Stephen Hawking-এর ’A Brief History of Time’ নিয়ে কার্ল সাগান বলেন, “আইনস্টাইনের বিখ্যাত প্রশ্ন ছিল, মহাবিশ্ব সৃষ্টি করার সময় ঈশ্বরের কি অন্য রকম কিছু করার সম্ভাবনা ছিল? হকিং এ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এই মহাবিশ্বের কোন কিনারা নেই, কালের কোন শুরু কিংবা শেষ নেই এবং স্রষ্টার করার মতো কিছু নেই।”
হকিং ’A Brief History of Time’- এ আলোচনা করছেন, “এই মুহূর্তে সূর্যে নিভে গেলে পৃথিবীতে সূর্যের আলো পেতে কোন সমস্যাই হবে না। সমস্যাটা আমরা জানব ৮ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড পর। কারণ সুর্য থেকে আমাদের এখানে আলো পৌঁছতে সময় লাগে ৮ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড।”
(পৃথিবী হতে সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র হচ্ছে সূর্য)
“একইভাবে বলা যায়, এই মহাবিশ্বের অন্যত্র কী হচ্ছে এটা আমরা জানি না, কখনও জানতেও পারব না। অসংখ্য নীহারিকা যাদের দুরত্ব ৮ হাজার মিলিয়ন আলোকবর্ষ! দূরের ওই নীহারিকা থেকে আগত যে আলো আমরা দেখি তা যাত্রা করেছিল ৮ হাজার মিলিয়ন বছর আগে! সুতরাং আমরা যখন এই মহাবিশ্ব দেখি তা আসলে ৮ হাজার মিলিয়ন বছর পূর্বের মহাবিশ্বের অতীত রূপ!”
“এখন আমরা জানি, প্রায় ১ লক্ষ মিলিয়ন Galaxy-এর মধ্যে মাত্র একটি আমাদেরGalaxy। প্রতিটি Galaxy-তে প্রায় ১ লক্ষ মিলিয়ন নক্ষত্র থাকে। তারমধ্যে সূর্য একটি অতি সাধারণ হলুদ নক্ষত্র।”
(পৃথিবী থেকে সূর্য ১৩ লক্ষ গুণ বড়)। এই সূর্যের পাশে আমরা কেমন:
“মনে করা হয়,Big Bang-এর সময় মহাবিশ্বের আয়তন ছিল শূণ্য। সুতরাং উত্তাপ (শক্তি) ছিল অসীম। কিন্তু মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তাপ (শক্তি) কমতে থাকে। Big Bang-এর ১ সেকেন্ড পর তাপমাত্রা কমে নেমে এসেছিল এক হাজার কোটি ডিগ্রিতে! এ উত্তাপ সূর্যের কেন্দ্রের চাইতে প্রায় ১ হাজার গুণ বেশি! কিন্তু হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণের সময় উত্তাপ এই মাত্রায় পৌঁছায়।
…।
আবার Big Bang-এ ১০০ সেকেন্ড পরই এই তাপমাত্রাই কমতে কমতে নেমে এসেছিল ১০০ কোটি ডিগ্রিতে।”
“Big Bang-এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই হিলিয়াম এবং অন্যান্য মৌলিক উপাদানের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওযার সম্ভাবনার কথা বলা হয়। …তারপর ১০ লক্ষ বছর পর্যন্ত মহাবিশ্বের সম্প্রসারন ছাড়া আর কিছু ঘটেনি।”
(এবং মহাবিশ্ব এখনও সম্প্রসারিত হচ্ছে। একটা উদাহরণ আসে এখানে, একটা চুপসানো বেলুনের গায়ে সমসম্ত গ্রহ-নক্ষত্র আঁকা হল, ক্রমশ বেলুনটা ফুলে-ফেঁপে উঠার পাশাপাশি গ্রহ-নক্ষত্রগুলো খানিকটা করে দূরে সরে যাবে। এবং আমি আমার অবস্থায়, অনড় অবস্থান থেকে এই বেলুনের চারপাশের সমস্ত গ্রহ-নক্ষত্রগুলো দেখা সম্ভব হবে না, কখনও না)।
“শুরুতে পৃথিবী ছিল অত্যন্ত উত্তপ্ত। পৃখিবীর কোন বায়ুমন্ডল বা atmosphere ছিল না। কালে কালে পৃথিবী শীতল হল। প্রাণের প্রথম বিকাশ হয়েছিল মহাসমুদ্রে।”
Alan Guth-এর মতে, ১ সেকেন্ডের সামান্য ভগ্নাংশ সময়ের ভেতর মহাবিশ্বের ব্যাসার্ধ বেড়েছে মিলিয়ন, মিলিয়ন, মিলিয়ন, মিলিয়ন, মিলিয়ন (একের পর ৩০টা শূণ্য)।
“একটি বড় Black Hole সূর্যের ভরের চাইতে প্রায় ১ লক্ষ গুণ বেশি। কোন নক্ষত্র Black Hole-এর কাছাকাছি এলে মহাকর্ষীয় আকর্ষনের পার্থক্যর জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। যেকোন বস্তু বা নক্ষত্র Black Hole-এ হারিয়ে যাবে।”
……………………….
