বেঞ্জামিন মারটিন শান্তিপ্রিয় এক কৃষক , যে
শুধু চায় তার খামারে শান্তিময় পরিবেশে তার পরিবারকে নিয়ে জীবনের বাকি
সময়গুলো পাড়ি দিতে । সে চায়না কোন প্রকার যুদ্ধ কিংবা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়তে
পৃথিবীর শক্তিধর দেশ বৃটেন এর সাথে । সে চায় তার পরিবার নিয়ে জীবনের বাকিটা
সময় শান্তিতে কাটাতে কিন্তু বৃটেন তার দেশ আমেরিকায় শাসন করতে চায় । সাউথ
কেরোলিনার অনেকেই বৃটিশ সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে , অনেক সাধারণ
মানুষ এগিয়ে আসে সেই যুদ্ধে কিন্তু বেঞ্জামিন মারটিন তার চিন্তা-ধারণা থেকে
একটুও পাল্টায়না ।সাউথ কেরোলিনার অধিবাসী বেঞ্জামিন মারটিন তার মত করে
জীবন যাপন করতে থাকে ।
১৭৭৬ সাল,যখন সাউথ কেরোলিনার অধিবাসীরা সিধান্ত নেয় বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার কিন্তু তখনও নিশ্চুপ বেঞ্জামিন মারটিন । তার বড় দুই ছেলে গ্রাবিয়েল ও থোমাস নতুন গঠিত মিলিশিয়া বাহিনীতে যোগ দিতে ইচ্ছুক কিন্তু বেঞ্জামিন মারটিন চায়না এই যুদ্ধে তার ছেলেরা অংশগ্রহণ করুক । সে চায়না এই যুদ্ধে কোন প্রকারে তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হোক । কিন্তু তার মানা স্বত্তেও তার বড় ছেলে নাম লেখায় বৃটিশদের
বিরুদ্ধে গঠিত মিলিশিয়া বাহিনীতে । আহত মিলিশিয়াদের সেবা করার অপরাধে তার পুরো বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয় , হত্যা করা হয় তার ছেলে থোমাসকে ।
বেঞ্জামিন মারটিন এরপরই সিধান্ত নেয় বৃটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার , সে মিলিশিয়া বাহিনীর জন্যে লোক সংগ্রহ করতে থাকে । চলতে থাকে তার প্রস্তুতি , আর এর মাঝেই বেঞ্জামিন মারটিন বৃটিশ বাহিনীর কাছে পরিচিত হতে থাকে "ঘোস্ট" নামে । সন্তান হত্যার প্রতিশোধ ও বেঞ্জামিন মারটিন দেশপ্রেম এবং আমেরিকার সাউথ কেরোলিনার অধিবাসীদের দেশপ্রেমের এক অনন্য কাহিনী "The Patriot" ।
ঐতিহাসিকভাবে "The Patriot"মুভিটি এক অর্থবহ ছবি , ছবিতে ১৭৭৬ সালের আমেরিকান সাউথ কেরোলিনার কলোনির অধিবাসীদের বৃটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও তাদের জীবনযাত্রা এবং যুদ্ধের কাহিনী পরিস্ফুটিতভাবে ফুটে এসেছে । ছবিতে বেঞ্জামিন মারটিন এর পরিবারের অস্ত্র চালনা এবং বিদ্রোহের বিভিন্ন দিক ছবির ফ্রেমে ভালো মতই বন্ধী হয়েছে । ছবির বিভিন্ন চরিত্রের কথোপকথন এবং তাদের পোশাক,চালচলন সবকিছুতে ১৭৭৬ সালের অবস্থানকে দারুণভাবে তুলে ধরেছেন পরিচালক রোল্যান্ড ইম্মেরিস ।ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র মেল গিবসন ছবির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দারুণভাবে কাহিনীকে টেনে নিয়ে গেছেন তার এক অনবদ্য অভিনয় দেখা গেছে এই ছবিতে । আর তার সাথে অন্যান্য চরিত্রগুলো দারুণভাবে মার্চ করেছে ।
ছবির ক্যামেরাওয়ার্ক , লাইটিং থেকে শুরু করে প্রপস এবং বিভিন্ন দৃশ্যের জন্যে লোকেশন সিলেকশন সবই ভালো লেগেছে আমার কাছে । বিশেষ করে রাতের বেলার আলো-আঁধারি সময়ের দৃশ্যায়নগুলোর খেলা ভালোভাবেই তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন পরিচালক। আর ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে যথারীতি চেষ্টা করা হয়েছে যুদ্ধের একটা পরিবেশকে ধরে রাখার । মিউজিক আমার কাছে খুব একটা আহামরি লাগেনি তবুও সবকিছু মিলিয়ে বলা যেতে পারে খারাপ না ছবিটি , অনায়াসে বলা যেতে পারে সত্যিকার অর্থে এক পিতা এবং দেশপ্রেমিকের এক আদর্শ গল্প , যা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে এই "The Patriot"মুভিটিতে ।
