অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস গুলো হল স্মার্ট মোবাইল ডিভাইস। তাই এই ডিভাইস
গুলোকে স্মার্টফোন ও বলা হয়। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস গুলোকে মিনি কম্পিউটার ও
বলা যায়, কারন এগুলো ল্যাপটপ এবং নোটবুক থেকে বেশি পোর্টেবল। ডিভাইস
গুলোকে মিনি কম্পিউটার বলা গেলেও এই ডিভাইস গুলোর পাওয়ার রিকয়ারমেন্ট
কিন্তু মিনি নয় !! অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস গুলোর সবচাইতে বড় সমস্যা হল
ব্যাটারি লাইফ। আপনি যদি সিম কার্ড খুলে, ওয়াইফাই অফ করে এবং কোন কাজ না
করে আপনার ডিভাইস টি রেখে দেন, দেখবেন এক চার্জেই আপনার ডিভাইস কয়েক দিন
পার করে ফেলবে। কিন্তু যখন আপনি এই সব কিছু ব্যবহার করতে যাবেন তখনি হবে
ব্যাটারি লাইফ নিয়ে সমস্যার সূচনা !! স্মার্টফোন কিনেছেন তো ব্যাটারি
সমস্যার কারনে কি ফোন অফ করে রাখবেন ?? চাইবেন কেউ আপনাকে কল না করুক?? না
মোটেও তা সম্ভব না । আমার এই পোস্ট আপনার ব্যাটারির mAh বাড়িয়ে দিবে না
কিন্তু জুস ডিফেন্ডার এর ভাষায় আপনার ব্যাটারির কিছুটা জুস অর্থাৎ চার্জ
বাচাতে হেল্প করবে আশা করি। তো চলুন দেখি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এর ব্যাটারি
সেভ করার কিছু টিপস …
১) ব্যাটারি ইউসেজঃ
আপনার ফোনের Settings > Battery তে গেলেই দেখবেন কোন অ্যাপ বা প্রোগ্রামটি আপনার ব্যাটারির চার্জ বেশি ব্যবহার করছে। সব ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে জিনিস টি সবচাইতে বেশি ব্যাটারি চার্জ ব্যবহার করছে তা হল আপনার ফোনের ডিসপ্লে।
২) 2G নেটওয়ার্ক ব্যবহারঃ
আপনি যদি 3G সিম ব্যবহার না করেন অথবা আপনি যেখানে থাকেন সেখানে যদি 3G ডাটা সার্ভিস না থাকে তাহলে 2G নেটওয়ার্ক বা ডাটা সার্ভিস ব্যবহার করাই ভাল। কারন এতে আপনার ব্যাটারি সেভ হবে। Settings > Wireless controls> Mobile networks এ যেয়ে Use only 2G networks সিলেক্ট করে দিন।
৩) ডিসপ্লে ব্রাইটনেসঃ
যেহেতু অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে সবচাইতে বেশি চার্জ ইউজ করে ডিসপ্লে, তাই ডিসপ্লের ব্রাইটনেস যত কম হবে তত বেশি ব্যাটারি সেভ হবে। ব্রাইটনেস কমানোর জন্য Settings > Display > Brightness এ যেয়ে ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।
৪) স্ক্রীন টাইমআউটঃ
স্ক্রীন টাইমআউট অপশন এর মাধ্যমে আপনি ইনঅ্যাক্টিভ অবস্থায় আপনার ফোনের ডিসপ্লে কখন অফ হবে তা সেট করতে পারবেন। ফোনের ডিসপ্লে যত বেশি সময় অ্যাক্টিভ থাকবে তত বেশি চার্জ ইউজ হবে। Settings > Display > Screen timeout অপশন এ যেয়ে স্ক্রীন টাইম আউট ১ বা ২ মিনিট করে দিন।
৫) কানেকটিভিটি ফিচারঃ
