কয়েকদিন
আগে আমার মোবাইলে কে জানি ১০০ টাকা পাঠালো। আমি তো হতবাক, আমার মোবাইলে
কেউ কখনই টাকা পাঠায় না, আমি নিজেই টাকা ঢুকাই কালেভদ্রে। মনে মনে আকাশ
পাতাল ভাবতেছি, এর মধ্যে ফোন আসলো। এক ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী ফোন করে বললেন,
ভাইজান, টাকাটা ভুলে পাঠাইছি। টাকাটা কি ফেরত পাঠাইবেন?
আমার মেজাজ একটু গরম হলো, ভাবলাম এই লোকের ভুলের জন্য আমার আবার দোকানে কেন যেতে হবে? আমি কেন ঝামেলা পোহাবো এই গাধার গাধামীর জন্য? আর ১০০ টাকাই তো, এই সব ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী সারাদিনে হাজার হাজার টাকার লোড করে হাজার হাজার টাকা কামাচ্ছে। ১০০ টাকা এর লস হলেও এমন কিছু যাবে আসবে না। থাকুক বেটা, ভুলের খেসারত তো দিতে হবে!
ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী তখন আমাকে তার একটা কমিশনের হিসাব বললো, আমি তার কথা মোটেও বিশ্বাস করি নাই। এত কম কমিশনে কেউ কাজ করে নাকি আজকাল? সারাদিনের পরিশ্রমে তো তাহলে কোন আয়ই নাই, এর চাইতে রিকশা চালালেও অনেক বেশি ইনকাম হয়।
পরে এলাকার এক লোড ব্যবসায়ীর সাথে দীর্ঘ আলাপে জানতে পারলাম, লোড ব্যবসায়ীদের অবস্থা আসলেই খুব করুন। সারাদিনে কতটাকা লোড করতে পারবে, সেটা নির্ভর করে ঐ এলাকার উপরে। অধিকাংশ এলাকার লোকজনই ১০-২০ টাকার উপরে লোড করে না। সারাদিনে ৫ হাজার টাকা লোড করলে তারা কমিশোন পায় ১৪০ টাকার মত মত। এই ১৪০ টাকা কামাতে তাদের সারাদিনে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। প্রত্যেকে যদি ২০ টাকা পরে লোড করে, তাহলে তাদের কমপক্ষে ২৫০ টি নম্বরে টাকা পাঠাতে হয়। ২৫০ নম্বরে টাকা পাঠানো সহজ কাজ নয়, তার উপরে খেয়াল রাখতে হয় প্রতিটি নম্বরে টাকা ঠিকমত পৌছাচ্ছে কিনা। সেগুলোর হিসাব রাখা, দিনশেষে সারাদিনের লোডের হিসাব করা আসলেই খুব পরিশ্রমের কাজ। মাঝে মাঝেই সামান্য ভুলের জন্য টাকা লস হয়ে যায়, মানে হচ্ছে সারাদিনের পরিশ্রম একটা সামান্য ভুলেই মাটি। এর উপরে মরার উপরে খাড়ার ঘা হয়ে আসে পুলিশ আর এলাকার পাতি মাস্তানদের চাঁদাবাজি, দোকানের খরচ তো আছেই।
এই বাজারে ১৪০ টাকা দিয়ে সংসার চালানো কি কল্পনা করা যায়? একটা রিকশা ওয়ালাও তো এখন ১০ টাকার কমে কোথাও যায় না! মোবাইল কোম্পানীগুলো ক্রমশই ফুলে ফেঁপে উঠছে, বিদেশে প্রতিবছর চালান করছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা। অথচ এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তারা সামান্য কমিশন বাড়াচ্ছে না, ১০ লক্ষ মানুষ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে এই ব্যবসার সাথে জড়িত। সৎভাবে ব্যবসার পরিনাম যদি এই হয়, তাহলে এই লোকগুলো কিভাবে বেঁচে থাকবে? কারো কি এইদিকে তাকানোর সময় নেই?
লোড ব্যবসায়ীদের কমিশন বৃদ্ধির আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছি। জনগনকে সুন্দরী মডেলদের রঙচঙা বিজ্ঞাপন দেখিয়ে রাতভর কথা বলতে উৎসাহী করা মোবাইল কোম্পানীগুলো লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, মানুষকে অযথা অনর্থক মোবাইলে কথা বলতে উৎসাহী করে জনগনের পকেট কেটে নিচ্ছে তারা। অথচ তাদেরকে যারা এই টাকা এনে দিচ্ছে, তাদের দিকে তাদের বিন্দুমাত্র খেয়াল নেই, তাদের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই। এই অবস্থা চলতে পারে না, লোড ব্যবসায়ীদের কমিশন বাড়াতে আপত্তি থাকলে কয়েকটি মোবাইল কোম্পানী এখনই বন্ধ করে দেয়া উচিত বলে মনে করি, অন্ততপক্ষে তাদের উৎকট বিজ্ঞাপনগুলো বন্ধ করে সেইটাকা লোড ব্যবসায়ীদের দিলে তাদের বিন্দুমাত্র ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না।
আন্দোলন সফল হোক।
আমার মেজাজ একটু গরম হলো, ভাবলাম এই লোকের ভুলের জন্য আমার আবার দোকানে কেন যেতে হবে? আমি কেন ঝামেলা পোহাবো এই গাধার গাধামীর জন্য? আর ১০০ টাকাই তো, এই সব ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী সারাদিনে হাজার হাজার টাকার লোড করে হাজার হাজার টাকা কামাচ্ছে। ১০০ টাকা এর লস হলেও এমন কিছু যাবে আসবে না। থাকুক বেটা, ভুলের খেসারত তো দিতে হবে!
ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী তখন আমাকে তার একটা কমিশনের হিসাব বললো, আমি তার কথা মোটেও বিশ্বাস করি নাই। এত কম কমিশনে কেউ কাজ করে নাকি আজকাল? সারাদিনের পরিশ্রমে তো তাহলে কোন আয়ই নাই, এর চাইতে রিকশা চালালেও অনেক বেশি ইনকাম হয়।
পরে এলাকার এক লোড ব্যবসায়ীর সাথে দীর্ঘ আলাপে জানতে পারলাম, লোড ব্যবসায়ীদের অবস্থা আসলেই খুব করুন। সারাদিনে কতটাকা লোড করতে পারবে, সেটা নির্ভর করে ঐ এলাকার উপরে। অধিকাংশ এলাকার লোকজনই ১০-২০ টাকার উপরে লোড করে না। সারাদিনে ৫ হাজার টাকা লোড করলে তারা কমিশোন পায় ১৪০ টাকার মত মত। এই ১৪০ টাকা কামাতে তাদের সারাদিনে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। প্রত্যেকে যদি ২০ টাকা পরে লোড করে, তাহলে তাদের কমপক্ষে ২৫০ টি নম্বরে টাকা পাঠাতে হয়। ২৫০ নম্বরে টাকা পাঠানো সহজ কাজ নয়, তার উপরে খেয়াল রাখতে হয় প্রতিটি নম্বরে টাকা ঠিকমত পৌছাচ্ছে কিনা। সেগুলোর হিসাব রাখা, দিনশেষে সারাদিনের লোডের হিসাব করা আসলেই খুব পরিশ্রমের কাজ। মাঝে মাঝেই সামান্য ভুলের জন্য টাকা লস হয়ে যায়, মানে হচ্ছে সারাদিনের পরিশ্রম একটা সামান্য ভুলেই মাটি। এর উপরে মরার উপরে খাড়ার ঘা হয়ে আসে পুলিশ আর এলাকার পাতি মাস্তানদের চাঁদাবাজি, দোকানের খরচ তো আছেই।
এই বাজারে ১৪০ টাকা দিয়ে সংসার চালানো কি কল্পনা করা যায়? একটা রিকশা ওয়ালাও তো এখন ১০ টাকার কমে কোথাও যায় না! মোবাইল কোম্পানীগুলো ক্রমশই ফুলে ফেঁপে উঠছে, বিদেশে প্রতিবছর চালান করছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা। অথচ এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তারা সামান্য কমিশন বাড়াচ্ছে না, ১০ লক্ষ মানুষ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে এই ব্যবসার সাথে জড়িত। সৎভাবে ব্যবসার পরিনাম যদি এই হয়, তাহলে এই লোকগুলো কিভাবে বেঁচে থাকবে? কারো কি এইদিকে তাকানোর সময় নেই?
লোড ব্যবসায়ীদের কমিশন বৃদ্ধির আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছি। জনগনকে সুন্দরী মডেলদের রঙচঙা বিজ্ঞাপন দেখিয়ে রাতভর কথা বলতে উৎসাহী করা মোবাইল কোম্পানীগুলো লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, মানুষকে অযথা অনর্থক মোবাইলে কথা বলতে উৎসাহী করে জনগনের পকেট কেটে নিচ্ছে তারা। অথচ তাদেরকে যারা এই টাকা এনে দিচ্ছে, তাদের দিকে তাদের বিন্দুমাত্র খেয়াল নেই, তাদের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই। এই অবস্থা চলতে পারে না, লোড ব্যবসায়ীদের কমিশন বাড়াতে আপত্তি থাকলে কয়েকটি মোবাইল কোম্পানী এখনই বন্ধ করে দেয়া উচিত বলে মনে করি, অন্ততপক্ষে তাদের উৎকট বিজ্ঞাপনগুলো বন্ধ করে সেইটাকা লোড ব্যবসায়ীদের দিলে তাদের বিন্দুমাত্র ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না।
আন্দোলন সফল হোক।
No comments:
Post a Comment