Thursday, September 15, 2011

আমরা কি আসলেই স্বাধীন ????

মানুষকে চিহ্নিত করার একটা উপায়, সেটা হলো তার মানসিকতা। সেটাকে সে অনেক ভাবে নিয়ে যেতে পারে। আমরা শিক্ষা দিকে ধাবিত হচ্ছি। বিশেষ করে নারী শিক্ষা নিয়ে আমাদের দেশে যেভাবে প্রচারণা চলে সব জায়গায়। তাতে নারী স্কুল কলেজে যাওয়ার হার বেড়েছে। বেড়েছে নারীদের উচ্চ-শিক্ষার হারও। আমরা এতে খুশি না হয়ে পারি না।
কিন্তু যখন দেখি আমাদের দেশের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা নারীরা এখনো সমাজে নির্যাতিত হচ্ছে পরিবার দ্বারা। তাতে আমাদের নারী শিক্ষা নিয়ে সংঙ্কিত হওয়া ছাড়া উপায় দেখি না।

তেমনি একজন মেয়ে যার নাম আরেফা পারভিন। সে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও ২০০৭ সালে মাস্টার্স পাশ করে। তার পরিবারের কথা ছিল মেয়ে পড়ালেখা শেষ করবে এবং তার বিয়ে দেওয়া হবে। চাকরী করা লাগবে না। এই মেয়ের পরিবার চাকরী বিরোধী এবং মেয়েদের স্বাধীনভাবে চলা-চল বিরোধী।
সে পরিবারের কথা অমান্য করে ঢাকায় থেকে পড়াশুনার পর একটা চাকুরী যোগা করে ২০১০ সালে জুন এর দিকে “আকসা ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে’’ পাবলিক রিলেশন অফিসার হিসাবে। এর পর সে বাড়ি যায় পরবর্তী ঈদ পালন করতে। কিন্ত আর সহসা ফিরে আসতে পারে না, তার পরিবারের চাপে। ফলে তার চাকুরী আর থাকে না। এর পর আবার সে কিছুদিন পর পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় আসে যে সে একটা চাকুরী যোগার করে সে স্বাধীনভাবে থাকবে এবং নিজের পছন্দের কাউকে বিয়ে করবে। এইটাই স্বাভাবিক এক জন স্বাধীনচেতা মানূষের।

কিছুদিন পর পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় আসে যে সে একটা চাকুরী যোগার করে সে স্বাধীনভাবে থাকবে এবং নিজের পছন্দের কাউকে বিয়ে করবে। তাই এই বছর জানুয়ারীতে জাইয়ান্ট গ্রুপের গ্লোবাল সাপ্লাই লিমিটেড এ তার বন্ধুদের দ্বারা একটা চাকুরী খুজে নেয়। সেখানে থাকা অবস্থায় তার মায়ের চাপাচাপিতে গত মার্চমাসে সে বাড়ি যায়, কিন্তু সেই বার পঞ্চগড় গেলে তাকে আর আসতে দেওয়া হয় না এবং তাকে আটকিয়ে রাখা হয় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে। ফলে তার চাকুরীর আবার হ্যাম্পার হয়। যখন সে ফিরে আসে সে আবার তার অফিসে রিকোয়েস্ট করে চাকরীটা পূর্ণ বহাল রাখে।

এই সমস্ত পরিবারের চাপাচাপিতে সে এইবার ঈদে বাড়ি যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে এবং বাড়িতে সে যায় না এবং তার পরিবারে জানায় সে তার পছন্দীয় একজনকে বিয়ে করেছে। পরিবার থেকে তেমন কিছু না বললেও ঈদের দুই দিন পর অথাৎ ৪-০৯-২০১১ তার ভাই তার হোস্টেলে ৩৩/১০ ব্লক – সি, তাজমহল রোড, মোহাম্মদপুর –এ এসে সকাল নয়টায় নাস্তা খাওয়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাকে মাইক্রো করে পঞ্চগড়, গ্রামঃ পুরাতন পঞ্চগড়। পোস্টঃ ধাক্কামারা, থানা ও জেলাঃ পঞ্চগড় এর বাসায় নিয়ে যায়।
এর পর তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করা নিয়ে শারীরিক মানসিক টর্চার করা শুরু করে। সে যাকে বিয়ে করে সে মুসলিম ধর্মের না হওয়ায় তার উপর সেই এলাকার মসজিদ কমিটি মিটিং করে এই মেয়েকে দোর্‌রা মারা ও ইঞ্জেকশন দিয়ে মারার কথা লোক মুখে শোনা যায় যা সে তার আইনত স্বামীকে মোবাইল ফোনে বলে যে তাকে এই ভাবে মেরে ফেলবে।
আমাদের এই সমাজ নারীদের এখনো নিরাপত্তা দিতে পারেনা, পারে না শিক্ষা-দিক্ষা গ্রহণ করার পরও। নারীরা কবে এই সমাজের অংশ হবে, কবে তারা নিজেদের দ্বায়িত্ব নিজেরাই নিতে পারবে? আমাদের ভবিষত এর দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোন কি উপায় আছে????

No comments:

Post a Comment

ওয়ানপ্লাসের নতুন অক্সিজেন ওএস ১৫ আসছে AI নিয়ে

  অ্যান্ড্রয়েড ১৫  এর ওপর ভিত্তি করে আসছে  ওয়ানপ্লাসের  অক্সিজেন    ওএস  ১৫। অক্টোবরের ২৪ তারিখ বাংলাদেশ সময় রাত ৯:৩০ এ আনুষ্ঠানিকভাবে অপ...