ছবিটি আমেরিকায় মুক্তি পায় ২০০০ সালে
ছবিটি পরিচালনা করেছেন - রোল্যান্ড ইম্মেরিস
কাহিনী লিখেছেন- রবার্ট রডেট
ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছে - মেল গিবসন, হিথ লিডজার ,জয়লি রিচার্ডসনসহ আরও অনেকে ।
১৭৭৬ সাল,যখন সাউথ কেরোলিনার অধিবাসীরা সিধান্ত নেয় বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার কিন্তু তখনও নিশ্চুপ বেঞ্জামিন মারটিন । তার বড় দুই ছেলে গ্রাবিয়েল ও থোমাস নতুন গঠিত মিলিশিয়া বাহিনীতে যোগ দিতে ইচ্ছুক কিন্তু বেঞ্জামিন মারটিন চায়না এই যুদ্ধে তার ছেলেরা অংশগ্রহণ করুক । সে চায়না এই যুদ্ধে কোন প্রকারে তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হোক । কিন্তু তার মানা স্বত্তেও তার বড় ছেলে নাম লেখায় বৃটিশদের
বিরুদ্ধে গঠিত মিলিশিয়া বাহিনীতে । আহত মিলিশিয়াদের সেবা করার অপরাধে তার পুরো বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয় , হত্যা করা হয় তার ছেলে থোমাসকে ।
বেঞ্জামিন মারটিন এরপরই সিধান্ত নেয় বৃটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার , সে মিলিশিয়া বাহিনীর জন্যে লোক সংগ্রহ করতে থাকে । চলতে থাকে তার প্রস্তুতি , আর এর মাঝেই বেঞ্জামিন মারটিন বৃটিশ বাহিনীর কাছে পরিচিত হতে থাকে "ঘোস্ট" নামে । সন্তান হত্যার প্রতিশোধ ও বেঞ্জামিন মারটিন দেশপ্রেম এবং আমেরিকার সাউথ কেরোলিনার অধিবাসীদের দেশপ্রেমের এক অনন্য কাহিনী "The Patriot" ।
ঐতিহাসিকভাবে "The Patriot"মুভিটি এক অর্থবহ ছবি , ছবিতে ১৭৭৬ সালের আমেরিকান সাউথ কেরোলিনার কলোনির অধিবাসীদের বৃটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও তাদের জীবনযাত্রা এবং যুদ্ধের কাহিনী পরিস্ফুটিতভাবে ফুটে এসেছে । ছবিতে বেঞ্জামিন মারটিন এর পরিবারের অস্ত্র চালনা এবং বিদ্রোহের বিভিন্ন দিক ছবির ফ্রেমে ভালো মতই বন্ধী হয়েছে । ছবির বিভিন্ন চরিত্রের কথোপকথন এবং তাদের পোশাক,চালচলন সবকিছুতে ১৭৭৬ সালের অবস্থানকে দারুণভাবে তুলে ধরেছেন পরিচালক রোল্যান্ড ইম্মেরিস ।ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র মেল গিবসন ছবির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দারুণভাবে কাহিনীকে টেনে নিয়ে গেছেন তার এক অনবদ্য অভিনয় দেখা গেছে এই ছবিতে । আর তার সাথে অন্যান্য চরিত্রগুলো দারুণভাবে মার্চ করেছে ।
ছবির ক্যামেরাওয়ার্ক , লাইটিং থেকে শুরু করে প্রপস এবং বিভিন্ন দৃশ্যের জন্যে লোকেশন সিলেকশন সবই ভালো লেগেছে আমার কাছে । বিশেষ করে রাতের বেলার আলো-আঁধারি সময়ের দৃশ্যায়নগুলোর খেলা ভালোভাবেই তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন পরিচালক। আর ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে যথারীতি চেষ্টা করা হয়েছে যুদ্ধের একটা পরিবেশকে ধরে রাখার । মিউজিক আমার কাছে খুব একটা আহামরি লাগেনি তবুও সবকিছু মিলিয়ে বলা যেতে পারে খারাপ না ছবিটি , অনায়াসে বলা যেতে পারে সত্যিকার অর্থে এক পিতা এবং দেশপ্রেমিকের এক আদর্শ গল্প , যা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে এই "The Patriot"মুভিটিতে ।
ছবিটি আমেরিকায় মুক্তি পায় ২০০০ সালে
ছবিটি পরিচালনা করেছেন - রোল্যান্ড ইম্মেরিস
কাহিনী লিখেছেন- রবার্ট রডেট
ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছে - মেল গিবসন, হিথ লিডজার ,জয়লি রিচার্ডসনসহ আরও অনেকে ।
No comments:
Post a Comment