Tuesday, September 13, 2011

আপনার বয়স কি ৩৬ বছরের বেশী?

আপনার বয়স কি ৩৬ বছরের বেশী?
তাহলেই এই পোস্ট দেখুন, নাহলে অহেতুক সময় নষ্ট করবেন না।




এক এক সময় ভাবি, মানুষের জীবনেও যদি কম্পিউটারের মত "Crtl.+Z" অপশন টি থাকত, কি ভালই না হত।

আপনাদের কি নিজেদের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে?
তখন আমরা 'কেবল টিভি', 'ডিশ টিভি' কাকে বলে জানতাম না। বাড়ির ছাদে এ্যন্টেনা লাগিয়ে টিভি দেখতে হত।
আমরা বাংলাদেশি হলে কেবলমাত্র বিটিভি র অনুষ্ঠান দেখতাম,


বা, পশ্চিমবাংলার মানুষ হয়ে থাকলে কলকাতা দূরদর্শন-এর প্রোগ্রাম দেখেই সন্তুষ্ট থাকতাম।



এখনকার মতো তখন সারাদিন টিভি প্রোগ্রাম হতনা, প্রোগ্রাম চালু হবার কিছু আগে থাকতে আমরা অধীর আগ্রহে অনেকটা এইরকম দেখতে একটা স্ক্রীনসেভারের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতাম।



তখন আমাদের গাড়ি, গাড়ির সিট বেল্ট, এয়ার ব্যাগ এসব ব্যাপারে ধারনাই ছিলনা। তবুও লোকজন অনায়াসে ৮০-৯০ বছর অবধি বেঁচে থাকতো।



সাইকেল চালানো ছিল জীবনে এক তাজা হাওয়ার মত অনুভুতি। সাইকেল চালাবার সময় আমাদের হেলমেট, নী-ক্যাপ কিছুই পরতে হতনা। এমনকি যদি ঢালু জায়গা দিয়ে নামবার সময় দেখতাম সাইকেলের ব্রেক কাজ করছেনা তাতেও আমরা একটুও ঘাবড়ে যেতাম না।



সেই সময় মিনারেল ওয়াটারের বোতল জীবনেও দেখিনি, রাস্তার ধারের টিউব-ওয়েল, ট্যাপ থেকে তৃষ্ণা মেটালেও শরীর খারাপ হবার চিন্তা থকতোনা।




আমরা কত শক্ত পোক্ত ছিলাম তখন, মাঠে দৌড়াতাম, গাছে চড়তাম,



নদী নালায় ঝাঁপাতাম, অথচ অসুস্থ হতাম না।



ঘন্টার পর ঘন্টা বাইরে খেলতে পারতাম, শুধু সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরে আসতে পারলেই হত।
আমরা কেক, আইসক্রিম, চিনি দেওয়া মিষ্টি, শরবৎ, লজেন্স - যা পেতাম তাই খেতাম, তবুও তখন একটুও মোটা হতাম না।

মোবাইল ফোন তো দূর, অনেক বাড়িতেই তখন টেলিফোন পর্যন্ত ছিলনা, তবুও আমরা আমাদের বন্ধুদের সময়মতো ঠিক খুঁজে পেতাম।

আমাদের তখন ওরকূট, ফেসবুক, ক্যামেরা মোবাইল, এম.পি থ্রী, প্লে স্টেশন, ভিডিও গেম কোনো কিচ্ছু ছিলনা। না ছিল ইন্টারনেট বন্ধু বা ভার্চুয়াল ফ্রেন্ড।


কিন্তু আমাদের সত্যিকারের কিছু বন্ধু ছিল। যাদের সঙ্গে কথা বলা যেত, খেলা যেত, যাদের হাত দিয়ে স্পর্শ করা যেত।



আমাদের খেলবার জন্য দামী দামী খেলনাও লাগতনা; - ইঁট, বালি, মাটি, পাথর, কাঠের টুকরো – সব কিছু দিয়েই মহানন্দে খেলতাম।



আমরা বেশিরভাগই পায়ে হেঁটে স্কুলে যাতায়াত করতাম, কিন্তু তাতে আমাদের একটুও কষ্ট হতনা।

আমাদের মধ্যে কেউ কেউ পরীক্ষায় ফেল করত। কিন্তু এখনকার বাবা-মা দের মতো আমাদের কেউ তখন সাইকোলজিস্টের কাছে কাউন্সেলিং করাতে নিয়ে যেত না।

এখনকার বাচ্চাদের মতো তখন আমাদের অনেক কিছুই ছিলনা, কিন্তু মনে আনন্দ ছিল।

সব থেকে বড় কথা হল আমরা অন্যের মতকে গুরুত্ব দিতাম, বড়দের সন্মান দিতে জানতাম।

যাঁরা এখন ৩৬+ আছেন, যখন কোনো কঠিন সমস্যায় পড়ে চিন্তিত হয়ে বসে থাকবেন, সেই সমস্যাকে কিছুক্ষনের জন্য ভুলে থাকবার জন্য নিজের ছোটবেলার কথা একটু ভাবুন।

কিছু সময়ের জন্য হলেও আপনার মুখে একটু হাসি ফুটতে বাধ্য।

No comments:

Post a Comment

ওয়ানপ্লাসের নতুন অক্সিজেন ওএস ১৫ আসছে AI নিয়ে

  অ্যান্ড্রয়েড ১৫  এর ওপর ভিত্তি করে আসছে  ওয়ানপ্লাসের  অক্সিজেন    ওএস  ১৫। অক্টোবরের ২৪ তারিখ বাংলাদেশ সময় রাত ৯:৩০ এ আনুষ্ঠানিকভাবে অপ...