মেহেদী হাসান
প্রযুক্তির লোভনীয় কারাগারে এবার বন্দী হচ্ছে শিশুরা। উন্নত দেশের শিশুরা অনেক ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট থাকছে। ফলে এসব শিশু মা-বাবা, আশপাশের লোকজন এবং বাস্তব পরিবেশ-পরিস্থিতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জগতে বাস করছে। আক্রান্ত হচ্ছে হতাশা ও অপরাধপ্রবণতায়। প্রযুক্তির অধিক ব্যবহার এবং অপব্যবহারের ফলে বিশ্বে সামাজিক অবক্ষয়ের এক অìধকার চিত্র ফুটে উঠেছে সম্প্রতি বিবিসির একটি জরিপ রিপোর্টে। বাংলাদেশেও এর বিষাক্ত ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে।
মাত্রাতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিণতি বোঝার জন্য লন্ডনে সম্প্রতি শিশুদের ওপর এক জরিপ পরিচালিত হয়। এ অবস্থায় তাদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট, গেমস, টিভি, ভিডিও, এমনকি মোবাইল ফোন থেকেও এক সপ্তাহ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। এ অবস্থায় ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় পর্যবেক্ষণে রাখা শিশুদের সাথে কথা বলেন গবেষণা টিমের সদস্যরা। এ সময় এক শিশু জানায়, প্রযুক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে এই প্রথম সে স্কুলে যাওয়ার পথে কারো সাথে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। আগে যখন তার কাছে মোবাইল থাকত তখন সে স্কুলে যাওয়ার পথে মোবাইলের সাহায্যে কানে যন্ত্র লাগিয়ে গান শুনত। পাশাপাশি বন্ধুদের কাছে এসএমএস পাঠাত। কখনো মোবাইল ইন্টারনেটের সাহায্যে চ্যাট করত। ক্লাসে বসেও সুযোগ পেলে ফাঁকে ফাঁকে এসএমএস পাঠানো ও গান শোনা চলত।
শিশুটি আরো জানায়, প্রযুক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার ফলে এই প্রথম সে বাসায় মায়ের সাথে বসে গল্প করার সুযোগ পাচ্ছে। জানালা দিয়ে পাখির শব্দ শুনতে পারছে। সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো রাতে চাঁদের মোহনীয় সৌন্দর্য দেখার সুযোগ পাচ্ছে। আগে কখনো এ সুযোগ পায়নি সে। কারণ স্কুল থেকে ফিরে বাসায় বসে হোমওয়ার্ক করার সময়ও উচ্চ শব্দে গান শোনা হতো। হোমওয়ার্ক শেষ হলে গেমস, চ্যাট, ভিডিও ও মুভি দেখে সময় পার করে দিত।
এ ভাবে তরুণ, যুবক ও শিশুরা ভার্চুয়াল জগতে বন্ধুত্ব করছে আর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে তার আশপাশের লোকজন ও পরিবেশ থেকে। আগে শিশুরা টিভি দেখে তাদের সময়ের বড় একটি অংশ পার করত। এখন টিভির পাশাপাশি এসেছে মোবাইল, কম্পিউটার, আইপডসহ আরো অনেক কিছু। চীন ও থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশের সমাজবিজ্ঞানীরা ৬ ঘন্টার বেশি টিভি দেখা এবং প্রযুক্তিনির্ভরতাকে ভয়াবহ নেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশেও শিশুদের, বিশেষ করে টিনএজারদের মধ্যে প্রযুক্তিনির্ভরতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সাথে সাথে বেড়েছে এর অপব্যবহার। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেক অভিভাবক। কিন্তু চাইলেও এগুলো থেকে তারা সন্তানদের বিরত রাখতে পারছেন না। নানা কারণে সন্তানদের প্রযুক্তি নির্ভরতা মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। যেমন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক শায়লা পারভীন জানান, তার মেয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ে। স্কুলে, কোচিংয়ে আনানেয়ার কাজ করেন তিনি। সব সময় তার সাথে সাথে থাকেন তিনি। তার পরও দশম শ্রেণীর একটি মেয়ের মোবাইলের প্রয়োজনটা কোথায় তা তিনি বুঝে পান না। তার পরও তার মেয়েকে মোবাইল কিনে দিতে হচ্ছে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের নাগালে যে প্রযুক্তিটি সহজলভ্য, তা হলো মোবাইল ফোন। কোনো কোনো টিনএজার দিনে তিন থেকে চার ঘন্টা মোবাইলে কথা বলে পার করে। কেউ কেউ দিনে শত শত এসএমএস পাঠায়। এ ক্ষেত্রে কোনো কোনো মোবাইল কোম্পানির পক্ষ থেকেও বিশেষ উৎসাহ প্রদানের কাজ চলে। যেমন একটি মোবাইল কোম্পানি মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে ৫০০ এসএমএস বিক্রি করে এবং তা সপ্তাহের বিশেষ দুই দিনে শেষ করতে হয়। আরেকটি কোম্পানির অফার হলো মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে এক দিনে যত খুশি এসএমএস পাঠাতে পারবে। এভাবে আছে আনলিমিটেড ভয়েস মেইল পাঠানোর সুযোগ। সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন নামে এক অভিভাবকের প্রশ্ন, একজন তরুণ কী করে দুই দিনে ৫০০ এসএমএস পাঠাতে পারে এবং সেই এসএমএসগুলোর বিষয়বস্তু কী তা তার মাথায় আসে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোবাইলের মাধ্যমে আজকাল তরুণ-তরুণীরা একাধিক বিপরীত লিঙ্গের সাথে প্রেম ও বন্ধুত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। তারাই এসব এসএমএস অফার ব্যবহার করে।
অনেক অভিভাবকের অভিযোগ, তার স্কুলপড়ুয়া ছেলে বা মেয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইলে গল্প করে কাটায়। সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে। নজরুল ইসলামে নামে ধানমন্ডির এক বাসিন্দা জানান, তিনি তার স্কুলপড়ুয়া ছেলের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছিলেন কিন্তু লাভ হয়নি। তার এক বন্ধু তাকে মোবাইল ধার দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নজরুল ইসলামকে আবার মোবাইল ফেরত দিতে হয়েছে। নজরুল ইসলাম জানান, এত দিন ছেলেমেয়েরা বাসায় কম্পিউটার ব্যবহার করত। তখন নজরদারি করা সম্ভব ছিল কী কাজে তারা এসব ব্যবহার করছে। কিন্তু এখন ল্যাপটপ, নোটবুক, আইটপ এবং সহজ মোবাইল প্রযুক্তির ফলে তারা বাইরে বসে এসব প্রযুক্তি কী কাজে ব্যবহার করে তা নিয়ে সারাক্ষণ উদ্বিগ্ন থাকতে হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর কামরুল আহসান চৌধুরী বলেন, পশ্চিমা পুঁজিবাদী সমাজের অনুষঙ্গ এটি। প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ সহজ হয়েছে সত্যি, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এর উপকারের চেয়ে ক্ষতিকর দিকটিই বেশি প্রতিভাত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু-কিশোরেরা প্রযুক্তির খারাপ দিকটির প্রতি সহজে আকৃষ্ট হচ্ছে। চেতনাহীন, সমাজবিচ্ছিন্ন এবং মানবিকতাহীন যন্ত্রে পরিণত হচ্ছে ওরা। অনেক সময় বিশেষ মহল বিশেষ কৌশলে প্রযুক্তির মাধ্যমে তরুণসমাজকে রাষ্ট্র সমাজের বাস্তব সমস্যা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখার ব্যবস্থা করে তারা তাদের অপকর্ম করে যায়।
প্রফেসর কামরুল আহসান বলেন, প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে অভিভাবকদের সচেতনতা অবশ্যই দরকার, সেই সাথে রাষ্ট্রকেও পদক্ষেপ নিতে হয়। সব কিছু খুলে দিয়ে আপনি একজনকে সচেতন হতে বলতে পারেন না। প্রযুক্তির অপব্যহার যাতে না হয় সেজন্য বিধিনিষেধ ও নজরদারি অবশ্যই থাকতে হবে।
প্রযুক্তির লোভনীয় কারাগারে এবার বন্দী হচ্ছে শিশুরা। উন্নত দেশের শিশুরা অনেক ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট থাকছে। ফলে এসব শিশু মা-বাবা, আশপাশের লোকজন এবং বাস্তব পরিবেশ-পরিস্থিতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জগতে বাস করছে। আক্রান্ত হচ্ছে হতাশা ও অপরাধপ্রবণতায়। প্রযুক্তির অধিক ব্যবহার এবং অপব্যবহারের ফলে বিশ্বে সামাজিক অবক্ষয়ের এক অìধকার চিত্র ফুটে উঠেছে সম্প্রতি বিবিসির একটি জরিপ রিপোর্টে। বাংলাদেশেও এর বিষাক্ত ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে।
মাত্রাতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিণতি বোঝার জন্য লন্ডনে সম্প্রতি শিশুদের ওপর এক জরিপ পরিচালিত হয়। এ অবস্থায় তাদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট, গেমস, টিভি, ভিডিও, এমনকি মোবাইল ফোন থেকেও এক সপ্তাহ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। এ অবস্থায় ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় পর্যবেক্ষণে রাখা শিশুদের সাথে কথা বলেন গবেষণা টিমের সদস্যরা। এ সময় এক শিশু জানায়, প্রযুক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে এই প্রথম সে স্কুলে যাওয়ার পথে কারো সাথে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। আগে যখন তার কাছে মোবাইল থাকত তখন সে স্কুলে যাওয়ার পথে মোবাইলের সাহায্যে কানে যন্ত্র লাগিয়ে গান শুনত। পাশাপাশি বন্ধুদের কাছে এসএমএস পাঠাত। কখনো মোবাইল ইন্টারনেটের সাহায্যে চ্যাট করত। ক্লাসে বসেও সুযোগ পেলে ফাঁকে ফাঁকে এসএমএস পাঠানো ও গান শোনা চলত।
শিশুটি আরো জানায়, প্রযুক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার ফলে এই প্রথম সে বাসায় মায়ের সাথে বসে গল্প করার সুযোগ পাচ্ছে। জানালা দিয়ে পাখির শব্দ শুনতে পারছে। সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো রাতে চাঁদের মোহনীয় সৌন্দর্য দেখার সুযোগ পাচ্ছে। আগে কখনো এ সুযোগ পায়নি সে। কারণ স্কুল থেকে ফিরে বাসায় বসে হোমওয়ার্ক করার সময়ও উচ্চ শব্দে গান শোনা হতো। হোমওয়ার্ক শেষ হলে গেমস, চ্যাট, ভিডিও ও মুভি দেখে সময় পার করে দিত।
এ ভাবে তরুণ, যুবক ও শিশুরা ভার্চুয়াল জগতে বন্ধুত্ব করছে আর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে তার আশপাশের লোকজন ও পরিবেশ থেকে। আগে শিশুরা টিভি দেখে তাদের সময়ের বড় একটি অংশ পার করত। এখন টিভির পাশাপাশি এসেছে মোবাইল, কম্পিউটার, আইপডসহ আরো অনেক কিছু। চীন ও থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশের সমাজবিজ্ঞানীরা ৬ ঘন্টার বেশি টিভি দেখা এবং প্রযুক্তিনির্ভরতাকে ভয়াবহ নেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশেও শিশুদের, বিশেষ করে টিনএজারদের মধ্যে প্রযুক্তিনির্ভরতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সাথে সাথে বেড়েছে এর অপব্যবহার। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেক অভিভাবক। কিন্তু চাইলেও এগুলো থেকে তারা সন্তানদের বিরত রাখতে পারছেন না। নানা কারণে সন্তানদের প্রযুক্তি নির্ভরতা মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। যেমন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক শায়লা পারভীন জানান, তার মেয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ে। স্কুলে, কোচিংয়ে আনানেয়ার কাজ করেন তিনি। সব সময় তার সাথে সাথে থাকেন তিনি। তার পরও দশম শ্রেণীর একটি মেয়ের মোবাইলের প্রয়োজনটা কোথায় তা তিনি বুঝে পান না। তার পরও তার মেয়েকে মোবাইল কিনে দিতে হচ্ছে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের নাগালে যে প্রযুক্তিটি সহজলভ্য, তা হলো মোবাইল ফোন। কোনো কোনো টিনএজার দিনে তিন থেকে চার ঘন্টা মোবাইলে কথা বলে পার করে। কেউ কেউ দিনে শত শত এসএমএস পাঠায়। এ ক্ষেত্রে কোনো কোনো মোবাইল কোম্পানির পক্ষ থেকেও বিশেষ উৎসাহ প্রদানের কাজ চলে। যেমন একটি মোবাইল কোম্পানি মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে ৫০০ এসএমএস বিক্রি করে এবং তা সপ্তাহের বিশেষ দুই দিনে শেষ করতে হয়। আরেকটি কোম্পানির অফার হলো মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে এক দিনে যত খুশি এসএমএস পাঠাতে পারবে। এভাবে আছে আনলিমিটেড ভয়েস মেইল পাঠানোর সুযোগ। সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন নামে এক অভিভাবকের প্রশ্ন, একজন তরুণ কী করে দুই দিনে ৫০০ এসএমএস পাঠাতে পারে এবং সেই এসএমএসগুলোর বিষয়বস্তু কী তা তার মাথায় আসে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোবাইলের মাধ্যমে আজকাল তরুণ-তরুণীরা একাধিক বিপরীত লিঙ্গের সাথে প্রেম ও বন্ধুত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। তারাই এসব এসএমএস অফার ব্যবহার করে।
অনেক অভিভাবকের অভিযোগ, তার স্কুলপড়ুয়া ছেলে বা মেয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইলে গল্প করে কাটায়। সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে। নজরুল ইসলামে নামে ধানমন্ডির এক বাসিন্দা জানান, তিনি তার স্কুলপড়ুয়া ছেলের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছিলেন কিন্তু লাভ হয়নি। তার এক বন্ধু তাকে মোবাইল ধার দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নজরুল ইসলামকে আবার মোবাইল ফেরত দিতে হয়েছে। নজরুল ইসলাম জানান, এত দিন ছেলেমেয়েরা বাসায় কম্পিউটার ব্যবহার করত। তখন নজরদারি করা সম্ভব ছিল কী কাজে তারা এসব ব্যবহার করছে। কিন্তু এখন ল্যাপটপ, নোটবুক, আইটপ এবং সহজ মোবাইল প্রযুক্তির ফলে তারা বাইরে বসে এসব প্রযুক্তি কী কাজে ব্যবহার করে তা নিয়ে সারাক্ষণ উদ্বিগ্ন থাকতে হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর কামরুল আহসান চৌধুরী বলেন, পশ্চিমা পুঁজিবাদী সমাজের অনুষঙ্গ এটি। প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ সহজ হয়েছে সত্যি, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এর উপকারের চেয়ে ক্ষতিকর দিকটিই বেশি প্রতিভাত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু-কিশোরেরা প্রযুক্তির খারাপ দিকটির প্রতি সহজে আকৃষ্ট হচ্ছে। চেতনাহীন, সমাজবিচ্ছিন্ন এবং মানবিকতাহীন যন্ত্রে পরিণত হচ্ছে ওরা। অনেক সময় বিশেষ মহল বিশেষ কৌশলে প্রযুক্তির মাধ্যমে তরুণসমাজকে রাষ্ট্র সমাজের বাস্তব সমস্যা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখার ব্যবস্থা করে তারা তাদের অপকর্ম করে যায়।
প্রফেসর কামরুল আহসান বলেন, প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে অভিভাবকদের সচেতনতা অবশ্যই দরকার, সেই সাথে রাষ্ট্রকেও পদক্ষেপ নিতে হয়। সব কিছু খুলে দিয়ে আপনি একজনকে সচেতন হতে বলতে পারেন না। প্রযুক্তির অপব্যহার যাতে না হয় সেজন্য বিধিনিষেধ ও নজরদারি অবশ্যই থাকতে হবে।
No comments:
Post a Comment