Wednesday, November 30, 2011

উইন্ডোজ এর ইউজার পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে যা করতে হবে


# উইন্ডোজ এর একাউন্ট পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কিছুটা বিপাকে পরতে হয়। তবে এর
একটি ছোট সহজ সমাধান আছে।

# যখন একাউন্ট পাসওয়ার্ড দিতে বলবে তখন ctrl+alt+dell (dell বাটন দুবার
চাপ দিতে হবে।)
# এবার User name বক্সে Administrator টাইপ করে এন্টার বাটন চাপুন।
# দেখবেন উইন্ডোজ ওপেন হবে।

Tuesday, November 29, 2011

Tritio Jatra – Nemesis Download

Tritio Jatra – Nemesis



Tritio Jatra – Nemesis
Track List
01. Nemesis – Kobe
02. Nemesis – Bir
03. Nemesis – Tritio Jatra
04. Nemesis – Kolporajjo
05. Nemesis – Agiye Nau
06. Nemesis – O-Boshobash
07. Nemesis – Nirbashon
08. Nemesis – Hold On
09. Nemesis – Sesh Gaan
10. Nemesis – Track 10


Monday, November 28, 2011

Acer ICONIA TAB A501 সম্পর্কে (নতুন দিগন্ত)


ইদানিং ট্যাবলেট পিসি ধীরে ধীরে বাজারে জনপ্রীয় পণ্য হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছে । ল্যাপটপের থেকে পাতলা তবে কাজে প্রায় ল্যাপটপের সমান, উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা, আকারে ল্যাপটপের থেকে অনেক ছোপ এবং পাতলা বিধায় যে কোন জায়গায় পরিবহন করতে অনেক স্বচ্ছন্দ্যবোধ করে ব্যবহারকারীর । এ সকল বাহ্যিক কারণে ট্যাবলেট পিসির জনপ্রিয়তা ইদানিং বেশ ভালো গতিতে আমাদের দেশে বাড়ছে । Acer কম্পিউটারের জগতে পুরাতন এবং জনপ্রীয় বিশ্বস্ত নাম । তারা বেশভালোভাবে ট্যাবলেট পিসির বাজার দখলের কারণে অনেক উন্নত সুবিধা নিয়ে ট্যাবলেট পিসি বাজারে নিয়ে এসেছে বেশ সস্তা দামে । এ রকম একটা ট্যাবলেট পিসি Acer ICONIA TAB A501 । উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলোর মাঝে আছে 5MP এর দুর্লভ HD ওয়েব ক্যাম, 3G Network, WiFi, ১ বছরের আর্ন্তজাতিক ওয়ারেন্টি, ৮ ঘন্টার ম্যারাথন ব্যাটারি ব্যাকআপ । পুরো ফিচারটা নীচে দেখুন --------

Acer ICONIA TAB A501 এর ফীচার --------------

Processor = NVIDIA® Tegra™ 250 Dual Cortex A9 (1.0GHz)
Processor Speed = NVIDIA® Tegra™ 250 Dual Cortex A9 (1.0GHz)
RAM =1GB DDR3
Hard disk =16GB Flash Memory
Display =10.1" WXGA
Networking =3G/WiFi/Bluetooth
Webcam =5MP
Battery =6 Cell
Backup =8 hours 720p HD Video Playback
Weight =2kg
OS =Android 3.2
Warenty = ১ বছরের আর্ন্তজাতিক ওয়ারেন্টি
বর্তমান বাজার দর =এখানে ক্লিক করুন

আপনার মতামত জানান কমেন্ট করে ।

একটি Crime/Thriller মুভি ‘'The Lincoln Lawyer'’ এর রিভিউ "


অনেকদিন পর হলিউডের একটি Crime/Thriller মুভি দেখে খুব ভালো লাগলো। দারুনভাবে উপভোগ করলাম মুভিটি। মুভিটির নাম ‘The Lincoln Lawyer’। পরিচালক হলেন ‘Brad Furman’। টানটান উত্তেজনার এই মুভিটি এককথায় দারুন উপভোগ্য বলে মনে হলো আমার কাছে। মুভিটির IMDB রেটিং হলো 7.5। কিন্তু আমি এই রেটিং এর কথা ভুলে গিয়ে সবাইকে মুভিটি দেখতে বলবো। ভালো ২ ঘন্টা সময় কাটবেই বলে আমি মনে করি।


মুভিটির কাহিনী Mick Haller কে নিয়ে। পেশায় সে একজন Defense lawyer। টাকার বিনিময়ে যে যেকোন অপরাধীকেই নির্দোষ প্রমাণ করে ছাড়ে। মুভিটিতে Mick কে একজন লোভী ও দারুন চালুবাজ কিন্তু সাহসী একজন মানুষ হিসেবেই দেখা যায়। কিন্তু এই স্বভাবের কারণে তাকে বেশ কিছু মূল্যও দিতে হয়েছে। তার wife তাকে ছেড়ে চলে যায় এবং কোন police officer তাকে পছন্দ করে না।
মুভির প্রথমেই দেখা যায় Mick কে টাকার জন্য এক ড্রাগ ব্যবসায়ীর সাথে তর্ক করতে। হঠাৎ করেই সেইদিন Mick এক বিশাল ধনী Mary Windson এর ছেলে Louis Roulet এর বিরুদ্ধে করা এক case পরিচালানা করার অফার পায়। এর বিনিময়ে সে বেশ ভালো অংকের টাকারই প্রস্তাব পায়। Louis এর case টি ছিলো Reggie Campo নামের একজন মহিলার করা sexual assault এবং attempt to murder এর অভিযোগ। প্রমাণ হলে যার জন্য Louis কে বেশ অনেকদিনের জন্যই জেলে যেতে হবে এবং একইসাথে গুনতে হবে বিশাল পরিমাণ টাকার ক্ষতিপূরণ। Louis নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলে যে তার বিরুদ্ধে করা এই case টি সম্পূর্ণ ভূয়া এবং তাকে ফাঁসানোর জন্যই এটি করা হচ্ছে। Mick এবং তার সহকারী/বন্ধু investigator Frank Lovin তাদের client কে নির্দোষ প্রমাণের জন্য কাজ শুরু করে দেয়।
কিন্তু সব প্রমাণই যে Louis এর বিপক্ষে। তাহলে কিভাবে Mick ‘Louis’ কে নির্দোষ প্রমাণ করবে ? Mick এবং Frank কিছু theory সাজায় যাতে Louis কে নির্দোষ প্রমাণ করা যায়। হঠাৎ করেই Mick এর বেশ কয়েকবছর আগের পুরনো তার একটি case এর কথা মনে পড়ে যায়। যেটির সাথে বর্তমানের case এর রয়েছে হুবহু মিল। কিন্তু সেটি ছিলো murder case। সেই case টির আসামী Jesus Martinez ছিলো Mick এরই client। সে এখন সেই case টির জন্য সাজা ভোগ করছে। Mick তার সাথে দেখা করতে জেলে যায়।
হঠাৎ করেই Mick এর সামনে পুরো সত্য এসে হাজির হয়। সে বুঝতে পারে Jesus Martinez এবং Louis Roulet এর case টির আসামী কে ?
একসময় Mick বুঝতে পারে আসলে সেও একটি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে জেনেশুনেই এই case এ জড়ানো হয়েছে। Mick চায় আসল অপরাধীকে ধরিয়ে দিতে। কিন্তু Mick এর প্রতিবাদের সব রাস্তাই বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ করেই খুন হয়ে যায় Mick এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু Frank Lovin। Mick এবং তার পরিবারের উপর আসে হুমকি।
কিন্তু Mick এর ভুলের কারণে যে নির্দোষ Jesus Martinez জেলে murder case এর সাজা কাটছে। আরেকজন অভিযুক্ত Louis এর ভাগ্যও এখন Mick এর হাতে। তাহলে কি Louis Roulet এর ভাগ্যেও Jesus Martinez এর পরিণতি ঘটবে ? আসল অপরাধীকে কি Mick কখনো সবার সামনে আনতে পারবে না ? Reggie এবং খুন হয়ে যাওয়া আগের মেয়েটি ও তার বন্ধু Frank কি সুবিচার পাবে না ? সাহসী Mick যে নতি স্বীকার করতে রাজি না। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে , “যেমন কুকুর তেমন মুগুর”। আমার মনে হয় এই প্রবাদকে বিশ্বাস করেই এক নতুন পরিকল্পনা নিয়ে Mick সামনে এগুতে থাকে।

মুভি রিভিউ :: Eagle Eye - সাধারণ পটভূমিতে কিছুটা বৈচিত্র্য



কেমন হতো যদি এই রকম হতো আপনার ক্ষেত্রে?


আপনি একজন ছাপোষা সেলসম্যান, নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা। জীবনের উপর বিতৃষ্ণা ক্রমশই বাড়ছে। পরিবারের সাথে কোন সম্পর্ক নেই বললেই চলে - দূরে সরে আছেন অভিমান করে।জমজ ভাই সামরিক বাহিনীতে আছে - উচ্চাকাঙ্ক্ষী, মেধাবী, সফল একজন মানুষ। আর আপনি? পুরো উল্টো - উদ্যমহীন একজন মানুষ। কিন্তু ভাইকে আপনি ভালোবাসেন জান দিয়ে, একমাত্র প্রিয়জন আপনার এই দুনিয়ায়। আপনার প্রেরণা।


একদিন খবর পেলেন ভাই মারা গেছে রোড এক্সিডেন্টে। শোকাভিভূত আপনি চিরনিদ্রায় শুইয়ে দিলেন ভাইকে। কিন্তু তার পরেই শুরু হয়ে গেল সব অদ্ভুত ঘটনা।


কে যেন আপনার ব্যাঙ্ক আকাউন্টে পাঠিয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা! খুশি হয়ে টাকা তুলে বাড়ি এলেন - আজ মিটিয়ে দিবেন বাড়িওলির বকেয়া। কিন্তু একি! কারা যেন আপনার রুমে রেখে গেছে বিপুল পরিমান অস্ত্র সস্ত্র! সেই সঙ্গে বিপুল পরিমান বিস্ফোরক আর গোলা বারুদ। আপনি যখন হতভম্ভ হয়ে ভাবছেন এটা কি হলো ঠিক তখনি পেলেন এক রহস্যময় ফোন। নারীকন্ঠে আপনাকে নির্দেশ দেয়া হলো পালিয়ে যেতে। কেন? আপনি নাকি টেররিস্ট তাই আপনাকে ধরতে আসছে এফ বি আই!

