১।Contagion (2011):
মুভিটির ট্রেইলার যখন দেখেছিলাম তখন থেকেই মুভিটি দেখার ব্যাপারে অতিশয় আগ্রহী হয়ে উঠেছিলাম, কারন মুভির পরিচালক আমার অতি পছন্দের স্টিভেন সোডারবার্গ,আর মুভিটির কাস্টিং ভয়াবহ লেভেলের, যাকে বলে সকল বিখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মিলনমেলা। ম্যাট ডেমন, গিনেথ প্যালট্রো, কেট উইন্সলেট থেকে শুরু করে লরেন্স ফিসবার্ন , জুড ল, কে নেই? আমার সব প্রিয় প্রিয় তারকারা এই মুভিতে আছেন।সুতরাং সব মিলিয়ে অ্যান্টিসিপেটেড মুভিগুলোর তালিকায় একেবারে উপরের সারি্তেই এটিকে রেখেছিলাম।
মুভিটা কিছুদিন আগে দেখলাম, মুভিটার প্লটটাও কিন্তু বেশ, একটি মহামারী রোগ আস্তে আস্তে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে আর তার পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকার Disease Control বোর্ড আর ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশান প্রাণান্ত চেষ্টা করছে ভাইরাসটির গতি প্রকৃতি আর তার থেকে বাঁচার জন্য টীকা আবিষ্কারের জন্য। কিন্তু কিছুতেই তারা তাতে সক্ষম হতে পারছেন না, এদিকে সেই রোগটি আরো ব্যাপক রূপ নিয়ে সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে।সবমিলিয়ে ভয়ংকর অবস্থা।মুভিটির স্টোরি টেলিংটা দারুন, তবে আরেকটু ভালো করার স্কোপ ছিলো, এতো বিশাল বড়োমাপের কাস্টিং আর এইরকম প্লট নিয়ে আরো জমজমাট করা যেতো মুভিটাকে, তবে খারাপ বলা যাবে না মোটেও।মানুষ প্রকৃতির কাছে কতোটা অসহায় ভালোমতোন বুঝিয়ে দিলো সোডারবার্গ সাহেব।স্টার্টিংটা ভয়াবহ জটিল লেগেছে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মুভিটা কেমন জানি খেই হারালো, একটু ডিসেপয়েন্টেড হয়েছি তবে ভালো টাইম পাস হলো, এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে বেশ ইনটেনস ভাব ছিলো,তবে আরো গোছানো যেতো প্লটটাকে,সবমিলিয়ে মহামারী নিয়া মুভিখান যতোটা ভেবেছিলাম ততোটা আহামরি হইলো না। মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৬.৮, আমার পার্সোনাল রেটিং ৭.৫/১০।
ডাউনলোড লিংক: Click This Link
২।Johnny English Reborn (2011):
মিস্টার বিন খ্যাত রোয়ান এটকিনসানের আরেকটি মজার চরিত্র জনি ইংলিশ সিরিজের দ্বিতীয় পার্ট এটি।প্রথম পার্টটির মতো এপিক না হলেও খুব একটা খারাপ হয় নি, তবে একটু হতাশ হয়েছি এইটা সত্যি। এর একমাত্র কারন হতে পারে, কমেডি দৃশ্যগুলো খুবই চেনা চেনা লেগেছে যার বেশ কয়েকটার নমুনা মিস্টার বিনেই দেখে ফেলেছি।তবে কিছু কিছু দৃশ্যে হাসতে হাসতে রীতিমতো গড়াগড়ি খেয়েছি, আরেকটা জিনিস, অনেকদিন পর জিলিয়ান অ্যান্ডারসনকে দেখে বেশ নষ্টালজিক হইলাম।শুধুমাত্র টাইম পাস হিসেবে দেখতে বসে যান, মুভিটি ভালোই লাগবে।আমার পার্সোনাল রেটিং ৬.৫/১০।
ডাউনলোড লিংক: Click This Link
৩।Tinker Tailor Soldier Spy (2011):
এটি ২০১১ এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য মুভি।যদিও বইটি পড়া হয় নাই বলে প্রথমবার মুভিটি বুঝতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।কারন কোল্ড ওয়ার চলাকালীন সময়কে কেন্দ্র করে মুভিটির প্লট আবর্তিত হওয়ায় কাহিনীতে বেশ প্যাঁচ ছিলো। তাই প্রথমবার খুব একটা ভালো লাগে নি,কারন অনেককিছুই বুঝি নি, কিন্তু এটির মেকিং আর অসাধারন অ্যাক্টিং এনসেম্বল থাকায় আবারো দেখতে বসে যাই।যেহেতু এইবার স্টোরিলাইনটা জানা ছিলো তাই মুভিটা এইবার অনেকটাই সহজপাচ্য ও এ কথায় ইনক্রেডিবল লেগেছে।
