হেভি মেটালের অন্যতম একটি চূড়ান্ত অবস্থা হলো 'ডুম মেটাল'। মেটালপ্রেমীরা
ডুম মেটাল সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানেন। তবে এ সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা দেয়ার
জন্যই আজকের এই লেখা। এর মাধ্যমে অনেকেই সহজভাবে 'ডুম মেটাল' সম্পর্কে
জানতে পারবে।
ডুম মেটাল নামটি শুনলেই এর সম্পর্কে সামান্য ধারণা পাওয়া উচিত। কারণ এই ডুম (উড়ড়স) শব্দটির আভিধানিক অর্থ দাঁড়ায় : চূড়ান্ত নিয়তি; শেষ বিচার। ডুম মেটাল ধারাটি হেভি মেটালের অন্যতম একটি চূড়ান্ত ভারি রূপ যা অপেৰাকৃত ধীর লয়ের। এখানে গীটারের টিউন অনেক নিচে করা হয় যার ফলে অন্যান্য ধারার চেয়ে এই ধারায় গীটারের শব্দ অনেক মোটা ও ভারি হয়ে থাকে।
এ ধারায় গানের কথা ও সুরের মাঝে একটা নাটকীয় সামঞ্জস্য বিদ্যমান। এখানে গানের যে আবহ, তাতে শ্রোতাদের মনে যে ভাব জাগ্রত হয় তা হলো মূলত নৈরাজ্য, চূড়ানত্ম হতাশা, ভীতি বা আসন্ন চূড়ানত্ম কোন নিয়তি। আমরা লেখার পরবতর্ী অংশে এ বিষয়ে আরও জানব।
ডুম মেটাল ধারাটি মূলত উদ্ভব হয় বিশ্বখ্যাত হেভি মেটাল ব্যান্ড 'বস্ন্যাক স্যাবাথ'-এর প্রথম দিকের কিছু গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। তাদের পুরনো গানের মধ্যে 'বস্ন্যাক স্যাবাথ', 'ইলেকট্রিক ফিউনারেল' ও 'ইনটু দ্যা ওয়েভ' গানগুলো ডুম মেটালের জন্য ছিল আদর্শস্বরূপ। আশির দশকের শুরম্নতে এসব গান প্রকাশিত হয়েছিল। ডুম মেটাল যে একটি আলাদা স্বকীয় ধারা তা শ্রোতারা জানতে পারে কিছু ব্যান্ডের কার্যক্রম ও তাদের গানে। ব্যান্ডগুলো :
পাগান অল্টার, উইচফিংগার জেনারেল, পেন্টাগ্রাম, সেইন্ট ভাইটাস, ট্রাবল, ক্যান্ডেলম্যাস, কাউন্ট র্যাভেনসহ কিছু ব্যান্ড। অন্যভাবে বলা যায়, উলিস্নখিত ব্যান্ডগুলোর কারণেই 'ডুম মেটাল' আলাদা একটি ধারা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ডুম মেটালে যেসব বাদ্যযন্ত্র ব্যবহৃত হয়_ ইলেক্ট্রিক গীটার, বেজ ও ড্রামস। অনেক ব্যান্ডে আবার কীবোর্ডও ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কণ্ঠ দেয়ার বিষয়টিও লৰ্য করা যায়। ফলে বর্তমানে ডুম মেটালের মাঝে বহু ধরনের কণ্ঠ লৰ্য করা যায়।
ডুম মেটাল 'গানের কথা' এ ধারার জন্য অন্যতম গুরম্নত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এখানে অত্যনত্ম নেতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়। যার ফলে মানবজীবনের অত্যনত্ম বাসত্মবসম্মত একটি রূপ তুলে ধরা সম্ভব হয়। মানুষের জীবনে অন্যতম নেতিবাচক যেসব অনুভ্থূতি আসতে পারে তার অন্যতম হলো : যন্ত্রণা, হতাশা, ভয়, শোক, মৃতু্য, শূন্যতা ও ক্রোধ। এসব অনুভূতি ও শক্তিশালী আবেগ নিয়েই এই ধারার গানের কথা শুরম্ন হলো। কিছু ৰেত্রে সাহিত্য, ধমর্ীয় বিষয়, মাদকাসক্তি প্রভৃতি বিষয় কিছু ব্যান্ডের গানের কথায় আমরা পাব। 'ডুম মেটাল' ধারাটি এখন অনেক বিসত্মৃত। এ ধারার কিছু উলেস্নখযোগ্য উপধারা তৈরি হয়েছে। এখানে আমরা সংৰিপ্ত পরিসরে ডুম মেটালের উপধারা সম্পর্কে আলোচনা করব।
