ইংলিশ মুভি তে আমার অভিজ্ঞতা অনেক কম। সে কারণে নিজেকে ইংলিশ মুভির ক্ষেত্রে বিজ্ঞ মনে করি না। সেকারণেই হয়তো কখনো ইংলিশ মুভির রিভিউ লিখিনি। দেখি একটা লিখে। তবে রিভিউটি যে ভালো হবে না সে ব্যাপারে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত। সুতরাং দয়া করে নিজ গুণে ক্ষমা করে দিবেন।
“The Hurt Locker” মুভিটি হঠাৎ করেই কেন জানি সবার মনে এক আজব অনুভূতির সৃষ্টি করেছে তার Oscar জয়ের মাধ্যমে। কাহিনী মূলত ইরাক যুদ্ধকে কেন্দ্র করে। তবে সেটা অবশ্যই আমেরিকানদের চোখের নজরে। আসুন কাহিনী কিছুটা জানার চেষ্টা করি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক। চারিদিকে রাস্তার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে ভয়ংকর বোমা। সে সকল বোমা অকেজো করার দায়িত্ব মার্কিন সেনা বাহিনীর Bravo Company’র । কিন্তু একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে বোমা বিশেষজ্ঞ Thompson(Guy Pearce)। তার বদলে চলে আসে William James ( Jeremy Renner) । আজব এক মানুষ। একটু রগচটা , একটু রসিক , একটু আলাদা। একের পর এক বোমা অকেজো করেই চলে। সাথে থাকে Sanborn (Anthony Mackie) এবং Owen Eldridge (Brian Geraghty) । হঠাৎ একদিন দেখা হয় James এর সাথে এক ইরাকি বালকের । নিজেকে সে Beckham বলে পরিচয় দেয়। তার সাথে একটু ফুটবল খেলে কিছুটা আনন্দ করে James। কিন্তু একদিন সম্মুখীন হয় কঠিন বাস্তবতা তার সাথে। সেই Beckham এর লাশ তার চোখের সামনে থাকে । কারণ বালকটি এক মানব-বোমা। বালকের পেট কেটে বের হয় এক শক্তিশালী বোমা।
James কে এই ঘটনা চরমভাবে নাড়া দেয়। কে এই ঘৃণ্য কাজ করতে পারলো?? প্রচুর চেষ্টা করেও James অসফল হয় তাদের খুঁজে বের করতে। একদিন শেষ হয়ে যায় Bravo Company’র নির্ধারিত সময়। James ফিরে আসে আপন ঠিকানায়। কিন্তু একটি চিন্তাই তার মাথায় ঘুরতে থাকে। ইরাকে তখনও বোমা ছড়িয়ে আছে ইট-বালুর মত। ইরাকিদের রক্ষা করতে তাকে পুনরায় যেতেই হবে মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছে। পুনরায় James ফিরে আসে ইরাকে। এবার তার যাত্রা শুরু হয় Delta Company’র সাথে।
মুভিটি যদিও Oscar পেয়ে দুনিয়া জয় করেছে কিন্তু আমার মতে এটি তেমন কোন ভালো মুভি নয়। মুভিটিতে মার্কিনীদেরকে ইরাকের রক্ষাকর্তা দেখানো হয়েছে। ইরাকিরাও যেন তাদেরকে ফেরেশতা বলেই মনে করছে। তারা না থাকলে তো সবাই বোমা খেয়ে মরতো। তিন প্রধান চরিত্রের মধ্যে James চরিত্রে Jeremy Renner এর অভিনয় সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। কিন্তু Sanborn চরিত্রটি ছিল অত্যন্ত বিরক্তিকর। প্রথম দিকে কিছু দৃশ্য বেশ টানটান উত্তেজনা থাকলেও পরের দিকের বেশিরভাগ দৃশ্যই ছিল চরম বিরক্তিকর। এছাড়া এখানে কেন জানি মার্কিন সেনাদেরকে বেশ আবেগপ্রবণ দেখানো হয়েছে। একজন শত্রুকে গুলি করার পর পারলে কেঁদেই দেয়। এক দৃশ্য হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে কেন এক সাধারণ ইরাকির ক্যামেরা দেখে রীতিমত ভয় পেয়ে গেল সেটা পুরোপুরি হাস্যকর ছিল।
মুভিটি Oscar জয়ী। তার মানে এক কথায় মুভিটি Million Dollar Baby, No Country for Old Men , A Beautiful Mind, Gladiator এবং আরো অনেকে অসাধারণ মুভির মধ্যে অন্যতম। কিন্তু সেটা কিভাবে হলো?? কী আছে এটাতে যে Oscar পেয়ে গেল যেখানে Avatar পারলো না??
আমার মতে Slumdog Millionaire এর Oscar জয়ের কারণ ছিল একটি দৃশ্য যেখানে Jamal তার প্রাণপ্রিয় Amitabh এর জন্য এক জঘণ্য পথে রওনা দেয়। সেখানো বোঝানো হয়েছিল যে ভারত একটি বস্তির ন্যায় ময়লা দেশ। সুতরাং Oscar !!!
এই মুভিতেও প্রধান দৃশ্যটি আসে সর্বশেষে। যখন James পুনরায় ফিরে আসে ইরাকে। সুতরাং ইরাকে আরো যুবকদের যোগ দেওয়া জরুরি। সুতরাং Oscar !!!
যত যাই হোক মুভিটির পরিচালনার জন্য Kathryn Bigelow কে বাহবা বলতেই হয় । পরিচালনায় দারুন দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। তবে আশা করি তার পরিচালনার পরবর্তী মুভিটি এর চেয়ে ভালো হবে আর Oscar না পেলেই মনে হয় ভালো হবে।
রেটিং – ১.৫ /৫
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
ওয়ানপ্লাসের নতুন অক্সিজেন ওএস ১৫ আসছে AI নিয়ে
অ্যান্ড্রয়েড ১৫ এর ওপর ভিত্তি করে আসছে ওয়ানপ্লাসের অক্সিজেন ওএস ১৫। অক্টোবরের ২৪ তারিখ বাংলাদেশ সময় রাত ৯:৩০ এ আনুষ্ঠানিকভাবে অপ...
-
আপনার মোবাইল পানিতে পড়ে গেলে যত তারাতারি সম্ভব আপনার মুঠোফোনটিকে পানি থেকে তোলার ব্যবস্থা করুন। মনে রাখবেন, যত দেরী হবে আপনার মুঠোফোনটির ...
-
(Install K lite Codec - For Download K-Lite Codec Pack 7.1.0 Full/ Corporate/ Standard...
-
নতুন অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন কেনার পর এই অ্যাপ গুলো আপনার ফোনে না থাকলেই নয়। তো চলুন দেখে নিই অ্যান্ড্রয়েড এর কিছু বেসিক অ্যাপ … Andr...
No comments:
Post a Comment