বিটিআরসি জুন মাসের মোবাইলফোন গ্রাহক সংখ্যা প্রকাশ করেছে।বিটিআরসি এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের সর্বশেষ ও সর্বমোট মোট মোবাইল গ্রাহক ৭ কোটি৬৪ লাখ ৩৪ হাজার অর্থাৎ ৭৬.৪৩৪ মিলিয়ন ।
( ১মিলিয়ন=১০লাখ )
গ্রামীনফোনের বর্তমান গ্রাহক : ৩ কোটি ৩৮ লাখ ২৪ হাজার ।
এপ্রিল মাসের তুলনার বৃদ্ধি : ৫ লাখ ৬৩ হাজার।
বর্তমান মার্কেট শেয়ার : ৪৪.২৫ %
এক বছর আগে মার্কেট শেয়ার: ৪৪.১১ %
দুই বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ৪৫.৩২ %
তিন বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ৪৬.৪৭ %
চার বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ৫০.৪০ %
বাংলালিংকের বর্তমান গ্রাহক : ২ কোটি ০২ লাখ ২০ হাজার।
এপ্রিল মাসের তুলনার বৃদ্ধি : ১ লাখ ৫৫ হাজার।
বর্তমান মার্কেট শেয়ার : ২৬.৪৩ %
এক বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ২৬.৮৪ %
দুই বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ২৩.৬৪ %
তিন বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ২১.৬৫ %
চার বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ২১.৭৯ %
রবি এর বর্তমান গ্রাহক : ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৮ হাজার।
এপ্রিল মাসের তুলনার বৃদ্ধি : ১ লাখ ৩৮ হাজার।
বর্তমান মার্কেট শেয়ার : ১৮.৯৫%
এক বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ১৮.৫০ %
দুই বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ১৮.৯৫ %
তিন বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ১৭.৯৬ %
চার বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ১৮.২২ %
এয়ারটেল বর্তমান গ্রাহক : ৫০ লাখ ৪৫ হাজার।
এপ্রিল মাসের তুলনার বৃদ্ধি : ১ লাখ ৩৪ হাজার।
বর্তমান মার্কেট শেয়ার : ০৬.৬০ %
এক বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ০৫.২৮ %
দুই বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ০৫.৫২ %
তিন বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ০৭.৫৭ %
চার বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ১.৬৯ %
সিটিসেল এর বর্তমান গ্রাহক : ১৭ লাখ ৩০ হাজার।
এপ্রিল মাসের তুলনার বৃদ্ধি : - ১৭ হাজার। [নেগেটিভ]
বর্তমান মার্কেট শেয়ার : ০২.২৬ %
এক বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ০৩.৩১ %
দুই বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ০৪.২%
তিন বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ০৩.৮৯ %
চার বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ৪.৬৯ %
টেলিটক এর বর্তমান গ্রাহক : ১১ লাখ ৪১ হাজার।
এপ্রিল মাসের তুলনার বৃদ্ধি : - ২৫ হাজার। [নেগেটিভ]
বর্তমান মার্কেট শেয়ার : ০১.৪৯ %
এক বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ০১.৯৩ %
দুই বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ০২.৩৫ %
তিন বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ০২.৪৪ %
চার বছর আগে মার্কেট শেয়ার : ৩.২১ %
মার্কেট শেয়ার।
মার্কেট শেয়ার দেখে বোঝা যাচ্ছে গ্রামীনফোন বরাবরের মত এই সেক্টরের মার্কেট লিডার। গত ৬মাসে তারা তাদের অবস্থান আরও শক্ত করেছে। গত ছয় মাসে তারা নিজস্ব ব্র্যান্ডের ৩টি নতুন সেট বাজারে এনেছে। যা গ্রামীনফোন ব্র্যান্ডকে আরও শক্তিশালি মর্যাদায় পৌঁছে দিয়েছে।