প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনের রয়েছে বিভিন্ন কানেকটিভিটি ফিচার যেমন Bluetooth,Wifi । এই Bluetooth বা Wifi যখন অন করা থাকে তখন এগুলো নতুন ডিভাইস এবং ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সার্চ করতে থাকে, যে কারনে অনেক ব্যাটারি ইউজ হয়। তাই আপনি যখন এই ফিচার গুলো ব্যবহার করছেন না তখন এগুলো বন্ধ করে রাখুন।
৬) জিপিএসঃ
প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ফোন এ GPS সিস্টেম দেয়া থাকে। GPS এর কাজ হল আপনার অবস্থান বা লোকেশন ট্র্যাক করা। বিভিন্ন অ্যাপ, গুগল ম্যাপ, ওয়েদার উইজেট এই GPS সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে অনেক চার্জ ইউজ হয়। তাই প্রয়োজন ছাড়া এই GPS সিস্টেম অফ করে রাখাই ভাল।GPS অফ করার জন্য Settings > location এ যেয়ে Use GPS satellites অপশন টি অফ করে দিন।
৭) ফোন ভাইব্রেসনঃ
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের আরেকটি অপশন যা আপনার ব্যাটারির জুস বা চার্জ কমিয়ে দেয় তা হল ভাইব্রেসন। যখন কল আসে এবং আপনি ডিসপ্লে তে টাচ করেন তখনই ফোন ভাইব্রেট করে । তাই এই ভাইব্রেসন অপশন টি অফ করে রাখলে আপনার ব্যাটারি সেভ হবে। Settings > Sound এ যেয়ে vibration অফ করে দিন।
৮) ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপঃ
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এ অনেক অ্যাপ ক্লোজ করার পর অ্যাপ গুলো ব্যাকগ্রউন্ড এ চলতে থাকে। যার ফলে অনেক চার্জ নষ্ট হয়। তাই কোন টাস্ক কিলার দিয়ে অ্যাপ গুলো কিল বা force close করে দেয়া ভাল। এছাড়া বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ যেগুলো সব সময় ডাটা কানেকশন অ্যাক্টিভ রাখে সেগুলো আনইন্সটল করে দেয়া ভাল।
৯) সিপিইউ আন্ডার ক্লকিংঃ
ফোন রুট করা থাকলে কিছু অ্যাপস ইউজ করে সিপিইউ আন্ডারক্লক করতে পারেন। এই অ্যাপ দ্বারা আপনি সিপিইউ’র ক্লক রেট সেট করে নিতে পারবেন। তবে এই অ্যাপ ইউজ করার সময় সতর্ক থাকতে হবে, কেননা ক্লক রেট খুব বেশি মানে ওভারক্লকিং করলে হার্ডওয়্যারের ক্ষতি হতে পারে। এমন কিছু অ্যাপস হলঃ SetCPU for Root Users , No-frills CPU Control , and CPU Tuner ।
১০) অটো সিঙ্ক্রোনাইজেশন, লাইভ উইজেটঃ
ফোনের অটো সিঙ্ক অন করা থাকলে তা নেট ইউজ করতে থাকে যা চার্জ শেষ করে
ফেলে। আর লাইভ উইজেট( যেমনঃ ওয়েদার উইজেট, ফেসবুক, ম্যাসেজিং ইত্যাদি
আপডেট হওয়ার জন্য নেট ইউজ করে। তাই অটো রিফ্রেশ ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে
দেয়া ভাল।
১১) লো Network strength:
যখন আপনার ফোনের Network strength ভাল থাকলে ব্যাটারি কম ইউজ হয়। কিন্তু Network strength যখন কম থাকে তখন ফোন অনবরত নেটওয়ার্ক সার্চ করতে থাকে যার কারনে ব্যাটারি বেশি ইউজ হয়। তাই অনেক অ্যান্ড্রয়েড এক্সপার্টের মতে যে সকল এলাকায় Network strength কম সেখানে ফোনকে ৪৫ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেল এ রাখলে সর্বাধিক Network strength পাওয়া যায়। ফলে ব্যাটারি কম ইউজ হয়।
১২) এমোলেড স্ক্রীনঃ