হতভম্ভ আপনি পালাতে পারলেন না, ধরা পরে গেলেন এফ বি আই এর হাতে। কিন্তু ওদের ইন্টারোগেশন সেল থেকে আপনাকে বের করে আনলো সেই ফোন কলার! একের পর এক নির্দেশ দিয়ে ব্যাতিব্যাস্ত করে তুললো আপনাকে। আপনি জড়িয়ে পরলেন এক ভয়ানক চক্রান্তে।


প্রিয় পাঠক, এটা একটা মুভির কিয়দংশের বর্ণনা।

ঠিক উপরের বর্ণীত অবস্থায় আপনি Jerry Shaw (Shia LaBeouf) কে দেখতে পাবেন

ঈগল আই

মুভিতে।


দেখতে পাবেন আরও অনেক মানুষকে যারা জড়িয়ে গেছে এই অদৃশ্য নির্দেশ এর জালে। যে নির্দেশ অমান্য করা মৃত্যুর শামিল - হয়তো মৃত্যু থেকেও ভয়ঙ্কর।

কি চায় এই রহস্যময় নির্দেশ দাতা? শুধু মাত্র ফোনেই যার নির্দেশ পাওয়া যায়! কি তার উদ্দেশ্য? জানতে হলে দেখে ফেলুন মুভিটা আর শেয়ার করুন আপনাদের মতামত।


ভালো টাইম পাসিং মুভি। বহুল চর্চিত কনসেপ্ট। আর সিরিয়াস মুভিখোর দের জন্য অবশ্যই রিকোমেন্ডেড নয়। খুব আশা ভরসা না নিয়ে দেখতে বসলে আশা করি ভালই লাগবে।

" ড্রামা " জেনারের কথা এবং আমার কিছু প্রিয় ড্রামা মুভি পরিচালক এবং কিছু মুভি

ড্রামা মানে হলো বাস্তবসম্মত নাটক । অর্থাৎ অভিনয়ের ছলে বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তোলাকেই ড্রামা বলে। সাধারনত নাট্যমঞ্চের অভিনয়কেই ড্রামা বলা হয়। কিন্তু ফিল্ম জেনারের একটা টার্মও হলো ড্রামা। যার সংগা অনেকটা এক আবার ভিন্ন।


সাধারনত ড্রামা ফিল্ম বলতে বাস্তব,বিশ্বাসযোগ্য গল্প যাতে রয়েছে আবেগের ছড়াছড়ি আর নান প্রশ্নের উত্তর, যাতে রয়েছে জীবনের নানা দিক, শিক্ষা। সংস্কৃতি আর কিছু মনকাড়া সংলাপ যা সাধারনত আমরা বলে থাকি এবং শুনে থাকি প্রতিনিয়ত।


আমার সব থেকে পছন্দের জেনার হলো ড্রামা। আজ সকালে হিসেব করে দেখলাম আমার প্রায় দুই শতাধিকের উপরে ড্রামা ফিল্ম দেখা হয়েছে। ৭০ % ড্রামা ফিল্ম আমার কাছে ভালো লেগেছে। ভাবলাম এই ভালো লাগাটা শেয়ার করি।


ড্রামা ফিল্ম আমাকে কাদায়, হাসায় , ভাবায়। কিছু কিছু মুভি আছে যা দেখে ধারনা বদলে গেছে মুভি কি জিনিষ। মুভি যে জীবনধারনের একটা পন্থা হতে পারে, মুভি নিয়েও যে ভবিষত গড়া যেতে পারে সে চিন্তা মাথায় ড্রামা ফিল্মে থেকেই এসেছে।

ড্রামা আলচনা করবে তাই যা সমাজ ভেবেছে কিন্তু এখন ক্ষ্যন্ত দিয়েছে। ড্রামা দিবে সমাধান করবে প্রশ্ন ।

ড্রামা ফিল্ম বানাতে গেলে মেধাবী হতে হবে এটা নিশ্চিত। ড্রামা মানেই একটা প্রশ্ন একটা উত্তর। কোনো কিছুই অজানা থাকবে না ড্রামাতে । সুনিপুন সমাধান দেওয়া হবে আপনাকে।
ড্রামা মুভি বানাতে নিজের অভিজ্ঞতা খুব দরকার। তাই অনেক পরিচালক চেষ্টা করেছেন একটা করে ড্রামা বানাতে। বানিয়েছেন কিন্তু সবাই সফল হননি। কেউ কেউ উঠে গেছে ড্রামা ফিল্মের গুরুর আসনে।

আমার দেখা সেরা ড্রামা ফিল্ম ডিরেক্টর এবং তাদের সৃষ্টিঃ

Steven Spielberg-
আর কেউ স্বীকার করুক আর না করুন আমি তাকে গুরু মানি। তার অমর সৃর্ষ্টি ড্রামা হলো-
1. E.T. the Extra-Terrestrial (1982)
2. Saving Private Ryan (1998)
3. Schindler's List (1993)
4. Close Encounters of the Third Kind (1977)

Stanley Kubrick-
এই ভদ্রলোক জীবন ও সমাজের ব্যাখ্যাটা একটু অন্নভাবে দিয়েছে। যে ব্যাখ্যা কেউ ফেলে দিতে পারেনি আবার গিলতেও পারেনি। তার কাজ হলো-
1. Clockwork Orange, A (1971)
2. Paths of Glory (1958)
3. Spartacus (1960)
4. Dr. Strangelove

Martin Scorsese-
আমার সব থেকে প্রিয় পরিচালক। তিনি খুজে ফিরেছেন একটা শেষ। রাস্তার মোড়ে, ক্রাইমে, ভোরের আলোয়, লাম্পপোষ্টে কোথাও শেষ না পেয়ে আর সবার মতই শেষ পেয়েছেন মৃত্যুতে।
1. Taxi Driver (1976)
2. Goodfellas (1990)
3. Raging Bull (1980)
4. The Departed (2006)

Paul Thomas Anderson-
তার সময় এখনো আছে। তার থেকে আসবে আরো অনেক কিছু। অনেক অনেক। সে আশা যে তার উপর করা যায় তা সে কাজ গত কাজ দিয়েই বুঝিয়েছে।
1. Magnolia (1999)
2. There Will Be Blood (2007)
3. Boogie Nights (1997)
4. Punch-Drunk Love (2002)

Joel Coen-
এই লোকও কখনো কোনো অর্থ পাননি। কিন্তু তার ভাবনাগুলো সুদুরপ্রসারি। কাছে থেকে দূরে ভাবতে ভালোবাসেন। ব্যাখ্যাটা বা ঊত্তর বড় কথা না মুভির মাধ্যমে তার করা প্রশ্নগুলো বেশ।
1. No Country for Old Men (2007)
2. Serious Man, A (2009)
3. Fargo (1996)
4. Barton Fink (1991)

Roman Polanski-
জীবনের ধাপে ধাপে তিনি বার্থ হয়েছেন। বাধা পরেছেন অনেকখানে । আর তার মুভিতে ফুটে উঠেছে তার বেদনা।
1. Chinatown (1974)
2. Repulsion (1965)
3. Pianist, The (2002)
4. Cul-de-sac (1966)

উপরের উল্লেখিত পরিচালকদের সব মুভি আমি দেখিনি। যেগুলোই দেখেছি সেগুলোই দিলাম। হয়তো এর থেকে সেরা ড্রামা হতে পারে। কিন্তু যেহেতু রেকমেন্ড নিয়েই মুভিগুলো দেখেছি সেহেতু সন্দেহ থাকার কথা না।

আমার পছন্দের কিছু ড্রামা ফিল্মঃ
এখানে উল্লেখিত প্রটিতি মুভি মাষ্ট সি ঃ

Forrest Gump-
এটা আমার দেখা সেরা ড্রামা। জীবনের একটা পরিষ্কার প্রতিচ্ছবি আকা হয়েছে এখানে।

The Shawshank Redemption-
একটা জেলখানা। আর তার ভিতরে বন্ধিদের জীবন যাপন। ক্ষতবিক্ষত সময়। সব কিছুই সুনিপন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এখানে।

The Green Mile-
গ্রাম্য ড্রামা । অসাধারন আবেগে পরিপুর্ন।

The Tree of Life-
বাবা সন্তানের সম্পর্ক। একেবারে নিজের মনে হলো। প্রটিতি আবেগ ধরা হয়েছে জাল দিয়ে।, কোনো মিশিং নেই কোনো বেশিও নেই।

Taxi Driver -
রাতের আধারের কার্যাবলি। লাম্পোষ্ট আর নিস্তবতায় খোজা একটা অর্থ। যার শেষ মৃত্যুতে এবং শান্তিতে।

One Flew Over the Cuckoo's Nest -
পাগলাগারদের উপরে। এত সহজ করে মনে হয় আর কেউ দেখাতে পারবেনা। মুভি না উপন্যাস বুঝতেই পারবেন না।

A Clockwork Orange -
অপরাধির চোখে জীবনের সঙ্গা । অনুপ্রানিত না হলে রিস্ক আমার। জীবনের এত বড় প্রভাবে এটার জুড়ি নেই।

Cinema Paradiso -
সিনেমার হলের কাহিনি। এক বাচ্চা আরেক যুবকের বন্ধুতের জয় গান। আবেগ , প্রাথনা। সব পাবেন। অস্মভব সুন্দর একটা ফরিজিন ড্রামা।

3-Iron
অসাধারন একটা ফরেন। পরিচালক Ki-duk Kim। জীবনের প্রচ্ছদ একেছেন বেশ ভালোই। কতটা অর্থহিন আর কতটা আবেগি হতে পারে মানুষ।

Schindler's List -
২য় বিশ্ব যুদ্ধের উপর নির্মিত একটি জোশ ড্রামা। পরিবর্তনের হাওয়া এখানে তুলে ধরা হয়েছে। হয়েছে ত্যাগ ।

The Others -
একটা পারিবারিক ড্রামা। স্বামীহিন মা এবং সন্তানের ণিয়ে ড্রামা। শেষে একটা অসাধারন ব্যাখ্যা, মেসেজটা খুব ভালো লেগেছে।

Changeling-
সন্তান হারানো মায়ের জীবন যাপন । টেনশন সব মিলিয়ে একটা অসাধারন ড্রামা।

Apocalypto-
মায়ানদের উপরে নির্মিত সব থেকে বিখ্যাত মুভি মনে হয় এটিও তাদের জীবন যাপন তাদের বেচে থাকা। দুখ কষ্ট সব কিছুর একটা পরিষ্কার প্রতিফলন।

Australia-
ওয়েষ্টটার্ন ড্রামা। রান্সিং এবং প্রেম। অসাধারন লেগেছে। পশ্চিমের বেচে থাকা আসলেই অন্যরকম।

অদেখা কিছু পিওর ড্রামা। দেখার অপেক্ষায় এবং ডাউনলোডিং

যারা আমার ব্লগ পড়েন তারা মাত্রই জানেন যে আমি পিওর ড্রামা খুব পছন্দ করি। যদিও ক্রাইম ড্রামাই আমি বেশি দেখি কিন্তু পিওর ড্রামা আমার সবথেকে প্রিয়। বাংগালির ছেলে, বড় হয়েছি আকাশ,বাতাসের সংস্পর্শে, পরিমিত আবেগ এবং খুব কাছ থেকে ছুটতে থাকা মানুষের ঘামে জীবনের লবনাক্ত স্বাদ পেয়েছি। যুক্তির এ পর্যায়ে পিওর ড্রামা ভালোলাগা কি স্বাভাবিক না।
এর আগে আমি একবার ড্রামা জেনার ভিতর ও বাহিরের কথা বলেছি। এবং আমার পছন্দের সেরা কিছু ড্রামা মুভির কথাও উল্লেখ করেছি। পোষ্টটি এখানে

ড্রামা পরিচিত সাধারনত মানুষের জীবনের ভার্চুয়ান সংস্করন হিসেবে। তারমানে বুঝতে পারছেন ?
ড্রামা ফিল্ম একমাত্র জীবনের কথা বলে। পরিস্কার জীবনের ফলাফল। সত্যিকার অর্থে জীবনধারন ও এর কর্মকর্তাদের সমালোচনাই হলো ড্রামা সংগা।


যেহেতু আমার নিজেরই ড্রামা ফিল্ম বানানোর ঝোক বেশি সেহেতু দেখে অভিজ্ঞতা নেওয়া যেমন একটা ব্যাপার। সেরকম সবাইকে শেয়ার করারও একটা জিনিষ আমার ভিতরে সর্বদা কাজ করে। ভালো জিনিষ থেকে মানুষকে দূরে রাখা আমি একদই পছন্দ করিনা, বরং জানিয়ে আরও মজা পাই। এই পোষ্টের সার্থকতা তখন যখন এটার দ্বারা একটা ভালো মুভি কেউ পাবে।

তাছাড়া লিষ্টে এশিয়ান ফিল্মগুলো বেশি গুরুত্ত্ব দেওয়া হয়েছে। কারন ওখানে আমি নিরব পাশাপাশি অতিরিক্ত আবেগী হয়ে পড়ি।

এখানের মুভিগুলো আমার ডক কালেকশন। অনেক হাতিয়ে এগুলো আমি কালেকশন করেছি। সবগুলোই সেরকমের মুভি। তারপরও যেটা হয় তা হলো রুচিগত পার্থক্য। সেকারনে বিভিন্ন ইনফো সাইটে মুভির একটু সুচনা বা মুল প্লট পড়ে নিলে বেশ সুবিধা হবে। যেটার সাথে নিজের জীবনের একটা মিল পাবেন সেটা দেখে ফেলবেন, ব্যাচ।

তারপরেও যদি না হয়, তাহলে কমেন্টে নাম উল্লেখ করে বলবেন আমি যতটুকু জানি বলে দিব।




Tyrannosaur 2011 [Drama]

[Movie Title].......................[Tyrannosaur]
[Release Year].......................[2011]
[Genre]......................[Drama]
[Size]...........................[300MB]
[Resolution]....................[540*280]
[Format]..............................[Matroska]
[Language]..............................[English]
[Subtitle]................................[None]
[Source]........................[DVD]
Screenshots


Trailer


MediaFire

[ Part 1 ] [ Part 2 ]

Password
tinymoviez.com



How to Download???