ট্র্যাডিশনাল ডুম
নব্বইয়ের দশকে যেসব ডুম মেটাল ব্যান্ড তাদের পূর্বপুরম্নষ তথা 'ডুম মেটাল' ধারার প্রবক্তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করেই গান করেছে; তাদের সৃষ্ট ধারাকেই ট্র্যাডিশনাল ডুম মেটাল বলা হয়। এখানে তারা আদর্শ হিসেবে আশির দশকের ডুম মেটাল ব্যান্ডকেই বেছে নিয়েছিল। তারা পূর্ববতর্ীদের আদর্শ ধরে রাখার সঙ্গে সঙ্গে সামান্য পরিবর্তন এনেছিল সুরে। তারা আর আগের মতো গীটারের টিউন অত নিচুতে করত না। আর এদের গানের লয় তত ধীর ছিল না। এ ধারার অন্যতম যেসব ব্যান্ড আছে তারা, ওগার, রিভার্নড বিজার, উইচক্রাফট।
এপিক ডুম
এ ধারায় মূলত গান করা হয় অপেরা কণ্ঠে। গানের কথায় উঠে আসে কাল্পনিকতা ও পৌরাণিক কাহিনী। এ ধারার অন্যতম ব্যান্ড হলো: ক্যান্ডেলম্যাস, সোলিটিউড অ্যাটারনাস, সোলস্টিস ও ডুমসোর্ড।
স্টোনার ডুম
স্টোনার ডুম, স্টোনার মেটাল অথবা সাইকেডেলিক ডুম হলো ডুম মেটালের এমন একটি ধারা যেখানে সাইকেডেলিক উপাদান বিদ্যমান। এখানে বেজ গীটারের শব্দ অপেৰাকৃত ভারি ও গীটারের ইফেক্ট বাড়ানোর থাকে। গীটারে যেসব এফেক্ট ব্যবহৃত হয়, তার মধ্যে আছে ফাজ, ফেজার ও ফ্লেঞ্জার। নব্বই দশকের মাঝামাঝি এর ব্যাপ্তি ঘটে। এ ধারার অন্যতম ব্যান্ড কীউস, সিস্নপ, এসিড কিং, ইলেক্ট্রিক উইজার্ড, অরেঞ্জ গোবলিন ও সনস অব ওটিস।
সস্নাডজ ডুম
এ ধারাতে ডুম মেটাল ও হার্ডকোর পাংক ধারার মিশ্রণ ঘটেছে। এ ধারার গানের যন্ত্রণা, মাদকের অপব্যবহার ও রাজনৈতিক সমস্যার কথা উঠে এসেছে। নব্বই দশকের শুরম্নর দিকে আইহেটগড, ক্রাওবার, বাজোভেন, এসিড বাথ, গ্রীফ, দ্যা মেলভিনস প্রভৃতি ব্যান্ডের দ্বারা এ ধারার সূচনা হয়।
ফিউনারেল ডুম
এ ধারায় ডুম মেটালের সঙ্গে ডেথ মেটালের মিশ্রণ হয়েছে। এখানে অত্যনত্ম ধীরলয়ে শূন্যতা ও হতাশার কথা তুলে ধরা হয়েছে। কীবোর্ডের ব্যবহার করে অনেক ব্যান্ড তাদের গানে একটি অপার্থিব আবহ তৈরি করে থাকে। এখানে বেদনার্ত কণ্ঠের পাশাপাশি গ্রাউলিং (ভারি কর্কশ কণ্ঠ) করেও গান করা হয়। এ ধারাটি ফিউনারেল, থের গোথন, স্কেপটিসিজম ও করাপ্টেড নামক ব্যান্ডের দ্বারা প্রবর্তিত হয়। ধারাটি ফিউনারেল ব্যান্ডটির নামানুসারেই হয়েছিল কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে।
ড্রোন ডুম
ধারাটিতে মূলত শব্দের পুনরাবৃত্তি ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে অনেক অনাবশ্যক শব্দ বার বার ঘুরে আসে। সুরের পুনরাবৃত্তিও ব্যবহৃত হয়। গীটারের ইফেক্ট পূর্ণ থাকে রিভার্ব ও ফিডব্যাক দিয়ে। যেসব ব্যান্ড দ্বারা এ ধারাটি প্রবর্তিত হয়েছে 'আর্থ' 'বোরিস' ও 'সান'।
