Monday, July 22, 2013

অ্যান্ড্রয়েড ব্যাটারি সেভিং টিপস !!!

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস গুলো হল স্মার্ট মোবাইল ডিভাইস। তাই এই ডিভাইস গুলোকে স্মার্টফোন ও বলা হয়। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস গুলোকে মিনি কম্পিউটার ও বলা যায়, কারন এগুলো ল্যাপটপ এবং নোটবুক থেকে বেশি পোর্টেবল। ডিভাইস গুলোকে মিনি কম্পিউটার বলা গেলেও এই ডিভাইস গুলোর পাওয়ার রিকয়ারমেন্ট কিন্তু মিনি নয় !! অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস গুলোর সবচাইতে বড় সমস্যা হল ব্যাটারি লাইফ। আপনি যদি সিম কার্ড খুলে, ওয়াইফাই অফ করে এবং কোন কাজ না করে আপনার ডিভাইস টি রেখে দেন, দেখবেন এক চার্জেই আপনার ডিভাইস কয়েক দিন পার করে ফেলবে। কিন্তু যখন আপনি এই সব কিছু ব্যবহার করতে যাবেন তখনি হবে ব্যাটারি লাইফ নিয়ে সমস্যার সূচনা !! স্মার্টফোন কিনেছেন তো ব্যাটারি সমস্যার কারনে কি ফোন অফ করে রাখবেন ?? চাইবেন কেউ আপনাকে কল না করুক?? না মোটেও তা সম্ভব না । আমার এই পোস্ট আপনার ব্যাটারির mAh বাড়িয়ে দিবে না কিন্তু জুস ডিফেন্ডার এর ভাষায় আপনার ব্যাটারির কিছুটা জুস অর্থাৎ চার্জ বাচাতে হেল্প করবে আশা করি। তো চলুন দেখি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এর ব্যাটারি সেভ করার কিছু টিপস …

১) ব্যাটারি ইউসেজঃ
battery usage
আপনার ফোনের  Settings > Battery  তে গেলেই দেখবেন কোন অ্যাপ বা প্রোগ্রামটি আপনার ব্যাটারির চার্জ বেশি ব্যবহার করছে।  সব ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে জিনিস টি সবচাইতে বেশি ব্যাটারি চার্জ ব্যবহার করছে তা হল আপনার ফোনের ডিসপ্লে।
২) 2G নেটওয়ার্ক ব্যবহারঃ 
2g
আপনি যদি 3G সিম ব্যবহার না করেন অথবা আপনি যেখানে থাকেন সেখানে যদি 3G ডাটা সার্ভিস না থাকে তাহলে 2G নেটওয়ার্ক বা ডাটা সার্ভিস ব্যবহার করাই ভাল। কারন এতে আপনার ব্যাটারি সেভ হবে। Settings > Wireless controls> Mobile networks এ যেয়ে Use only 2G networks সিলেক্ট করে দিন।

৩) ডিসপ্লে ব্রাইটনেসঃ
brightness
যেহেতু অ্যান্ড্রয়েড  ডিভাইসে সবচাইতে বেশি চার্জ ইউজ করে ডিসপ্লে, তাই ডিসপ্লের ব্রাইটনেস যত কম হবে তত বেশি ব্যাটারি সেভ হবে। ব্রাইটনেস কমানোর জন্য Settings > Display > Brightness এ যেয়ে ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।
৪) স্ক্রীন টাইমআউটঃ
timeout
স্ক্রীন টাইমআউট অপশন এর মাধ্যমে আপনি ইনঅ্যাক্টিভ অবস্থায় আপনার ফোনের ডিসপ্লে কখন অফ হবে তা সেট করতে পারবেন। ফোনের ডিসপ্লে যত বেশি সময় অ্যাক্টিভ থাকবে তত বেশি চার্জ ইউজ হবে। Settings > Display > Screen timeout অপশন এ যেয়ে স্ক্রীন টাইম আউট ১ বা ২ মিনিট করে দিন।
৫) কানেকটিভিটি ফিচারঃ
toogle
প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনের রয়েছে বিভিন্ন  কানেকটিভিটি ফিচার যেমন  Bluetooth,Wifi । এই   Bluetooth বা Wifi যখন অন করা থাকে তখন এগুলো নতুন ডিভাইস এবং ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সার্চ করতে থাকে, যে কারনে অনেক ব্যাটারি ইউজ হয়। তাই আপনি যখন এই ফিচার গুলো ব্যবহার করছেন না তখন  এগুলো বন্ধ করে রাখুন।
৬) জিপিএসঃ

প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ফোন এ GPS সিস্টেম দেয়া থাকে। GPS এর কাজ হল আপনার অবস্থান বা লোকেশন ট্র্যাক করা। বিভিন্ন অ্যাপ, গুগল ম্যাপ, ওয়েদার উইজেট এই GPS সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে অনেক চার্জ ইউজ হয়। তাই প্রয়োজন ছাড়া এই GPS সিস্টেম অফ করে রাখাই ভাল।GPS অফ করার জন্য Settings > location এ যেয়ে Use GPS satellites অপশন টি অফ করে দিন।
৭) ফোন ভাইব্রেসনঃ
vibrate
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের আরেকটি অপশন যা আপনার ব্যাটারির জুস বা চার্জ কমিয়ে দেয় তা হল ভাইব্রেসন। যখন কল আসে এবং আপনি ডিসপ্লে তে টাচ করেন তখনই ফোন ভাইব্রেট করে । তাই এই ভাইব্রেসন অপশন টি অফ করে রাখলে আপনার ব্যাটারি সেভ হবে। Settings > Sound  এ যেয়ে   vibration অফ করে দিন।
৮) ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপঃ 
background
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এ অনেক অ্যাপ ক্লোজ করার পর অ্যাপ গুলো ব্যাকগ্রউন্ড এ চলতে থাকে। যার ফলে অনেক চার্জ নষ্ট হয়। তাই কোন টাস্ক কিলার দিয়ে অ্যাপ গুলো কিল বা force close করে দেয়া ভাল। এছাড়া বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ যেগুলো সব সময় ডাটা কানেকশন অ্যাক্টিভ রাখে সেগুলো আনইন্সটল করে দেয়া ভাল।
৯) সিপিইউ আন্ডার ক্লকিংঃ
cpu under
ফোন রুট করা থাকলে কিছু অ্যাপস ইউজ করে সিপিইউ আন্ডারক্লক করতে পারেন। এই অ্যাপ দ্বারা আপনি সিপিইউ’র ক্লক রেট সেট করে নিতে পারবেন। তবে এই অ্যাপ ইউজ করার সময় সতর্ক থাকতে হবে, কেননা ক্লক রেট খুব বেশি মানে ওভারক্লকিং করলে হার্ডওয়্যারের ক্ষতি হতে পারে। এমন কিছু অ্যাপস হলঃ SetCPU for Root Users , No-frills CPU Control , and CPU Tuner ।
১০) অটো সিঙ্ক্রোনাইজেশন, লাইভ উইজেটঃ 
Screenshot_2013-07-03-14-32-08
ফোনের অটো সিঙ্ক অন করা থাকলে তা নেট ইউজ করতে থাকে যা চার্জ শেষ করে ফেলে। আর লাইভ উইজেট( যেমনঃ ওয়েদার উইজেট, ফেসবুক, ম্যাসেজিং ইত্যাদি  আপডেট হওয়ার জন্য নেট ইউজ করে। তাই অটো রিফ্রেশ ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে দেয়া ভাল।
১১) লো Network strength:
যখন আপনার ফোনের Network strength ভাল থাকলে ব্যাটারি কম ইউজ হয়। কিন্তু Network strength যখন কম থাকে তখন ফোন অনবরত নেটওয়ার্ক সার্চ করতে থাকে যার কারনে ব্যাটারি বেশি ইউজ হয়। তাই অনেক অ্যান্ড্রয়েড এক্সপার্টের  মতে যে সকল এলাকায় Network strength কম সেখানে ফোনকে ৪৫ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেল এ রাখলে সর্বাধিক Network strength পাওয়া যায়। ফলে ব্যাটারি কম ইউজ হয়।
১২) এমোলেড স্ক্রীনঃ 
Screenshot_2013-07-03-14-29-42
এই টিপস টি LCD-screened ডিভাইস গুলোতে খুব একটা কাজ না করলেও যে সকল ডিভাইস এ  AMOLED screen ব্যবহার করা হয়েছে সেইসব ডিভাইস এ ভাল কাজ করবে। AMOLED screen এর পিক্সেল গুলো নিজেই আলো তৈরি করে।  পিক্সেল যত বেশি ব্রাইট হবে তত বেশি পাওয়ার বা ব্যাটারি ইউজ হবে। তাই AMOLED screen ডিভাইস গুলোতে ব্ল্যাক ওয়ালপেপার, থিম বা লাইভ ওয়ালপেপার ইউজ করা ভাল। এতে পিক্সেল এর ব্রাইটনেস কম হয় ফলে ব্যাটারি সেভ হয়।
১৩) ব্যাটারি সেভার অ্যাপঃ
ব্যাটারি সেভ করার জন্য প্লে স্টোরে রয়েছে  জুস ডিফেন্ডার, ইজি ব্যাটারি সেভার এর মত আর অনেক অ্যাপ। ব্যাটারি সেভ করার জন্য আপনি এই অ্যাপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
১৪) পাওয়ার উইজেটঃ
android-power-control-widget
অ্যান্ড্রয়েড এর বিভিন্ন কানেক্টিভিটি ফিচার যেমন GPS, Wi-Fi, 3G/LTE and mobile network connection, Bluetooth, NFC ইত্যাদি দ্রুত অন অফ করার জন্য আপনি হোম স্ক্রীন এ পাওয়ার কন্ট্রোল উইজেট ব্যবহার করতে পারেন।

