Sunday, September 18, 2011

"সময়" কি ? (ছোট উত্তর!)

পদার্থ বিজ্ঞাণের দুই ধরণের রাশি আছে জানেন হয়ত,যে স্কেলার আর ভেক্টর রাশি, তার মধ্যে একটি “সময়”-যেটি হল স্কেলার রাশি । আর সময় হচ্ছে পদার্থ বিজ্ঞাণের SI(International System of Units) পদ্ধতির সাতটি মৌলিক ভিত্তির মধ্যে একটি (মাধ্যমিক শ্রেণীর প্রথম অধ্যায়েই আছে এসব !) । এসব মৌলিক রাশি গুলো দিয়ে আমরা অন্য প্রায় সব যৌগিক রাশিগুলোকে সংজ্ঞায়িত করতে পারি

International System of Units এর সংজ্ঞাটি হচ্ছে-

“The second is the duration of 9,192,631,770 periods of the radiation corresponding to the transition between the two hyperfine levels of the ground state of the caesium 133 atom” [এটা বাংলায় দিলে অর্থের বিকৃতি হওয়ার আশংকায় তাদের দ্বারা প্রনীত সংগাটিই দিলাম ]


সময় এর অস্তিত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আইন্সটাইন নিজেই বলেছিলেন -“সময় এক ধরনের paradox” আর একটি মজার উদাহরণ যেটা সময়ের বিপরীতগামীতাকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে মজা করে বলা হয়ে থাকে “you can’t turn an omelet into an egg.” 

সাধারণভাবে বলতে গেলে- সময়কে বলতে পারেন ঘটনাবলির ধারা বর্ণনার একটি মৌলিক পরিমাপ পদ্ধতি(part of the measuring system used to sequence events) , ঘটনাসমূহের বিস্তার(durations) আর তাদের মধ্যকার পার্থক্য(intervals between the events) বর্ণনার জন্য একটি পদ্ধতি, আর কোন কিছুর পরিবর্তনের হারকে প্রকাশ করার বা তাদের স্থূল আর সূক্ষ পরিবির্তনের গুলোকে(যেমন- বস্তুর গতি/নড়াচড়া/স্থানান্তর-যাই বলি না কেন) যার আপেক্ষে সাপেক্ষিকভাবে(to quantify rates of change) প্রকাশ করা হয় তার নামই সময় !


আমরা জানি সকল বস্তুর অবস্থান সময়ের সাপেক্ষে পরিবর্তন হচ্ছে (The temporal position of events with respect to the transitory present is continually changing) যার ফলস্বরূপ আমরা ভাগ করে নিয়েছি সময়ের সাপেক্ষে তিনটি আপেক্ষিক অবস্থা যার নাম- অতীত(t0)

(“সময়” ধারণা কি কারণে আর কিভাবে এসেছে এই সম্বন্ধে একটু জানতে দেখতে পারেন http://www.timephysics.com/)


অনেক প্রথিতযশা বিজ্ঞাণি আর দার্শনিকেরা যুগ যুগ ধরে সময়কে নিয়ে ভেবেছেন আর তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে এঁকে সঙ্গায়িত করেছেন তন্মধ্যে একটি হল - সময় হচ্ছে এই মহাবিশ্বের একটি মৌলিক কাঠামো ,একটি “মাত্রা( a dimension)” যার দ্বারা এই পার্থিব জগতের ঘটনাসমূহ পর্যায়ক্রমিক অথবা ধ্রাবাহিক ভাবে আবর্তিত হয়. স্যার আইজ্যাক নিউটন তার দৃষ্টিভঙ্গিতে সময়কে বর্ণনা বা সংগায়ত করছেন যাকে আমরা সাধারণত নিউটনীয়ান-সময় (Newtonian time) বলি। যার মতে সময় পরিক্রমা(Time travel) একটি অসম্ভব নয় ! তার মতে “সময়” মূলত প্রবাহিত হচ্ছে এরকমভাবে-“times" persist like frames of a film strip, spread out across the time line(তিনি TIME না বলে TIMES বলে উল্লেখ করেছিলেন তাই তার ধারাবর্ণনাটি হুবহু দিলাম ref- http://en.wikipedia.org/wiki/Time)



এর একটি পুরোপুরি বিরোধী মতবাদও আছে যেটা আমাদের বলে সময় কোন “ধারক বা বাহক” রূপী কিছু নয় যার মাধ্যমে বস্তুজগতের সবকিছু চলছে ( time does not refer to any kind of "container" that events and objects "move through", nor to any entity that "flows" )আর যেটাতে বলা হয়েছে time travel অস্মভব, কিন্তু এই মতবাদটি দেওয়া হয়েছে space আর number এর সমন্ব্য হিসেবে এই মতবাদটি দিয়েছিলান –লিবনেজ(Gottfried Leibniz) এবং কান্ট (Immanuel Kant) –যাদের মতবাদটি ছিল - time is neither an event nor a thing, and thus is not itself measurable nor can it be travelled (ref- http://en.wikipedia.org/wiki/Time)

আমাদের নিকট বহুল প্রচলিত একটি টার্ম “এন্ট্রপি” এর সংজ্ঞা নিয়েও কিন্তু অনেক সংশয় রয়ে গিয়েছে, বোল্টজম্যান(Boltzmann) সময়ের প্রবাহের সাথে এন্ট্রপির একটি সম্পর্ক তৈরী করে গিয়েছিলেন আর আমরা জানি এন্ট্রপি সবসময় বাড়ছে ,কিন্তু এন্ট্রপি সবসময় ছোট থেকেই (low value) শুরু হচ্ছে কেন ??!
[সেটা নিয়ে আরেকদিন বলব !!!]

No comments:

Post a Comment

ওয়ানপ্লাসের নতুন অক্সিজেন ওএস ১৫ আসছে AI নিয়ে

  অ্যান্ড্রয়েড ১৫  এর ওপর ভিত্তি করে আসছে  ওয়ানপ্লাসের  অক্সিজেন    ওএস  ১৫। অক্টোবরের ২৪ তারিখ বাংলাদেশ সময় রাত ৯:৩০ এ আনুষ্ঠানিকভাবে অপ...