Monday, February 6, 2012

অস্থিতিশীল প্রযুক্তি বাজার! 2012

ব্লগার বন্ধুরা ও পাঠক, নিশ্চয় ভালো আছেন। আমরা যারা প্রযুক্তি বাজার সংশ্লিষ্ঠ বা এ বিষয়টি নিয়ে জড়িত থাকি তারা সবাই জানি ক্রমান্বয়ে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে প্রযুক্তি বাজার। প্রতিনিয়তই দাম বেড়ে চলেছে প্রযুক্তি পণ্যের। গত বছরের প্রথম দিকে থাইল্যান্ডে সুনামিতে ও জাপানের ভূমিকম্পের প্রভাবে হার্ডডিক্সের দাম বেড়েছে দ্বিগুনেরও বেশি। এছাড়া ডলারের দাম বাড়ায় প্রায় সকল প্রযুক্তি পন্যের দাম ১৫ শতাংশ করে বেড়েছে। খুব শীঘ্রই দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্ঠরা। ফলে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের মধ্যেই এখন আশংকা বিরাজ করছে। কমে যাচ্ছে বিক্রির পরিমান। গত সপ্তাহের শেষের দিকে রাজধানীর বিসিএস কম্পিউটার সিটি, মাল্টিপ্লানসিটি সহ বেশ কয়েকটি দেশীয় এবং শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ঘুরে এবিষয়ে একটি পরিসংখ্যান দাড় করিয়েছি। প্রযুক্তি বাজারের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে আজকের এই পোস্ট।

