# ১৮৭৯ সালে ১৪ই মার্চ জার্মানির একটি ছোট শহর উলমে আইনস্টাইনের জন্ম।
# আইনস্টাইন যখন তার আপেক্ষিক তত্ত্ব আবিষ্কার করেন তখন পর্যন্ত গবেষণার জন্য তার ছিলনা কোন ল্যাবরেটরি বা কোন যন্ত্রপাতি, তার একমাত্র অবলম্বন ছিল খাতা-কলম।
# আইনস্টাইন যখন তার আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রকাশ করেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৬ বছর।
# সূর্যগ্রহেনর একাধিক ছবি দেখে বিজ্ঞানীরা ধারণা করলেন আলোক রশ্মি বাকে।
# ১৯১৪ সালের ৬ই নভেম্বর ইংল্যান্ড এর রয়াল সোসাইটিতে ঘোষনা করা হল সেই যুগান্তকারী আবিষ্কার! আলো বেকে যায়! এই বাকের নিয়ম নিউটনের তত্ত্বে নেই, আলোর বাকের এই মাপ আছে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বে।
# একদিন এক তরুণ সাংবাদিক, বিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে তার আপেক্ষিক তত্ত্ব সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে বললে, আইনস্টাইন কৌতুক করে বললেন- যখন একজন লোক কোন সুন্দরীর সাথে ১ ঘন্টা গল্প করে, তখন তার কাছে মনে হয় যেন এক মিনিট বসে আছে। কিন্তু যখন তাকে কোন গরম উননের পাশে এক মিনিট দাড় করিয়ে দেওয়া হয় তবে তার মনে হবে সে একঘন্টা দাড়িয়ে আছে। এটাই আপেক্ষিক তত্ত...
# মজার ব্যাপার হল আইনস্টাইনের সবেচেয়ে আলোচিত ও সবচেয়ে মহৎ আবিষ্কার আপেক্ষিক তত্ত্ব হলেও নোবেল কমিটি তাকে এই তত্ত্বের জন্য নোবেল পুরষ্কার দিতে পারেনি, কারণ নোবেল পুরস্কারের শর্ত ছিল পদার্থিবদ্যায় নোবেল পুরষ্কার পাবে এমন আবিষ্কারক যার আবিষ্কার মানুষের কাজে লাগে। কিন্তু যখন তিনি নোবেল পুরষ্কারে ভুষিত হন তখন পর্যন্ত এটা প্রমাণিত হয়নি যে আপেক্ষিক তত্ত্ব আদেও মানুষের কোন কাজে লাগে...! তিনি নোবেল পুরুষ্কার পান তার ফটো ইলেকিট্রক ইফেক্ট আবিষ্কারের কারনে...নোবেল সনদে তা উল্লেখ আছে এভাবে...
“Serfvice to the theory of Physics especially for the law of the Photo Electric Effect”
# আইনস্টাইন বিশ্বাস করতেন ধর্ম মানবতারই এক মূর্ত প্রকাশ। বিজ্ঞান আর ধর্মে প্রেভদ নেই। প্রভেদ শুধু দৃষ্টি ভঙ্গিতে। বিজ্ঞান শুধু ‘কি’ তার উত্তর দিতে পারে, ‘কেন’ বা ‘কি হওয়া উচিৎ’ সে উত্তর দেবার ক্ষমতা নেই। অপর দিকে ধর্ম শুধু মানুষের কাজ আর চিন্তার মূল্যায়ন করতে পারে মাত্র।
# মূলত পারমানবিক শক্তির সম্ভবনা সৃষ্টির মাধ্যমে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রমানিত হয়। সামান্য ভরের রুপান্তরের জন্য পাওয়া যাচ্ছে অপরিমেয় শক্তি। আইনস্টাইন লিখেছেন-“ আমার জীবনকালে এই শক্তি পাওয়া যাবে ভাবেত পারিনি”।
# ১৯৫০ সালে আইনস্টাইন প্রকাশ করেন তার মহাকর্ষের সার্বজনীন তত্ত্ব।
# দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গড়ে ওঠা নতুন ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি তা প্রত্যাখান করেন।
# ১৯৫৫ সালে ১৮ই এপ্রিল আইনস্টাইন মারা যান। তার দেহ পুড়িয়ে ফেলা হলেও তার ব্রেন গেবষণার জন্য এখনও সংরক্ষিত আছে। তবে তা কোথায় সেটা অনেকেরই অজানা...