ডেথ ডুম
ধারাটিতে ডুম মেটালের ধীর ও নেতিবাচক মনসত্মাত্তি্বক আবহের সঙ্গে ডেথ মেটালের ভারি গ্রাউলিং (ভারি কর্কশ কণ্ঠ) ও ডবল কিক ড্রামস বাজানোর রীতির মিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। ধারাটি মূলত আশির দশকের হেলহ্যামার ও সেলটিক ফ্রস্ট ব্যান্ডের দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল; যা নব্বইয়ের দশকের শুরম্নতে জনপ্রিয়তা পেতে শুরম্ন করেছিল। আরেকটি বিতর্কিত সূত্রে বলা হয়, 'ড্রিম ডেথ' বিশ্বের প্রথম অত্যনত্ম ধীরলয়ের ডেথ মেটাল ব্যান্ড। সেই হিসেবে তারাই ডেথ ডুম ধারার প্রবর্তক। ধারাটি মূলত 'উইন্টার', 'ডিসএমবোয়েলমেন্ট, 'প্যারাডাইজ লস্ট', 'অটপসী', 'নবেম্বরস ডুম', 'অ্যানাথেমা' ও 'মাই ডায়িং ব্রাইড'-এর মাধ্যমে বিসত্মার লাভ করে। বিশ্বে ডুম মেটালের ওপর কিছু বার্ষিক উৎসব হয়ে থাকে। যেমন_
এমিসনস ফ্রম দ্যা মনোলিথ
এই উৎসব ১৯৯৯ সাল থেকে বছরে একবার করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে টেঙ্াসে। এখানে মূলত ডুম মেটাল ও সস্নাডজ ডুম মেটাল ব্যান্ডদের তুলে ধরা হয়।
ডুম শ্যাল রাইজ
২০০৩ সাল থেকে জার্মানিতে এই উৎসব বছরে একবার করে হয়ে আসছে। এটি ডুম মেটালের সর্ববৃহৎ উৎসব।
এই লেখা থেকে আমরা ডুম মেটাল সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধারাটির চর্চা আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়। যাঁরা ডুম মেটাল শোনেননি, তাঁরা শুনে দেখতে পারেন।
Source
ডুম মেটাল নামটি শুনলেই এর সম্পর্কে সামান্য ধারণা পাওয়া উচিত। কারণ এই ডুম (উড়ড়স) শব্দটির আভিধানিক অর্থ দাঁড়ায় : চূড়ান্ত নিয়তি; শেষ বিচার। ডুম মেটাল ধারাটি হেভি মেটালের অন্যতম একটি চূড়ান্ত ভারি রূপ যা অপেৰাকৃত ধীর লয়ের। এখানে গীটারের টিউন অনেক নিচে করা হয় যার ফলে অন্যান্য ধারার চেয়ে এই ধারায় গীটারের শব্দ অনেক মোটা ও ভারি হয়ে থাকে।
এ ধারায় গানের কথা ও সুরের মাঝে একটা নাটকীয় সামঞ্জস্য বিদ্যমান। এখানে গানের যে আবহ, তাতে শ্রোতাদের মনে যে ভাব জাগ্রত হয় তা হলো মূলত নৈরাজ্য, চূড়ানত্ম হতাশা, ভীতি বা আসন্ন চূড়ানত্ম কোন নিয়তি। আমরা লেখার পরবতর্ী অংশে এ বিষয়ে আরও জানব।
ডুম মেটাল ধারাটি মূলত উদ্ভব হয় বিশ্বখ্যাত হেভি মেটাল ব্যান্ড 'বস্ন্যাক স্যাবাথ'-এর প্রথম দিকের কিছু গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। তাদের পুরনো গানের মধ্যে 'বস্ন্যাক স্যাবাথ', 'ইলেকট্রিক ফিউনারেল' ও 'ইনটু দ্যা ওয়েভ' গানগুলো ডুম মেটালের জন্য ছিল আদর্শস্বরূপ। আশির দশকের শুরম্নতে এসব গান প্রকাশিত হয়েছিল। ডুম মেটাল যে একটি আলাদা স্বকীয় ধারা তা শ্রোতারা জানতে পারে কিছু ব্যান্ডের কার্যক্রম ও তাদের গানে। ব্যান্ডগুলো :
