তাফহীমুল কুরআনের বৈশিষ্ট্য
তাফহীমুল কুরআন যে বৈশিষ্ট্যের
দরুন বিশেষ মর্যাদার অধিকারী তা এ তাফসীরখানা না পড়া পর্যন্ত বুঝে আসতে
পারে না । মধু কেমন তা খেয়েই বুঝতে হয় । অন্যের কথায় মধুর স্বাদ ও মিষ্ঠতা
সঠিকভাবে জানা সম্ভব নয়। নবুয়াতের ২৩ বছর রাসূল (সা) কালেমা তাইয়্যেবার
দাওয়াত থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সব ক্ষেত্রেই ইকামাতে
দ্বীনের যে মহান দায়িত্ব পালন করেছেন সে কাজটি করবার জন্য কুরআন পাক নাযিল
হয়েছে । রাসূল (সা) -এর নেতৃত্বে পরিচালিত ইসলামী আন্দোলনের বিভিন্ন
অবস্থায় ও পরিবেশে আল্লাহ পাক প্রয়োজন মতো যখন যে হেদায়াত পাঠিয়েছেন তা-ই
গোটা কুরআনে ছড়িয়ে আছে । তাই কুরআনকে আসল রূপে দেখতে হলে রাসূল (সা)-এর ২৩
বছরের সংগ্রামী জীবনের সাথে মিলিয়ে বুঝবার চেষ্টা করতে হবে । তাফহীমুল
কুরআন এ কাজটিই করেছে । এখানেই এর বৈশিষ্ট্য।
কুরআন বুঝবার আসল মজা
তাফহীমুল কুরআন একথাই বুঝাবার
চেষ্টা করেছে যে , রাসূল (সাঃ) -এর ঐ আন্দোলনকে পরিচালনা করার জন্যই কুরআন
এসেছে। তাই কোন সূরাটি ঐ আন্দোলনের কোন যুগে এবং কি পরিবেশে নাযিল হয়েছে তা
উল্লেখ করে বুঝানো হয়েছে যে ঐ পরিস্থিতিতে নাযিলকৃত সূরায় কী হেদায়াত দেয়া
হয়েছে । এভাবে আলোচনার ফলে পাঠক রাসূল (সাঃ) এর আন্দোলনকে এবং সে আন্দোলনে
কুরআনের ভুমিকাকে এমন সহজ ও সুন্দরভাবে বুঝতে পারে যার ফলে কুরআন বুঝবার
আসল মজা মনে -প্রাণে উপলব্দি করতে পারে।
তাফহীমুল
কুরআন ঈমানদার পাঠককে রাসূল (সা) - এর আন্দোলনের সংগ্রামী ময়দানে নিয়ে
হাযির করে । দূর থেকে হক ও বাতিলের সংঘর্ষ না দেখে যাতে পাঠক নিজেকে হকের
পক্ষে বাতিলের বিরুদ্ধে সক্রিয় দেখতে পায় সে ব্যবস্থাই এখানে করা হয়েছে ।
ইসলামী আন্দোলনের ও ইকামাতে দ্বীনের সংগ্রামে রাসূল (সা) ও সাহাবায়ে কেরাম
(রাঃ) - কে যে ভূমিকা পালন করতে হয়েছে তা এ তাফসীরে এমন জীবন্ত হয়ে উঠেছে
যে পাঠকের পক্ষে নিরপেক্ষ থাকার উপায় নেই । এ তাফসীর পাঠককে ঘরে বসে শুধু
পড়ার মজা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে দেয়না । তাকে ইসলামী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করে ।
যে সমাজে সে বাস করে সেখানে রাসূলের সেই সংগ্রামী আন্দোলন না চালালে কুরআন
বুঝা অর্থহীন বলে তার মনে হয় । তাফহীমুল কুরআন কোন নিষ্ক্রিয় মুফাসসিরের
রচনা নয় । ইকামাতে দ্বীনের আন্দোলনের সংগ্রামী নেতার লেখা এ তাফসীর পাঠককেও
সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার তাকিদ দেয় । এটাই এ তাফসীরের বাহাদুরী।
সব তাফসীর এ রকম নয় কেন ?