১৯৭০ সালে তখন চলছে কোল্ড ওয়ার, ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স জানতে পারে তাদের মধ্যে একজন "মোল" মানে ছদ্মবেশী রয়েছে যে রাশিয়ার ইন্টেলিজেন্সের কাছে তাদের তথ্য নিয়মিত পাচার করতো।সেই ছদ্মবেশিকে ধরতেই মিশনে নামে তারা।যদি ব্যাপক স্পাইমার্কা অ্যাকশানের চিন্তায় মুভিটা দেখতে বসেন তাহলে বলে দিচ্ছি মুভিটিটে তেমন কোনো অ্যাকশান দৃশ্য নেই। স্নায়ুযুদ্ধের মুভি যেরকম হওয়ার কথা ঠিক সেরকমই।মুভিটির সাউন্ড স্কোর অসাধারন মাপের, আর গ্যারি ওল্ডম্যান, টম হার্ডি আর কলিন ফার্থের অনবদ্য অভিনয় মুভিটিকে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে।
আমার ধারনা আসছে বাফটাতে শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ মুভির খেতাব পাবে এই মুভিটি।এছাড়া এই মুভির জন্য গ্যারি ওল্ডম্যান প্রথমবারের মতো অস্কারের নমিনেশান পেয়েছেন। আমি পার্সোনালি তার অভিনয়ের বিশাল ফ্যান।তাই এটি আমার কাছে দারুন একটা খবর।শুধু তাই নয়, মিউজিকের অরিজিনাল স্কোর আর অ্যাডাপ্টেড স্ক্রিনপ্লের জন্যও এটি এবার অস্কারের নমিনেশান পেয়েছে।মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৭.৪, আমার পার্সোনাল রেটিং ৮/১০। যারা একটু ঝাকানাকা অ্যাকশানবিহীন স্পাইটাইপ মুভি পছন্দ করেন তাদের জন্য মাস্ট সি মুভি।
ডাউনলোড লিংক: Click This Link
৪।The Descendants (2011):
এটি একটি সাদামাটা আমেরিকান সামাজিক ড্রামা মুভি।তবে অসাধারন মেকিং আর জর্জ ক্লুনি মুভিটাকে একটা অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, তাইতো গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা থেকে শুরু করে এইবারের অস্কারেও বেশ কয়েকটি নমিনেশান এবং পুরষ্কার পেয়েছে মুভিটি। কাহিনীতে দেখা যায়, জর্জ ক্লুনির স্ত্রী একটি নৌদুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে কোমায় চলে গিয়েছেন, ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তার এই কোমা থেকে ফিরে আসবার কোনো আশা নেই, তাই লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলবার জন্য ক্লুনিকে ডেট ফিক্সড করতে বলেন। ক্লুনি তার আগে সকল আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবকে খবরটা জানাতে চান।সেইসাথে তার দুই মেয়ের সাথে তার আগের দুর্বল বন্ধনটাও বেশ মজবুত হয়।এদিকে ক্লুনি জানতে পারেন, ঐসময় তার স্ত্রীর একজনের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো।ভীষন রাগান্বিত হয়ে ক্লুনি ঐ লোকটিকে খুঁজতে বের হয়ে পড়েন তার মুখোমুখি হওয়ার জন্য। এভাবেই নানাম কাহিনীর মাঝে মুভিটি এগিয়ে যায় দারুন একটি সমাপ্তির পথে।
মুভিটির কাহিনী খুবই সাধারন মাপের, কোনোরকম ঝক্কিঝামেলা নেই, তবে সিনেমার সংলাপগুলো দুর্দান্ত। আর ন্যারেশানে জর্জ ক্লুনির ভয়েসটাও চমৎকার মানানসই লেগেছে।মুভিটির পরিচালনা বেশ ভালো, তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছেন জর্জ ক্লুনি। ব্রিলিয়ান্ট অ্যাক্টিং পারফরমেন্স দেখিয়েছেন গোটা মুভিটায়। আর এর জন্য তিনি ইতিমধ্যেই সেরা অভিনেতা ক্যাটাগরিতে Critics Choice Award এবং Golden Globe জিতে নিয়েছেন।অস্কারেও তার সাথে আর্টিস্টের জন ডেরাজুনের লড়াইটাও যে ভীষন হাড্ডাহাড্ডি হবে সেটা নিশ্চয়ই আর বলে দেয়া লাগবে না।
মুভিটি সেরা ছবি সহ মোট ৫ টি ক্যাটাগরিতে অস্কারের নমিনেশান পেয়েছে।মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৭.৮/১০, আমার পার্সনাল রেটিং ৮/১০।
ডাউনলোড লিংক: Click This Link
