এএমডি (Advance Micro Device) কোন নতুন প্রসেসর নির্মাতা কোম্পানি নয়। কমদামে ভালমানের প্রসেসর নির্মাণের জন্য সমগ্র ইউরোপ এ এএমডির প্রসেসর এর জনপ্রিয়তা আছে। এতদিন বাংলাদেশে এএমডির প্রসেসর খুব একটা পাওয়া না গেলেও ২০১০ সালে UCC (United Computer Centre) সর্বপ্রথম ব্যাপক আকারে এএমডির প্রসেসর বাজারে আনে। তারপর একে একে Smart Technologies BD Ltd. এবং Computer Source বাজারে এএমডির সব নতুন প্রসেসর বাজারে আনে।
২০১১ সালে চিপ জায়ান্ট ইন্টেল বাজারে আনে ২য় প্রজন্মের মাইক্রো-প্রসেসর যার কোডনাম Sandy-Bridge। কিন্তু এএমডি কি বসে আছে? এই বছরে তারা বাজারে আনছে 2nd Generation AMD BULLDOZER যা ইন্টেল এর Core i7 980extreme থেকে ৭৭% বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। এই প্রসেসর সম্পর্কে এএমডি তেমন কিছু বলেনি। তবে যতটুকু জানা গেছে তা হচ্ছে
Name:- AMD BULLDOZER
Clock Speed:- 4.00GHz
Number Of Cores:- 8 (Hexa Core)
GPU:- 4 Way Built In Graphics
Cache Memory:- 16MB
Voltage:- 95-125w.
Architechture:- 32nm
এই প্রসেসর এ গ্রাফিক্স বিলট ইন দেয়া আছে যা বিশ্ববিখ্যাত গ্রাফিক্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এটিআই এবং এএমডি এর যৌথ প্রয়াস। এটি ৪ ওঁয়ে গ্রাফিক্স যা খুব শক্তিশালী। এর ফলে আলাদা কোন গ্রাফিক্স কার্ড লাগবেনা। প্রতিষ্ঠান দুটি একত্র হবার পর থেকে ”ফিউশন” নামে যে পরিকল্পনা নেয়া হয় তার ফসল হচ্ছে বুলডজার। ”ফিউশন” নামের সবগুলো প্রসেসর এ শক্তিশালী গ্রাফিক্স দেয়া থাকবে। এ প্রসেসর এর ক্যাশমেমোরি ১৬ মেগাবাইট। এটি খুব কম বিদ্যুৎ ব্যাবহার করবে এবং এটি নতুন AM3+ সকেট ব্যাবহার করবে যা আগের সকেট থেকে বেশি পিনসমৃদ্ধ। সত্যি কথা বলতে কি Ultimate Computing এর পরিপূর্ণ স্বাদ আপনি পাবেন এই প্রসেসর এ।
BULLDOZER নিয়ে এএমডির মহাপরিকল্পনা আছে। ২০১২ সালের শেষের দিকে ২০ কোর এর চিপ বাজারে আনবে এএমডি যা ইন্টেল এর মত চিপ জায়ান্ট কে ধাক্কা দেবার জন্য অনেক বেশি যথেষ্ট। যারা ৮০-৯০ দশকের Computing দেখেছেন তারা জানেন যে অতিতে বহুবার ইন্টেল, এএমডির কাছে পরাজিত হয়েছে। বিশেষত ১৯৯১ সালে এম৩৮৬ প্রসেসর বাজারে এএমডি আনলে মাত্র ৯ মাসে ১০লক্ষ কপি বিক্রি হয়। এর পর ১৯৯৬ সালে এএমডি কে৫ সিরিজের এক্স৮৬ বাজারে আসে। এর পরের বছর আসে এএমডি কে৬ সিরিজ যার কাছে হার মানে ইন্টেল পেন্টিয়াম ২ সিরিজ। তারপর থেকে এএমডি Athlon, Duron, Sempron, Athlon64, Opteron, Phenom, Athlon 2, Phenom 2 যা প্রতিবারই ইন্টেল কে ধাক্কা দিয়ে এসেছে। BULLDOZER প্রসেসর ইন্টেল কে যে মারাত্মক কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে ইতিমধ্যে ফেলে দিয়েছে তা প্রযুক্তিবিদরাও স্বীকার করেছেন। হয়তবা এ প্রজন্ম আরও একবার এই কানাডাভিত্তিক পৃথিবীর সর্ব-বৃহৎ সেমি-কনডাকটর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এর জাদু আরও একবার দেখতে পাবে। বরাবরই এএমডির গ্রাফিক্স প্রশংসার দাবীদার। সিপিউ ও জিপিউ সমৃদ্ধ ”ফিউশন” প্রযুক্তির এই প্রসেসর এর মাধ্যমে এএমডি ৯০ দশকের পর আবারো তাদের অভিজ্ঞতা এবং গ্রাফিক্স এর জাদু কে কাজে লাগিয়ে ২য় প্রজন্মের মাইক্রো-প্রসেসর বাজারে আনছে যা দ্বারা তারা ৯০ দশকের চেয়ে বেশি সাড়া পাবার আশা করছে এবং যা হবে সত্যিকারের এক্সট্রিম Computing।
No comments:
Post a Comment