কারো মনে এ প্রশ্ন জাগতে পারে যে
তাফহীমুল কুরআনে আন্দোলনমুখী যে তাফসীর পাওয়া যায় তা অতীতের বিখ্যাত
তাফসীরগুলোতে নেই কেন ? তারা কি কুনআন ঠিকমতো বুঝেননি? এ প্রশ্নের জওয়াব
সুস্পষ্ট হওয়া দরকার ।
চৌদ্দশ বছর আগে আল্লাহর রাসূল
(সা) কুরআনের ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্র এমনভাবে গড়ে তুলেছিলেন যে প্রায় বারশ
বছর বিশ্বে মুসলমানদেরই নেতৃত্ব ছিল। খোলাফায়ে রাশেদার ত্রিশ বছর ইসলামী
সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা শতকরা একশ ভাগই চালু ছিল । এরপর খেলাফতের স্থলে
রাজতন্ত্র চালু হলেও শিক্ষাব্যবস্থা ,আইনব্যবস্থা ,অর্থব্যবস্থা ইসলাম
অনুযায়ী চলতে থাকে । ইসলামী শাসনব্যবস্থায় ক্রমে ক্রমে ত্রুটি দেখা দেবার
ফলে বারশ বছর পর শাসনক্ষমতা অমুসলিমদের হাতে চলে যায় ।
যে বারশ বছর মুসলিম শাসন ছিল তখন
যেসব তাফসীর লেখা হয়েছে , মুসলিম সমাজে কুরআনের শিক্ষা ব্যাপক করাই
উদ্দেশ্য ছিল । ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম থাকার কারণে কুরআনকে আন্দোলনের কিতাব
হিসাবে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন তখন ছিল না ।
যখন ইংরেজ শাসন এ উপমহাদেশে
ইসলামকে জীবনের সকল ক্ষেত্র থেকে উৎখাত করে কুরআনের বিপরীত শিক্ষা ,সভ্যতা ও
সংস্কৃতি চালু করল তখন নতুন করে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের আন্দোলন জরুরী হয়ে
পড়ল । শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলবী (রঃ) থেকেই এ চিন্তার সূচনা হয় । এ
চিন্তাধারার ধারকগনই মুজাহিদ আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং উত্তর পশ্চিম সীমান্তে
একটি ইসলামী রাষ্ট্রও কায়েম করেন । ১৮৩১সালে বালাকোটের যুদ্ধে নেতৃবৃন্দ
শহীদ হলেও ইসলামকে বিজয়ী করার চিন্তাধারা বিলুপ্ত হয়নি।
মাওলানা মওদূদী (রঃ) ঐ
চিন্তাধারার স্বার্থক ধারক হওয়ার সাথে সাথে নিজেই ইসলামী আন্দোলনের
নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করার ফলে আন্দোলনের দৃষ্টিতে কুরআনকে বুঝাবার
গুরুত্ব উপলব্ধি করেছেন । তাই তাঁর তাফসীর স্বাভাবিকভাবেই আন্দোলনমুখী
হয়েছে।
ফেসবুকে তাফহিম
১৯ খন্ডে প্রকাশিত বাংলা তাফহিম ডাউনলোড
- তাফহিম → ভূমিকা ও সূরা-সূচী
- তাফহিম → প্রথম খন্ড
- তাফহিম → দ্বিতীয় খন্ড
- তাফহিম → তৃতীয় খন্ড
- তাফহিম → চতুর্থ খন্ড
- তাফহিম → পঞ্চম খন্ড
- তাফহিম → ষষ্ঠ খন্ড
- তাফহিম → সপ্তম খন্ড
- তাফহিম → অষ্টম খন্ড
- তাফহিম → নবম খন্ড
- তাফহিম → দশম খন্ড
- তাফহিম → একাদশ খন্ড
- তাফহিম → দ্বাদশ খন্ড
- তাফহিম → ত্রয়োদশ খন্ড
- তাফহিম → চতুর্দশ খন্ড
- তাফহিম → পঞ্চদশ খন্ড
- তাফহিম → ষোড়শ খন্ড
- তাফহিম → সপ্তদশ খন্ড
- তাফহিম → অষ্টাদশ খন্ড
- তাফহিম → ঊণবিংশ খন্ড
তাফহিম (সম্পূর্ণ এক সাথে)
- তাফহিম → সফ্টঅয়্যার
- তাফহিম → পিডিএফ (১৬০ mb)