Wednesday, July 17, 2013

কিভাবে এন্ড্রয়েড এ Screenshot নিবেন?? (সকল ডিভাইস)

মাঝে মাঝে অনেক সময় আমাদের ডিভাইস এর Screenshot নিতে হয়। Screenshot নেয়ার সিস্টেম টা ডিভাইস ভেদে হয়ে থাকে। যেমন নেক্সাস এ এক রকম  আবার গ্যালাক্সি এস৪ এ অন্যরকম। আবার দেখা যায় Walton & Symphony এর অনেক ডিভাইস এ নেয়ার সিস্টেমই নাই। তাই আজ এই পোস্ট টি আপনার জন্যে যারা কিনা জানেন না কিভাবে আপনার ডিভাইস এর Screenshot নিতে হয়। আবার ধরুন আপনি আপনার ফ্রেন্ড এর একটি ডিভাইস হাতে নিলেন যেটা কিনা আপনার ডিভাইস এর মতো Screenshot নেয়া যায় না আর আপনি সেটায় Screenshot নিবেন কিন্তু পারছেন না। কি রকম একটা লজ্জা পেতে হবে ভাবেন! তাহলে আপনার জন্যেও এই পোস্ট। সকল ডিভাইস এর Screenshot নেয়া শিখে ফেলুন আজই।

Stock Android, Google Nexus or Custom ROMs

Nexus 4 Screenshot
উপরে টাইটেল এর মতো যদি আপনার ডিভাইস টি হয়ে থাকে তাহলে আপনি নরমালভাবেই নিতে পারবেন Screenshot। যা কিনা ভলিউম ডাউন বাটন ও পাওয়ার বাটন একসাথে প্রেস করলেই নিয়ে নিতে পারবেন Screenshot। এ ক্ষেত্রে প্রথমে ভলিউম ডাউন বাটন ও সাথে সাথে পাওয়ার ডাউন প্রেস করতে হবে অথবা একসাথে। তাহলে ট্রাই করুন যদি আগে না জেনে থাকেন।

Samsung Smartphones and Tablets

Galaxy S4 Screenshot
নতুন কিছু Samsung ডিভাইস এ আপনি স্ক্রিন এর উপর দিয়ে হাত বুলালেই নিয়ে নিতে পারবেন Screenshot। তবে সেটার জন্যে Settings > Motion first অপশন টি একটিভ করা থাকতে হবে। এছাড়াও অন্য  Samsung ডিভাইস এ আপনি হোম বাটন ও পাওয়ার বাটন প্রেস করে নিতে পারবেন Screenshot জেমনটা উপরের ছবিতে দেখানো হয়েছে। তাহলে ট্রাই করুন।

HTC Devices

Take Screenshot HTC One
HTC এর মেথড অনেকটা স্টক এন্ড্রয়েড এর মতোই। এছাড়াও ছবিতে যেমন দেখানো হয়েছে হোম বাটন ও পাওয়ার বাটন প্রেস করলেই নিতে পারবেন Screenshot । আপনি হোম ও পাওয়ার বাটন প্রেস করলেই স্ক্রিন এ একটা ম্যাসেজ আসবে যে আপনার Screenshot নেয়া হয়েছে।

Sony Devices

Sony এর মোবাইল ও ট্যাবলেট এর মেথড একটু আলাদা। মোবাইল এর জন্যে ভলিউম ডাউন বাটন ও পাওয়ার বাটন প্রেস করে ধরে রাখুন এবং Screenshot নেয়া সম্পন্ন হউয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। Screenshot নেয়া হয়ে গেলে কনফারমেশন পাবেন।
এছাড়াও অনেক সনি এর ডিভাইস এ পাওয়ার মেনু দিয়েও Screenshot নিতে পারবেন। এ জন্য পাওয়ার বাটন প্রেস করে ধরে রাখুন। একটি মেনু অপ্সহন আসবে যেখানে লিখা থাকবে take a screenshot। এবং এই অপশন এর মাধ্যমে নিয়ে নিতে পারবেন  Screenshot।

LG devices

LG ডিভাইস অনেকটা সনি এর মতোই। আপনি ভলিউম ডাউন বাটন ও পাওয়ার বাটন প্রেস করে রাখুন এবং Screenshot নেয়া হয়েছে এই কনফারমেশন এর জন্যে অপেক্ষা করুন।
এছাড়াও এলজি তে কুইক মেমো এর সাহাজ্যেও নিতে পারবেন। তবে সেটির সেটিং অন থাকতে হবে।

Walton,Symphony,Others

Walton,Symphony ও অন্যান্য চায়না ডিভাইস গুলতে আপনি নরমালি ভলিউম ডাউন বাটন ও পাওয়ার বাটন প্রেস করেই নিতে পারবেন। তবে সব ডিভাইস এ এই মেথড টা কাজ করবে না। এমনকি অনেক ডিভাইস আছে জেগুলাতে Screenshot নেয়ারই কোন অপশন নাই। সুতরাং আপনি কি করবেন?
কি আর করবেন!!! আপনার জন্যেও সলিউশন আছে। আপনি নিচের দেয়া অ্যাপ টি ডাউনলোড করে নিন। এই অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো ডিভাইস এর Screenshot নিতে পারবেন। নাহ! এটি ইউজ করতে আপনার রুট করা লাগবে না।
তো আর কি!!! হয়ে গেলো Screenshot এর সমাধান!!!

রুট না করার পিছনে ১০ টি উপযুক্ত কারন

আজ দেখাবো রুট না করার পিছনে ১০ টি উপযুক্ত কারন যা দেখে অনেকে রুট করবেন না। যাই হোক, রুট করলে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন তবুও চলুন দেখি রুট না করার পিছনে কি কি কারন থাকতে পারে…


