Thursday, October 6, 2011

ড্রাগস নিয়া ব্যাপুক গবেষনা.............. :-

সবচেয়ে কমন ড্রাগসঃ
১.হেরইনঃ

দাম ৫০-১৫০ টাকা পুরিয়া,৬০০-৮০০ টাকা গ্রাম।কেজি ৫০,০০,০০০-১ কোটি। ঢাকার কয়েকটা বড় স্পট (মাদক বিক্রির জায়গা) হল- আগারগাও বি.এন.পি. বস্তি, টঙ্গি ব্রিজ, সিটি পল্লি, চৌদ্দটুলি, মহাম্মদপুর টাউন হল।


২.ফেন্সিডিল

দাম ৫০০-৮০০ টাকা। ঢাকার বড় বড় স্পট নাসির স্পট, কমলাপুর, মিরপুর স্টেডিয়াম।তবে বেশিরভাগ সময়ে মোবাইলের মাধ্যমে বিক্রি হয়।

৩.পেথেডিনঃ

দাম ১০০-৪০০ টাকা।সহায়ক হিসেবে সেডিল,এভিল ব্যবহার করা হয়।বিক্রয় স্থান বিভিন্ন ফা্রমেসি এবং চাঙ্খারপুল।

৪.গাজাঃ

দাম ১০ টাকা পোটলা, ৫০-১০০ টাকা রোল, ১৫০০-২৫০০ টাকা কেজি।বিক্রয় স্থান কাওরান বাজার,কমলাপুর রেল লাইন,এবং প্রায় সব বাজার ও রেল ক্রসিং এ।

৫.মদঃ

দেশি মদের দাম,৫০০-১০০০ টাকা(কেরু),লোকাল-৮০-১০০ টাকা,বিদেশি-১৮০০-৪০০০ প্লাস, উপজাতি-২০০-৫০০ টাকা। বিক্রয় স্থান-ঢাকার বিভিন্ন লাইসেন্স করা দোকান যেমন-ওয়াইন ইম্পেরিয়াম,মগবাজার,ওজি করনার,গুলিস্তান ও বিভিন্ন বার এ। বনানি ও এয়ারপোর্ট এ কাস্টমস এর কর্মকর্তারাও বিক্রির সাথে জড়িত।

৬.ইয়াবাঃ

দাম ২৫০-৫০০ টাকা।আগে বিদেশ থেকে আস্লেও এখন দেশে তৈ্রি হয়।মুলত ফোনে বিক্রি হয়।ঢাকায় আসে সাধারনত টেকনাফ- কক্সবাজার হয়ে,বার্মা থেকে।

৭.বারবিচুরেটসঃ

বিভিন্ন ঘুমের ওষুধ যেমন- সেডিল, ট্রিপ্টিন, ডরমিকপ, ইপাম ইত্তাদি।দাম-পাতা ৫-১০০ টাকা।

৮.এক্সটেসিঃ

এর দাম অনেক। প্রতিটা ট্যাব্লেট প্রায় ১৫০০ টাকার উপরে। বানিজ্যিকভাবে এখনো চালু হয় নি। তবে অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর থেকে নিয়ে আসে।

৯.মরফিনঃ

প্যাথেডিনের মত সিরঞ্জ দিয়ে পুশ করে নিতে হয়। সাধারনত ডাক্তাররা লোকাল এনেস্থেশিয়া হিসেবে ব্যাবহার করে। খুব ধ্রুত নার্ভ সাপ্লাই শান্ত করে দিতে পারে। সাধারনত ইন্ডিয়া থেকে ইম্পোর্ট করা হয়। তবে গনস্বাস্থ হতে জি-মরফিন নামে একটা প্রোভাইড করা হয় সরকারি হাস্পাতাল্গুলাতে।
দাম-১২০ টাকা।