তাফহিম সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট
সূরাভিত্তিক ডাউনলোড (O.H.I)
- ভূমিকা
- ০০১ → সুরা ফাতিহা
- ০০২ → সুরা বাকারা
- ০০৩ → সুরা ইমরান
- ০০৪ → সুরা নিসা
- ০০৫ → সুরা মায়েদা
- ০০৬ → সুরা আন'য়াম
- ০০৭ → সুরা আরাফ
- ০০৮ → সুরা আনফাল
- ০০৯ → সুরা তাওবা
- ০১০ → সুরা ইউনুস
- ০১১ → সুরা হুদ
- ০১২ → সুরা ইউসুফ
- ০১৩ → সুরা রা'দ
- ০১৪ → সুরা ইবরাহীম
- ০১৫ → সুরা হিজর
- ০১৬ → সুরা নাহল
- ০১৭ → সুরা বনী-ইসরাঈল
- ০১৮ → সুরা কা'হফ
- ০১৯ → সুরা মারঈয়াম
- ০২০ → সুরা ত্বা-হা
- ০২১ → সুরা আম্বিয়া
- ০২২ → সুরা হাজ্জ্ব
- ০২৩ → সুরা মু'মিনুন
- ০২৪ → সুরা নুর
- ০২৫ → সুরা ফুরকান
- ০২৬ → সুরা শু'য়ারা
- ০২৭ → সুরা নাম'ল
- ০২৮ → সুরা কাসাস
- ০২৯ → সুরা আনকাবুত
- ০৩০ → সুরা রূম
- ০৩১ → সুরা লুকমান
- ০৩২ → সুরা সাজদা
- ০৩৩ → সুরা আহযাব
- ০৩৪ → সুরা সা'বা
- ০৩৫ → সুরা ফাতির
- ০৩৬ → সুরা ইয়া-সীন
- ০৩৭ → সুরা সাফফাত
- ০৩৮ → সুরা সা'দ
- ০৩৯ → সুরা যুমার
- ০৪০ → সুরা মু'মিন
- ০৪১ → সুরা হা-মীম
- ০৪২ → সুরা শূরা
- ০৪৩ → সুরা যূখরুফ
- ০৪৪ → সুরা দুখান
- ০৪৫ → সুরা যাসিয়া
- ০৪৬ → সুরা আহক্বাফ
- ০৪৭ → সুরা মুহাম্মাদ
- ০৪৮ → সুরা ফাতাহ
- ০৪৯ → সুরা হুজুরাত
- ০৫০ → সুরা ক্বাফ
- ০৫১ → সুরা যারিয়া'ত
- ০৫২ → সুরা তুর
- ০৫৩ → সুরা নাজম
- ০৫৪ → সুরা ক্বামার
- ০৫৫ → সুরা আর-রহমান
- ০৫৬ → সুরা ওয়াক্বিয়া
- ০৫৭ → সুরা হাদীদ
- ০৫৮ → সুরা মুজাদালাহ
- ০৫৯ → সুরা হাশর
- ০৬০ → সুরা মুমতাহিনা
- ০৬১ → সুরা সফ
- ০৬২ → সুরা জুম'য়া
- ০৬৩ → সুরা মুনাফিক্বুন
- ০৬৪ → সুরা তাগাবুন
- ০৬৫ → সুরা তালাক
- ০৬৬ → সুরা তাহরীম
- ০৬৭ → সুরা মুলক
- ০৬৮ → সুরা কালাম
- ০৬৯ → সুরা হাক্বকাহ
- ০৭০ → সুরা মা'য়ারিজ
- ০৭১ → সুরা নূহ
- ০৭২ → সুরা জ্বীন
- ০৭৩ → সুরা মুযযাম্মিল
- ০৭৪ → সুরা মুদ্দাসসির
- ০৭৫ → সুরা কিয়ামা'ত
- ০৭৬ → সুরা দা'হর
- ০৭৭ → সুরা মুরসালাত
- ০৭৮ → সুরা নাবা
- ০৭৯ → সুরা নাজিয়াত
- ০৮০ → সুরা আ'বাসা
- ০৮১ → সুরা তাকভীর
- ০৮২ → সুরা ইনফিতার
- ০৮৩ → সুরা মুতাফফিফীন
- ০৮৪ → সুরা ইনশিকাক
- ০৮৫ → সুরা বুরূজ
- ০৮৬ → সুরা তারিক
- ০৮৭ → সুরা আ'লা
- ০৮৮ → সুরা গাশিয়াহ
- ০৮৯ → সুরা ফা'জর
- ০৯০ → সুরা বা'লাদ
- ০৯১ → সুরা শামস
- ০৯২ → সুরা লাইল
- ০৯৩ → সুরা দুহা
- ০৯৪ → সুরা আলাম-নাশরাহ
- ০৯৫ → সুরা তীন
- ০৯৬ → সুরা আলাক
- ০৯৭ → সুরা ক্বদর
- ০৯৮ → সুরা বাইয়্যেনাহ
- ০৯৯ → সুরা যিলযাল
- ১০০ → সুরা আদিয়্যাত
- ১০১ → সুরা ক্বারিয়া
- ১০২ → সুরা তাকাসুর
- ১০৩ → সুরা আসর
- ১০৪ → সুরা হুমাযা
- ১০৫ → সুরা ফীল
- ১০৬ → সুরা কুরাইশ
- ১০৭ → সুরা মাউন
- ১০৮ → সুরা কাউসার
- ১০৯ → সুরা কাফিরূন
- ১১০ → সুরা ন'সর
- ১১১ → সুরা লাহাব
- ১১২ → সুরা ইখলাস
- ১১৩+১১৪ → মু'আওবিযাতাইন (ফালাক ও নাস)
No comments:
Post a Comment