১- রুট সবার জন্যে নাঃ রুট করলে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন সত্যি তবে যারা সবেমাত্র এন্ড্রয়েড ওয়ার্ল্ড এ ঢুকেছেন এবং টেকনিক্যাল ব্যাপারে জ্ঞান কম তাদেরকে বলবো আপনার রুট করার দরকার নেই। কারন রুট করতে গিয়ে অথবা রুট করার পর ভিবিন্য কিছু ট্রাই করতে গিয়ে আপনার ডিভাইস ড্যামেজ করে ফেলতে পারেন। সুতরাং রুট সবার জন্যে নয়।
২- রুট অনেক সময় আপনার ডিভাইস রিসেট করে ফেলবেঃ একচুয়াল টা বলা সম্ভব না তবে অনেক সময় রুট করতে গিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে আপনার ডিভাইস রিসেট সহ অরিজিনাল ফার্মওয়্যার দেয়া লাগতে পারে। এতে করে আপনার অনেক ডাটা হারানর একটা ভয় থেকে যাচ্ছে। এছাড়াও রুট করার পর ডিভাইস এ অনেক টাইপের প্রবলেম হয়। তাই ডাটা হারানর ভয় থেকেই যায়।
৩- গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি হারানোঃ এই টার্ম টা অনেকেই জানেন আগে। রুট প্রসেস টি আপনার ডিভাইস কোম্পানি থেকে না করে দেয়া হয়েছে। রুট করার পর ডিভাইস কিছু হলে সেটার দায়ভার কোম্পানি বহন করবে না। এছাড়াও রুট করার সাথে সাথে আপনার ডিভাইস এর ওয়ারেন্টি অথবা গ্যারান্টি যেটাই থাকুক না কেন তা নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা অনেকেই দেখা যায় ১ বছরের জায়গায় ২ বছরের ওয়ারেন্টি নেই টাকা বেশি দিয়ে। নিয়ে লাভ কি? আপনি রুট করলে তা আর পাবেন না।
৪- ডাটা সিকিউরিটি কমে যায়ঃ রুট করার পর আপনার কন্ট্রোল এ টোটাল ডিভাইস এক্সেস এসে যায়। এবং দেখা যায় আপনি ও আমি অনেক টাইপের অ্যাপ ইন্সটল করি। এতে করে কিছু কিছু অ্যাপ ডিভাইস এর এডমিন এক্সেস পেয়ে যায়। এডমিন এক্সেস পেলে ওইসব অ্যাপ আপনাকে না জানিয়ে আপনার ডিভাইস এর যেকোনো ডাটা কপি করে নিতে পারবে। এছাড়াও মুছেও দিতে পারবে। রুট না করলে এটার ভয় অনেক কম থাকে। সুতরাং রুট করার ফলে আপনার ডাটা ও ফাইল এর সিকিউরিটি কমে যাবে।
৫- অনেক প্রোগ্রাম চলতে বাধা দিবেঃ এখানে একটু বলে নেই, রুট করার ফলে আপনি অনেক টাইপের অ্যাপ ও প্রোগ্রাম ইউজ করতে পারবেন যা নরমালি পারবেন না। তবে প্লে ষ্টোর এ কিছু কিছু অ্যাপ আছে যা আপনি নরমালি ইউজ করতে পারবেন কিন্তু রুট করার পর তা পারবেন না। অনেক গেইম দেখা যাবে রুট করার পর হতাথ করে ওপেন হতে গিয়ে অফ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের গ্রুপ এ এরকম অনেকে জানিয়েছেন। তাই এই পয়েন্ট টা এখানে তুলে দিলাম।
৬- রুট সিস্টেম এর স্টেবিলিটি কমায়ঃ যদিও রুট করার ফলে আপনি আপনার রম ও সিস্টেম এ অনেক প্রকার কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন। তবে এখানে একটু বলে রাখা ভালো যে রুট করার ফলে আপনি এডমিন এক্সেস পেয়ে এমন কিছু কাস্টমাইজেশন করতে পারেন যাতে কিনা আপনার ডিভাইস এর  স্টেবিলিটি  কমে যাবে। যেতে পারে না কমে জাবেই। এতে করে মোবাইল টা একটু লং লাইফ এর চেয়ে কম লাইফ হবে :p
৭- OTA আপডেট পাবেন নাঃ রুট করার ফলে আপনার ডিভাইস এর OTA  আপডেট ফিচার টি অফ হয়ে যাবে। তবে এটি সব ডিভাইস এ না । কিছু কিছু ডিভাইস এ এটি হবে। এতে করে আপনি কাস্টম আপডেট করতে হতে পারে আপনার ডিভাইস।

৮- কাস্টম রম ইউজ করে বিপদে  পরাঃ রুট করার ফলে আপনি এডমিন এক্সেস পেয়ে যাবেন। এতে করে আপনি কাস্টম রম ইউজ করতে পারবেন। রম মানে হল মোবাইল এর সাথে আসা অরিজিনাল সিস্টেম। সুতরাং এই অরিজিনাল সিস্টেম এর অনেক কাস্টম ভার্সন পাওয়া যায়। যার মধ্যে Cyanogen MOD অন্যতম। যাই হোক কাস্টম রম এ আপনি অনেক ফিচার পাবেন। তবে এতে করে রিস্ক থাকে বেশি। দেখা যায় অনেক সময় আপনার ডিভাইস এর ক্যামেরা কাজ করতেছে, ভাইব্রেশন কাজ করতেছেন, কল করা যাচ্ছেনা, মাঝে মাঝে কল করে কথা শুনা যাচ্ছে না এরকম আরও অনেকে প্রবলেম দেখা যায় অনেকের ডিভাইস এ । কারন কাস্টম রম এ অনেক বাগ থাকে। যদিও আমি প্রতি সপ্তাহে রম চেঞ্জ করি।
৯- রুট খামখেয়ালি অথবা মজা করার জিনিস নাঃ আমরা দেখা যায় অনেকে রুট করি শুধু মাত্র কিছু অ্যাপ ও ফিচার স্টাইল ইউজ করার জন্যে। ডিভাইস এর চেহারা পরিবর্তন করার জন্যে। এতে করে একটু মজা পাওয়া যায়। তবে আপনি জানেন কি!! রুট কোন প্রকার মজা করার জিনিস না। এই রুট করার কারনে আপনার ডিভাইস এর এডমিন এক্সেস যেকোনো অ্যাপ সহজে নিয়ে নিতে পারে। এতে করে দেখা যায় আপনি যেকোনো প্রকার হ্যাক এর ভিক্টিম হতে পারেন। এছাড়াও আপনার ডিভাইস এ যেকোনো প্রকার ড্যামেজ ও ডাটা হারাতে পারেন। তাই যদি না বুঝেন তাইলে রুট কইরেন না। মজা করতে হলে অন্য কিছু নিয়ে করেন।
১০- পাইরেট অ্যাপ ইন্সটলঃ প্রতিদিন লাখ লাখ ইউজার এন্ড্রয়েড নিচ্ছে এবং এন্ড্রয়েড এ আসতেছে। অ্যাপল যারা ইউজ করেন তারা হয়তো জানেন JAILBREAK এর কথা। JAILBREAK করার ফলে আপনি অনেক পাইরেটেড অ্যাপ ও ফিচার ইউজ করতে পারবেন। তো অনেকে এন্ড্রয়েড এ মনে করে যে পাইরেটেড অ্যাপ ইউজ করতে হলে মনে হয় রুট ও আনলক করতে হবে। আরে না!! আপনি যা ইচ্ছা ইউজ করেন অ্যাপ সেটার জন্যে আপনাকে রুট করতে হবেনা। এন্ড্রয়েড একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম। এখানে আপনি ইচ্ছামতো অ্যাপ ইউজ করতে পারবেন। আপনাকে বাধা দেয়ার অধিকার নেই গুগল এর। যাই হোক, অনেকে ওইসব পাইরেটেড অ্যাপ  ইউজ করতে গিয়ে অনেক বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন কারন ওই অ্যাপ গুলো থার্ড পার্টি সাইট থেকে নেয়া এবং তাতে ভাইরাস থেকে যায় মাঝে মাঝে যা এডমিন এক্সেস নিয়ে আপনাকে এটাক করবে। রুট না করলে কিন্তু ওইসব অ্যাপ এডমিন এক্সেস পাচ্ছে না। এতে করে আপনার ভয় থেকে যাচ্ছে কম।
যাই হোক… যদিও উপরে দেখিয়ে কিছু কারন যা রুট না করতে আপনাকে বাধ্য করবে। তবে আমি পারসনালি সব ডিভাইস রুট করে রেখেছি। আমার কথা হল রুট না করে  এন্ড্রয়েড ইউজ করার চেয়ে জাভা ইউজ করাই ভালো। তবে এটা আপনার ব্যাপার। নিজের বিপদ নিজে টেকেল দিতে পারলে রুট করুন।

source

Samsung vs. HTC vs. Sony এন্ড্রয়েড আপডেট কিং কে?

আপডেট আপডেট আপডেট… এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এ আলোচিত একটা কথা। আপনি যদি নেক্সাস এর ডিভাইস ইউজ না করে থাকেন তাহলে যেকোনো ডিভাইসই ইউজ করেন না কেন এন্ড্রয়েড এর অফিশিয়াল আপডেট পেতে আপনার একটু দেরি হবেই। আর এটা নিয়ে আমাদের কোম্পানি গুলোর পাল্লা। এন্ড্রয়েড এর বর্তমান মার্কেট এ আছে Samsung  HTC  আর Sony যারা সবচেয়ে বেশি পপুলার এবং হাই রেঞ্জ এর ডিভাইস গুলো তারাই প্রভাইড করছে এন্ড্রয়েড এর। সম্প্রতি তিনটি কোম্পানিই বাজারে এই বছর কয়েকটি ডিভাইস এনেছে। তবে এখন কথা হল আপডেট নিয়ে… সবার ডিভাইস কি আপডেট পেয়েছে? অথবা কবে পাবে? আর এই নিয়ে আজ আমাদের কম্পেরিজন। না দেখলে অনেক কিছুই আপনার অজানা থেকে যাবে আমি মনে করি।
HTC Samsung SOny 2
আমরা নিচে শুধু মাত্র অফিশিয়াল অপারেটিং সিস্টেম এর আপডেট নিয়ে তুলনা করেছি। কাস্টম রম,কাস্টম ফার্মওয়্যার অথবা কোন প্রকার কাস্টমাইজেশন এর তুলনা করা হয় নি। কারন কাস্টম করে আপনি অনেক লো রেঞ্জ ডিভাইস এ ও নতুন ভার্সন ইউজ করতে পারবেন। যাই হোক… চলুন দেখি…

MODEL RELEASE SUPPLIED WITH UPDATES CURRENT STATUS NEXT UPDATE
Galaxy S4 April 2013 4.2.2 - 4.2.2 -
Galaxy S3 May 2012 4.0.4 1 4.1.1 (November 2012) Planned
Galaxy Note 2 August 2012 4.1.1 1 4.1.2 (December 2012) 4.2.2 (November 2013)
HTC One March 2013 4.1.2 1 4.2.2 (July 2013) -
HTC One X April 2012 4.0.3 1 4.1.1 (July 2013) 4.2.2 (August 2013)
HTC One S April 2012 4.0.3 2 4.1.1 (December 2012) No updates pending
Sony Xperia Z February 2013 4.1.2 1 4.2.2 (July 2013) -
Sony Xperia T September 2012 4.0.4 1 4.1.2 (February 2013) ?
Sony Xperia S March 2012 2.3.7 2 4.1.2 (May/June 2013) ?

উপরে লিস্ট এ আমরা দেখলাম কমবেশি সব কোম্পানির ডিভাইসই নতুন ভার্সন এ আপডেট পাচ্ছে। কেউ একটু আগে কেউ হয়তো একটু পরে। কাকে কিং বানানো যায় এটা বলাটা একটু কষ্টকর। তবে এখানে বলে রাখা ভালো যে Samsung ও HTC তাদের এক বছর আগের ডিভাইস এ ও নতুন আপডেট দিচ্ছে অফিশিয়ালি। তবে সনি কিন্তু তা করতেছে না। তারা আগের ডিভাইস গুলো এক রকম বাদ দিয়ে নতুনের দিকে ঝুকে যাচ্ছে। যাই হোক… একটু উপরের চার্ট এ দেখুন ও ভাবুন… আমার মতে Samsung এ হতে পারে আপডেট কিং এবং আপ টু ডেট… এছাড়াও আপনার মতামত জানাতে পারেন।

Beach Buggy Blitz ফুল ডাউনলোড

যারা রেসিং গেম ভালবাসেন তাদের জন্য নিয়ে এলাম আরো একটি মজার রেসিং গেম !!  Beach Buggy এর কথা আমরা অনেকেই শুনেছি। সমুদ্র পাড়ে যে ছোট ছোট বাইক থাকে সেগুলোকে অনেক সময় Beach Buggy বলা হয়। এবার আপনি আপনার  অ্যান্ড্রয়েড ফোনে Beach Buggy চালানোর মজা নিতে পারবেন। এই গেম তির নাম হল Beach Buggy Blitz । Beach Buggy Blitz একটি রেসিং গেম। চলুন জেনে নেই গেম এর কিছু ফিচার…
Beach Buggy Blitz
Beach Buggy Blitz Beach Buggy Blitz
গেম ফিচারঃ
১) মন মাতানো গ্রাফিক্স এবং সাউন্ড।
২) ইনফিনিট ড্রাইভ এনভাইরোমেন্ট- অর্থাৎ সমুদ্র পাড়ে মাইল এর পর মাইল রেসিং করার সুযোগ।
৩) ৭ টি নতুন গাড়ি, ১০ নতুন ক্যারেক্টার এবং আর অনেক কিছু।
৪) টিল্ট, টাচ এবং এ্যরো কন্ট্রোল এর অপশন।
৫) বুস্ট, শিল্ড, কয়েন ম্যাগ্নেট এবং আর অনেক গেম ফিচার।
৬) অনেক সিক্রেট রেসিং লোকেশন।
৭) কার আপগ্রেড এবং পেইন্ট করার অপশন।
Beach Buggy Blitz প্লে স্টোর লিঙ্কঃ Beach Buggy Blitz

নতুন অ্যান্ড্রয়েড ইউজার এর জন্য কিছু প্রয়োজনীয় অ্যাপস !!!

নতুন অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন কেনার পর এই অ্যাপ  গুলো আপনার ফোনে না থাকলেই নয়। তো চলুন দেখে নিই অ্যান্ড্রয়েড এর কিছু বেসিক অ্যাপ …
Android Assistant 
Android Assistant Android Assistant Android Assistant
ফিচারঃ
১)  Monitor স্ট্যাটাস (CPU, মেমরি, ব্যাটারি)
২) প্রসেস ম্যানেজার
৩) ক্যাশ ক্লিন
৪) সিস্টেম ক্লিন
৫) ব্যাটারি সেটিংস
৬)ফাইল ম্যানেজার
৭) স্টার্ট আপ ম্যানেজার
৮) ব্যাচ আনইনস্টল
৯)ব্যাটারি ইঊসেজ
১০) ভলিউম কন্ট্রোল
১১) সিস্টেমের তথ্য
১২) উইজেট
১৩  App 2 এসডি
১৪) ব্যাচ ইনস্টলেশন
Android Assistant
Advanced Task manager 
unnamed unnamed (1) unnamed (2)
ফিচারঃ
১) সিলেক্টেড টাস্ক কিল
২) অ্যান্ড্রয়েড অপটিমাইজার
৩) রেগুলার কিল
৪) স্টার্ট আপ কিল
৫) আন ইন্সটলার
Advanced Task Manager Pro Es File explorer & File manager
unnamed unnamed (2) unnamed (1)
ফিচারঃ
১) ফাইল ম্যানেজার
২) অ্যাপ ম্যানেজার
৩) রিমোট ফাইল ম্যানেজার
৪) ফাইল শেয়ার
৫) অ্যাপ থাম্বনেইল
৬) রুট এক্সপ্লোরার
ES File Explorer & File Manager UC browser
unnamed unnamed (2) unnamed (1)
ফিচারঃ
১) অফ লাইন ভিডিও ওয়াচ
২) ওয়েব অ্যাপ অরগানাইজার
৩) অ্যাড ব্লকিং
৪) ব্রাউজার স্ক্রীন শট নেয়ার সুবিধা
৫) থিম এবং ওয়ালপেপার ব্যবহার করার সুযোগ
UC Browser Smart tools
unnamed (1) unnamed (2) unnamed
ফিচারঃ
১) Length, Angle, Slope, Level মাপার অপশন
২) Distance, Height, Width, Area মাপার অপশন
৩) Compass, Metal detector অপশন
৪) Sound level meter, Vibrometer অপশন
৫) Flashlight, Magnifier অপশন
Smart tools
Hide It Pro 
Hide It Pro Hide It Pro Hide It Pro
ফিচারঃ
১) অডিও ম্যানেজার এর পিছনে অ্যাপ লুকানর অপশন
২) ব্যাচ হাইড
৩) ফটো হাইড
৪) কল ব্লক
৫) ফটো শেয়ার
৬) স্লাইড শো অপশন
Hide It Pro

Source

অ্যান্ড্রয়েডের কিছু কমন সমস্যা এবং সমাধান !!

বর্তমান সময়ের একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড। দিন দিন অ্যান্ড্রয়েড ইউজার এর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ইউজ করা অনেক সহজ হলেও মাঝে মধ্যে ইউজাররা কিছু সমস্যায় পড়েন। এরকম কিছু কমন সমস্যা নিয়েই আমার আজকের পোস্ট।

প্যাটার্ন লক সমস্যাঃ
অ্যান্ড্রয়েড এর সবচেয়ে কমন সমস্যাটি হল প্যাটার্ন লক। অনেক অ্যান্ড্রয়েড ইউজার আছেন যারা নিজের ডিভাইস টি সুরক্ষিত রাখার জন্য প্যাটার্ন লক ব্যবহার করে থাকেন। তবে সমস্যাটি তখনই হয় যখন আপনি আপনার প্যাটার্ন লক এর প্যাটার্ন টি ভুলে যান এবং আপনি অথবা অন্য কেউ বার বার আপনার ডিভাইসে কয়েকবার ভুল প্যাটার্ন ইনপুট করে। যাই হোক চলুন দেখি এই সমস্যার সমাধা কি?
প্রথম সমাধানঃ 
কয়েকবার ভুল প্যাটার্ন দেয়ার পর আপনার ডিভাইস আপনার ইমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড চায়। অতএব আপনি আপনার গুগল ইমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিলেই ডিভাইস টি আনলক হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় সমাধানঃ
অনেক সময় ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকে না। তাই ইমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করা সম্ভব হয় না। তখন প্যাটার্ন লক বাইপাস
করার জন্য নিচের পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ করুন।
১) প্রথমে ভলিউম আপ কি চেপে ধরুন।
২) তারপর হোম বাটন চেপে ধরুন।
৩) একই সাথে পাওয়ার বাটন চেপে ধরুন।
৪) ফোন অন হলে বাটন গুলো ছেড়ে দিন।
৫) এবার অ্যান্ড্রয়েড রিকভারি মেনু থেকে Wipe data/ factory reset সিলেক্ট করুন। মনে রাখবেন factory reset দেয়ার পর আপনার ফোনে কোন ডাটা থাকবে না। সব মুছে যাবে।
৬) ফোন রি বুট হবে এবং প্যাটার্ন লক চলে যাবে।