1. Click on the download links
2. Wait for few seconds and then click on

Albert Nobbs 2011 [Drama]

[Movie Title].......................[Albert Nobbs]
[Release Year].......................[2011]
[Genre]......................[Drama]
[Size]...........................[450MB]
[Resolution]....................[540*280]
[Format]..............................[Matroska]
[Language]..............................[English]
[Subtitle]................................[None]
[Source]........................[DVD]
Screenshots
Trailer

MediaFire

Password
tinymoviez.com



How to Download???

1. Click on the download links
2. Wait for few seconds and then click on

দেশের সেরা ব্যান্ড অর্থহীন'এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।।।


অর্থহীন বাংলাদেশের অন্যতম একটি ব্যান্ড। এ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা এবং দলনেতা সুমন। ১৯৯৯ সালে শুরু হওয়া এই ব্যন্ডের এখন পর্যন্ত ৫ টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তাদের প্রথম অ্যালবাম ত্রিমাত্রিক প্রকাশিত হয় ২০০০ সালের এপ্রিল মাসে। শুরু থেকেই অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ব্যান্ডের সব গুলো অ্যালবামই বেস্ট সেলিং হয়েছে। ২০০৮ সালে তাদের এখন পর্যন্ত শেষ অ্যালবাম অসমাপ্ত-১ প্রকাশিত হয়। মূলত রক ব্যন্ড হলেও তারা এখন হেভি মেটাল গানও করছে।

ইতিহাস :
# ১৯৯৩: এই বছর সুমন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিলিংস ত্যাগ করেন। তিনি একক এলবাম করার পরিকল্পনা করেন। তার ইচ্ছা ছিল ভিন্ন ধারার গান করার। তিনি এমনভাবে একক গান করা শুরু করেন যাতে ব্যান্ডের পরিবেশটা একক গানেও বজায় থাকে। তিনি ফায়সাল এবং রাসেলের সাথে তার প্রথম গান করেন। তার গানে ড্রাম বাজিয়েছিল রুমি।
# ১৯৯৪: সুমন বিভিন্ন ব্যান্ড থেকে আটজন শিল্পী নিয়ে অভিশ্রুতি রেকর্ডিং স্টুডিওতে তার একক এলবাম 'সুমন ও অর্থহীন'-এর কাজ শেষ করেন। এই এলবামের সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় ছিল 'অর্থহীন' নামক গানটি। এই গানে বাংলাদেশের আটজন প্রথমশ্রেণীর গীটারবাদক একসাথে গীটার বাজান। গানটিতে আটাশটি গীটারের একক ছিল।
# ১৯৯৭: দীর্ঘ তিন বছর পর এই বছর 'সুমন ও অর্থহীন' এলবামটি প্রকাশিত হয়। এলবামটি ব্যপক শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। সমালোচকরাও নতুন ধারার এই গানটির প্রশংসা করেন।
# ১৯৯৮: সুমন নতুন একটি দল গঠন করার পরিকল্পনা করেন। 'ফেইথ' ব্যান্ডের টিটি ও সেন্টু তার পরিকল্পনায় সহায়তা করে। আরো কয়েকজন সংগীতশিল্পীকে নিয়ে সুমন 'সুমন ও অর্থহীন' নাম দিয়ে ব্যান্ডের কার্যক্রম শুরু করেন।
# ১৯৯৯: টিটি এবং সেন্টু এই বছরের অক্টোবর মাসে নিজেদের ব্যান্ড ফেইথের কাজে সময় দেয়ার জন্য এই ব্যান্ড ত্যাগ করেন। রুমি তার দল 'দ্য ট্র্যাপ' ত্যাগ করে সুমনের দলে যোগ দেন। এই বছরই ব্যান্ডের নাম ঠিক হয় 'অর্থহীন'। কয়েকমাস পর যুবায়ের এবং আদনান দলত্যাগ করেন। এরপরই শোভন গীটারবাদক এবং গায়ক হিসেবে অর্থহীনে যোগ দেন।
# ২০০০: এই বছরই 'মাকসুদ ও ঢাকা' ও ব্যান্ডের গীটারিস্ট পিকলু অর্থহীনে যোগ দেন। অর্থহীন এই বছরের এপ্রিলে তাদের প্রথম এলবামের কাজ শুরু করে। শোভন পড়ালেখা জনিত কারণে ব্যান্ড থেকে কিছুসময়ের জন্য অবসর নেয়। তন্ময়ও ব্যান্ড ত্যাগ করে। নিলয় দাসের দল 'দ্য জিনমস'-এর গীটারিস্ট পনির অর্থহীনে যোগ দেন। এই বছরই পনির দলত্যাগ করেন। 'উইনিং'-এর গায়ক এবং গীটারবাদক দলে যোগ দেন। এই বছরের শেষের দিকে অর্থহীনে প্রথম এলবাম 'ত্রিমাত্রিক' প্রকাশিত হয়। এই এলবামটির জনপ্রিয়তা ছিল ব্যপক। সুমনের নাম ওয়ারউইকের 'ফেমাস ইউসার লিস্ট'-এ লিপিবদ্ধ হয়। তিনি প্রথম এশিয়ান সংগীতশিল্পী হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন।
# ২০০১: রুমি ও রাসেল দলত্যাগ করে। জলি রজার, সাইকো ডেথ এবং ডেথ রো ব্যান্ডের প্রাক্তন ড্রামবাদক শুভ অর্থহীনে যোগদান করে। অর্থহীন জি-সিরিজের পৃষ্ঠপোষকতায় এই বছরের ১৭ নভেম্বর তাদের দ্বিতীয় এলবামের কাজ শুরু করে। ডিসেম্বরের ১০ তারিখে এলবামটি প্রকাশিত হয়। এই এলবামের নাম ছিল 'বিবর্তন'। 'ত্রিলয়ের' কীবোর্ড-বাদক অপু অতিথি সদস্য হিসেবে অর্থহীনে কাজ শুরু করেন। উল্লেখ্য যে, বিবর্তন বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের ইতিহাসে অন্যতম ব্যবসাসফল এলবাম।
# ২০০২: 'ক্রনিক'-এর ইমতিয়াজ অতিথি গায়ক এবং রিদম গীটারবাদক হিসেবে অর্থহীনে যোগ দেন। এই বছরের ২৯ নভেম্বর অর্থহীন তাদের তৃতীয় এলবাম 'নতুন দিনের মিছিলে' প্রকাশ করে। এই এলবামে রয়েছে 'সাতদিন' নামের ২৮ মিনিট ৩২ সেকেন্ড এর একটি প্রগ্রেসিভ মেটাল গান। এটি বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের ইতিহাসে দীর্ঘতম গান। প্রকাশিত ক্যাসেট এর বি পিঠে এই একটি গানই ছিল।
# ২০০৩: ইমতিয়াজ এবং অপু দলত্যাগ করে। অর্থহীন অতিথি সদস্য না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। 'ডি.এন.এ'-এর শিশির অর্থহীনে কীবোর্ড এবং গীটারবাদক হিসেবে যোগদান করে। এই বছরই ব্যান্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। সুমন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুমন আগের মত আর গান করতে পারবেন না বলেও শংকা দেখা দেয়। সুমন মেটাল সংগীত গাওয়া কমিয়ে দেন। অর্থহীন তাদের নতুন গায়ক হিসেবে 'ক্রাল' ব্যান্ডের রাফাকে দলে নেয়। এই বছরই অর্থহীনের নতুন এলবাম 'ধ্রুবক' প্রকাশিত হয়।
# ২০০৪: সুমনের অসুস্থতার কারণে ব্যান্ডের প্রায় সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এই বছরই সুমন এম.টি.ডির (মাইকেল টবিয়াস ডিজাইন) অধিভুক্ত হন।
# ২০০৫: সুমনের চোয়ালের হাড়ে মারাত্নক সমস্যা দেয়। চিকিৎসক বলেন যে, সুমনের আগের মত গান করতে পারার সম্ভাবনা খুবই কম। অর্থহীনের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সুমন এবং বাকী সদস্যরা অর্থহীন ভেঙ্গে দেয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সুমন সুস্থ হয়ে উঠতে থাকেন।
জুন: সুমন আবার গান গাওয়া শুরু করেন এবং ওয়ারফেইজের গীটারবাদক কমলকে অর্থহীনে অতিথি সদস্য হিসেবে বাজানোর জন্য প্রস্তাব করেন। কমল এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। কয়েকমাস পরেই কমল অর্থহীনে স্থায়ী সদস্য হিসেবে যোগ দেন। অর্থহীনে সকল কার্যক্রম আবার শুরু হয়। অর্থহীন তাদের পঞ্চম এলবামের কাজ শুরু করে।
# ২০০৮: ২০০৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অর্থহীনের ৫ম অ্যালবাম অসমাপ্ত-১ প্রকাশিত হয়। ৫ বছর পর এটি ব্যান্ডের নতুন অ্যালবাম।

প্রথম সদস্য :
সুমন ( গায়ক, বেস গীটার এবং গীটার)
টিটি (ফেইথ) (ড্রামস)
সেন্টু (ফেইথ) (বেস গীটার)
যুবায়ের (বাঁশি)
আদনান (পারকিউশন)
তন্ময় (গীটার)

বর্তমান সদস্য:
সুমন - গায়ক, বেস গিটার
রাফা - গায়ক, ড্রামস
শিশির - গিটার, কি-বোর্ড
কমল - লিড গিটার

প্রকাশিত এলবামসমূহ :
> ত্রিমাত্রিক - প্রকাশকাল: ২০০০
> বিবর্তন - প্রকাশকাল: ২০০১
> নতুন দিনের মিছিলে - প্রকাশকাল: ২০০২
> ধ্রুবক - প্রকাশকাল: ২০০৩
> অসমাপ্ত :১ - প্রকাশকাল: ২০০৮


অর্থহীন ব্যান্ডের প্রকাশিত এল্যাবাম গুলো নিচের ডাউনলোড লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।।।

http://bit.ly/aurthohin

অর্থহীন অসমাপ্ত-২ ডাউনলোড লিঙ্ক

অর্থহীন অনেক প্রতিক্ষার পর অসমাপ্ত-২ নাম এর একটি মিউজিক অ্যালবাম বের করেছে।এই অ্যালবামটির আগে অসমাপ্ত-১ নাম এর একটি অ্যালবাম তারা বের করেছিল যা অনেক সারা পেয়েছিল গান প্রেমিকদের কাছে।এবার তাদের অসমাপ্ত ২ দিয়ে আবারও কাপিয়ে দিতে চায় অর্থহীন । আমি সেই অ্যালবাম টি নিয়ে হাজির হলাম টিটি এর ময়দান এ। যে যে ডাউনলোড করতে চান করে নিন নাহলে আপনার আগে আপনার আরেক বন্ধু পেয়ে যাবে অ্যালবাম তি।তখন আপনি মনে মনে বলবেন ঈশ আর একটু আগে যদি ডাউনলোড দিতে পারতাম। তো তারাতারি ডাউনলোড করে নিন।

অসমাপ্ত-২

oshomapto-2

aoshomapto-2

Album: Aushomapto 2
Band: Aurthohin
Artist: Shishir, Rafa, Kamal & Bassbaba Shumon
Banner: DLM (Deadline Music)
Sponsor: Banglalink
Total Tracks: 12
Type: Mp3
Quality : OST
Bitrate: 128 Kbps & 320 Kbps
Ripper: S4T4∏1©
ট্রাক লিস্ট :

01 Uru Uru Mon

02. Alo R Adhar

03. Anmone 2

04. Jak Na

05. Golper Shuru (Odbhut Shei Cheleti)

06. Majhe Majhe

07. Abar

08. Akasher Tara

09. Shurjo

10. Cancer { এই গান টি টিপু ভাই কে উৎসর্গ করলাম }

11. Nikkristo 2

12. Bonus Track (Banglalink Tu

ডাউনলোড লিঙ্ক ১ [৩২০ Kbps

হ্যাকিং সম্পর্কে কিছু জানানোর ছোট্ট প্রয়াস।

হ্যাকার দলের প্রাথমিক 1980 হোম কম্পিউটার এর আবির্ভাব সাথে ঝঙ্কার, শুরু. পূর্বে যে শব্দটি হ্যাকার সহজভাবে ছিল কোন কম্পিউটার hobbyist একটা রেফারেল. হ্যাকার গ্রুপ হত নিজেদের জন্য নাম করা, এবং প্রায়ই নিজেদের প্রেস দ্বারা উত্সাহিত উপর. এ সময় ফাটান একটি পূর্ণবিকাশ, পূর্বে কম্পিউটার অপরাধের বিরুদ্ধে অনেক আইন আছে.
হ্যাকার দলের তথ্য এবং সম্পদ ব্যবহার, এবং একটি অন্য সদস্যদের থেকে শিখতে দেওয়া. Hackers একটি অভিজাত গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হচ্ছে দ্বারা বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারে.
এবং প্রায়শই ব্যবহৃত বিশেষ শব্দপ্রকরণ; হ্যাকার গ্রুপ প্যারডি বৃহত্, সরকার, পুলিশ এবং অপরাধীর নাম.