পাগান অল্টার, উইচফিংগার জেনারেল, পেন্টাগ্রাম, সেইন্ট ভাইটাস, ট্রাবল, ক্যান্ডেলম্যাস, কাউন্ট র্যাভেনসহ কিছু ব্যান্ড। অন্যভাবে বলা যায়, উলিস্নখিত ব্যান্ডগুলোর কারণেই 'ডুম মেটাল' আলাদা একটি ধারা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ডুম মেটালে যেসব বাদ্যযন্ত্র ব্যবহৃত হয়_ ইলেক্ট্রিক গীটার, বেজ ও ড্রামস। অনেক ব্যান্ডে আবার কীবোর্ডও ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কণ্ঠ দেয়ার বিষয়টিও লৰ্য করা যায়। ফলে বর্তমানে ডুম মেটালের মাঝে বহু ধরনের কণ্ঠ লৰ্য করা যায়।
ডুম মেটাল 'গানের কথা' এ ধারার জন্য অন্যতম গুরম্নত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এখানে অত্যনত্ম নেতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়। যার ফলে মানবজীবনের অত্যনত্ম বাসত্মবসম্মত একটি রূপ তুলে ধরা সম্ভব হয়। মানুষের জীবনে অন্যতম নেতিবাচক যেসব অনুভ্থূতি আসতে পারে তার অন্যতম হলো : যন্ত্রণা, হতাশা, ভয়, শোক, মৃতু্য, শূন্যতা ও ক্রোধ। এসব অনুভূতি ও শক্তিশালী আবেগ নিয়েই এই ধারার গানের কথা শুরম্ন হলো। কিছু ৰেত্রে সাহিত্য, ধমর্ীয় বিষয়, মাদকাসক্তি প্রভৃতি বিষয় কিছু ব্যান্ডের গানের কথায় আমরা পাব। 'ডুম মেটাল' ধারাটি এখন অনেক বিসত্মৃত। এ ধারার কিছু উলেস্নখযোগ্য উপধারা তৈরি হয়েছে। এখানে আমরা সংৰিপ্ত পরিসরে ডুম মেটালের উপধারা সম্পর্কে আলোচনা করব।
ট্র্যাডিশনাল ডুম
নব্বইয়ের দশকে যেসব ডুম মেটাল ব্যান্ড তাদের পূর্বপুরম্নষ তথা 'ডুম মেটাল' ধারার প্রবক্তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করেই গান করেছে; তাদের সৃষ্ট ধারাকেই ট্র্যাডিশনাল ডুম মেটাল বলা হয়। এখানে তারা আদর্শ হিসেবে আশির দশকের ডুম মেটাল ব্যান্ডকেই বেছে নিয়েছিল। তারা পূর্ববতর্ীদের আদর্শ ধরে রাখার সঙ্গে সঙ্গে সামান্য পরিবর্তন এনেছিল সুরে। তারা আর আগের মতো গীটারের টিউন অত নিচুতে করত না। আর এদের গানের লয় তত ধীর ছিল না। এ ধারার অন্যতম যেসব ব্যান্ড আছে তারা, ওগার, রিভার্নড বিজার, উইচক্রাফট।
এপিক ডুম
এ ধারায় মূলত গান করা হয় অপেরা কণ্ঠে। গানের কথায় উঠে আসে কাল্পনিকতা ও পৌরাণিক কাহিনী। এ ধারার অন্যতম ব্যান্ড হলো: ক্যান্ডেলম্যাস, সোলিটিউড অ্যাটারনাস, সোলস্টিস ও ডুমসোর্ড।
স্টোনার ডুম
স্টোনার ডুম, স্টোনার মেটাল অথবা সাইকেডেলিক ডুম হলো ডুম মেটালের এমন একটি ধারা যেখানে সাইকেডেলিক উপাদান বিদ্যমান। এখানে বেজ গীটারের শব্দ অপেৰাকৃত ভারি ও গীটারের ইফেক্ট বাড়ানোর থাকে। গীটারে যেসব এফেক্ট ব্যবহৃত হয়, তার মধ্যে আছে ফাজ, ফেজার ও ফ্লেঞ্জার। নব্বই দশকের মাঝামাঝি এর ব্যাপ্তি ঘটে। এ ধারার অন্যতম ব্যান্ড কীউস, সিস্নপ, এসিড কিং, ইলেক্ট্রিক উইজার্ড, অরেঞ্জ গোবলিন ও সনস অব ওটিস।
