আইনস্টাইন আপেক্ষিক তত্ত্বের সবচেয়ে বিশ্বয়কর দিক হল ভর ও শক্তির রুপান্তর। সামান্য ভরের রুপান্তরে আমরা প্রায় অসীম শক্তি লাভ করছি। মজার ব্যাপার হল সাধারণ পদার্থবিজ্ঞানে আমরা জানি বস্তুর ভর অবিনশ্বর এবং তা বস্তুর মৌলিক ধর্মগুলোর একটি। আইনস্টাইনের সূত্রে আমরা ভর ও শক্তির মাঝে তাল গোল পাকিয়ে একটিকে অপরটিতে (অথবা শুধু ভরকে শক্তিতে) রুপান্তরের ফালতু চেষ্টা করেছি এবং পরবর্তীতে সফলও হয়েছি...! ব্যাপারটা মজার...! তাই না...?
ব্যাপারটা বর্তমানে অনেকটা বিশ্বাস যোগ্যও বটে। কারণ আমাদের চোখের সামনেই আমরা আজ পারমানবিক বিস্ফোরণের ফলে ভরকে শক্তিতে রুপান্তরিত হতে দেখছি।
ভর-শক্তিতে রুপান্তরিত হতে পারলে শক্তিও ভরে রুপান্তরিত হতে পারবে, তাই না? আপনার যুক্তি কি বলে? শক্তি থেকে কি ভর তৈরি করা সম্ভব? বস্তুর ভরের উপাদান আর শক্তির উপাদান কি এক? কখনোই না। আমি আপনাকে অপরিমেয় শক্তি এনে নিলেও আপনি সামান্য পরিমাণ ভরও তৈরি করতে পারবেন না। এটাই সত্য এবং এটাই বাস্তব। আমরা আমাদের ভরকে ধ্বংস করে চলেছি শক্তির প্রয়োজনে। নষ্ট করে চলেছি ভর শক্তির সাম্যবস্থা। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানেন , সাম্যবস্থা কিন্তু নষ্ট হচ্ছে না!! কারণ ভর তৈরি হচ্ছে এবং শক্তির রুপান্তরেই তা তৈরি হচ্ছে । বিগ ব্যাঙ তত্ত্বে আমরা জেনেছি, মহাবিশ্ব এখন পর্যন্ত সম্প্রসারণশীল এবং প্রতিনিয়ত তা সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমার মতে মহাবিশ্ব শুধু সম্প্রসারিতই হচ্ছে না, তার ভরও বেড়ে চলেছে ক্রমাগত!! মহাবিশ্ব ক্রমাগত ভারী হচ্ছে!! হচ্ছে বুড়ো!! ভরের এই অমূলক সৃষ্টি কিন্তু শক্তির রুপান্তরেই ঘটছে এবং সেই শক্তির নাম মহাজাগতিক শক্তি। মানুষের চিন্তা, মানুষের বিজ্ঞান যেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ভর সৃষ্টি হচ্ছে তার আপন নিয়মে, এক অদ্ভুত ইশারায়!! কিন্তু ভরের এই সৃষ্টি আর বেশি দিন ঘটবে না!! মহাবিশ্বের সংকোচন শুরু হবে। তখন আর শক্তি থেকে ভর রুপান্তরিত হবে না। একমুখী বিক্রিয়ার মত শুধু ভরই শক্তিতে তাও আবার একই প্রকার শক্তিতে(হয়তো তাপ বা আলোক শক্তিতে) রুপান্তরিত হতে থাকবে...এতে মহাবিশ্বে শক্তির সাম্মবস্থাও নষ্ট হয়ে যাবে...বারতে থাকবে একই প্রকার শক্তি...শুরু হবে বিপর্যয়। এই বিপর্যয়ের কথা নিশ্চই আমরা সকলেই জানি!! কারণ প্রায় সকল ধর্মগ্রন্থই এই বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ আছে। পবিত্র আল-কোরআনে এই বিপর্যয়কে উল্লেখ করা হয়েছে কেয়ামত হিসাবে...।
No comments:
Post a Comment