এখানে উল্লেখযোগ্য হ্যাকার দলের তালিকা.
• Anonymous 2003 সালের মূল hackers একটি গ্রুপ.
• LulzSec, hackers উদ্ভব 2011 এবং disbanding থেকে "lulz জন্য" হ্যাক করেছে বলে দাবি করে এই গ্রুপ.
• Chaos Computer Club, জার্মানী ও অন্যান্য জার্মান-দেশে এবং ভিত্তিক বর্তমানে বেশী 9,000 সদস্যদের হয়েছে.
• Legion of Doom, একটি 1980 সাল থেকে 1990 এর দশকের শেষে এবং প্রারম্ভিক 2000 থেকে হ্যাকার গ্রুপ সক্রিয় রায় এর. ধূর্ততা এর

• Master, প্রাথমিক সদস্যপদ মিটিং লুপ-চারপাশ টেস্ট লাইনস উপর কাল্পনিক সহযোগিতায় থেকে যে RBOC ফোন সুইচ এবং বিভিন্ন মিনিকম্পিউটারও এবং mainframes থেকে টেলিফোন নেটওয়ার্ক পরিচালনা ব্যবহৃত হ্যাক নেতৃত্ব থেকে যেতেন.
• w00w00, বর্তমানে বৃহত্তম অলাভজনক বিশ্বের 30 জনের বেশী সক্রিয় অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা দল এক.
• TESO, ছিল একটি বিখ্যাত হ্যাকার গ্রুপ, অস্ট্রিয়া যার উত্পত্তি এবং দ্রুত হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক. এটা থেকে 1998 2004 ছিল সক্রিয়, এবং 2000 সাল নাগাদ এর শীর্ষ সময়, এটি ছিল একটি bugtraq মেইলিং লিস্টে কীর্তিকলাপ উল্লেখযোগ্য ভাগ জন্য দায়ী.
• L0pht, 1992 এবং 2000 এবং বস্টন অবস্থিত মধ্যে ছিল একটি হ্যাকার সমষ্টিগত সক্রিয়, ম্যাসাচুসেট্স এলাকা.
মৃত গরুর এর • ধর্মবিশ্বাস, CDC বা CDC যোগাযোগ নামেও পরিচিত, একটি কম্পিউটার হ্যাকার এবং 1984 সালে DIY মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের Lubbock, টেক্সাস প্রতিষ্ঠিত.
• milw0rm হয় "hacktivists" Bhabha পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র (BARC) মুম্বাই এর কম্পিউটার তীক্ষ্ন জন্য পরিচিত একটি গোষ্ঠী.
• TeaMp0isoN হয় কালো টুপি কমপিউটার Hackers একটি গ্রুপ মাঝামাঝি 2009 প্রতিষ্ঠিত
• Decocidio একটি বেনামী, স্বশাসিত hacktivists যা পৃথিবীর প্রথম!, একটা শব্দমূল পরিবেশগত প্রতিবাদ প্রতিষ্ঠান, এবং মেনে চলে৷ জলবায়ু বিচারপতি এক্সন অঙ্গ সমষ্টিগত
• Goatse নিরাপত্তা (GoatSec) একটি আলগা বুনা, নয় ব্যক্তি ধূসর টুপি হ্যাকার গ্রুপ নিরাপত্তা সংক্রান্ত ত্রুটিগুলি উন্মোচন যে বিশিষ্ট.
• Global kos ছিল একটা ধূসর টুপি (কালো টুপি পক্ষপাতী) কম্পিউটার 1996 থেকে হ্যাকার গ্রুপ 2000 মাধ্যমে সক্রিয়.
• globalHell ছিল hackers একটি গোষ্ঠী, প্রায় 60 ব্যক্তি গঠিত. গ্রুপ 1999 সালে বিযুক্ত, যখন 12 সদস্যদের কম্পিউটার ক্ষুদ্রতর অপরাধের জন্য অনুপ্রবেশের এবং 30 জন্য শাস্তিদান ছিল.
• Hackweiser একটি ভূগর্ভস্থ ফাটান গ্রুপ এবং ফাটান পত্রিকা 1999 সালে প্রতিষ্ঠিত.
• Honker ইউনিয়নের একটি গ্রুপ hacktivism জন্য পরিচিত, মেনল্যান্ড চীন, যার সদস্যদের ওয়েবসাইটের উপর আক্রমণের একটা যুক্তরাষ্ট্র ধারাবাহিকটি বেশিরভাগ সরকার সংক্রান্ত সাইট চালু মধ্যে প্রধানত বর্তমান.
• Level Seven 90 করার মধ্য সময় ছিল একটি ফাটান গ্রুপ. প্রথম 2000 সালে অবশেষে dispersing যখন নামমাত্র মাথা 'অভিব্যক্তি' FBI দ্বারা ফেব্রুয়ারি 25, 2000 raided ছিল.
• NCPH একটি চীনা হ্যাকার গ্রুপ সিচুয়ান প্রদেশে Zigong ভিত্তিক আউট. যদিও প্রথম গ্রুপ ফাটান চীন মধ্যে হ্যাকার অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইট 40% পরে কুখ্যাতি অর্জন, তাদের আক্রমণ কুতর্ক এবং কুখ্যাতি মধ্যে বেড়ে 2006 এবং 2007 সালের প্রথম আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নজর প্রাপ্তি

কিভাবে Android PC তে চালু করবেন…….


আমরা সবাই জানি যে Android হল recently সবচেয়ে বহুল প্রচলিত mobile operating system. এটি আক্টি google এর operating.

but একটু কস্ত করলে আমরা এই system টি আমাদের Computer e o Install করতে পারি।

এর জন্নে যে যে tool লাগবে তা 1st এ লিখে দিচ্ছি।

১। Android SDK tool.

২। Android operating iso.

৩। Unzipping tool.

এবার সুরু করা যাকঃ

1st এ Android SDK tool টি Download করে নেই। >>DOWNLOAD<<

এটি একটি ZIP file.

1st এ এটিকে unzip করতে হবে।একটি ছট্ট unzip tool দিয়া দিলাম। >>DOWNLOAD<< OR >>DOWNLOAD<<

এর পর এতি ক আর Install করতে হবে না।

এর পর SDK Manager টি Open করুন।

এটি automatic update খুজে নেবে।

এ সময় Internet সচল রাখতে হবে।

আখন আপডেট থেকে

1. Android SDK platform-tools

2. Android 4.0(API14)

এই ২ টি file Install করতে হবে।

বলে রাখা ভালো। সম্পুরনো Download করতে ১gb net খরচ হবে। এবং ১ ঘন্টা সময় লাগবে(for banglalion 1mb speed)

Install শেষ হলে AVD Manager open করুন

Android virtual Manager নামের এক্তি box open হবে।

New button এ click করুন।

name: যে কন একটি নাম দিন।

target: Android 4.0(API Level 14)

এর পর click creat AVD.

দেখবেন আপনার দেয়া name এ এক্টি Virtual device creat হয়েছে।

এটি তে click করুন এবং Start e click করুন।

Yahooooooooooooo. Android is Open now.

আর একটি কথা। এতা চালু করতে জাভা Install করা লাগতে পারে।

Download java 7.0 here.

ধন্নবাদ।

Saturday, November 26, 2011

ঈসা (আঃ) এর মৃত্যু

ঈসা (আঃ) এর মৃত্যু

নুযূলে মসীহ্‌ নবীউল্লাহ্‌


মসীহ্‌ বিভ্রাট

সহী হাদীস পাঠে জানা যায় যে, আখেরী জামানায় যখন মুসলমান জাতি অধঃপতনের চরম স্তরে গিয়ে পৌঁছবে, সারা বিশ্বে বিকৃত খ্রীস্টান ধর্ম প্রসার লাভ করবে এবং সমগ্র জগতে যখন ব্যাপকভাবে যুদ্ধ-বিগ্রহ চলতে থাকবে তখন ক্রুশীয় মতবাদকে বাতিল এবং যুদ্ধ-বিগ্রহ রহিত করে বিশ্বে শান্তি স্থাপন করবার উদ্দেশ্যে মসীহ্‌ নবীউল্লাহ্‌ আগমন করবেনতাঁর শুভাগমনে ইসলাম নব জীবন লাভ করে সারা দুনিয়ায় সুপ্রতিষ্ঠিত হবেএ সম্বন্ধে কয়েকটি হাদীস হলঃ

  • (১) ইউশেকুমান আশামিনকুম আইয়ালকা ঈসাবনা মারয়ামা ইমামান মাহ্দীয়ান ওয়া হাকামান আদলান ফাইয়াক সেরুসসালীবা ওয়া ইয়াকতুলুল খিনজিরা ওয়া ইয়াযায়াল হারবা(মসনদ আহ্‌মদ হাম্বল, জিল্‌দ-২, পৃঃ৪১১) অর্থঃ- তোমাদের (মুসামানদের) মধ্যে (তখন) যারা জীবিত থাকবে তারা অচিরেই ঈসা ইবনে মরিয়ম রূপে ইমাম মাহ্‌দীকে ন্যায়-বিচারক মীমাংসাকারীরূপে আসতে দেখবেতিনি ক্রুশ ভঙ্গ করবেন, শূকর বধ করবেন ও যুদ্ধ রহিত করবেন
  • (২) কাইফা তাহ্লেকু উন্মাতুন আনা ফি আউয়ালিহা ওয়াল মাসীহু ফি আখিরিহা(মেশকাত ও জামেউসসাগীর সাইউতি, জি-২, পৃঃ ১০৬) অর্থঃ- কি করে ধ্বংস হবে আমার উম্মত যার প্রথম দিকে আমি রয়েছি এবং শেষ দিকে মসীহ রয়েছেন
  • (৩) কাইফা আনতুম ইযা নাযালাবনু মারয়ামা ফিকুম ওয়া ইমামুকুম মিনকুম(বোখারী)অর্থঃ- কেমন হবে তখন যখন ইবনে মরিয়ম নাযিল হবেন, তোমাদের মধ্য হতে তোমাদেরই ইমাম হয়ে?