বুটলুপ সমস্যাঃ
বুটলুপ অ্যান্ড্রয়েড এর একটি কমন সমস্যা। তবে এই সমস্যার সহজ সমাধান ও রয়েছে। সাধারনত কাস্টম রম ফ্ল্যাশ করলে অনেক সময় ডিভাইসে বুটলুপ সমস্যাটি দেখা দেয়। তাই কাস্টম রম বা স্টক রম ফ্ল্যাশ দেয়ার সময় মনে রাখতে হবে যে, রম ফ্ল্যাশ দেয়ার পর আপনাকে ফোনের ডাটা ওয়াইপ করতে হবে। তা নাহলে আপনার ডিভাইস টি বার বার রিবুট হতে থাকবে। ধরে নিচ্ছি আপনার ডিভাইস টি রুট করা আছে এবং আপনার ডিভাইসে  কাস্টম রিকভারি যেমন- ক্লকওয়ার্ক মোড রিকভারি ইন্সটল করা আছে। তাহলে চলুন দেখি আপনার ডিভাইস টি বার বার রি বুট হতে থাকলে কি করবেন…

১) আপনার ডিভাইস টি অফ করে নিন।
২) এবার রিকভারি মোডে যান। রিকভারি মোডে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ডিভাইসে বিভিন্ন বাটন কম্বিনেশন ইউজ করতে হয়।
৩) রিকভারি মোডে উপরে বা নিচে যাওয়ার জন্য সাধারনত ভলিউম বাটন গুলো ব্যবহার করা হয় এবং মেনু গুলোর যে কোন একটি সিলেক্ত করার জন্য পাওয়ার বা হোম বাটন ব্যবহার করা হয়।
৪) রিকভারি মোডে যেয়ে “advanced” সিলেক্ট করুন। এরপর  “wipe dalvik cache” সিলেক্ট করে dalvik cache ক্লিয়ার করুন।
৫) তারপর মেইন মেনুতে ফিরে আসুন এবং “wipe data factory reset” করুন।
৬) এরপর মেইন মেনু থেকে “wipe cache partition” সিলেক্ট করে  cache partition ক্লিয়ার করুন।
৭) এরপর মেইন মেনু থেকে “reboot system now” দিন।
আশা করি এবার আপনার ডিভাইসটি আর রিবুট হবে না।
রিকভারি মোড সমস্যাঃ
অনেক সময় রম ফ্ল্যাশ করার পর আপনার ডিভাইসটি সরসরি রিকভারি মোডে চলে যেতে পারে। অর্থাৎ আপনার ফোন সরাসরি রিকভারি মোডে অন হবে। এক্ষেত্রে আপনি উপরের পদ্ধতি অনুযায়ী ডাটা ওয়াইপ করে দেখতে পারেন। তবে তাতে অনেক সময় সমস্যার সমাধান হয় না। সাধারনত ভুল রম ফ্ল্যাশ করার কারনে এই সমস্যা হয়ে থাকে। চলুন দেখি এই সমস্যার সমাধান কি?
১) প্রথমে আপনার যে রম টি ফ্ল্যাশ করবেন তার জিপ ফাইল টি আপনার ফোনের এসডি কার্ডে কপি করে নিন।
২) রিকভারি মোডে যান।
৩) রিকভারি মোড থেকে উপরের পদ্ধতি অনুযায়ী ডাটা ওয়াইপ করে নিন।
৪)  এবার মেইন মেনু থেকে “install zip from sd card >choose zip from sd card  সিলেক্ট করে যে জিপ ফাইল টি কপি করে রেখেছিলেন তা সিলেক্ট করে দিন।
৫) ফ্ল্যাশ হয়ে গেলে আপনার ডিভাইস টি রিবুট করুন।
এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি আপনার ডিভাইস এর জন্য যে কোন কাস্টম রম ফ্ল্যাশ দিতে পারবেন।

রোযায় এবং সব সময় যে ১০টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস আপনার কাজে আসবে!

সালাতুক(নামাজের সময় জানা)
নামাজের সময় জানার জন্য মাঝে মাঝে ঝামেলায় পড়তে হয়। অপরিচিত জায়গা হলে আরো বেশি সমস্যা হয়। সালাতুক নামের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসের মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান হবে। এই চমৎকার অ্যাপসের কাজ হচ্ছে নামাজের সঠিক সময়সূচি জানানো, কাছে কোথায় মসজিদ রয়েছে তা দেখানো এবং কিবলা কোনদিকে তা ঠিক করে দেয়া।
সালাতুক অ্যাপসের এমন অ্যালগরিদম রয়েছে যা অনেক মুসলিম দেশের জন্য প্রযোজ্য। ব্যবহারকারীর অবস্থান অনুযায়ী জায়গা ক্যালকুলেট করে সঠিক তথ্য প্রদান করে এই অ্যাপসটি। তবে ম্যানুয়ালিও নামাজের সময় পদ্ধতি সেটিংস থেকে পরিবর্তন করা যায়। আর হ্যা সঠিক ফলাফলের জন্য অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন চালু থাকতে হবে এবং জিপিএস ও চালু থাকতে হবে। সোস্যাল সাইটগুলোতেও নামাজের সময় শেয়ার করা যাবে। মাত্র ১২ মেগাবাইটের ফ্রী এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায় http://goo.gl/6zNYU

আল-মোয়াজিন লাইট( নামাজের সময়সূচি)