এই টিপস টি LCD-screened ডিভাইস গুলোতে খুব একটা কাজ না করলেও যে সকল ডিভাইস এ AMOLED screen ব্যবহার করা হয়েছে সেইসব ডিভাইস এ ভাল কাজ করবে। AMOLED screen এর পিক্সেল গুলো নিজেই আলো তৈরি করে। পিক্সেল যত বেশি ব্রাইট হবে তত বেশি পাওয়ার বা ব্যাটারি ইউজ হবে। তাই AMOLED screen ডিভাইস গুলোতে ব্ল্যাক ওয়ালপেপার, থিম বা লাইভ ওয়ালপেপার ইউজ করা ভাল। এতে পিক্সেল এর ব্রাইটনেস কম হয় ফলে ব্যাটারি সেভ হয়।
১৩) ব্যাটারি সেভার অ্যাপঃ
ব্যাটারি সেভ করার জন্য প্লে স্টোরে রয়েছে জুস ডিফেন্ডার, ইজি ব্যাটারি সেভার এর মত আর অনেক অ্যাপ। ব্যাটারি সেভ করার জন্য আপনি এই অ্যাপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
১৪) পাওয়ার উইজেটঃ
অ্যান্ড্রয়েড এর বিভিন্ন কানেক্টিভিটি ফিচার যেমন GPS, Wi-Fi, 3G/LTE and mobile network connection, Bluetooth, NFC ইত্যাদি দ্রুত অন অফ করার জন্য আপনি হোম স্ক্রীন এ পাওয়ার কন্ট্রোল উইজেট ব্যবহার করতে পারেন।
১) ব্যাটারি ইউসেজঃ
আপনার ফোনের Settings > Battery তে গেলেই দেখবেন কোন অ্যাপ বা প্রোগ্রামটি আপনার ব্যাটারির চার্জ বেশি ব্যবহার করছে। সব ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে জিনিস টি সবচাইতে বেশি ব্যাটারি চার্জ ব্যবহার করছে তা হল আপনার ফোনের ডিসপ্লে।
২) 2G নেটওয়ার্ক ব্যবহারঃ
আপনি যদি 3G সিম ব্যবহার না করেন অথবা আপনি যেখানে থাকেন সেখানে যদি 3G ডাটা সার্ভিস না থাকে তাহলে 2G নেটওয়ার্ক বা ডাটা সার্ভিস ব্যবহার করাই ভাল। কারন এতে আপনার ব্যাটারি সেভ হবে। Settings > Wireless controls> Mobile networks এ যেয়ে Use only 2G networks সিলেক্ট করে দিন।
৩) ডিসপ্লে ব্রাইটনেসঃ
যেহেতু অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে সবচাইতে বেশি চার্জ ইউজ করে ডিসপ্লে, তাই ডিসপ্লের ব্রাইটনেস যত কম হবে তত বেশি ব্যাটারি সেভ হবে। ব্রাইটনেস কমানোর জন্য Settings > Display > Brightness এ যেয়ে ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।
৪) স্ক্রীন টাইমআউটঃ
স্ক্রীন টাইমআউট অপশন এর মাধ্যমে আপনি ইনঅ্যাক্টিভ অবস্থায় আপনার ফোনের ডিসপ্লে কখন অফ হবে তা সেট করতে পারবেন। ফোনের ডিসপ্লে যত বেশি সময় অ্যাক্টিভ থাকবে তত বেশি চার্জ ইউজ হবে। Settings > Display > Screen timeout অপশন এ যেয়ে স্ক্রীন টাইম আউট ১ বা ২ মিনিট করে দিন।
৫) কানেকটিভিটি ফিচারঃ
প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনের রয়েছে বিভিন্ন কানেকটিভিটি ফিচার যেমন Bluetooth,Wifi । এই Bluetooth বা Wifi যখন অন করা থাকে তখন এগুলো নতুন ডিভাইস এবং ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সার্চ করতে থাকে, যে কারনে অনেক ব্যাটারি ইউজ হয়। তাই আপনি যখন এই ফিচার গুলো ব্যবহার করছেন না তখন এগুলো বন্ধ করে রাখুন।
৬) জিপিএসঃ