তাত্ত্বিকভাবে ধারণা করা হয়, প্রায় এক হাজার ৩৭০ বছর আগে Big Bang-এর মধ্য দিয়ে মহাবিশ্বের সৃষ্টি। এবং ছোট্ট একটি গ্রহ পৃথিবীও। এর জন্য দায়ি যে শক্তি তাকে বিজ্ঞানিরা বলছেন, ডার্ক এনার্জি বা ডার্ক ম্যাটার। বিজ্ঞানিরা ম্যাটারের স্ট্যান্ডার্ড মডেলের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ডার্ক ম্যাটার বা ডার্ক এনার্জির মাত্র ৪ ভাগ জানতে পেরেছেন।
বিবিসি এবং এএফপি-র মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন,
‘পরমাণু গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইউরোপীয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ’ বা সার্ন-এর তত্ত্বাবধানে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরীক্ষাটি করা হয় সুইজারল্যান্ড-ফ্রান্স (অর্থাৎ জেনেভা তে) সীমান্তের কাছে মাটির ১০০ মিটার নিচে ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ বৃত্তাকার সুড়ঙ্গের ভেতরে পরীক্ষাটি চালানো হয়। এই ‘এলএইচসি’ (Large Hedron Collider) নামের এই প্রকল্প সৃষ্টি করতে সময় লেগেছে প্রায় ২০ বছর! পৃথিবীর ৩৬টি দেশের ৫ হাজার বিজ্ঞানি (যাদের মধ্যে ভারতীয়রাই সংখ্যা গরিষ্ঠ), প্রযুক্তিবিদ এই প্রকল্পে কাজ করছেন!
এখানে কিছু বিষয় সম্বন্ধে বিজ্ঞানিরা জানার চেষ্টায় আছেন। ‘এলএইচসি’ নামে পরিচিত বৃত্তাকার এই সুড়ঙ্গের মধ্যে অতিপারমাণবিক কণাগুলোকে আলোর গতির কাছাকাছি দ্রুতিতে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটানোর ফলে যে তাপমাত্রার সৃষ্টি হবে তা সূর্যপৃষ্ঠের তাপের চেয়ে এক লাখ গুণ বেশি! এতে Big Bang-এর প্রকৃত অবস্থা আঁচ করা যায়।
বিজ্ঞানি, Dr.Michio Kaku (যার ’Hyperspace’, ‘Parallel Worlds’ নামে দুইটা অসাধারণ গ্রন্থ রয়েছে এবং সম্প্রতি ,’Physics of the Impossible’) তিনি এই মতকে সমর্থন করেন, Black Hole-এ যখন কোন বস্তু সিঙ্গুলারিটি নামের জায়গাটায় আটকা পড়ে তখন সংকুচিত হতে হতে একটা বিন্দুতে হারিয়ে যায়। কিন্তু বস্তুটি হারিয়ে যায় কোথায়?
সম্ভবত Black Hole-এর উল্টাদিকে White Hole আছে। সেখানে আবার অন্য কাহিনি। সেখানে বস্তুটি একটা বিন্দু থেকে প্রবল বেগে প্রসারিত হতে থাকে। (উদাহরণটা দিয়েছেন বাসন ধোয়ার সিন্কের সঙ্গে!)
Dr.Michio Kaku-এর মতে, এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না, Big Bangআসলে একটা White Hole। যেভাবে সৃষ্টি হয়েছে আমাদের গ্রহ এবং মহাবিশ্ব। তো, Big Bang-এর পূর্বে কী ছিল? অন্য কোন মহাবিশ্ব, অন্য কোন ডাইমেনশন। মাল্টিভার্স- প্যারালাল ইউনিভার্স।
Kaku-এর ভাবনার রেশ ধরে একটা ধারণা দাঁড় করানো যায়।
পৃথিবী নামের গ্রহ> একটি সাধারণ হলুদ নক্ষত্র সূর্য>সূর্যের চেয়ে বিশালসব প্রায় ১ লক্ষ মিলিয়ন নক্ষত্র Galaxy-তে> এমন ১ লক্ষ মিলিয়ন Galaxy নিয়ে মহাবিশ্ব> মহাবিশ্ব সৃষ্টির হয়েছে Big Bang-এর মাধ্যমে> শূণ্য বা ডটটা (!) এসেছেWhite Hole থেকে। White Hole-এর পূর্বে ছিল Black Hole। Black Hole-এর অন্য পাশে অন্য আরেকটা মহাবিশ্ব, অন্য এক ডাইমেনশন।
বেশ, একটা ধারণা তো পাওয়া গেল। কিন্তু Dr.Michio Kaku-এর কাছে আমার যে প্রশ্নটা করতে ইচ্ছা জাগে, সেটা হচ্ছে, ওই অন্য মহাবিশ্বটা তাহলে এসেছে আরেকটা মহাবিশ্ব থেকে। এর শেষটা তাহলে কোথায়?
Oshadharon....... Posting.
ReplyDeleteVai..Ki bole j thnx debo bujte parchi na.
Post ti onek onek valo legeche.
onek kichu jante parlam.. Ja na janlei noy..
E rokom aro oshadharon post asha korchi... :D
dHONNOBAD ............ KOSTO KORE PORAR JONNO .AJKAL TO MANUSHER VALO JINISH PORAR SOMOY E NAI .........
ReplyDelete