এটা আরেকটি অ্যাপস যা দিয়ে নামাজের সময়সূচি জানা যাবে। নতুন জায়গায় ভ্রমনে বা অন্য কারণেও কখনো নামাজের সময়সূচি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে না যদি এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি থাকে। জিপিএস ফিচারের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকেই সঠিক সময় প্রদর্শন করতে পারবে। কিবলা কোন দিকে তা কাউকে জিজ্ঞেস না করেই ডিজিটাল কম্পাসের মাধ্যমে সঠিক দিক সম্পর্কে জানা যাবে। ইংরেজি সনের পাশাপাশি রয়েছে আরবী হিজরি সন যা ইচ্ছে করলেই কনভার্ট করে উভয় তারিখই জানা যাবে। ফলো মি নামের ফিচারের মাধ্যমে অটো লোকেশন পরিবর্তন হবে ভ্রমণের সময়। বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে নামাজের সময়সূচি মাপার জন্য। উম আল-কোরা, মক্কা, মিশর সার্ভে, করাচি ইসলামিক ভার্সিটি, মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ সহ ইত্যাদি। ফজরের নামাজের জন্য রয়েছে নোটিফিকেশন ফিচার এমনকি অন্যান্য সময়ও ইচ্ছে করলে নোটিফিকেশন সেট করা যাবে। আজানের সময় হলে আযান রিংটোন যুক্ত করা, পরবর্তি নামাজের জন্য কত সময় বাকি আছে ইত্যাদি বিষয়গুলো উইগেটের মাধ্যমে জানা যাবে। অ্যান্ড্রয়েড এই ফ্রী অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায় http://goo.gl/33beA
প্রেয়ার সাইলেন্সারঃ
মসজিদে থাকা অবস্থায় বা নামাজরত অবস্থায় হঠাৎ রিংটোন বেজে উঠলে অতি বিরক্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এমন অসস্তিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিবে প্রেয়ার সাইলেন্সার নামের এই স্মার্ট অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি। মোবাইল সাইলেন্ট করতে ভুলে গেলেও এখন আর কোন সমস্যা হবে না। প্রেয়ার সাইলেন্সার নামের এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসের কাজ হচ্ছে নামাজের সময় ক্যালকুলেট করে অটো ঐ সময়ে মোবাইল সাইলেন্ট করে দিবে। ব্যবহারকারীর সেট করে দেয়া সময় অনুযায়ী পরে আবার জেনারেল সেটিংসে ফিরে যাবে। আর সবকিছুই হবে অটোমেটিক। ৪১৭ কিলোবাইটের ফ্রী অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায় http://goo.gl/Mnrhs
তাসবীহ
তাসবীহ জপা অন্যতম পূণ্যের কাজ। সব সময় হাতের কাছে তাসবীহ নাও থাকতে পারে। তখন তাসবীহ নামের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি কাজে দিবে। এই অ্যাপসটি জিকির-আজকার করা আরো সহজ করে দিবে। সাউন্ড ইফেক্ট এবং ভাইব্রেশন ফিচারের মাধ্যমে মোবাইল স্ক্রিনে না তাকিয়েই জিকির করা যাবে ফলে মনোযোগও নষ্ট হবে না।
সেটিংস থেকে ইচ্ছে করলে জিকির সিলেক্ট করে দেয়া যাবে যার কারণে স্ক্রিনে তা প্রদর্শিত হবে এবং পড়া যাবে। মাত্র ৮৬০ কিলোবাইটের ফ্রী এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায় http://goo.gl/B78Xj
লার্ন ইকরা
কোরআন তিলওয়াত করতে পারা প্রতিটি মুসলিমের জন্য আবশ্যক। কোরআন না পড়তে পারলে এখনই সময় তা শিখে নেওয়ার। হাতে যদি থাকে একটি স্মার্টফোন তাহলে শেখাটা আরো অনেক সহজ হয়ে যায়। কাজের ফাকে বা যে কোন জায়গায় বসে কোরআন পড়া শেখার জন্য অন্যতম একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস হচ্ছে লার্ন ইকরা। এই অ্যাপসের মাধ্যমে খুব সহজেই শেখা যাবে কোরআন পড়া। আরবি হরফ এবং শব্দ শেখা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে শিখে ফেলা যাবে কোরআন পড়া। নিয়মিত অনুশীলন করলে কোরান কোন কঠিন বিষয় নয়। ১৭ মেগাবাইটের এই ফ্রী অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায় http://goo.gl/TeJzA
লার্ন দোয়া
নামাজের পরে দোয়া পড়া অনেক পূণ্যের ইবাদত। সবসময় প্রয়োজনীয় দোয়াটি মনে না আসলে বা নতুন নতুন দোয়া শেখার জন্য আদর্শ হতে পারে লার্ন দোয়া নামের চমৎকার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি। প্রতিদিন অল্প অল্প করে এই অ্যাপস থেকে শিখলে অনেকগুলো দোয়া শেখা সম্ভব। বিভিন্ন নামাজে বিভিন্ন দোয়া পড়ার জন্য সাহায্য করবে এই অ্যাপসটি। আরবী ভাষা ছাড়াও রয়েছে ইন্দোনিশিয়ান অনুবাদ এবং ইংলিশ অনুবাদ। শুধুতাই নয় সাথে রয়েছে অডিও ফিচার যার মাধ্যমে দোয়া পড়ে শোনাবে এই অ্যাপসটি। ৮.৫ মেগাবাইট সাইজের এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায় http://goo.gl/8tsYu
Ramadan Recipes includes easy to prepare delicious menu items.
রমাধান রেসিপি
সাড়া পৃথিবী থেকে তথ্যগুলো নেয়া হয়েছে হোক সেটা ইস্ট বা ওয়েস্ট। সেরা সেরা খাবারগুলো পছন্দ করে এই লিস্ট তৈরি করা হয়েছে যা রোজার পর তৃপ্তি দিবে অনায়াসেই। অনেক বড় রকমের কালেকশন রয়েছে, ভিন্ন ভিন্ন দেশের মজাদার সকল খাবারের রিসিপি রয়েছে রমাধান রেসিপি নামের এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসে। প্রতিটি রেসিপিতে হাই কোয়ালিটি ফটোর পাশাপাশি অনেক বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। এটা শুধু রান্নাবইই নয়, রোজায় এই অ্যাপসটি অসাধারণ সব সাহায্য করবে। মুসলিম মাইন্ড নিয়ে রচিত এই রেসিপি অ্যাপসে সকল হালাল খাবারের ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় ৩০টি রেসিপি থেকে বাছাই করে সেরা রেসিপিগুলো ঈদে রান্না করতে ভুলবেন না যেন! যে সব দেশের রেসিপি রয়েছে তা হচ্ছেঃ বাংলাদেশ, চায়না, মিশর, ইন্ডিয়া, সৌদি আরব, আমেরিকা সহ আরো অনেক। ১ ডলার মূল্যের এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি ক্রয় করা যাবে এই ঠিকানায় http://goo.gl/CRUkb
রমাধান অ্যাপস
এই রমাধান অ্যাপসে এক সাথে অনেকগুলো ফিচার রয়েছে। দৈনিক বিভিন্ন দোয়া, হাদিস এবং ইভেন্ট আপডেট পাওয়া যাবে আর তা সকাল, সন্ধ্যা এবং রাত ৩টি থিমে। ফজর থেকে ইশা নামায পর্যন্ত এলার্ম ক্লক সুবিধাও রয়েছে শুধু তাই নয় সেহেরি, ইফতারের অ্যালার্মও রয়েছে। দোয়া এবং হাদিসগুলো ফেসবুক এ শেয়ার করা যাবে। অসাধারণ সব গ্রেটিংস কার্ড দিয়ে প্রিয়জনকে উইশ করা যাবে এই অ্যাপসের মাধ্যমে। মাত্র ১৯ মেগাবাইটের এই কাজের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায় http://goo.gl/UfvFf
রমাদান-ঈদ
রোজায় অনেক সময় ম্যাসেজ, গ্রেটিং বা ওয়ালপেপারের দরকার হয়ে থাকে। রমাদান ঈদ নামের এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটিতে এমনই সব ফিচার রয়েছে। ইমেজ ওপেন করার পর তা ওয়ালপেপার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে, মেমরি কার্ডে সেভ করে রাখা যাবে এবং সোস্যাল সাইটেও ইচ্ছে করলে শেয়ার করা যাবে। বিভিন্ন বিষয়ের অনেক কিছু জানা যাবে এই অ্যাপসের মাধ্যমে। আরো নতুন নতুন ম্যাসেজ, ওয়ালপেপার এবং গ্রেটিংস যুক্ত হবে। ১.৬ মেগাবাইটের ফ্রী এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায় http://goo.gl/nKNvi
আল-কোরআন (বাংলা)
এত এত ইসলামিক অ্যাপস থাকবে আর বাংলায় কোরআন অনুবাদ থাকবেনা তা কি করে হয়। আল-কোরআন(বাংলা) নামের এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসের সকল সূরার নাম বাংলায় পাশাপাশি রয়েছে সূরার অনেক তথ্যও। আরবীর পাশেই রয়েছে সম্পূর্ণ কোরআনের বাংলা অনুবাদ। এছাড়াও সকল সেজদা আয়াতে কালার দিয়ে চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে। সব দিক দিয়ে সেরা এই বাংলা কোরআন অ্যাপসট ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায় http://goo.gl/8a0yL

চলতি মোবাইল বাজার এবং দরদাম (জুলাই, ২০১৩)