প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ফোন এ GPS সিস্টেম দেয়া থাকে। GPS এর কাজ হল আপনার অবস্থান বা লোকেশন ট্র্যাক করা। বিভিন্ন অ্যাপ, গুগল ম্যাপ, ওয়েদার উইজেট এই GPS সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে অনেক চার্জ ইউজ হয়। তাই প্রয়োজন ছাড়া এই GPS সিস্টেম অফ করে রাখাই ভাল।GPS অফ করার জন্য Settings > location এ যেয়ে Use GPS satellites অপশন টি অফ করে দিন।
৭) ফোন ভাইব্রেসনঃ
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের আরেকটি অপশন যা আপনার ব্যাটারির জুস বা চার্জ কমিয়ে দেয় তা হল ভাইব্রেসন। যখন কল আসে এবং আপনি ডিসপ্লে তে টাচ করেন তখনই ফোন ভাইব্রেট করে । তাই এই ভাইব্রেসন অপশন টি অফ করে রাখলে আপনার ব্যাটারি সেভ হবে। Settings > Sound এ যেয়ে vibration অফ করে দিন।
৮) ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপঃ
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এ অনেক অ্যাপ ক্লোজ করার পর অ্যাপ গুলো ব্যাকগ্রউন্ড এ চলতে থাকে। যার ফলে অনেক চার্জ নষ্ট হয়। তাই কোন টাস্ক কিলার দিয়ে অ্যাপ গুলো কিল বা force close করে দেয়া ভাল। এছাড়া বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ যেগুলো সব সময় ডাটা কানেকশন অ্যাক্টিভ রাখে সেগুলো আনইন্সটল করে দেয়া ভাল।
৯) সিপিইউ আন্ডার ক্লকিংঃ
ফোন রুট করা থাকলে কিছু অ্যাপস ইউজ করে সিপিইউ আন্ডারক্লক করতে পারেন। এই অ্যাপ দ্বারা আপনি সিপিইউ’র ক্লক রেট সেট করে নিতে পারবেন। তবে এই অ্যাপ ইউজ করার সময় সতর্ক থাকতে হবে, কেননা ক্লক রেট খুব বেশি মানে ওভারক্লকিং করলে হার্ডওয়্যারের ক্ষতি হতে পারে। এমন কিছু অ্যাপস হলঃ SetCPU for Root Users , No-frills CPU Control , and CPU Tuner ।
১০) অটো সিঙ্ক্রোনাইজেশন, লাইভ উইজেটঃ
১১) লো Network strength:
যখন আপনার ফোনের Network strength ভাল থাকলে ব্যাটারি কম ইউজ হয়। কিন্তু Network strength যখন কম থাকে তখন ফোন অনবরত নেটওয়ার্ক সার্চ করতে থাকে যার কারনে ব্যাটারি বেশি ইউজ হয়। তাই অনেক অ্যান্ড্রয়েড এক্সপার্টের মতে যে সকল এলাকায় Network strength কম সেখানে ফোনকে ৪৫ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেল এ রাখলে সর্বাধিক Network strength পাওয়া যায়। ফলে ব্যাটারি কম ইউজ হয়।
১২) এমোলেড স্ক্রীনঃ
১৩) ব্যাটারি সেভার অ্যাপঃ
ব্যাটারি সেভ করার জন্য প্লে স্টোরে রয়েছে জুস ডিফেন্ডার, ইজি ব্যাটারি সেভার এর মত আর অনেক অ্যাপ। ব্যাটারি সেভ করার জন্য আপনি এই অ্যাপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
১৪) পাওয়ার উইজেটঃ
অ্যান্ড্রয়েড এর বিভিন্ন কানেক্টিভিটি ফিচার যেমন GPS, Wi-Fi, 3G/LTE and mobile network connection, Bluetooth, NFC ইত্যাদি দ্রুত অন অফ করার জন্য আপনি হোম স্ক্রীন এ পাওয়ার কন্ট্রোল উইজেট ব্যবহার করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment