বাজারে আসে ২০০৬ এর নভেম্বরে। অ্যাপলের আইপডের সঙ্গে প্রতিযোগিতার দৌড়ে নামতেই বাজারে এসেছিলো জুন প্লেয়ার। কিন্তু জুন চরম ব্যর্থ হয়। জুন বাজারে আসার সময় সারা বিশ্বে অ্যাপল দশ কোটি আইপড বিক্রি করে। আইপড বাজার দখল করতে এসে, অনেক বাজেটের জুন লুজার হয়েই মুখ লুকিয়েছে।

পাম
সঙ্গে রাখার মত হার্ডওয়ার ডিভাইস ও ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেম মিলিয়ে তৈরি হয়েছিল পাম (পিএএলএম)। এটিই পামের স্মার্টফোন। পারসোনাল অরগানাইজার হিসেবেও একটি হার্ডওয়ার ডিভাইস ১৯৯৯ সালে বাজারে ছাড়ে পাম। এ ডিভাইসটির নাম পাম ভি। হ্যান্ডস্পিং এর বানানো পাম ট্রায়ো স্মার্টফোনটির স্বত্বও কিনে নেয় পাম। ২০০৫ এ প্রচুর পাম মোবাইল বিক্রি হয়। স্মার্টফোনের বাজার বলতে কেবল তখন পামই ছিলো। তবে, এর পরপরই পামকে প্রতিযোগতায় নামতে হয় অ্যাপল এবং ব্ল্যাকবেরির সঙ্গে। বিশ্লেষকরা বলেন, একই ডিভাইসের মধ্যে তারের জটিলতা এবং তথ্য রাখার বিষয়টি বুঝতে দেরি করে ফেলে পাম। এ সুযোগটি নিয়ে নেয় অ্যাপল। আর এই দেরিই শেষপর্যন্ত তাদের জন্য কাল হয়ে দাড়ায়। এ ব্যর্থতা মেনে নিয়ে এরপর নতুন আর কোন ডিভাইস নিয়ে বাজারে আসেনি পাম।

ইরিডিয়াম
undefinedমটোরোলা সমর্থিত গ্লোবাল স্যাটেলাইট ফোন কোম্পানি ইরিডিয়াম ১৯৯৯ সালে দেউলিয়া হয়ে যায়। কিন্তু তার আগে কোম্পানিটি বিশ্বব্যাপী ওয়্যারলেস ফোন সেবা দেবার জন্য উপগ্রহ অবকাঠামো সহ অন্যান্য খাতে ৫ লক্ষ কোটি ডলার খরচ করে। সে সময় আমেরিকায় সবচেয়ে বড় দেউলিয়া ঘোষণার তালিকায় এটি ছিল ২০তম ঘটনা। ঠিকঠাক কাজ চালাবার জন্য তাদের দরকার ছিল ৬৬ টি উপগ্রহের। এমন বড় ধরনের উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গিয়ে কোম্পানিটি এক কোটি ৫০ লক্ষ ডলার ঋণের বোঝার মুখোমুখি হয়। কিন্তু মাঠে নেমে মাত্র দশ হাজার ক্রেতা পাওয়ার পর তাদের পুরোপুরি হতাশ হতে হয়। এর বড় আরেকটা কারণ ছিলো তাদের প্রথম হ্যান্ডসেটের কারিগরি ত্রুটি। ১৯৯৮ সালে ডার্টমাউথ বিজনেস স্কুলের এক গবেষণায় ভবিষ্যতবাণী ছিল, সে বছর ইরিডিয়ামের গ্রাহকের সংখ্যা ৫ লাখে পৌঁছাবে। কিন্তু অবকাঠামোর বেশিরভাগ উন্নত বিশ্বের বাইরে হওয়ায় কোম্পানিটি সেবার মূল্য বাড়াতে বাধ্য হয়। এই বিচারে ইরিডিয়াম সেটের দাম ৩’শ ডলার এবং টক টাইম মিনিটে ৫ ডলার ধার্য করা হয়। সেলুলার সেবা বেশিদূর পর্যন্ত না থাকায় এবং খরচ বেশি হওয়া ও কারিগরি ত্রুটির কারণে তাদের এই সেবা কার্যক্রম জনপ্রিয়তা হারায়। ব্যবহারের সময় ফোনের এন্টেনা স্যাটেলাইট বরাবর হতে হয় বলে বাড়ি ও গাড়ির ভেতরে অবস্থানের সময় এবং অনেক শহর এলাকায় লোকজন এই ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে।

সেগওয়ে
undefinedদু’চাকার ব্যক্তিগত যান সেগওয়ে ২০০২ সালে বাজারে আসে। সে সময় সেগওয়ে প্রধান বলেছিলেন, এটি একই সঙ্গে ঘোড়া এবং গাড়ির কাজ করবে। কিন্তু সেগওয়ের ঘোড়া-গাড়ি হয়ে ওঠা হয়নি, এটি মোটেও জনপ্রিয়তা পায়নি। এদিকে এ গাড়িটি তৈরি করতে সেগওয়ে প্রায় দশ কোটি ডলারের মত খরচ করে। কিন্তু তৈরির পেছনে এতো অর্থ ঢালার কারণেই বেকায়দায় পড়ে সেগওয়ে। গাড়িটি বিক্রির জন্য দাম হাঁকা হয় বেশি, যা ক্রেতার সাধ্যের নাগালের বাইরে ছিলো। পাশাপাশি এ গাড়িটি অনেক দেশে নিষিদ্ধ করা হয়।

সূত্র- bdnews24.com

No comments:

Post a Comment

ওয়ানপ্লাসের নতুন অক্সিজেন ওএস ১৫ আসছে AI নিয়ে

  অ্যান্ড্রয়েড ১৫  এর ওপর ভিত্তি করে আসছে  ওয়ানপ্লাসের  অক্সিজেন    ওএস  ১৫। অক্টোবরের ২৪ তারিখ বাংলাদেশ সময় রাত ৯:৩০ এ আনুষ্ঠানিকভাবে অপ...