বর্তমান সময়ে প্রতিদিনের অন্যতম অনুষঙ্গ মোবাইল ফোন । কিছুদিন পরপরই আসছে নতুন নতুন মডেল সাথে নিয়ে অভিনব ফিচার। আসছে ঈদ কে কেন্দ্র করেও বাজারে নতুন ডিজাইনের মোবাইল আনছে মোবাইল ফোন বিক্রেতা কোম্পানী গুলো। চলুন জেনে নেয়া যাক নতুন মডেলের মোবাইল ফোনের হালহকিকত।
sony xperia
সনি:
বর্তমান বাজারে যে ফোনটির জন্য সবার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা তা হলো xperia z মোবাইলটি। 2GB RAM ইন্টারনাল মেমোরি, মাইক্রো এসডি ব্যবহার 64 GB পর্যন্ত। এর ক্যামেরা 13.1 MP, সাথে আছে MP3, রেডিও সহ সব সুবিধা। 4G পর্যন্ত সাপোর্ট করা এন্ড্রয়েড 4.1 জেলিবিনের মোবাইলটির ওয়ারেন্টি ১ বছরের, দাম পড়বে ৫৪৯০০/-।
এছাড়া নানা সুবিধা নিয়ে সামনে আসছে xperia z ট্যাবলেট! যার দাম পড়বে প্রায় ৭৪৯০০/-। এছাড়া বর্তমানে xperia সিরিজের আরো কিছু মোবাইল! xperia E, xperia U, xperia L, xperia SL, xperia ION মোবাইল গুলো বাজারে চলছে বেশ, দামের রেঞ্জ ১৫৫০০/- থেকে ৩৫০০০/-।
nokia lumia
নোকিয়া:
বাংলাদেশে সবচেয়ে বাজিমাত করা মোবাইল কোম্পানী নোকিয়া। বাজারে এখন নোকিয়ার আশা সিরিজের মোবাইল গুলো। ASHA 201 , 301, 301 , 205 মোবাইল গুলোর দাম পড়বে ৫৩০০/- থেকে ৫৯৯০/-।
নোকিয়া লুমিয়া সিরিজের ফোন গুলো বাজারে চলছে বেশ, উইন্ডোজ সাপোর্টেড লুমিয়া 920 সেটের 8 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা কোয়ালিটি সাউন্ড সিস্টেম, রেডিও ওয়াইফাই, এল সি ডি টাচ স্ক্রীণ ইত্যাদি নানা সুবিধা সহ দাম পড়বে ৪৬৮৫০/-, এছাড়া লুমিয়া সিরিজে আছে 520, 620, 720, 820 যাদের দাম পড়বে ১৪৯৫০/- থেকে ৩০৭৫০/-।
samsung galaxy
স্যামসাং:
বর্তমানে বাজারে আছে স্যামসাং এর গ্যালাক্সি সিরিজের মোবাইল গুলো। প্রিয়জন কে উপহার দিতে বেছে নিতে পারেন গ্যালাক্সি S4 মোবাইল দাম পড়বে ৬৭৫০০/-। ৩জি সাপোর্টেড, টাচস্ক্রীণ, ৬৪ জিবি মাইক্রো এসডি, ২জিবি RAM, আছে 13 MP ক্যামেরা আর ব্যাটারী স্ট্যান্ডবাই 370h । এছাড়া ঈদ উপলক্ষ্যে বাজারে আসছে গ্যালাক্সি সিরিজের গ্যালাক্সি S4 mini এবং গ্যালাক্সি core, দাম পড়বে যথাক্রমে ২৫০০০/এবং ৪৫০০০/- ।
walton
ওয়াল্টন:
বাংলাদেশের মোবাইল প্রেমীদের অন্যতম পছন্দ ওয়াল্টনের PRIMO সিরিজের এন্ড্রয়েড মোবাইল গুলো। বর্তমানে বাজারে আছে X-1 যার দাম ১৮৬৯০/-, N1 যার দাম ১৫৬৪০/-, G-1 এর দাম ১১৪৯০/-, H-2এর দাম ১৪৯৯০/-, G-2 এর দাম ১১৯৯০/-, H-1 এর দাম ১৩৯৯০/-, R-1 এর দাম ১১৯৯০/-, C-1 এর দাম পড়বে ৪৯৯০।

টুম্ব রেইডার – গেম রিভিউ

টুম্ব রেইডার একটি অ্যাকশন এডভেঞ্চার প্লাটফর্ম ভিডিও গেম। প্রকাশ করেছে স্কয়ার ইউনিক্স। টুম্ব রেইডার গেমটি ক্রিস্টাল ডাইনামিক দ্বারা নির্মিত টুম্ব রেইডার সিরিজের ৫ম গেম। গেমটি মার্চ ৫, ২০১৩ সালে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, প্লে-স্টেশন ৩ এবং এক্সবক্স ৩৬০ গেমস কনসোলের জন্য মুক্তি পায়। গেমটির কাহিনীতে সিরিজের আগের গেমসগুলোর সাথে কোনও সম্পর্কই নেই। শুধুমাত্র, একজন ছাড়া . . . . কে সে??!! লারা ক্রফ্‌ট!!
tomb1
বরাবরের মতই এবারের গেমটিতেও আপনাকে লারা ক্রফট এর ভূমিকায় খেলতে হবে। গেমটির শুরুতে দেখা যাবে যে লারা একটি জাহাজে করে ট্রাভেল করছে। শক্তিশালী এক সামুদ্রিক ঝড়ে জাহাজটি দু ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এর কারণে লারা এবং জাহাজের অনেক যাত্রী এবং কমান্ডাররা একটি আইল্যান্ড এ গিয়ে জীবন বাঁচায়। আইল্যান্ডটির নাম Dragon’s Triangle। যেখানে আপনাকে অর্থাৎ লারাকে বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য এবং পানীয় খোঁজ করতে হয়। এছাড়া অন্যান্য জীবিত লোকদেরকেও ভয়ংকর প্রাণীদের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। তবে লারার জন্য অপেক্ষা করছে এক অন্ধকার শত্রু . . .
tomb
এক নজরে টুম্ব রেইডার:
নির্মাতা: ক্রিস্টাল ডাইনামিকস
প্রকাশ করেছে: স্কয়ার ইউনিক্স
সিরিজ: টুম্ব রেইডার
ইঞ্জিন: মডিফাইড ক্রিস্টাল ইঞ্জিন
খেলা যাবে: মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, প্লে-স্টেশন ৩, এক্সবক্স ৩৬০ গেমস কনসোলে।
ধরণ: অ্যাকশন-এডভেঞ্চার
খেলার ধরণ: সিঙ্গেল এবং মাল্টি-প্লেয়ার
ট্রেইলার ভিডিও:
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট:
কমপক্ষে:
• উইন্ডোজ এক্সপি (সার্ভিস প্যাক ৩) অপারেটিং সিস্টেম,
• ডুয়েল কোর ৩.০৬ গিগা-হার্জ গতির প্রসেসর,
• ২ গিগাবাইট র‌্যাম,
• ৫১২ মেগাবাইট গ্রাফিক্স কার্ড,
• ১২ গিগাবাইট ফ্রি হার্ডডিস্ক স্পেস
• ডাইরেক্ট এক্স ৯.০সি সাথে শেডার মডেল ৩.০
ভালভাবে খেলতে হলে:
• উইন্ডোজ ৭ / ৮ অপারেটিং সিস্টেম,
• কোর আই ৩ ২.৬ গিগাহার্জ গতির প্রসেসর,
• ৪ গিগাবাইট র‌্যাম,
• ১ গিগাবাইট গ্রাফিক্স কার্ড,
• ১২ গিগাবাইট ফ্রি হার্ডডিস্ক স্পেস
টুম্ব রেইডার গেমটিতে ওপেন ওয়ার্ল্ড গেমপ্লে সাথে অ্যাকশন -এডভেঞ্চার, এক্সপ্লোরেশন, সারভাইবাল আরপিজি ও থাকছে। গেমটির ক্যাম্পেইন গেম-প্লে এর দৈর্ঘ্য হবে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা। গেমটিতে সাইড মিশন হিসেবে থাকছে মাল্টিপল সাইড কোয়েস্ট, আইল্যান্ড কে আরও এক্সপ্লোর করা, গোপন জায়গা খোঁজ করা এবং চ্যালেঞ্জ এর খোঁজ করা।
টুম্ব রেইডার: আন্ডারওয়ার্ল্ড গেমটির মুক্তির পর নির্মাতা ক্রিস্টাল ডাইনামিকস দুটি দলে ভাগ হয়ে টুম্ব রেইডার গেমটি নির্মাণ করেছেন। নভেম্বর, ২০১০ সালে গেমটির স্লোগান “ এ সারভাইবার ইজ বর্ন” প্রকাশের মধ্য দিয়ে গেমটির প্রথম খবর পাওয়া যায়। গেমটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৮ সালে। এছাড়াও টুম্ব রেইডার গেমস সিরিজের এটিই প্রথম গেম যেটি “এম” রেটিং পেয়েছে।
tomb3
টুম্ব রেইডার গেমটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ক্রিস্টাল ডাইনামিকস এর গেম ইঞ্জিন “ক্রিস্টাল ইঞ্জিন” দিয়ে। জুন ৩, ২০১১ সালে ইলেকট্রনিক এনটারটেইমেন্ট এক্সপো ২০১১ তে ঘোষণা করা হয়েছিল যে গেমটি ২০১২ সালের শেষের দিকে মুক্তি পাবে। গেমটি প্রথম ট্রেইলার এর উপর ভক্তদের মন-বাসনা এর উপর নজর রেখে আরও এডিশনাল আপগ্রেড করার কারণে গেমটির মুক্তির তারিখ ২০১৩ সালের শুরুর দিকে দেওয়া হয়।
গেমটি মুক্তি পায় কয়েকটি ভার্সনে। টুম্ব রেইডার: দ্যা ফাইনাল আওয়ার্স এডিশন, টুম্ব রেইডার : সারভাইভাল এডিশন এবং টুম্ব রেইডার: কালেক্টর এডিশন
 source