এ ধরণের আরও বহু রেওয়ায়াত হাদীস গ্রন্থে বিদ্যমান আছে

এই প্রতিশ্রুত ঈসা নবীউল্লাহ্‌র আগমন সম্বন্ধে যদিও সমগ্র উম্মত একমত, কিন্তু শেষ যুগে ইসলাম-তরীর কর্ণধার এই মহাপুরুষের সত্য পরিচয় সম্বন্ধে যথেষ্ঠ ইখতেলাফ রয়েছেগয়ের আহ্‌মদীগণ বলেন, এই প্রতিশ্রুত মসীহ্ নবীউল্লাহ্ হলেন বনীইস্রাঈলী নবী হযরত ঈসা (আঃ)কিন্তু আহ্‌মদী জামা'ত নিম্নবর্ণিত কারণে এই বিশ্বাসের সমর্থন করেন না

ঈসা (আঃ) মৃত

ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যু সম্বন্ধে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত আছেযথা-

  • ইহুদীদের বিশ্বাসঃ ইহুদীদের বিশ্বাস এই যে, ঈসা (আঃ) নবুওয়তের মিথ্যা দাবীদার ছিলেনএ জন্য তৌরাতের ব্যবস্থা (দ্বিতীয় বিবরণ- ২১:২৩ দ্রষ্টব্য) অনুযায়ী তাঁকে শূলে দিয়ে অভিশপ্ত করে বধ করা হয়েছে
  • খ্রীস্টানদের বিশ্বাসঃ খ্রীস্টানরা বিশ্বাস করে যে, ঈসা (আঃ) খোদার পুত্র ছিলেনতিনি পাপী মানব জাতির পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য শূলে অভিশপ্ত মৃত্যুবরণ করে তিন দিন পর পুনরায় জীবিত হয়ে আকাশে উঠে খোদার দক্ষিণ পার্শ্বে বসে আছেন- (ইব্রীয়- ৯:২৭,২৮, মার্ক-১৬:১৯ দ্রষ্টব্য)
  • গয়ের আহ্‌মদীদের বিশ্বাসঃ গয়ের আহ্‌মদীদের বিশ্বাস এই যে, ঈসা (আঃ) আল্লাহর এক নবী ছিলেনতাঁকে ইহুদীগণ শূলে দিয়ে বধ করতে চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আল্লাহ্ তাঁকে উঠিয়ে চতুর্থ আকাশে নিজের কাছে নিয়ে গিয়েছেনআর ঈসা (আঃ)-এর আকৃতি বিশিষ্ট অন্য এক ব্যক্তিকে শূলে দিয়ে বধ করেছে
  • আহ্‌মদীদের বিশ্বাসঃ আহ্‌মদীগণ বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহ্‌র নবী ঈসা (আঃ)-কে ইহুদীরা অভিশপ্ত করে বধ করবার জন্য শূলে দিয়েছিলকিন্তু তিনি শূলে প্রাণত্যাগ করেন নিশিষ্যদের চেষ্টা মুর্ছিত অবস্থায় শূল থেকে নামবার পর বহু বৎসর জীবিত থেকে তিনি স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন

কোরআনের কষ্টি পাথরে

আমরা এখন কোরআনের আলোকে আলোচনা করে দেখব যে, এই চার প্রকার বিশ্বাসের মধ্যে কোন্‌টি সত্য

পবিত্র কোরআনের সূরা নেসার ২২ রুকূতে আল্লাহ্ তাআলা ইহুদীদের দাবী উল্ল্যেখ করে বলেন, ‘ওয়া কাউলিহিম ইন্না কাতাল নাল মাসীহা ঈসাবনা মারয়ামা রাসূলাল্লাহি’- অর্থাৎ ‘(ইহুদীগণ) বলে আমরা বধ করেছি আল্লাহ্‌র রসূল (হওয়ার দাবীদার) মরিয়ম পুত্র মসীহ্‌কেএর প্রতিবাদে আল্লাহ্ বলেন, ওয়া কাতালুহু ওয়াম সাবাবুহু ওয়াকিন শুব্বিহা লাহুম, অর্থঃ- তারা (ঈসাকে) কতল করে নাই, শূলে দিয়েও বধ করে নাই তবে তদ্রুপই অর্থাৎ মৃতবৎ মনে হয়েছিলএই আয়াতে ইহুদী এবং খ্রীষ্টানদের ভ্রান্ত বিশ্বাস খন্ডন করে আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন যে, ইহুদীরা ঈসাকে হত্যা করতে পারেনি এবং শূলে দিয়ে অভিশপ্তও করতে পারেনি, তবে শূলে ঈসাকে মৃত মনে করা হয়েছিলকেউ কেউ বলেন, “ওমা সালাবুহুবাক্য দ্বারা বুঝা যায় যে, ঈসা (আঃ)-কে শূলে দেয়া হয়নিকিন্তু তা ঠিক নয়, কেননা, আরবীতে সালাবাশব্দ শূলে দিয়ে মারা এবং হাড় চুর্ণ করা অর্থে ব্যবহৃত হয় (আরবী অভিধান দ্রষ্টব্য)বাংলাতেও এরূপ ব্যবহার আছেযেমন, যদি বলা হয় অমুক ব্যক্তির ফাঁসী হয়নি তবে এর অর্থ হবে, ঐ ব্যক্তির ফাঁসীতে মৃত্যু হয়নিকোন ব্যক্তিকে ফাঁসীকাষ্ঠে উঠিয়ে আবার নামিয়ে দিলে তাকে ফাঁসী হওয়া বলে নাআরবীতে সালাবার ব্যবহারও এইরূপঅতএব ওমা সালাবুহুদ্বারা প্রমাণ হয় যে, ঈসা (আঃ)-এর শূলে মৃত্যু হয়নিএবং তাঁর হাড়ও চুর্ণ হয় নাই (যোহন- ২৯:৩৬ দ্রষ্টব্য) এর কয়েক আয়াত পর আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, ‘বার্রাফা হুল্লাহু ইলাইহীঅর্থঃবরং আল্লাহ্ উদ্ধরণ করেছেন (ঈসাকে) নিজের দিকেএই আয়াতকে সম্বল করে একদল লোক ঈসা (আঃ)-এর আকাশে জীবিত থাকা বিশ্বাস করেঅথচ, এই আয়াত দ্বারা কোন প্রকারেই তাঁর আকাশে উঠা প্রমাণ হয় নাইহুদীগণ ঈসা (আঃ)-কে শূলে বধ করে অভিশপ্ত প্রমাণ করতে চেয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ্ তাঁকে এই প্রকার মৃত্যু থেকে রক্ষা করেছেন এবং আত্মিকভাবে নিজের দিকে উন্নীত করেছেন আরবী রাফাশব্দ দ্বারা কেবল দৈহিকভাবে উপরে উঠান বুঝায় না, বরং এর দ্বারা আত্মিক উন্নতিও বুঝিয়ে থাকেপবিত্র কুরআন ও হাদীসে এই জাতীয় বহু ব্যবহার বিদ্যমান রয়েছে বালয়াম বাউর সম্বন্ধে সূরা আরাফের বাইশ রুকুতে আল্লাহ্ বলেন, ‘ওয়াওশিনা লারাফানাহু বিহা ওলা কিন্নাহু আখলাদা ইলাল আরযেঅর্থঃ আর আমরা যদি চাইতাম তা হলে তাকে উন্নীত করতাম কিন্তু সে মর্ত্যের দিকে ঝুকে গেলএখানে রাফাঅর্থ কেউই আকাশে উঠা করবে নাসূরা মরিয়মের চার রুকূতে আল্লাহ্ ইদ্রীস (আঃ) সম্বন্ধে বলেন, ‘ওয়া রাফানাহু মাকানান আলীয়াঅর্থঃ আমি তাকে এক উচ্চ মকামে উন্নীত করেছিলামএখানেও রাফাদ্বারা সশরীরে উর্ধ্বে উঠা বুঝায় নাসূরা নূরের পঞ্চম রুকুতে আছে, ‘ফি বুয়ুতিন আজিনাল্লাহু আন তুরায়া ওয়া ইউয কারা ফি হাসমুহুঅর্থঃ (আল্লাহ্‌র নূর) এমন ঘরগুলিতে আছে, যেগুলির উন্নতির আদেশ আল্লাহ্ দিয়েছেন

সহী মুসলিম শরীফে আছে, ‘ওমা তওয়াজায়া আহাদুনলিল্লাহি ইল্লা রাফ��য়াল্লাহ্ অর্থাৎ, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র জন্য বিনয়ী হয় আল্লাহ্ তাকে উন্নীত করেনএই হাদীসে প্রত্যেক বিনয়ী এবং নম্র মুমিনের রাফাহবে বলে রসূল করীম (সাঃ) বলেছেন অথচ, ঈসা (আঃ) সম্বন্ধে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ্ তাঁকে নিজের দিকে রাফাকরেছেন

আমরা সকলেই জানি আল্লাহ্ অসীম ও নিরাকারতিনি সর্বত্র বিরাজমানপবিত্র কোরআনে আল্লাহ্ বলেন, ‘ওয়া নাহনু আকরাবু ইলাইহী মিন হাবলিল অরিদঅর্থৎ আমি মানুষের জীবন শিরা থেকেও নিকটে (কাফ, রুকূঃ ২)ওয়া হুয়া মায়াকুম আইনামা কুনতুমঅর্থঃ তোমরা (সৃষ্টি) যেখানে আমিও সেখানে, (হাদীদ, রুকুঃ ১) ওয়াসিয়া কুরসিউহুস সামাওয়াতে ওয়াল আরযেঅর্থঃ আল্লাহ্‌র অবস্থিতি গগন-ভুবন ব্যাপীয়া, (বাকারা, রুকূঃ ৩৪)হাদীসে আছে, ‘কুলুবুল মুহমিনীনা আরশুল্লাহঅর্থঃ বিশ্বাসীর অন্তরে আল্লাহর আসনঅতএব, আল্লাহর দিকে উঠিয়ে নেওয়ার অর্থ আকাশে উঠান কখনও হতে পারে নাআল্লাহর দিকে উদ্ধরণ অর্থে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা বুঝায়যেমন, কোরআনের অন্যত্র ঈসা (আঃ) সম্বন্ধে বলা হয়েছে, ‘ওয়ামিনাল মুকাররাবিনঅর্থাৎ ঈসা নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্তর্গত (আলে ইমরান, রুকূঃ ৫)

মানুষ আকাশে যেতে পারে না

সূরা বনী ইসরাঈলের দশ রুকূ পাঠে জানা যায় যে, কাফেরগণ আঁ হযরত (সাঃ)-কে কতিপয় অলৌকিক কার্য করে দেখাতে বলেছিলতন্মধ্যে একটি ছিল আউ তারকা ফিসসামায়ীবা তুমি আকাশে উঠে দেখাওএর উত্তরে আল্লাহ্ তাআলা আঁ হযরত (সাঃ)-কে বললেন, ‘কুল সুবহানা রাব্বি হাল কুনতু ইল্লা বাশারার্রাসুলা’, অর্থঃ তুমি এদেরকে বলে দাও যে, আমার প্রভু এই সকল (অনর্থক কার্য করা) থেকে পবিত্র, আর আমি মানুষ রসূল ব্যতিরেকে অন্য কিছু নইঅর্থাৎ মানুষ রসূলের পক্ষে এই সকল কাজ করা আল্লাহ্‌র নীতি বিরুদ্ধএই আয়াত দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে, কোন মানুষের পক্ষে যদিও বা তিনি, আল্লাহ্‌র রসূল হন তবুও আকাশে যাওয়া পবিত্র খোদার আইন বিরুদ্ধঅতএব, পবিত্রময় প্রভুর পক্ষে তাঁর এই আদেশের খেলাফ কাকেও আকাশে উঠান সম্ভবপর নয় ওলা তাজিদু লিসুন্নাতিনা তাহবিলা(বনী ইসরাঈল, রুকূঃ ৮)অর্থাৎ আল্লাহ্‌র নিয়মের কখনও ব্যতিক্রম হয় না

কোরআনে ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যু প্রমাণ

ইহুদীরা যখন ঈসা (আঃ)-কে শূলে দিল তখন তিনি এই অভিশপ্ত মৃত্যু থেকে রক্ষা পাবার জন্য কাতরভাবে প্রার্থনা করতে লাগলেন, এলী এলী লামা সবক্তানী (মথি- ২৭:৪৬ দ্রষ্টব্য)