প্রথমে নিছকই কিছু ফালতু এবং যার উত্তর বিজ্ঞানমনস্ক সবারই জানা এরকম কিছু প্রশ্ন দিয়ে শুরু করি -
· আলোর গতিবেগ সর্বত্রই এক বা সর্বোচ্চ হয়তো এই যক্তিতে ভুল আছে।
· আলোর গতিবেগের সাথে অন্য কিছুর তুলনা করা চলে না, কিন্তু আলো স্থানান্তরিত হতেও সময় লাগে।
· আলো স্থানান্তরিত হয় কিভাবে?
· শূন্য মাধ্যমেও আলো স্থানান্তরিত হয় ।
· শূন্য মাধ্যমটা কি?
· বায়ুহীনতাই কি শূন্য মাধ্যম? শূন্য মাধ্যমে কি কোন চাপ আছে?
· শূন্য মাধ্যমে আমরা চাপ পরিমাপ করব কিভাবে?
· চাপের সাথে হয়তো আলোর বেগের সম্পর্ক আছে।
· চাপের হ্রাস-বৃদ্ধির ফলে হয়তো আলোর বেগ সামান্য পরিবর্তন হয়।
· হয়তো তাপমাত্রাও আলোর গতিবেগের উপর প্রভাব ফেলে।
· বিজ্ঞানীরা আলোর প্রকৃতি ও গতি সম্পর্কে যে সব তত্ত্ব দিয়েছেন তার অনেকগুলোই পরস্পর বিরোধী!
· আচ্ছা আলো বলেত আমরা কোন আরো বুঝাচ্ছি? আলো তো বিভিন্ন রঙের হতে পারে!
· তরঙ্গ তত্ত্ব মতানুসারে একেক রঙ্গের আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য একেক রকম। এতে একেক রঙ্গের আলোর গতিবেগও একেক রকম হওয়ার কথা।
· আলো কি বস্তু না শক্তি? নাকি বস্তুহীন শক্তি?
· হয়তো আলো কোন ভরহীন বস্তু যা অসীমের দিকে ছুটে চলেছে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য।
· আলোর প্রাবল্য কি আলোর গতিবেগের উপর প্রভাব ফেলে? কারণ সূক্ষ্ম আলোর পরিসর হয়তো সীমিত।
· আলো কিন্তু 2d বা 3d কোন পর্যেবক্ষণ নয়, আলো কিন্তু 4d মাধ্যমে চলাফেরা করে।
· আচ্ছা শূন্য মাধ্যমে তো আলো বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কথা নয়। তবু হয়তো শূন্য মাধ্যমে আলো অসীম পর্যন্ত পৌছাতে পারে না, কেন?
· যদি আলো অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, তবে কিভাবে শক্তির সংরক্ষণশীল নীতি বজায় থাকে? মহাবিশ্বের বাপ্তি তখন কল্পনার অতীত একটা ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। মহাবিশ্বের সর্বশেষ প্রান্তের আলো আমরা কিভাবে নির্ণয়, যাচাই বা পরিমাপ করব...? আচ্ছা, আলো পর্যবেক্ষণ করে আমরা কি তার উৎসের দূরত্ব বা প্রকৃতি সম্পকে জানাতে পারব?
· শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ একই হতে পারে। কিন্তু কোন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আলো গমনের সময় আলোর গতিবেগ উক্ত মাধ্যমের প্রিতসারণাঙ্কের উপর নির্ভর করে হ্রাস বৃদ্ধি পায়।
· আলো কিভাবে উৎপন্ন হয়। এর উত্তরের মাঝেই হয়তো অনেক রহস্যের সমাধান আছে। উৎপন্নের প্রক্রিয়া নয় উৎপন্নের ধারা।
আইনস্টাইন তার সুবিখ্যাত
সমীকরণ দ্বারা ভর ও শক্তির মধ্য সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
সমীকরণ দ্বারা এটাই প্রতিয়মান হয় যে ভর, শক্তির একটি রুপ, অর্থাৎ ভর ও শক্তি একই সত্তার ভিন্নরুপ। বাস্তবেও আমরা দেখেছি পারমানবিক বিস্ফোরণের সময় ভর নিঃশেষ হয়ে শক্তিতে রুপান্তরিত হয় যা আইনস্টাইনের সূত্রের এক বিমূর্ত প্রমাণ।
আচ্ছা শক্তি রুপান্তরিত হয়, পরিবাহীত হয় (যে জিনিস এর গতি আছে, অবশ্যই তার স্থিতিও আছে) আইনস্টাইন তার
সমীকরণে আলোর বেগ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তার মতে আলোর বেগ সর্বদাই একই। আমার প্রশ্ন হল আলোর বেগ কি কখনও শূন্য হতে পারেনা…!...?
আমরা যে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করছি তাতে অনেক Restriction আছে। আমরা কোন কিছু নিয়ে বেশিদূর চিন্তা করতে পারি না। আমাদের অসীম চিন্তাভাবনাগুলো বিজ্ঞানীরা তাদের কিছু সূত্র ও সীমাবদ্ধতা বা স্বীকার্য দিয়ে বেধে দেন। আমরা একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে বিজ্ঞান নিয়ে খেলাধুলা করি। অনেকটা পাড়ার গোলিতে ক্রিকেট খেলার মত চার মারা যাবে কিন্তু ছয় মারলে আউট।
যাই হোক, আমি যে কথা বলতে চাচ্ছি তা হল আলোর বেগ হয়তো শূন্য হতে পারে । একটা অবস্থার কথা চিন্তা করুন, যেখানে আলো উৎপন্ন হচ্ছে কিন্তু তা চারদিকে ছড়াতে পারছে না। হ্যাঁ আমি এ রকম একটা অবস্থার কথাই কল্পনা করে বলছি। বর্তমানে সবচেয়ে সহজলভ্য শক্তি হয়তো আলো। কারণ তা ছড়াতে পারে এবং ব্যাপকভাবে ও বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে। তাই আলোর গতিবেগ শূন্য কল্পানা করা অনেকটা বিস্ময়কর এবং আধুনিক পদার্থবিদ্যায় তা অসম্ভব। কিন্তু আমার মনে হয় আলোর গতিবেগ শূন্য হতে পারে। আমাদের পদার্থবিজ্ঞানের ব্যার্থতার কারণে আমরা হয়তো আলোর গতিবেগকে শূন্য ভাবতে পারছি না ।
আমার মতে আলোর গতিবেগ শূন্য হওয়ার জন্য তাপ ও চাপের একটি প্রভাব রয়েছে। আলোর গতিবেগ শূন্য হবে এমন একটা পরিবেশে যেখানে তাপমাত্রা অত্যন্ত কম এবং চাপ অত্যন্ত বেশি, হতে পারে তা
এবং
। সাথে হয়ত আরও কোন প্রভাবকের ক্রিয়া থাকবে। কিন্তু আধুনিক পদার্থবিদ্যায়
এর নিচে কোন তাপমাত্রাই অসম্ভব। যা আমার কাছে বিস্ময় এবং অনেকটা হাস্যকর মনে হয়। তাহলে কি সমস্ত মহাবিশ্বকে শূণ্যে পরিনত করার জন্য
তাপমাত্রাই যথেষ্ট বা শুধু তাপমাত্রা কি আদৌ কোন বস্তুর অস্তিত্ব নিঃশেষের ব্যাখ্যা দিতে পারে......?