এছাড়াও রয়েছে চরস, ভাং, আফিম, ড্রাগন বল, ডেন্ড্রাইট ইত্যাদি আরো হাজারো ড্রাগস।

কারন ও প্রতিকারঃ

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন হাতের কাছে খুব সহজেই বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাওয়া যায় বিধায় এটাও মাদকাসক্তের একটা বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত। তাই দেশের অভ্যন্তরে মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে পাশাপাশি মাদক সংক্রান্ত আইন যুগোপযোগী করা এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে।

প্রতিরোধঃ

১. সচেতনতা বাড়ানো: জীবনের যে কোনো ঘটনা বা সাইকো থেরাপির মাধ্যমে এই সচেতনতা আসতে পারে।
২. নিজেকে মূল্যায়ন করার চিন্তা ও আচরণের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তির কি কি দক্ষতা আছে এবং সে আরো কি অর্জন করতে পারে, সে সম্পর্কে নিজেকে মূল্যায়ন করতে পারেন।
৩. সামাজিক ও পরিবেশগত পুনর্মূল্যায়ন: ব্যক্তির সামাজিক ও পরিবেশগত কোন পরিস্থিতি মাদকাসক্তির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় তা পুনর্মূল্যায়ন করে অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
৪. আত্মস্বাধীনতা: অল্প মাত্রায় আসক্ত আচরণ পরিবর্তনের পর ব্যক্তির মধ্যে স্বাধীন অনুভূতি ও আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে এবং ব্যক্তি পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য নিজেকে উপযুক্ত মনে করবে।
৫. সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি: ব্যক্তি সামাজিক দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে সামাজিক কার্যক্রম দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করবে।
৬. মাদকের চিন্তা প্রতিস্থাপন: মাদকদ্রব্য গ্রহণের পরিবর্তে অন্য যেসব জিনিস ব্যক্তির ভালো লাগে, যেমন বাগান করা, খেলাধুলা বা অন্যান্য কাজে নিজেকে নিযুক্ত করা।
৭. বাহ্যিক উপাদান নিয়ন্ত্রণ: যে সব জিনিসে বা দ্রব্যের উপস্থিতিতে ব্যক্তির মাদক নেয়ার চিন্তা আসে সে সব জিনিস পরিহার উপেক্ষা করা।
৮. নিজেকে উপহার দেয়া: ব্যক্তি যখনই মাদক গ্রহণ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে সক্ষম হচ্ছে তখনই নিজেকে নিজে কিছু উপহার দেয়া।
৯. সাইকোথেরাপির রাষ্ট্রীয় সাহায্যে নাটকীয় প্রশস্তি লাভ সাইকোথেরাপির মাধ্যমে অনেক সময় ব্যক্তির মধ্যে এক ধরনো নাটকীয় প্রশান্তি পেতে দেখা যায়।
১০. যারা দীর্ঘদিন মাদক ব্যবহার থেকে মুক্ত থাকতে পেরেছে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব্ব অটুট রাখা এবং যেসব মনোবিজ্ঞানী তাকে সাহায্য করতে পারেন তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা।

প্রতিটি ড্রাগস স্পটের মালিকরা মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে থাকে কতৃপক্ষকে।আমাদের পরিচিত একজন মন্ত্রিকে ৬০ লক্ষ টাকা দামের গাড়ি কিনে দেয়া হয়েছে গত মাসে।নাম উল্লেখ করলাম না।আর পুলিস থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন ডিলারদের টাকায় কিনা এসি ছেড়ে। বলতে পারেন আমাদের ভবিষ্যতকে আমরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছি??

No comments:

Post a Comment

ওয়ানপ্লাসের নতুন অক্সিজেন ওএস ১৫ আসছে AI নিয়ে

  অ্যান্ড্রয়েড ১৫  এর ওপর ভিত্তি করে আসছে  ওয়ানপ্লাসের  অক্সিজেন    ওএস  ১৫। অক্টোবরের ২৪ তারিখ বাংলাদেশ সময় রাত ৯:৩০ এ আনুষ্ঠানিকভাবে অপ...