আল্লাহ্ তাআলা ঈসা (আঃ) কে সান্ত্বনা দিয়ে বললেনঃ ইয়া ঈসা ইন্নি মুতাওওয়াফফিকা ওয়া লাফেউকা ইলাইয়া ওয়া মুতাহহেরুকা মিনাল্লাযীনা কাফারূঅর্থঃ হে ঈসা! আমি তোমাকে মৃত্যু দিব (অর্থাৎ বিরুদ্ধবাদীরা তোমাকে বধ করতে পারবে না) আমার দিকে উদ্ধরণ করব এবং কাফেরদিগের (অপবাদ) হতে তোমাকে পবিত্র করব (আলে ইমরান, রুকু ৬) এই আয়াতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, ঈসা (আঃ) এর স্বাভাবিক মৃত্যুর পর আল্লাহ্ নিজের দিকে তাকে রাফাবা উদ্ধরণ করবেন এবং কাফেরদিগের মিথ্যা ইলজাম থেকে রক্ষা করবেনকিছুক্ষণ পূর্বে আমরা সুরা নেসায় পাঠ করে এসেছি যে, ইহুদীদের মিথ্যা দাবী খন্ডন করে আল্লাহ্ বলেছেন যে, ঈসা (আঃ)-এর রাফাহয়ে গিয়েছে অতএব এর দ্বারা প্রমাণ হল যে, আল্লাহ্‌র ওয়াদানুযায়ী প্রথম ঈসা (আঃ)-এর ওফাত বা মৃত্যু হয়েছে, অতঃপর আল্লাহ্‌র দিকে রাফাবা উদ্ধরণ হয়েছে এবং এতে কাফেরদিগের মিথ্যা ইলজাম থেকে তাঁকে পবিত্র করা হয়েছেঅনেকে বরেন মুতাওওয়াফফিকা অর্থ মৃত্যু নয়কিন্তু তা ঠিক নয় পবিত্র কোরআনের সর্বত্র তাওওয়াফফীমৃত্যু অর্থে ব্যবহৃত হয়েছেযেমন, ‘ওয়াল্লাযিনা ইউতাওওয়াফফাওনা মিনকুমঅর্থঃ আর তোমাদের মধ্যে যারা মরে যায় (বাকারা রুকু, ৩১) ওয়া তাওওয়াফফানা মায়াল আবরার, অর্থঃ আর আমাদিগকে সৎ ব্যক্তিদের সঙ্গে মৃত্যু দাও (আলে ইমরান, রুকু ২০)হাত্তা ইযা জায়া আহাদাকুমুল মাওতু তাওয়াফফাতহুঅর্থঃ আল্লাহর প্রেরিত ফেরিশতা মৃত্যু ঘটায় (আনআম, রুকু ৮) রাব্বানা আফরিদ আলায়না সাবরাওঁ ওয়া তাওওয়াফফানা মুসলিমীনঅর্থঃ হে আমাদের প্রভু! আমাদিগকে ধৈর্য দান কর এবং মুসলমান অবস্থায় আমাদিগকে মৃত্যু দান কর তফসীর বয়জবী, আবু সউদ, কবীর, ইবনে জরীর, কাতাদা ইবনে কসীর, ফারা, রুহুল বয়ান প্রভৃতিতেও মুতাওওয়াফফিকাঅর্থ মৃত্যু করা হয়েছে আরবী ভাষায় বিখ্যাত অভিধান তাজুল উরুস, লেসানুল আরব ও কামুসেও এর অর্থ মৃত্যু লিখা রয়েছে সহী বোখারী কিতাবুত তফসীরে বর্ণিত হয়েছে যে, কালা ইবনে আব্বাসিন মুত্তাওওয়াফফিকা মুমিতুকা অর্থঃ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, মুতাওওয়াফফিকা অর্থ মৃত্যু আমরা জানাযার দোয়ায় বলে থাকি, ‘ওমান তাওওয়াফফায়তাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু আলাল ঈমানেঅর্থাৎঃ হে আল্লাহ্! যদি আমাদেরকে মৃত্যু দাও তা হলে ঈমানের সঙ্গে মৃত্যু দিওআহ্‌মদীয়া জামাতের পবিত্র প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আঃ) চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন যে, যদি রাত্রি এবং নিদ্রার সম্পর্ক বিদ্যমান না থাকে আর আল্লাহ্ কর্তা হন তা হলে তাওওয়াফফীঅর্থ মৃত্যু ব্যতিরেকে যদি অন্য কিছু হয় বলে কেউ আরবী সাহিত্য থেকে প্রমাণ করতে পারেন তা হলে তিনি সেই ব্যক্তিকে এক সহস্র টাকা পুরস্কার দিবেন (ইযালায়ে আওহামঃ ৩৭৫ পৃঃ) কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউই প্রমাণ পেশ করতে সক্ষম হন নিআমরা হঠকারীদেরকে পুনরায় আহবান জানাচ্ছি যে, যদি তারা পারেন তাহলে প্রমাণ পেশ করে আমাদের নিকট থেকে ঐ টাকা নিয়ে যেতে পারেনওমা মুহাম্মাদুন ইল্লা রাসূলুন কাদ খালাত মিন কাবলিহির রুসুলু আফা ইম্মাতা আওকুতিলান কালাবতুম আলা আকাবিকুম(আলে ইমরান, রুকূঃ ১৫) অর্থঃ মোহাম্মদ রসূল ব্যতিরেকে অন্য কিছু নহে, আর পূর্বের সকল রসূল মরে গিয়েছে, অতএব, যদি সে মরে যায় অথবা কতল হয় তা হলে কি তোমরা পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে? এখানে খালাতশব্দ ব্যবহৃত হওয়ায় ঠিক নয়, কেননা, আয়াতে গত হওয়ার দুটি পথ বর্ণনা করা হয়েছে যথা, মৃত্যু এবং কতল, অর্থাৎ পূর্ববর্তী নবীগণ এই দুই ভাবেই গত হয়েছেন, অতএব নবী মোহাম্মদ (সাঃ)ও যদি এইরূপে গত হয়ে যান তাহলে কি মুসলমানগণ মুরতাদ হয়ে যাবে? এই বলে আল্লাহ্ প্রাথমিক মুসলমানদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন

আরবী ভাষার সর্ব বৃহৎ অভিধান তাজুল উরুসে আছে, ‘খালা ফলানুনবললে এর অর্থ হয়, অমুক ব্যক্তি মরে দিয়েছেসহী বোখারী দ্বিতীয় খন্ডে আছে, আঁ হযরতের যখন মৃত্যু হল তখন হযরত ওমর (রাঃ) বলতে লাগলেন, ‘যে ব্যক্তি বলবে রসূলের ওফাত হয়েছে, আমি তার শিরচ্ছেদ করবএর পর হযরত আবূ বকর (রাঃ) এসে আঁ হযরতের মুখের চাদর উন্মোচন করে দেখলেন এবং বাইরে এসে সকলকে সম্বোধন করে উপরে বর্ণিত আয়াত পাঠ করলেনঅর্থাৎ এই আয়াত পাঠ করে তিনি সকলকে জানিয়ে দিলেন যে, পূর্ববর্তী সকল নবীর ন্যায় হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)ও মৃত্যু প্রাপ্ত হয়ে গত হয়ে গিয়েছেনএর পর বললেন, ‘ইয়্যা আইয়্যুহাননাসু মান কানা মিনকুম ইয়াবুদু মুহাম্মাদান ফাকাদমাতা ওমান কানা ইয়্যাবূদুল্লা ফা ইন্নাল্লাহা হাইয়্যুন লা ইয়ামূতুঅর্থাৎঃ হে লোক সকল! যারা মোহাম্মদের উপাসনা করতে তারা জেনে রাখ যে, তিনি মরে গেছেন আর যারা আল্লাহর উপসনা কর তারা জানবে তিনি চিরঞ্জীব,তিনি মরবেন নাতখন ঈসা (আঃ) জীবিত আছেন বলে কেউই প্রতিবাদ করলেন নাঅতএব, এই আয়াতে খালামৃত্যু অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছেঈসা (আঃ)-এর পূর্ববর্তী নবীদের সম্বন্ধেও এইরূপ খালাশব্দ প্রয়োগ করা হয়েছেযথাঃ মাল মাসীহুবনু মারয়ামা ইল্লা রাসূলুন কাদ খালাত মিন কাবলিহির রসূলঅর্থঃ মসীহ ইবনে মরিয়ম একজন রসূল ব্যতীত অন্য কিছু নহে, তার পূর্ববর্তী সকল রসূলই গত হয়ে গিয়েছে(মায়েদা, রুকূঃ ১০) এখানে ঈসা (আঃ)-এর পূর্ববর্তী নবীগণ যেভাবে গত হয়ে গিয়েছেন ঠিক সেই ভাবে আঁ-হযরত (সাঃ)-এর পূর্বের নবীগণও গত হয়ে গিয়েছেনঅতএব ঈসা (আঃ)-এর জীবিত থাকার আর কোন প্রশ্নই উঠতে পারে না