মুভিটির ট্রেইলার যখন দেখেছিলাম তখন থেকেই মুভিটি দেখার ব্যাপারে অতিশয় আগ্রহী হয়ে উঠেছিলাম, কারন মুভির পরিচালক আমার অতি পছন্দের স্টিভেন সোডারবার্গ,আর মুভিটির কাস্টিং ভয়াবহ লেভেলের, যাকে বলে সকল বিখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মিলনমেলা। ম্যাট ডেমন, গিনেথ প্যালট্রো, কেট উইন্সলেট থেকে শুরু করে লরেন্স ফিসবার্ন , জুড ল, কে নেই? আমার সব প্রিয় প্রিয় তারকারা এই মুভিতে আছেন।সুতরাং সব মিলিয়ে অ্যান্টিসিপেটেড মুভিগুলোর তালিকায় একেবারে উপরের সারি্তেই এটিকে রেখেছিলাম।
মুভিটা কিছুদিন আগে দেখলাম, মুভিটার প্লটটাও কিন্তু বেশ, একটি মহামারী রোগ আস্তে আস্তে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে আর তার পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকার Disease Control বোর্ড আর ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশান প্রাণান্ত চেষ্টা করছে ভাইরাসটির গতি প্রকৃতি আর তার থেকে বাঁচার জন্য টীকা আবিষ্কারের জন্য। কিন্তু কিছুতেই তারা তাতে সক্ষম হতে পারছেন না, এদিকে সেই রোগটি আরো ব্যাপক রূপ নিয়ে সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে।সবমিলিয়ে ভয়ংকর অবস্থা।মুভিটির স্টোরি টেলিংটা দারুন, তবে আরেকটু ভালো করার স্কোপ ছিলো, এতো বিশাল বড়োমাপের কাস্টিং আর এইরকম প্লট নিয়ে আরো জমজমাট করা যেতো মুভিটাকে, তবে খারাপ বলা যাবে না মোটেও।মানুষ প্রকৃতির কাছে কতোটা অসহায় ভালোমতোন বুঝিয়ে দিলো সোডারবার্গ সাহেব।স্টার্টিংটা ভয়াবহ জটিল লেগেছে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মুভিটা কেমন জানি খেই হারালো, একটু ডিসেপয়েন্টেড হয়েছি তবে ভালো টাইম পাস হলো, এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে বেশ ইনটেনস ভাব ছিলো,তবে আরো গোছানো যেতো প্লটটাকে,সবমিলিয়ে মহামারী নিয়া মুভিখান যতোটা ভেবেছিলাম ততোটা আহামরি হইলো না। মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৬.৮, আমার পার্সোনাল রেটিং ৭.৫/১০।
ডাউনলোড লিংক: Click This Link
২।Johnny English Reborn (2011):
মিস্টার বিন খ্যাত রোয়ান এটকিনসানের আরেকটি মজার চরিত্র জনি ইংলিশ সিরিজের দ্বিতীয় পার্ট এটি।প্রথম পার্টটির মতো এপিক না হলেও খুব একটা খারাপ হয় নি, তবে একটু হতাশ হয়েছি এইটা সত্যি। এর একমাত্র কারন হতে পারে, কমেডি দৃশ্যগুলো খুবই চেনা চেনা লেগেছে যার বেশ কয়েকটার নমুনা মিস্টার বিনেই দেখে ফেলেছি।তবে কিছু কিছু দৃশ্যে হাসতে হাসতে রীতিমতো গড়াগড়ি খেয়েছি, আরেকটা জিনিস, অনেকদিন পর জিলিয়ান অ্যান্ডারসনকে দেখে বেশ নষ্টালজিক হইলাম।শুধুমাত্র টাইম পাস হিসেবে দেখতে বসে যান, মুভিটি ভালোই লাগবে।আমার পার্সোনাল রেটিং ৬.৫/১০।
ডাউনলোড লিংক: Click This Link
৩।Tinker Tailor Soldier Spy (2011):
এটি ২০১১ এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য মুভি।যদিও বইটি পড়া হয় নাই বলে প্রথমবার মুভিটি বুঝতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।কারন কোল্ড ওয়ার চলাকালীন সময়কে কেন্দ্র করে মুভিটির প্লট আবর্তিত হওয়ায় কাহিনীতে বেশ প্যাঁচ ছিলো। তাই প্রথমবার খুব একটা ভালো লাগে নি,কারন অনেককিছুই বুঝি নি, কিন্তু এটির মেকিং আর অসাধারন অ্যাক্টিং এনসেম্বল থাকায় আবারো দেখতে বসে যাই।যেহেতু এইবার স্টোরিলাইনটা জানা ছিলো তাই মুভিটা এইবার অনেকটাই সহজপাচ্য ও এ কথায় ইনক্রেডিবল লেগেছে।