সস্নাডজ ডুম
এ ধারাতে ডুম মেটাল ও হার্ডকোর পাংক ধারার মিশ্রণ ঘটেছে। এ ধারার গানের যন্ত্রণা, মাদকের অপব্যবহার ও রাজনৈতিক সমস্যার কথা উঠে এসেছে। নব্বই দশকের শুরম্নর দিকে আইহেটগড, ক্রাওবার, বাজোভেন, এসিড বাথ, গ্রীফ, দ্যা মেলভিনস প্রভৃতি ব্যান্ডের দ্বারা এ ধারার সূচনা হয়।
ফিউনারেল ডুম
এ ধারায় ডুম মেটালের সঙ্গে ডেথ মেটালের মিশ্রণ হয়েছে। এখানে অত্যনত্ম ধীরলয়ে শূন্যতা ও হতাশার কথা তুলে ধরা হয়েছে। কীবোর্ডের ব্যবহার করে অনেক ব্যান্ড তাদের গানে একটি অপার্থিব আবহ তৈরি করে থাকে। এখানে বেদনার্ত কণ্ঠের পাশাপাশি গ্রাউলিং (ভারি কর্কশ কণ্ঠ) করেও গান করা হয়। এ ধারাটি ফিউনারেল, থের গোথন, স্কেপটিসিজম ও করাপ্টেড নামক ব্যান্ডের দ্বারা প্রবর্তিত হয়। ধারাটি ফিউনারেল ব্যান্ডটির নামানুসারেই হয়েছিল কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে।
ড্রোন ডুম
ধারাটিতে মূলত শব্দের পুনরাবৃত্তি ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে অনেক অনাবশ্যক শব্দ বার বার ঘুরে আসে। সুরের পুনরাবৃত্তিও ব্যবহৃত হয়। গীটারের ইফেক্ট পূর্ণ থাকে রিভার্ব ও ফিডব্যাক দিয়ে। যেসব ব্যান্ড দ্বারা এ ধারাটি প্রবর্তিত হয়েছে 'আর্থ' 'বোরিস' ও 'সান'।
ডেথ ডুম
ধারাটিতে ডুম মেটালের ধীর ও নেতিবাচক মনসত্মাত্তি্বক আবহের সঙ্গে ডেথ মেটালের ভারি গ্রাউলিং (ভারি কর্কশ কণ্ঠ) ও ডবল কিক ড্রামস বাজানোর রীতির মিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। ধারাটি মূলত আশির দশকের হেলহ্যামার ও সেলটিক ফ্রস্ট ব্যান্ডের দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল; যা নব্বইয়ের দশকের শুরম্নতে জনপ্রিয়তা পেতে শুরম্ন করেছিল। আরেকটি বিতর্কিত সূত্রে বলা হয়, 'ড্রিম ডেথ' বিশ্বের প্রথম অত্যনত্ম ধীরলয়ের ডেথ মেটাল ব্যান্ড। সেই হিসেবে তারাই ডেথ ডুম ধারার প্রবর্তক। ধারাটি মূলত 'উইন্টার', 'ডিসএমবোয়েলমেন্ট, 'প্যারাডাইজ লস্ট', 'অটপসী', 'নবেম্বরস ডুম', 'অ্যানাথেমা' ও 'মাই ডায়িং ব্রাইড'-এর মাধ্যমে বিসত্মার লাভ করে। বিশ্বে ডুম মেটালের ওপর কিছু বার্ষিক উৎসব হয়ে থাকে। যেমন_
এমিসনস ফ্রম দ্যা মনোলিথ
এই উৎসব ১৯৯৯ সাল থেকে বছরে একবার করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে টেঙ্াসে। এখানে মূলত ডুম মেটাল ও সস্নাডজ ডুম মেটাল ব্যান্ডদের তুলে ধরা হয়।
ডুম শ্যাল রাইজ
২০০৩ সাল থেকে জার্মানিতে এই উৎসব বছরে একবার করে হয়ে আসছে। এটি ডুম মেটালের সর্ববৃহৎ উৎসব।
এই লেখা থেকে আমরা ডুম মেটাল সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধারাটির চর্চা আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়। যাঁরা ডুম মেটাল শোনেননি, তাঁরা শুনে দেখতে পারেন।
Source
No comments:
Post a Comment