ইউরোপীয়দের মানসিক সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে? তিন বছর গবেষণার পর এমনটাই বলছে ইউরোপীয়ান কলেজ অব নিউরোসাইকোফার্মাকোলজি বা ইএনসিপি।
ইনসোমনিয়া, আলঝাইমার, ডিমেনশিয়া, পারকিনসন্স এইসব জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ইউরোপীয়রা। দক্ষিণ এশিয়ায় এসব রোগে আক্রান্ত লোকের সংখ্যা খুব বেশি নয়? কিংবা, রোগ নির্ণয়ের পর্যাপ্ত সুযোগের অভাবে অনেকে জানেনই না যে, তাদের এই রোগ রয়েছে। তবে অবসাদের সঙ্গে দুশ্চিন্তাগ্রস্ততা - এমন অনেককেই পাওয়া যাবে এ অঞ্চলে। গবেষণায় জানা গেছে, ইউরোপের শতকরা ৩৮ ভাগ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় মানসিক সমস্যায় ভোগেন? ফলে একবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে একে দেখছেন গবেষকরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশও নরওয়ে, আইসল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডসহ মোট ৩০টি দেশের মানুষের ওপর জরিপ চালানো হয়। এসব দেশে জনসংখ্যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৫১ কোটি। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ প্রতি বছর মানসিক সমস্যায় ভোগে । অর্থাত্ প্রতি তিনজনে একজন। কিন্তু আশঙ্কার কথা হলো, অন্যান্য রোগের চিকিত্সা ব্যবস্থা দিন দিন যতটা উন্নত হচ্ছে সেখানে মানসিক রোগের চিকিত্সায় ততটা অগ্রগতি নেই। এছাড়া চিকিত্সা পেতেও অপেক্ষা করতে হয় অনেকদিন। খবর ডয়চে ভেলে।
জার্মানির ড্রেসডেন শহরের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ইন্সটিটিউট অব ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি অ্যান্ড সাইকোথেরাপির পরিচালক হান্স-উলরিশ ভিটশেন। তিনি এই গবেষণা দলের প্রধান। মানসিক সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও ওষুধ কোম্পানিগুলোকে আরো এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ভিটশেন ও তাঁর দলের গবেষকরা। ভিটশেন বলেন, অনেকদিন মনে করা হতো সাইকোলজিক্যাল ও নিউরোলজিক্যাল সমস্যাগুলো কিছু নির্দিষ্ট মানুষের হয়ে থাকে। কিন্তু এই ধরনের চিন্তাভাবনা হাস্যকর বলে মনে করেন তিনি। গবেষকরা বলছেন, বিশ্বের অনেক মানুষের মৃত্যু ও অক্ষমতার কারণ হলো মানসিক সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই আভাস দিয়েছে যে, ২০২০ সালের মধ্যে নানা রোগব্যাধির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে চলে আসবে ডিপ্রেশন বা অবসাদ ও বিষাদগ্রস্ততা।
মূল সংবাদ ও তথ্যসূত্র......
Click This Link
No comments:
Post a Comment