আমি বিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে এই কথা ভেবেই ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তার চিন্তা এবং বিস্ময়কর সূত্র
এর মধ্যেই হয়ত আলোর শূন্যবেগের রহস্য লুকিয়ে আছে.........!
তার
সূত্রের বিস্ময়কর আবিষ্কার হল সামান্য ভরের বস্তু থেকে ব্যাপক পরিমাণ শক্তির রুপান্তর। এটা সম্ভব হয়েছে মূলত আলোর বেগের ব্যাপকতার কারণে । আধুনিক পদার্থবিদ্যার মতে আলোর বেগই সর্বোচ্চ বেগ (এটাও হয়তো অসত্য......)।
হয়তো বস্তুর ভরের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আলোর শূন্য বেগের রহস্য।
আমার মতে ভরের বিস্ময়কর নিঃশেষ একমাত্র আলোর শূন্য বেগের ফলেই সম্ভব হয়েছে।
আলোক শক্তি স্থির থাকে এবং তা লুকিয়ে থাকে বস্তুও ভরের মধ্যে...!
এটা হয়তো বিজ্ঞানী আইনস্টাইনও বুঝতে পেরেছিলেন। সে কারণেই হয়তো তিনি ভরকে আপেক্ষিক ধরেছিলেন...! হয়তো তার চিন্তাটা ছিল আমার চিন্তার সামান্য ব্যতিক্রম। আমার চিন্তাটা তার মধ্য থাকলে সূত্রটা হয়তো
রুপ নিত না, হয়তো কিছুটা ব্যতিক্রম হত.......................
আলোর শূন্য বেগের অকাট্য প্রমাণ হয়তো কৃষ্ণগহব্বর। ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহব্বর সম্পর্কে আমাদের বিজ্ঞানীরা কতটুকুই বা ব্যাখ্যা দিতে পেরেছেন ? নাসার বিজ্ঞানীদের অনেক গবেষণাপত্রই আমেরিকান শাসক গোষ্ঠীর
হাতে বন্দী । বিজ্ঞান সম্পর্কে বর্তমানে আমরা যা জানি তা হয়তো আজ থেকে ২০০ বছর বা ২০০০ বছর আগে কিছু কিছু মানুষ জেনেছিল বা ভেবেছিল। নাসার বিজ্ঞানীরা আজকে যা ভাবছে বা আবিষ্কার করছে তা হয়তো আমাদের হাতে পৌছাবে আরো ১০০ বছর পর। বিজ্ঞান নিয়ে কেন এত বড় রাজনীতি...?
যাই হোক ব্ল্যাকহোল নিয়ে যা বলছিলাম, তা হল আমাদের বিজ্ঞানীদের মতে ব্ল্যাকহোল থেকে আমরা সম্ভাব্য কোন তথ্যই পায় না এমনকি কোন স্বল্পমাত্রার বেতার তরঙ্গও নয়...! তার কারণ ব্ল্যাকহোলে যা কিছুই পাঠানো হোক না কেন তার বিন্দু মাত্র অংশও ফিরে আসে না। সবটাই শোষিত হয়। আমার প্রশ্ন ব্ল্যাকহোলে কিসের এত অভাব যে সে সবকিছু শোষণ করে...? ব্ল্যাকহোলে নিশ্চয়ই তাপ বা আলোর কোন অভাব নাই...। অভাব রয়েছে হয়তো আলোর বেগের ! আলোর শূন্যবেগ সম্পর্কে আমি কি বলতে চাচ্ছি আপনি নিশ্চই তা বুঝতে পেরেছেন...!
No comments:
Post a Comment