Monday, July 30, 2012

Amazing Facts about Space, Planets and Universe



১.চাঁদের পৃষ্টদেশকে বলা হয় সাগর। মানুষ বিশ্বাস করে একদা এই উপগ্রহে পৃষ্টদেশে সদা আঁচড়ে পড়ত লাভার স্রোত।
২. জানা মহাজাগতিক বস্তুগুলোর মধ্য সবচেয়ে দূরবর্তী হল কোয়াসার। সবচেয়ে কাছেরটিও প্রায় ১ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
৩. সবচেয়ে উজ্জ্বল কোয়াসারটির নাম 3C 273 , এর দূরত্ব ২ বিলিয়ন আলোকবর্ষ।
৪. রাতের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাগুলো একটিও আদতে তারা নয় এরা হল বৃহস্পতি, শুক্র , মঙ্গল এবং বুধ গ্রহ।
৫. বৃহস্পতির চাঁদ Europa শুস্ক পৃষ্টদেশ বিশিষ্ট হলেও ধারনা করা হচ্ছে এর ভূগর্ভে রয়েছে পানির মহাসাগর।

৬. আমাদের মহাবিশ্বে ছায়াপথের সংখ্যা প্রায় ২০ ট্রিলিয়ন।
৭. কয়েকটি ছায়াপথ মিলে গঠন করে ছায়াপথ দল (group of galaxies) ,প্রায় ৩০ টি বা এর বেশী ছায়াপথ নিয়ে তৈরি ছায়াপথ স্তবক ( galaxy cluster) , ছায়াপথ স্তবকদের স্তবক নিয়ে তৈরি হয় ছায়াপথ মহাস্তবক ( Super Cluster).
৮. ১৯৭০ এর দশকে মঙ্গলগ্রহে সফল অবতরণ করে মার্কিন নভোযান Vikings 1 এবং 2, সোভিয়েত নভোযান Mars 3 এবং 5।
৯. প্লুটোর গ্রহত্ব কেড়ে নেয়ার পর নেপচুনই সৌরজগতের সবচেয়ে দূরের গ্রহ।
১০. আকাশগঙ্গা (Milky Way) যে ছায়াপথস্তবকের মধ্যে অবস্থিত তার নাম স্থানীয় ছায়াপথ দল (Local Group)। এতে রয়েছে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০ টি ছায়াপথ।

১১. কন্যা ছায়াপথ স্তবক (Virgo Cluster) ৫০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এতে রয়েছে সহস্রাধিক ছায়াপথ।
১২. স্যাটেলাইট বা নভোযান গুলোর পৃথিবীর কক্ষপথে ২০০ কিলোমিটার উপরে থাকার জন্য দরকার গতিবেগ ৮ কি.মি/সেকেন্ড।
১৩. পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণকে উপেক্ষা করতে নভোযান সমুহের গতিবেগ হতে হয় ১১.২ কি.মি/সেকেন্ড। একে বলা হয় মুক্তিবেগ (escape velocity)।
১৪. শনির বলয়কে পাতলা মনে হলেও এখানে রয়েছে হিমায়িত বরফ, ধুলা ও পাথর। যাদের আকৃতি ক্ষুদ্র অণু থেকে ১০০ তলা ভবনের সমান।
১৫. পালসার বা নিউট্রন নক্ষত্রের ঘনত্ব এতই বেশী যে ওখান থেকে এক টেবিল চামচ পদার্থ পৃথিবীতে আনলে এর ভর দাঁড়াবে ১০ বিলিয়ন মেট্রিক টন !!

১৬. সূর্যকে কেন্দ্র করে একবার ঘুরে আসতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫.২৪২১৯ দিন।
১৭. মহাকাশ থেকে কখনও X-Ray পৃথিবীর আবহমণ্ডলে পৌঁছায়না। জ্যোতির্বিদরা তা সনাক্ত করেন space telescope এর মাধ্যমে যেমন ROSAT (Röntgensatellit)।
১৮. সৌরকলঙ্কের তাপমাত্রা সূর্যের পৃষ্টদেশের তাপমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০০০°C শীতল।
১৯. মহাবিস্ফোরণের অব্যহতি পরেই সৃষ্টি হয়েছিলো বস্তু কণা (matter) এবং বিপরীত বস্তুকণা (antimatter)। এই দুয়ের সংঘর্ষে বিলুপ্ত হয়ে যায় বিপরীত বস্তুকণা। যার কারণে মহাবিশ্বের বেশির ভাগই শুন্যস্থান।
২০. মহাবিস্ফোরণ পরবর্তী অণুতরঙ্গ (microwave) এখনও মহাবিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়।

২১. স্পেস টেলিস্কোপ সমুহের পরিচ্ছন্ন দৃষ্টিসীমা ২ বিলিয়ন আলোকবর্ষ পর্যন্ত।
২২. খালি চোখে দেখা যায় এমন ছায়াপথ গুলোর অন্যতম ধ্রুবমাতা (Andromeda), এর দূরত্ব পৃথিবী থেকে ২.২ মিলিয়ন আলোকবর্ষ।
২৩. মঙ্গলের শুস্ক পৃষ্টদেশের বালিয়াড়ি দেখে ধারনা করা হয় একসময় এই গ্রহে পানি ছিল। যার প্রমাণ পাওয়া যায় এর মরু অঞ্চলে।
২৪. স্যাটেলাইট সমুহ যখন পৃথিবীর কক্ষপথের দিকে রওনা দেয় তখন তার ভরবেগ (momentum) পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ জনিত টান থেকে বেশী হতে হবে।
২৫. আমাদের মহাবিশ্বের অস্তিত্ব নির্ভর করছে এখানে কি পরিমাণ কৃষ্ণবস্তু (dark matter) রয়েছে। যদি এর পরিমাণ এতটাই বেশী হয় যে তাহলে হঠাতই থেমে যাবে মহাবিশ্বের সম্প্রসারন। শুরু হবে মহাসঙ্কোচন (big shrink).
<<সমাপ্ত>>

No comments:

Post a Comment

ওয়ানপ্লাসের নতুন অক্সিজেন ওএস ১৫ আসছে AI নিয়ে

  অ্যান্ড্রয়েড ১৫  এর ওপর ভিত্তি করে আসছে  ওয়ানপ্লাসের  অক্সিজেন    ওএস  ১৫। অক্টোবরের ২৪ তারিখ বাংলাদেশ সময় রাত ৯:৩০ এ আনুষ্ঠানিকভাবে অপ...