Monday, March 15, 2010

কে কে ট্র্যাপে পড়তে চান আসেন

কিছু মানুষ আছে যারা নিজেই নিজের পশ্চাৎদেশ দিয়ে বাঁশ প্রবেশপূর্বক ক্যাঁ ক্যাঁ করে। তারপর জনসম্মুখে সেই অত্যন্ত অমস্রীন (আইক্কাওয়ালা) বাঁশ প্রদর্শনপূর্বক নাঁকি কান্না শুরু করে। তারপর দশজনের সহানুভূতির ঝোলা খালি করে নিজের পকেটে ঢুকিয়ে বলে বেড়ায় "অমুক আমাকে ট্র্যাপ করে আমাকে বাঁশের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ হিসেব করতে কইছে!" অতঃপর শুরু হয় গিরা গোনা! যাই হোক এটাকেই রীভার্স গেইম বলে কিনা আমি ঠিক জানিনা! এই গেইম শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে মি.বুশ অনেকেই খুব ভাল জানেন। তবে কিছু কিছু বাঙালী ভাইয়েরা তো একেবারে স্বিদ্ধ হস্ত। কোথায় যেন একটা কৌতুক পড়েছিলাম কয়দিন আগে """ এক ফরাসী রাজকন্যা বিয়ে করার স্বিদ্ধান্ত নিল। ঘোষনা দিল তাকে যে রাজকুমার সন্তুষ্ট করতে পারবে তাকেই সে বিয়ে করবে। তো অনেক রাজকুমার আসলো। কিন্তু কেউই তাকে সন্তুষ্ট করতে পারলোনা। এবার এক চাইনীজ রাজকুমার আসলো। সে রাজকন্যা কে সন্তুষ্ট করলো। সবাই তো হতবাক। বলিষ্ট হাট্টাকাট্টা রাজকুমার রা পারলোনা, আর এই বেটেখাঁটো চাইনীজ কি এমন কোরলো!!!!। তাকে জিজ্ঞেস করা হল। তার জবাব ছিল "উই দ্যা চাইনীজ অলওয়েজ ইউজ আওয়ার হেইড!!!"""" উপরেল্লেখিত ভাইয়েরা বোধ করি নিজের সন্তুষ্টির জন্য খালি হেইড না পুরা হাত পা মাথা ঘাড় সব ইউজ করেন, তাতে আর কারও হাত পা থাকুক বা যাক!

একজন কাইন্দা কাইটা বললো "ভাই, আমারে ট্র্যাপে ফেলে সব নিয়ে গেছে আমি এখন কই যাই, কি করি!!" শোনা মাত্রই হিতাক্ষাঙ্খীরা শার্টের হাতা গোটানো শুরু করেন "কি এত বড় সাহস! তোমারে ফাঁন্দে ফেলে! আজ তার একদিন কি আমার যতদিন লাগে!" কিন্তু ঘটনা হল যার এগেইন্সটে অভিযোগ তাকে এই হীতার্থির দল চিনেইনা। অমনি পাঁচ জায়গায় ফোন করে বলে "জানো জানো কি হয়েছে! অমুক আছে না??!! সে না সবাই কে ট্র্যাপ করে বেড়ায়, সাবধান কিন্তু!!!!"(ঢং করে করে লেখাB-)) সবার তখন মাথায় হাত! ওরে বাবা কি না জানি হয়!!! হিতার্থী অভিযুক্তকে চিনেনা এটা ঠিক, কিন্তু অভিযোগকারীকে তো চিনে। একবার যদি তলিয়ে দেখতো ট্র্যাপ করলে মানুষ মালদার, প্রথমশ্রেনীর যাত্রিদের করে, কোন ফকিরনীর পোলা, চাষারে করেনা! আহা হা রে কি দিন আইলো রেএএএএএএএএএ!

এক ছেলে এক মেয়েরে ভালবাসার কথা বলে ভালমত পটাইল, তাতে মশলা হিসেবে বললো আমি খুব দুঃখী, বাপ ভাই সব গেছে, প্রমিকাও গেছে। বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট গাধি মেয়েটা দুঃখী ছেলেটার হাত ধরলো। পরিবারের বিয়ের চাপাচাপি সইতে না পেরে ঘর ছেড়ে বের হল একদিন। ছেলেটা তখন বললো "আমার কিছু করার নাই!" মেয়েটা রাত ১২টা অবধি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলো। শত অনুনয় বিনয় কোন কাজে আসলো না। দুমাস পর আবার মাফ করলো মেয়েটা। কিন্তু তখন শুরু হল আরেক খেলা। প্রেম চালিয়ে যাবে আবার এও বলে "আমারে দিয়ে ঘর সংসার হবে না, বিয়ে শাদিও না" নিজেকে গুটিয়ে নিল মেয়েটা। কিইবা কোরতো। গুটিয়ে নেয়ার পরামর্শটা অনেক আগেই ছেলেটারই কাছের একজন দিয়েছিল। তবুও অপক্ষা করেছিল মেয়েটা। কাজ হয়নি, ফাইনালি কাট অফ! মাঝখান থেকে মেয়েটা ট্র্যাপ করার দায় কাঁধে নিল। অথচ ছেলেটার কারনেই মেয়েটা এখনও বাপ মা সবার কাছে অপরাধী। তাছাড়া ছেলেটারে কেজি দরে হাটে বেঁচলেও কিছু পাওয়া যাবে কিনা বিবেচনার বিষয়। তারে ট্র্যাপ করবে কোন ছাগলে?!!!!! আর যে সব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ চিলের পিছে কান খুঁজতে ছুটছেন তারা কষ্ট করে যদি একটু মেয়েটার ব্যাকগ্রাউন্ড আর ছেলেটার ব্যাকগ্রাউন্ডের হিসেবটা ক্যালকুলেটরে মিলিয়ে নিতেন তাহলে বোধ হয় বিতর্কের সুযোগ ছিলনা। খামাখা যাকে চিনেনই না তার চরিত্রের ব্যাখ্যা অন্যের কাছে করার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়না! তাছাড়া কে যে স্রেফ বন্ধু সেটাও হিসেব করবেন। ছেলে বলেই তাকে প্রেমিক বানিয়ে ফেলতে হবে এটা এমন কথা। বন্ধুত্বের কোন লিঙ্গীয় পরিচয় থাকেনা। বন্ধু মানেই বন্ধু! বন্ধুকেও প্রমিকের তালিকায় ফেলে ট্র্যাপের শিকার বলে ব্যাখ্যা করাটা অপব্যাখ্যা ছাড়া কিছুই বলা যায়না!

যার পকেটে ৫০০০ থাকে সে মানুষকে সহজে ব্লেইম করেনা। কিন্তু যার পকেটে ৫ টাকা থাকে তার কাছে কেউ ভালবেসে আসলেও মনে করে ৫ টাকা হাতাইতে আসছে! ছোটলোকের চিন্তাভাবনা!!!! মাঝে মাঝে আমারই ইচ্ছে করে লাইফটার পশ্চাৎদেশ দিয়া........................!!!!! X(X(X(X(X( (মেজাজের করূন দশা, লাত্থি দিয়া দুনিয়াডারে উড়াই দিতে মন চায়X(X(X(X()



(পুনশ্চ: ট্র্যাপ করতে মন চায়, আছেন নাকি কেউ ট্র্যাপে পড়ার মত? ;););))

No comments:

Post a Comment

Intex Aqua Life II

Intex Aqua Life II   View Photos  PhoneIntex Aqua Life IIManufacturer Intex Status Available Available in IndiaYes Price (Indian Rupees)...