উপরে উল্লিখিত সুরা মায়েদার আয়াতে আরও বলা হয়েছে,‘ওয়া উম্মুহু সিদ্দিকাতুন কানা ইয়াকুলানিত্‌ তায়ামাঅর্থঃ (ঈসার) মাতা এক সাধ্বী রমণী ছিল, তারা উভয়েই (ঈসা ও মরিয়ম) খাদ্য খেত (মায়েদা, রুকূঃ ১০)এখানে বলা হয়েছে যে, ঈসা ও তার মা খাদ্য খেতেন অর্থাৎ এখন আর খান নাঅথচ আল্লাহ্ বলেন,‘ওমা জায়ালনাহুম জাসাদল লাইলা কুলুনাত্‌ তায়ামা ওমা কানু খালীদিনঅর্থঃ: আল্লাহ্ তার রসুল দিগকে এমন দেহ দেন নাই যে,তাঁরা না খেয়ে বাঁচতে পারে; আর না তার অস্বাভাবিক দীর্ঘ আয়ুর অধিকারী ছিল (আম্বিয়া রুকূঃ ১) এই আয়াতে ঈসা (আঃ)-এর না খেয়ে দুই হাজার বৎসর জীবিত থাকা মিথ্যা বিশ্বাশকে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছেসুরা আম্বিয়ার তৃতীয় রুকুতে আছে,‘ওমা জায়ালনা লিবাশিম মিন কাবলিকাল খলদা আফা ইম্মিত্তা ফা হুমুল খালেদুনঅর্থঃ: আর (হে মোহাম্মদ!) তোমার পুর্বে কোন মানুষকেই আমি অস্বাভাবিক দীর্ঘায়ু দান করিনিঅথচ তুমি মরে যাবে আর অন্যরা জিবিত থাকবে? এর দ্বারাও ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যুই প্রমান হয়কিন্তু আশ্চর্য ! এর পরেও আমাদের গয়ের আহ্‌মদী ভাইয়েরা হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে মৃত এবং ঈসা (আঃ) কে জীবিত মনে করে থাকেনঈসা (আঃ) নিজের সম্বন্ধে বলেন,‘ওয়া আওসাইনী বিস সালাতি ওয়ায্‌ যাকাতি মা দুমতু হাইয়া’(মরিয়ম, রুকূঃ ২) অর্থঃ আল্লাহ্ আমাকে হুকুম করেছেন, যতদিন জীবিত থাকি ততদিন নামায পড়তে ও যাকাত দিতে দিনরাত যারা যাকাতের টাকার অন্বেষণে ঘুরে ফিরছে তারাও বলতে পারবেনা যে, ঈসা (আঃ) এখন যাকাত দিয়ে থাকেনঅতএব এর দ্বারাও প্রমান হয় যে ঈসা (আঃ) এখন আর জীবিত নেইকেননা, জীবিত থাকলেই নামায পড়া ও যাকাত দেয়া তাঁর উপর ফরজ বাধ্যতামূলক হবেসুরা নহলের দ্বিতীয় রুকুতে আছে, ‘ওয়াল্লাযিনা ইয়াদউনা মিনদুনিল্লাহি লা ইয়খলুকুনা শাইয়াওঁ ওয়াহুম ইউখলাকুন আমওয়াতুন গায়রু আহ্‌ইয়াইনঅর্থঃ তারা যাদেরকে খোদার পরিবর্তে আহবান করে থাকে তারা কিছুই সৃষ্টি করতে পারেনা বরং তারাও সৃষ্টএরা জীবিত নয় মৃত খ্রীষ্টানরা ঈসা (আঃ)-কে উপাস্যরুপে মান্য করে থাকেকিন্তু আল্লাহ্, বলেছেন যে এই সকল ঝুটা এবং কল্পিত উপাস্যগুলি জীবিত নয় বরং মৃতএই আয়াত দ্বারাও খ্রীষ্টানদের মাবুদ (ঈশ্বরপুত্র) ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যু প্রমাণ হয়সুরা মায়েদার শেষ রুকুতে বর্নিত হয়েছে যে, খ্রীষ্টানদের বর্তমান বিশ্বাস সম্বদ্ধে আল্লাহ্‌তাআলা ঈসা (আঃ)-কে জিজ্ঞেস করবেন যে, এইরূপ বিশ্বাস তিনি লোকদিগকে শিক্ষা দিয়েছেন কিনাতখন ঈসা(আঃ) বলবেন সুবহানাকা মাইয়া কুনুলি আন আকুলা মা লাইসালি বি হাক্কিন ইনকুন্তু কুলতুহু ফাসাদ আলিমতাহু তালামু মা ফি নাফসিকা ইন্নাকা আনাতা আল্লামুল গুয়োবমা কুলতু লাহুম ইল্লা মা আমার তানি বিহি আনি বুদুল্লাহা রাব্বি ওয়া রাব্বাকুম ওয়া কুনতু আলাইহিম শাহিদাম মা দুমতু ফিহিম ফালাম্মা তাওয়াফফায়তানী কুনতা আনতার রকিবা আলাহিম ওয়া আন্তা আলাকুল্লে শাইইন শাহীদঅর্থঃ পবিত্রময়! আমি কি করে তা বলবো যা বলার কোন হক আমার নেই আর যোদি বলেই থাকি তা হলে তুমিই জ্ঞাত আছ, তুমি জান আমার অন্তরে যা আছে কিন্তু আমি জানি না তোমার অন্তরের কথা, কেননা তুমিই একমাত্র অদৃশ্য সম্বদ্ধে জ্ঞাত আমি তা ই বলেছিলাম যা তুমি আমাকে বলতে আদেশ করেছিলে বলেছিলাম,উপাসনা কর আল্লাহর যিনি আমার এবং তোমাদের প্রভু, এবং এই বিষয়ে আমি সক্ষি ছিলাম,যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম, অতঃপর যখন তুমি আমাকে মৃত্যু দিলে তখন তুমিই পর্যবেক্ষক,আর তুমিইতো সর্ববিষয়ে সম্যক সাক্ষিএই আয়াত পাঠে জানা যায় যে, ঈসা (আঃ) যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন খ্রীষ্টানগন সৎপথে ছিল কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর তারা ঈসা (আঃ)-উপাস্য রূপে গ্রহন করেছেঈসা (আঃ)-কে জীবিত রাখার জন্য এখনও যারা শেষ চেষ্টা করছেন, তারা হয়ত বলবেন যে,এই কথোপকথন কেয়ামতের সময় হবে, এজন্য এর দ্বারা ঈসা (আঃ) এখন মৃত তা প্রমাণ হয়না কেননা কেয়ামতের পুর্বে তিনি আকাশ থেকে অবতরনকরবার পর মৃত্যুবরণ করবেনঅতএব, এখানে যখন আমাকে মৃত্যু দিলে দ্বারা অবতরণের পরবর্তীকালের মৃত্যুকে বুঝাচ্ছেএর উত্তর জেনে রাখা দরকার যে, খ্রীষ্টানগণ বহু পুর্বেই প্রকৃত শিক্ষা হতে দুরে সরে গিয়েছে, যদি সত্য সত্যই ঈসা (আঃ) আকাশ হতে অবতরন করে পুনরায় মর্ত্যে আগমন করেন তা হলে তিনি দেখতে পাবেন যে, খ্রীষ্টানগণ তাঁর অনুপস্থিতিতে ভ্রান্ত হয়েগিয়েছে এবং তাঁকে খোদার আসনে বসিয়ে পুজো করছেঅতএব, তিনি কিয়ামতের সময়ে বলতে পারবেন না যে খ্রীষ্টানগণ তাঁর মৃত্যুর পর সত্য ধর্ম হতে দুরে সরে গিয়েছেবরং তখন তাঁকে ফালাম্মা তাওয়াফফায়তানীস্থলে ফালাম্মা রাফাতানী ইলাস সামায়ী হাইয়া বলতে হবেঅর্থাৎ তাঁর জীবিত অবস্থায় আকাশে চলে যাওয়ার পর খ্রীষ্টানগন পথহারা হয়েছে বলতে হবেবোখারী শরীফের তৃতীয় খন্ডের কিতাবুত্‌ তফসীরে আছে ,রসুল করীম (সাঃ) কেয়ামতের দিনে তাঁর একদল সাহবীকে দোযখের দিকে নিয়ে যেতে দেখবেনতখন তিনি এরা আমার সাহাবীবলে আহবান করবেন, তখন তাঁকে বলা হবে যে, এরা আপনার মৃত্যুর পরে মুরতাদ হয়ে গিয়েছিলআঁ-হযরত (সাঃ) বলেন, ‘তখন আমি সেই উত্তরই দিব ,যে উত্তর ঈসা (আঃ) দিয়েছিলেনঅর্থাৎ কুনতু আলায়হিম শাহিদাম মা দুমতু ফিহীম ফালাম্মা তাওয়াফফায়েতানী কুনতা আনতার রকিবা আলায়হিম ইত্যদি এই হাদীস দ্বারা বুঝা গেল যে, রসুল করীম (সাঃ)-এর ওফাতের পর যেমন তাঁর কতিপয় সাহাবী মরতাদ হয়ে গিয়েছিল, তদ্রুপ ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যুর পরও তাঁর উম্মত সত্য ভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছেখাতামান্নাবীঈন হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ)-এর এই ব্যাখ্যার পর ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যু সম্মদ্ধে কোন প্রকৃত মুসলমানের আর কোন সন্দেহ থাকতে পারে না

হাদীসে ওফাতে ঈসা(আঃ)

আল্লাহ্‌ বলেন, ফাবি আইয়ে হাদিসীন বাদাল্লাহি ওয়া আয়াতিহী ইউমিনুন (জাসিয়া রুকু, ১) অর্থাৎঃ আল্লাহ্ এবং তাঁর আয়াতের বিরূদ্ধে আর কোন হাদীস গ্রহনীয় হবে ? অতএব উপরে আমর কুরআন শরীফ থেকে যে সব প্রমাণ পেশ করে এসেছি এর পর আর কোন হাদীসের উল্ল্যেখ না করলেও চলে,তবুও পাঠকের অবগতির জন্য কয়েকটি হাদীস নিম্নে উদ্ধৃতি করলামইতিপুর্বে আলোচনায় আমরা সহী হাদীস গ্রন্থ বোখারী থেকে তিনটি হাদীস পেস করে এসেছি

একটি হাদীসে দেখেছি যে, আঁহযরত (সাঃ) নিজের মৃত্যু সম্বন্ধে তাওওয়াফাফীশব্দ ব্যাবহার করেছেন, তাছাড়া ঐ হাদীসে তাওওয়াফ্‌ফীশব্দযুক্ত কোরআনের আয়াত পেশ করে তিনি ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যুর প্রমাণ করে দিয়েছেনঅন্যত্র রসুল করীম (সাঃ) বলেছেন, ‘লাও কানা মুসা ওয়া ঈসা হাইয়াইনী লামা ওয়া সিয়া হুমা ইল্লাত তিবায়ী(ইবনে কছির, জিলদ-২ পৃঃ২৪৬) অর্থঃ যদি মুসা ও ঈসা জীবিত থাকতেন তা হলে আমার অনুসরন ব্যাতিরেকে তাদের কোন গতি ছিল নাদেখুন, কেমন স্পষ্টভাবে এই হদীসে হযরত মুসা ও ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যুর কথা বর্নিত হয়েছেঅন্য একস্থানে নবী করীম (সাঃ) বলেন, ‘আন্না ঈসাইবনা মরিয়ামা আশা ইশরিনা ওয়া মিয়াতা সানাতিন(তিবরানী, কনযুল, ওম্মাল জিলদ, ৬ ও মুয়াহিবুদ দুনয়া, ১ম খন্ড, ৪২ পৃঃ) অর্থঃ ঈসা (আঃ) একশত বিশ বছর জীবিত ছিলেনএই হাদীস নবী করীম (সাঃ) এর কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন সহী হাদীসে আছে মিরাজে নবী করীম (সাঃ) ঈসা (আঃ) কে মৃত নবীদের মধ্যে দেখেছিলেন

বুযুর্গানে দীনের অভিমত

নবী করীম (সাঃ)-এর সাহাবাগণ ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যু হয়েছে বলে বিশ্বাস করতেন আঁ-হযরত (সাঃ)-এর মৃত্যুর পর খলীফা আউয়াল হযরত আবূ বকর (রাঃ) যে ভাষণ দিয়ে ছিলেন তাতে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর পূর্ববর্তী সকল নবীর ওফাত হয়েছে বলে উল্ল্যেখ করেছেনআর উপস্থিত সকল সাহাবী প্রতিবাদ না করে এর সমর্থন জ্ঞাপন করেছেন ঈসা (আঃ) একশত বিশ বৎসর জীবিত ছিলেন বলে হযরত ফাতেমা (রাঃ) বর্ণিত যে হাদীস ইতিপূর্বে উল্ল্যেখ করা হয়েছে তাতে বুঝা গেল যে, নবী করীম (সাঃ)-এর কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ) ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যুতে বিশ্বাসী ছিলেনহযরত ইমাম হাসান (রাঃ) বলেন, ২৭শা রমযানের রাত্রে হযরত ঈসা (আঃ)-এরও মৃত্যু হয়েছিল (তাবাকাত ইবনে সাদ, জিলদ ৩)এই সব বর্ণনা থেকে প্রমাণ হয় যে, রসূল করীম (সাঃ)-এর পরিবারের সকলই হযরত ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যুতে বিশ্বাস করতেনবোখারীতে ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যু প্রমাণকারী হাদীসগুলি ইমাম বোখারী (রাঃ) নিজ সহীতে লিপিবদ্ধ করায় প্রমাণ হল যে, তিনিও ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যুতে বিশ্বাসী ছিলেনইমাম মালেক (রঃ) ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যুতে বিশ্বাস করতেন (মজমাউল বেহার, জিলদ, , পৃঃ ২৮৬)ইমাম হাজম (রঃ) ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যু হয়েছে বলে বিশ্বাস করতেন (আলমুহল্লা, জিলদ, , পৃঃ ২৩) মুতাজিলা ফিরকার বিশ্বাস হযরত ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যু হয়ে গিয়েছে, (মজমাউল বয়ান, জিলদ ১)দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা কাসেম নানুতবী সাহেব বলেন, “হযরত আদম থেকে আরম্ভ করে যত নবী হয়েছেন সকলেই মৃত্যুবরণ করেছেন(লতায়েফ কাসেমীয়া, মুজতবায়ী প্রেস, দিল্লী, ২২ পৃঃ)

বর্তমান যুগের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অভিমত

মিশরের প্রাক্তন মুফতী আল্লামা রশিদ রেযা বলেছেন, ‘হযরত ঈসা (আঃ)-এর হিন্দুস্থানে হিজরত পূর্বক তথায় মৃত্যু হওয়া বিচার, বুদ্ধি ও ইতিহাসের বিরোধী নয় (রেসালা আলমিনার, জিলদ-৬, পৃঃ ৯০০, ৯০০১) কবি ইকবাল বলেন, ‘আহ্‌মদীদের বিশ্বাস যে, ঈসা (আঃ) একজন মরণশীল মানুষের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেছেন এবং তাঁর দ্বিতীয় আগমনের অর্থ আত্মিকভাবে তাঁর মসীল আসবেন, কতকটা যুক্তিসঙ্গত (আজাদ, উর্দূ, ৬ই এপ্রিল, ১৯৫১ ইংরেজী) আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকটর, আল্লামা শেখ মাহমুদ সালতুত মরহুম লিখেছেন, ‘কুরআন করীম এবং সহী হাদীস হতে আমরা এমন কোন প্রমাণ পাই না যার উপর ঈসা (আঃ) এর সশরীরে আকাশে উত্তোলিত হয়ে এখন পর্যন্ত জীবিত থাকা এবং শেষ যুগে পৃথিবীতে পুনরাগমন কাল পর্যন্ত বাঁচিয়ে থাকা সম্বন্ধে বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করা যেতে পারে’ (আল ফতোয়া, মিশর সংস্করণ, ৫৮ পৃষ্ঠা; মুজাল্লাতুল আজহার, ফেব্রুয়ারী ১৯৬২ ঈসাব্দ)মৌলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ সাহেব তাঁর তফসীরে ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন, (সূরা আল ইমরানের তফসীর দ্রষ্টব্য) জামাতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদী বলেন, ‘ঈসার (আঃ) জীবিত থাকা এবং সশরীরে আকাশে উত্তোলিত হওয়া নিশ্চিতভাবে প্রতিপন্ন নহে এবং কোরআনের বিভিন্ন আয়াত হতে এ বিষয়ে প্রতীতি জন্মে না(বক্তৃতা, ২৮শে মার্চ ১৯৫১ ঈসাব্দ)তিনি ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যুও স্বীকার করেছেন (তাফহিমুল কুরআন, ২য় খন্ড)