১৯৭০ সালে তখন চলছে কোল্ড ওয়ার, ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স জানতে পারে তাদের মধ্যে একজন "মোল" মানে ছদ্মবেশী রয়েছে যে রাশিয়ার ইন্টেলিজেন্সের কাছে তাদের তথ্য নিয়মিত পাচার করতো।সেই ছদ্মবেশিকে ধরতেই মিশনে নামে তারা।যদি ব্যাপক স্পাইমার্কা অ্যাকশানের চিন্তায় মুভিটা দেখতে বসেন তাহলে বলে দিচ্ছি মুভিটিটে তেমন কোনো অ্যাকশান দৃশ্য নেই। স্নায়ুযুদ্ধের মুভি যেরকম হওয়ার কথা ঠিক সেরকমই।মুভিটির সাউন্ড স্কোর অসাধারন মাপের, আর গ্যারি ওল্ডম্যান, টম হার্ডি আর কলিন ফার্থের অনবদ্য অভিনয় মুভিটিকে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে।
আমার ধারনা আসছে বাফটাতে শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ মুভির খেতাব পাবে এই মুভিটি।এছাড়া এই মুভির জন্য গ্যারি ওল্ডম্যান প্রথমবারের মতো অস্কারের নমিনেশান পেয়েছেন। আমি পার্সোনালি তার অভিনয়ের বিশাল ফ্যান।তাই এটি আমার কাছে দারুন একটা খবর।শুধু তাই নয়, মিউজিকের অরিজিনাল স্কোর আর অ্যাডাপ্টেড স্ক্রিনপ্লের জন্যও এটি এবার অস্কারের নমিনেশান পেয়েছে।মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৭.৪, আমার পার্সোনাল রেটিং ৮/১০। যারা একটু ঝাকানাকা অ্যাকশানবিহীন স্পাইটাইপ মুভি পছন্দ করেন তাদের জন্য মাস্ট সি মুভি।
ডাউনলোড লিংক: Click This Link
৪।The Descendants (2011):
এটি একটি সাদামাটা আমেরিকান সামাজিক ড্রামা মুভি।তবে অসাধারন মেকিং আর জর্জ ক্লুনি মুভিটাকে একটা অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, তাইতো গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা থেকে শুরু করে এইবারের অস্কারেও বেশ কয়েকটি নমিনেশান এবং পুরষ্কার পেয়েছে মুভিটি। কাহিনীতে দেখা যায়, জর্জ ক্লুনির স্ত্রী একটি নৌদুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে কোমায় চলে গিয়েছেন, ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তার এই কোমা থেকে ফিরে আসবার কোনো আশা নেই, তাই লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলবার জন্য ক্লুনিকে ডেট ফিক্সড করতে বলেন। ক্লুনি তার আগে সকল আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবকে খবরটা জানাতে চান।সেইসাথে তার দুই মেয়ের সাথে তার আগের দুর্বল বন্ধনটাও বেশ মজবুত হয়।এদিকে ক্লুনি জানতে পারেন, ঐসময় তার স্ত্রীর একজনের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো।ভীষন রাগান্বিত হয়ে ক্লুনি ঐ লোকটিকে খুঁজতে বের হয়ে পড়েন তার মুখোমুখি হওয়ার জন্য। এভাবেই নানাম কাহিনীর মাঝে মুভিটি এগিয়ে যায় দারুন একটি সমাপ্তির পথে।
মুভিটির কাহিনী খুবই সাধারন মাপের, কোনোরকম ঝক্কিঝামেলা নেই, তবে সিনেমার সংলাপগুলো দুর্দান্ত। আর ন্যারেশানে জর্জ ক্লুনির ভয়েসটাও চমৎকার মানানসই লেগেছে।মুভিটির পরিচালনা বেশ ভালো, তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছেন জর্জ ক্লুনি। ব্রিলিয়ান্ট অ্যাক্টিং পারফরমেন্স দেখিয়েছেন গোটা মুভিটায়। আর এর জন্য তিনি ইতিমধ্যেই সেরা অভিনেতা ক্যাটাগরিতে Critics Choice Award এবং Golden Globe জিতে নিয়েছেন।অস্কারেও তার সাথে আর্টিস্টের জন ডেরাজুনের লড়াইটাও যে ভীষন হাড্ডাহাড্ডি হবে সেটা নিশ্চয়ই আর বলে দেয়া লাগবে না।
মুভিটি সেরা ছবি সহ মোট ৫ টি ক্যাটাগরিতে অস্কারের নমিনেশান পেয়েছে।মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৭.৮/১০, আমার পার্সনাল রেটিং ৮/১০।
ডাউনলোড লিংক: Click This Link
No comments:
Post a Comment