প্লে স্টোরকে ঢেলে সাজাল গুগল

গুগল তার প্লে স্টোরকে আবার নতুন করে সাজিয়েছে। প্লে স্টোরের এই সাম্প্রতিক আপডেট গুগল গ্লাসকেও সমর্থন করার সুবিধা নিয়ে এসেছে। এরই মধ্যে যে গুটিকয়েক গুগল গ্লাস ইউজাররা তাদের গুগল গ্লাসকে জিমেইল একাউন্টের যুক্ত করেছেন তারা যেকোন অ্যাপ ডাউনলোড করার সময়েই এখন অ্যাপ কম্প্যাটিবল ডিভাইস লিস্টে তাদের গ্লাসের নাম দেখতে পাচ্ছেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে গুগল গ্লাসের অ্যাপসও গুগল তার প্লে স্টোরের মাধ্যমেই বিতরণ করবে।
a
প্লে স্টোরের সাম্প্রতিক পরিবর্তন পূর্ব ঘোষিতই ছিল। এই বছরের আইওতেই গুগল এই ঘোষণা দেয়। নতুন ওয়েব ইন্টারফেস আনার মাধ্যমে গুগল প্লে স্টোরের অ্যাপসগুলোকে আরো সংগঠিত এবং ইউজাররা যেন এখন আরো সহজে তার প্রয়োজনীয় অ্যাপস খুঁজে পেতে পারে এই দিকে গুরুত্ব দিয়েছে। প্লে স্টোরে গ্লাস সাপোর্ট আনায় গুগল গ্লাস নিঃসন্দেহে লাভবান হবে। প্লে স্টোর সাপোর্টের আগে গুগল গ্লাসে অ্যাপস ইন্সটলের জন্য মাইগ্লাস নামে আলাদা পোর্টালে লগইন করতে হতো। এখন প্লে স্টোর সাপোর্ট আনার কারণে গ্লাস ইউজাররা খুব সহজেই গুগলের সকল সার্ভিস যেমন-অ্যাপস,বুকস,মিউজিক,ভিডিও অ্যাক্সেস করতে পারবে।
এছাড়াও গুগল তার গ্লাসের জন্য ডেডিকেটেড প্লে স্টোর এপ্লিকেশন তৈরি করছে বলে জানা গেছে। এরফলে গ্লাসের জন্য নেটিভ অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ও তা ইন্সটল করার সুযোগ তৈরি হবে। এখন পর্যন্ত যতগুলো অ্যাপস গ্লাসের জন্য গুগল রিলিজ করেছে তার কোনটাই নেটিভ APK সমর্থন করে না। এর বদলে বেসিক গ্লাসওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট করত যার কার্যপদ্ধতি খুবই সীমিত। কিন্তু সাম্প্রতিক গুগল গ্লাস আপডেটে পূর্ণ ব্রাউজার সুবিধা ও কন্ট্যাক্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যুক্ত করেছে। এর ফলে ধারণা করা হচ্ছে গুগল গ্লাসের জন্য গুগল খুব তাড়াতাড়িই ফুল এপিকে সাপোর্ট নিয়ে আসবে।
আমরা দেখেছি যে গুগল অ্যাণ্ড্রয়েড চালিত সকল ধরণের ডিভাইসের জন্যই একই অ্যাপ রিলিজের পক্ষে। যেমন – গুগল প্লে স্টোরের প্রায় সব অ্যাপই ৪ ইঞ্চি স্মার্টফোনেও চলে আবার ১০ ইঞ্চি ট্যাবলেটেও চলে। এই কারণেই গুগল হয়ত ডেভেলপারদের তাদের অ্যাপ্সকে স্মার্টফোন,ট্যাবলেট এবং একই সাথে গ্লাসেও ডেভেলপ করার সুযোগ করে দিবে । অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েডে বর্তমান যে অ্যাপ্লিকেশনস আছে তা গুগল গ্লাসেও পোর্ট করার ঘোষণা আসতে পারে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ফোর

HD
এতে রয়েছে ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, যা আইফোনের তুলনায় ১ ইঞ্চি বেশী। এবং এই বিশাল স্ক্রীন সাইজের সদ্ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে আইফোন ব্যার্থ।
display
মজার বিষয় হল আপনি অন্য একজন এস ফোর ব্যবহারকারীর সাথে গেম খেলা, ছবি শেয়ার করা, একই গান স্ট্রীম করা ছাড়াও আরও অনেক কিছু করতে সক্ষম হবেন। এর জন্য এতে একটি বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হয়েছে যার নাম “গ্রুপ প্লে”। অ্যাপ্লিকেশনটি ওয়াইফাই সংযোগের মাধ্যমে অন্যান্য ফোনের সাথে সংযুক্ত হয়।
group play
ফোনটির ক্যামেরাতেও রয়েছে নানা রকমের ট্রিকস। যেমন, আপনি স্বয়ংক্রিয় ভাবে একটি ছবির ঝাপসা দৃশ্য মুছে ফেলতে পারবেন অথবা আপনি আপনার পছন্দ মত জিফ অ্যানিমেশন তৈরি করতে পারবেন।
camera
এতে “স্মার্ট স্টে” নামক একটি ফিচার সংযোজিত হয়েছে। আপনি যদি ফোনের দিকে তাকান তাহলে স্ক্রীনের আলো জ্বলবে এবং চোখ ফিরিয়ে নিলে আলো নিভে যাবে। যখন আপনি স্ক্রীনে কোন কিছু পড়বেন তখন এটা খুবই কার্যকর একট ফিচার।
smart_stay
এটি সাধারণ মাইক্রো ইউএসবি প্লাগের মাধ্যমে চার্জ হওয়া ও ডাটা সিঙ্ক হওয়ার কাজ সম্পন্ন করে। এই ধরনের প্লাগ বাজারে পাওয়া খুবই সহজ যেখানে আইফোনের জন্য বিশেষ পোর্টের প্রয়োজন হয়।
MICROUSB

এক নজরে গ্যালাক্সি এসফোর:

ডিসপ্লে: সুপার অ্যামোলড ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রীন, ১৬ মিলিয়ন কালারস, ১০৮০x১৯২০ পিক্সেল, ৫ ইঞ্চি, মাল্টিটাচ সাপোর্টেড, করনিং গরিলা গ্লাস৩ প্রোটেকশন।
মেমরী: কার্ড স্লট: মাইক্রোএসডি (৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত), ইন্টারনাল মেমরী তিন ধরনের (১৬/৩২/৬৪ গিগাবাইট), র‍্যাম: ২ গিগাবাইট।
থ্রিজি: আছে (HSDPA)
ফোরজি: আছে (LTE)
জিপিআরএস: আছে
এজ: আছে
ব্লুটুথ: আছে
এনএফসি: আছে
ইনফ্রারেড পোর্ট: আছে
ইউএসবি: আছে, মাইক্রোইউএসবি।
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল, ৪১২৮x৩০৯৬ পিক্সেল, অটোফোকাস, এলইডি ফ্ল্যাশ। ডুয়েল শট, এইচডি ভিডিও, ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন।
অপারেটিং সিস্টেম: অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ (জেলি বিন)
চিপসেট: এক্সিনস ৫ অক্টা ৫৪১০
সিপিউ: কোয়াড কোর ১.৬ গিগাহার্টজ করটেক্স-A15 এবং কোয়াড কোর ১.২ গিগাহার্টজ করটেক্স-A7
জিপিউ: পাওয়ারভিআর এসজিএক্স 544MP3
সেন্সর:
  • অ্যাক্সিলারোমিটার: আছে
  • জাইরোস্কোপ: আছে
  • প্রক্সিমিটি: আছে
  • কমপাস: আছে
  • ব্যারোমিটার: আছে
  • টেম্পারেচার: আছে
  • হিউমিডিটি: আছে
  • জেসচার: আছে
জিপিএস: আছে
রেডিও: নেই
জাভা: আছে
ব্যাটারী: লিথিয়াম আয়ন ২৬০০ mAh
galaxy
ভাল দিক:
  • এ পর্যন্ত বের হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস
  • ফুল এইচডি রেজুলিউশন
  • স্ক্রীন অত্যন্ত পরিষ্কার ও তীক্ষ্ম
  • ক্যামেরার মান ভাল
  • কিছু সহায়ক সফটওয়্যার ফিচার রয়েছে
খারাপ দিক
  • প্লাস্টিকের তৈরি বডি দেখতে সস্তা মনে হয়
  • ডিজাইন দেখতে অনেকটা এস থ্রী এর মত
  • ইন্টারফেস কিছুটা জটিল
  • ব্যটারী লাইফ ভাল নয়
  • ১৬ গিগাবাইটের ফোনটিতে অ্যাপ্লিকেশনের জন্য জায়গা সীমিত।
বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে এর মূল্য 67,500 টাকা

Intex Aqua Life II

Intex Aqua Life II   View Photos  PhoneIntex Aqua Life IIManufacturer Intex Status Available Available in IndiaYes Price (Indian Rupees)...