এছাড়াও খাজা হাসান নিযামী (আখবার মুনাদী, দিল্লী, ১৮ই সেপ্টেম্বর, ১৯৩৬, পৃঃ ১৬), মুফতী আবদুহু, আল্লামা নিয়াজ ফতেপুরী এবং আবুল কালাম আযাদও ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করেছেনজাহানে নওইসলামী আন্দোলন সংখ্যা, ১৯৬৯, ২৫ পৃঃ ও ৩৩ পৃষ্ঠায় ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যু স্বীকার করেবাংলা দৈনিক আযাদের ৩রা মে তারিখের সংখ্যায় মৌলানা মোন্তাসির আহমদ রহমানী, ৬ই মে তারিখে এবং মৌলানা ওলিউর রহমান মুহাদ্দিস ১০ই মে সংখ্যায় ও আফতাব আহমদ রহমানী এম, এ (আরবী), গোল্ড মেডেলিস্টও ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যু স্বীকার করেছেন (মোহাম্মদীঃ কার্ত্তিক, ১৩৭০ বাংলা হইতে উদ্ধৃত)রাবেতা আলমে ইসলামী, মক্কা থেকে একখানা ইংরেজী তফসীর প্রকাশ করেছেনএতেও ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যু স্বীকার করা হয়েছে (১৭৭-৮০)নবী শ্রেষ্ঠ- ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ১৩৫ পৃঃ, বিজ্ঞানে মুসলমানের দান, ১ম খঃ ১৫ পৃঃ ও দৈনিক ইনকিলাব ৪ চৈত্র, ১৩৯৩ তেও ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যু স্বীকার করা হয়েছে

ঈসা (আঃ)-এর জীবিত থাকার বিশ্বাস মুসলমানদের মধ্যে কোথা হতে আসল?

মথি, মার্ক, লুক এবং যোহন লিখিত সুমাচার ব্যতীত খ্রীস্টানদিগের আরও অনেকগুলি সুসমাচার ছিলসেগুলি জাল এবং কাল্পনিক বলে পরবর্তীকালে খ্রীস্ট সমাজ কর্তৃক পরিত্যাক্ত হয়এই সব সুসমাচারের মধ্যে বার্ণাবার সুসমাচার(Gospel according to Barnaba) একটিএতে লিখিত আছে, ভুলক্রমে ইস্করিয়োতীয় যিহুদাকেই ক্রশে বধ করা হয়েছিলযিহুদা যখন সৈন্য সামন্ত নিয়ে যীশুখ্রীস্টকে ধৃত করবার নিমিত্ত উপস্থিত হয়েছিল তখন বিপদ দেখে ঈশ্বর গাব্রিয়েল ও অন্যান্য স্বর্গদূতকে যীশুকে জগৎ থেকে তুলে নেবার আদেশ দিয়েছিলেনতিনি (যীশু) গৃহের মধ্যে ছিলেন, দুতগণ তাঁকে জানালা দিয়ে বের করেছিলেন এবং তৃতীয় স্বর্গে দুতগণের মধ্যে স্থাপন করলেন, যেন তিনি অনন্তকাল পর্যন্ত ঈশ্বরের স্তবগান করেন যখন শিষ্যগণ গৃহমধ্যে নিদ্রিত ছিলেন তখন যিহুদা সবিক্রমে তথায় প্রবেশ করল এবং সেই মুহূর্তে আশ্চর্য ঈশ্বর আশ্চর্য কার্য করলেন - যিহুদাকে আকৃতি ও কথাবার্তায় সম্পূর্ণ যীশুর মত পরিবর্তিত করলেন এবং আমরা (শিষ্যগণ) তাকে যীশু বলেই গ্রহণ করলামযিহুদা আমাদিগকে জাগ্রত করে প্রভুকে খুঁজতে লাগল, এতে আশ্চর্যান্বিত হয়ে আমরা (শিষ্যগণ বললাম, ‘প্রভু আপনিই তো আমাদের প্রভু, আপনি কি আমাদেরকে ভুলে গিয়েছেন’? সেও ঈষৎ হেসে উত্তর করল, ‘তোমরা কি এমন বোকা যে, আমাকে ঈস্করিয়োতীয় যিহুদা বলে চিনতে পারছ না?’ এই কথার পরেই সৈন্যগণ গৃহে প্রবেশ করে তাকে গ্রেফতার করল, কারণ সর্বতোভাবে তার চেহারা যীশুর চেহারার মত হয়েছিলযিহুদা যখন বাধা দান করল তখন সৈন্যদল অধৈর্য হয়ে তাকে লাথি, চড় ও বিদ্রুপ করে যিরুযালেমে নিয়ে গেলকালক্রমে এই ভ্রান্ত বিশ্বাসই মুসলমানদের মধ্যে প্রবেশ লাভ করেঈসা (আঃ) এর পরিবর্তে কাকে শূলে দেয়া হয়েছিল সে সম্বন্ধেও বিভিন্ন মুফাসসিরের মধ্যে মতভেদ আছেকেউ বলেন, ঐ ব্যক্তির নাম টিটেনাস ছিল, কেউ বলেন, ফলতিয়ানাস, কেহ বলেন, ইহুদীরাজ সুয়ুগ, আবার কেউ কেউ বলেন তার নাম স্বর্গীয়ান ছিল, একদল বলেছেন, ইস্করিয়োতীয় যিহুদা, অন্যদল বলেন, কুরীনীয় শিমোন

ঈসা (আঃ) এর আকাশে যাওয়া এবং এখনও জীবিত থাকার বিশ্বাস খ্রীস্টানদের দ্বারা মুসলমানদের মধ্যে প্রবেশ লাভ করেছে (দেখুন, ফৎহুল বয়ানঃ ৩য় খন্ড, ৪৯ পৃঃ)

একটা কাল্পনিক বিশ্বাস

অনেকে বলেন ঈসা (আঃ) নাকি রসূল করীমে (সাঃ) এর উম্মত হওয়ার জন্য আকাঙ্খা করেছিলেন তাই আল্লাহ্ পাক তাঁকে জীবিত অবস্থা সশরীরে চতুর্থ আকাশে হাজার হাজার বৎসর যাবৎ রেখে দিয়েছেন যাতে শেষ যুগে আখেরী নবীর উম্মত করে দুনিয়ায় পাঠাতে পারেনএই বিশ্বাস সম্পূর্ণ ভুলকুরআন হাদীসে এর কোন সমর্থন খুঁজে পাওয়া যায় নাবরং রসূল করীম (সাঃ) এর মিরাজ দ্বারা এই বিশ্বাস ভ্রান্ত প্রমাণিত হয় কেননা, রসূল করীম (সাঃ) মিরাজে ঈসা (আঃ)-কে মৃতদের মধ্যে দ্বিতীয় আকাশে দেখেছিলেন তাছাড়া হযরত আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত অপর একটি হাদীস দ্বারাও এই বিশ্বাস বাতিল হয়ে যায়হাদীসটি এই, বর্ণিত আছে যে, ‘একদা আল্লাহ্ তাআলা মূসা (আঃ)-কে বললেন যে, তুমি বনী ইস্রাঈলকে বলে দাও, যে ব্যক্তি আহমদ (সাঃ)-কে অস্বীকার করে আমার নিকট হাজির হবে সে যেই হোউক না কেন আমি তাকে দোযখে নিক্ষেপ করবমূসা (আঃ) বললেন, এই আহমদ কে? ইরশাদ হল, হে মূসা! কসম আমার সম্মান ও প্রতাপের, আমি এমন কোন কিছু সৃষ্টি করিনি যা তার চেয়ে আমার কাছে অধিক মর্যাদা সম্পন্ন, আমি তার নাম আমার নামের সঙ্গে আকাশ পৃথিবী, চন্দ্র ও সূর্য সৃষ্টির বিশ লক্ষ বৎসর পূর্বে আরশে লিখে রেখেছিলামআমার ইজ্জত ও প্রতাপের শপথ, জান্নাত আমার সমস্ত সৃষ্টির জন্য হারাম যতক্ষণ না মোহাম্মদ এবং তার উম্মত তাতে প্রবেশ করে, (এর পর উম্মতে মোহাম্মদীয়ার ফযিলত বর্ণনা করলেন) অতপর মূসা (আঃ) আরজ করলেন, হে প্রভু! আমাকে এই উম্মতের নবী করে দিন এরশাদ হল, এই উম্মতের নবী ঐ উম্মত হতেই হবেমূসা (আঃ) আরজ করলেন, তাহলে আমাকে ঐ উম্মতে মোহাম্মদীয়ার মধ্যেই দাখিল করে দিন ইরশাদ হল, তুমি প্রথমে হয়ে গিয়েছ কিন্তু ওরা পরবর্তী কালে হবেমৌলানা আশরাফ আলী থানবীও তাঁর নসরুত্তিব’, নামক পুস্তকের ১৯৩ পৃষ্ঠায় (দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত) এই হাদীসটি উল্ল্যেখ করেছেনএই হাদীস দ্বারা দেখা যায় যে, মহানবী (সাঃ)-এর উম্মত হওয়ার জন্য মূসা (আঃ)-এর প্রার্থনা আল্লাহ্ তাআলা এই বলে নামঞ্জুর করলেন যে, ‘তুমি প্রথমে হয়ে গিয়েছ কিন্তু ওরা পরবর্তী কালে হবেঅতএব ঈসা (আঃ) পূর্বের হয়ে পরে কি করে উম্মতে মোহাম্মদীয়অতে আবির্ভুত হবেন? এটা কি আল্লাহর এই স্পষ্ট ফরমানের বিরুদ্ধে যায় না? তাছাড়া উপরে বর্ণিত হাদীস দ্বারা এও প্রমাণ হল যে, এই উম্মতের নবী এই উম্মত (অর্থাৎ উম্মতে মোহাম্মদীয়া) হতেই হবেউম্মতি নবী সম্বন্ধে যথাস্থানে আলোচনা করা হবেঅতএব প্রতিশ্রুত মসীহ যে এই উম্মত হতেই হবেন তাতে কোন সন্দেহ নেইরসূল করীম (সাঃ) বলেছেন, “আলা আন্নাহু খালিফাতি ফি উম্মতি আলা আন্নাহু লাইসা বাইনি ওয়া বাইনাহু নাবীউন(তিবরানী) অর্থাৎঃ তিনি (প্রতিশ্রুত মসীহ্‌) আমার উম্মত হতে আমার খলীফা হবেন এবং তাঁর ও আমার মধ্যখানে কোন নবী নেই

প্রাপ্ত সূত্রঃ ওফাতে ঈসা ও মসীলে ঈসা - আলহাজ্জ আহমদ তৌফিক চৌধুরী

ওয়ানপ্লাসের নতুন অক্সিজেন ওএস ১৫ আসছে AI নিয়ে

  অ্যান্ড্রয়েড ১৫  এর ওপর ভিত্তি করে আসছে  ওয়ানপ্লাসের  অক্সিজেন    ওএস  ১৫। অক্টোবরের ২৪ তারিখ বাংলাদেশ সময় রাত ৯:৩০ এ আনুষ্ঠানিকভাবে অপ...