এয়ারটেল যদিও গত ডিসেম্বরে এদেশে ব্যাবসা শুরু করে। কিন্তু ওয়ারিদ আসার পর থেকে গত মাস পর্যন্ত এই ৪বছরে তারা ৫০লক্ষ গ্রাহক নিয়ে ৪নম্বর পজিশনে অবস্থান করছেন। সবচেয়ে অবাক করার কথা হল গত মাসে ৫০লক্ষ গ্রাহকসংখ্যা অর্জন করায় ভারতী এয়ারটেল মোবাইল সার্ভিসেসের প্রেসিডেন্ট অতুল বিন্দাল বলেছেন, "বাংলাদেশে এয়ারটেলের এত দ্রুত ৫০ লাখ গ্রাহক সংখ্যা ছাড়িয়ে যাওয়া এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচায়ক, যাকে তুলনা করা যায় বিশ্বের অন্যান্য সফল প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে।" আমি বুঝতে পারলাম না ৪বছরে ৫০লাখ ছাড়িয়েছে এতে এমন কি সাফল্য আছে যাতে বিশ্বের সফল প্রতিষ্ঠানের সাথে তুলনা করা হচ্ছে !! দেখা যাক তাদের পথচলায় আরেকটা অক্টোবর,২০০৮ আবার এর মত হয় কিনা। অক্টোবর,২০০৮ হল যেই মাসে ওরা ১৬লক্ষ ১০ হাজার গ্রাহক একবারে হারিয়েছিল।
দীর্ঘ ২বছর পর রবি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে এই ৬মাসে। কিছুদিন আগে এক পেপারে পড়লাম তাদের এক শীর্ষ কর্মকর্তার উদ্ধতি দিয়ে লিখেছে, নতুন মোবাইল অপারেটর ওয়ারিদ ও টেলিটকের কারণে তারা মার্কেটে নতুন গ্রাহক টানতে পারছিল না। কিন্তু তারা সবচেয়ে বড় ধরা খেয়েছে আরেক মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক এর কারণে।
গত ছয় মাসে তুলনামূলক হিসেবে সবচেয়ে খারাপ করা অপারেটর বাংলালিংক। গত বছরটা তাদের ছিল সবচেয়ে সফল বছরের মধ্য একটি।কিন্তু এবছরে তাদের মালিকানা পরিবর্তন সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে তারা একটু খেই হারিয়ে ফেলেছে। কিছুদিন আগে বাংলালিঙ্কের ম্যানেজমেন্টে বড়সড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। যতদুর জানা যায় বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ এখন থেকে তাদের যাবতীয় রিপোর্ট তাদের নতুন মালিক রাশিয়া ভিত্তিক ভিম্পেলকম এর কাছে প্রেরন করছে। আশা করা যায় এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্য তারা এ সংক্রান্ত সকল ঝামেলা ও অস্থিরতা কাটিয়ে উঠবে।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের মধ্য সবচেয়ে স্থিতিশীল কোম্পানি হচ্ছে সিটিসেল। গত ২বছর ধরে তারা প্রায় একই অঙ্কের গ্রাহক নিয়ে চলছে। ইন্টারনেট প্যাকেজ জুম নিয়ে তারা ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করলেও ওয়াইমেক্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানদের আক্রমণাত্মক বিপণনের কারণে তারা ধরা খেয়ে যায়। বর্তমানে তারা পারসোনাল সেলিংস এ ব্যাস্ত। বিবিএ এর একজন ছাত্র হিসেবে আমাদের শেখান হয়েছে একটা কোম্পানি যখন দেউলিয়া হয়ে যাবার আশঙ্কা দেখা দেয় তখন তারা পারসনা সেলিংস এর দিকে নজর দেয়। যাতে দেউলিয়া হওয়াটা কিছুদিন বিলম্ব হয়।
টেলিটক সম্পর্কে কিছু বলব না। আপনারাই বলুন আমিই শুনি।
গত ৬মাসে দেশের মোবাইলফোন সেক্টরের গতি প্রকৃতি
উপরের চার্ট থেকে দেখা যায় গত ছয় মাসে প্রায় ৬০ লক্ষ ৯হাজার নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছে। যদি এই ধারা বজায় থাকে তাহলে বছর শেষে দেশের মোবাইলফোন গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৮কোটি ৫২লক্ষে। অর্থাৎ দেশের তাঁরবিহীন যোগাযোগের ঘনত্ব প্রায় ৫৭.৭০% তে দাঁড়াবে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য এটি একটি বড় অর্জন বলে আমি মনে করি।
এখানে সেই সব সিম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যেগুলো দিয়ে গত এক মাসে এক বার করে হলেও কোনো কল করা হয়েছে অথবা কোনো মেসেজ দেওয়া হয়েছে।
■■■■একটি বল্টু মিয়া প্রোডাকশন■■■■
No comments:
Post a Comment