আমরা জানি, প্রযুক্তি বাজারে মন্দাবস্থা গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই। এর কারন হিসেবে রয়েছে থাইল্যান্ড ও জাপানে ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়। প্রযুক্তিবাজারের প্রায় অধিকাংশ পন্য জাপানে এবং হার্ডডিক্সের সিংহভাগই থাইল্যান্ডে তৈরি করা হয়ে থাকে। দুর্যোগে দেশদুটোতে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কারখানা ও পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় সংশ্লিষ্ঠ পণ্যের। মারাত্বকভাবে অভাব দেখা দেয় হার্ডডিক্সসহ কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের। ফলে বিশ্বব্যাপি দাম বেড়ে যায়। বাংলাদেশের প্রযুক্তি বাজারে বিরুপ প্রভাব দেখা দেয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মেলাসহ বিভিন্ন অফার দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ঠ করলেও আগের থেকে দাম কমাতে পারেননি। বরং অফার শেষ হলে দাম বেড়ে যায় অনেকাংশে। একই সাথে গত বছরের শেষের দিকে ডলারের মান বেড়ে যাওয়ায় প্রযুক্তি বাজারে দেখা দেয় বিশাল সংকট। যেটি এখনো বিদ্যমান রয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা রিপোর্টে ২০১২ সালে মূল্য বৃদ্ধির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ১২টি পণ্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে টিনজাত বা প্যাকেটজাত খাবার তালিকার শীর্ষে থাকলেও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্রয়কৃত পণ্য। আর মূল্যবৃদ্ধির তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্যাক্স মেশিন। একইভাবে পরবর্তী অবস্থানেও রয়েছে আমাদের নিত্য ব্যবহার্য প্রযুক্তি পণ্য ল্যাপটপ-কম্পিউটার। এর পরের ক্রমানুসারে তালিকায় রয়েছে ফিল্ম ও ক্যামেরা, স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল, কম্পিউটার মেমোরি চিপস, অপরিশোধিত তেল, হোটেল রুম ভাড়া, ফাস্ট ফুড, ক্রেডিট কার্ড এবং ভিডিও সিডি বা ডিভিডি ভাড়া। ফলে দেখা যাচ্ছে মূল্যবৃদ্ধির অধিকাংশই হলো প্রযুক্তি পন্য। আসুন জেনে নিই বাংলাদেশে এর প্রভাব কেমন চলছে…
হার্ডডিক্সের সংকট আপাতত কমছে না
বাজারে সবচেয়ে বেশি সংকটে রয়েছে হার্ডডিক্স। গত ৭/৮ মাসে এ পন্যটির দাম বেড়েছে প্রায় ৩ গুন। যার পরোক্ষ প্রভাবে হার্ডডিক্স ব্যবহৃত প্রযুক্তি পণ্যের দাম বেড়েছে কয়েক হাজার। এ প্রসঙ্গে রিশিত কম্পিউটারস লিমিটেডের সিনিয়র সেলস এক্সিকিউটিভ মুসা সরকার জানান, বাজারে সবচেয়ে বেশি বিরুপ প্রভাব সৃষ্টি করেছে হার্ডডিক্স। কয়েকমাস আগে যেসকল হার্ডডিক্স ৩ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হতো সেগুলো এখন ৭ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৮ হাজার টাকার অধিক দামে বিক্রি হচ্ছে। উদাহরনস্বরুপ তিনি বলেন, এর আগে স্যামসাং ৫০০ গিগাবাইটের হার্ডডিক্স ৩ হাজার ২ টাকায় বিক্রি হতো এটি এখন ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল, হিটাচি, সিগেটসহ সব হার্ডডিক্সের একই অবস্থা। এর আগে এসব ব্যান্ডের ২৫০ গিগাবাইটের হার্ডডিক্স ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে দাম ৪ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত। ৩২০ গিাবাইটের হার্ডডিক্স প্রায় একই দাম থেকে বেড়ে বর্তমানে ৫ হাজার ২০০ টাকা থেকে প্রায় ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ টেরাবাইটের হার্ডডিক্স বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার থেকে ১০ হাজার ৫০০ টাকা।
একইসাথে বহনযোগ্য হার্ডডিক্সের দামও বেড়েছে কয়েকগুন। ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে ট্রানসেন্ড ব্যান্ডের ৩২০ গিগাবাইটের হার্ডডিক্স ৬ হাজার ৩০০ টাকা, ৫০০ গিগাবাইট ৮ হাজার টাকা, ৬৪০ গিগাবাইট ৯ হাজার ২০০ টাকা, ১ টেরাবাইট ১২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ওয়েস্টান ডিজিটালের ৩২০গিগাবাইটের হার্ডডিক্স ৫ হাজার ৮০০ টাকা, ৫০০গিগাবাইট ৭ হাজার ২০০ টাকা ও ১ টেরাবাইট ১২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একইসাথে মুসা সরকার জানান, পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে সকল হার্ডডিক্সের ওয়ারেন্টির মেয়াদ ৩ বছর থেকে কমিয়ে ২ বছর করা হয়েছে। এটা গ্রাহকদের জন্য অবশ্যই একটি হতাশার খবর। টেকভ্যালি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের সেলস অফিসার মাজহারুল ইসলাম বলেন, হার্ডডিক্সের প্রভাব আপাতভাবে কাটছে না। তবে আশা করা হচ্ছে আগামী ২০১৩ সালের মধ্যে এটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। সেই হিসেবে আগামী প্রায় ২ বছর হার্ডডিক্স ও হার্ডডিক্স ব্যবহৃত ডিভাইসের দাম প্রতিকুল অবস্থায় থাকবে।
ল্যাপটপ, নেটবুক, নোটবুকের দাম বৃদ্ধি
মূলত হার্ডডিক্সের দাম বাড়ার কারণেই ল্যাপটপ, নেটবুক, নোটবুকের দাম বেড়েছে। কম্পিউটার সোর্সের পাবলিক রিলেশন অ্যাক্সিকিউটিভ ইমদাদুল হক জানান, হার্ডডিক্স ও ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রতিটি ল্যাপটপেই ২ হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে তিনি আরো জানান, দাম বাড়ার ফলে ক্রেতাদের পাশাপাশি বিক্রেতা বা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানর হতাশ। আপাতভাবে গ্রাহকদের শান্ত ও বাজারমুখী রাখতে ভিন্ন পথে চলছে তারা। প্রায় প্রতিটি ব্র্যান্ডেরই ল্যাপটপ, নেটবুক, নোটবুকে মডেল অপরিবর্তিত রেখে ভেতরের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যেমন প্রসেসর, মাদারবোর্ড বা হার্ডডিক্সের মান পরিবর্তন করা হচ্ছে। মোটকথা কনফিগারেশনের পরিবর্তন আসছে। মডেল ভিন্ন রেখে এভাবে কনফিগারেশনে পরিবর্তন এনে অনেক ব্র্যান্ডই দাম অপরিবর্তিত, সামান্য বাড়িয়েছে। এমনকি মানের বেশি পরিবর্তন এনে দাম কমানো হচ্ছে। এরফলে গ্রাহকরা সেটি ধরতে পারছেন না। গ্রাহকরা একই মডেলের ল্যাপটপ দাম কম দেখে কিনছেন। ফলে তারা ভাবছেন যে লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে তারা আগের খেকে নিন্মমানের কনফিগারেশনের পণ্য পাচ্ছেন। এভাবে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বাজারের এই মন্দাবস্থায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রসেসর ও মাদারবোর্ডের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ
কম্পিউটারের আবশ্যকীয় আরো দুটি যন্ত্রাংশ হলো প্রসেসর ও মাদারবোর্ড। ডলারের দাম বাড়ায় এসকল পণ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইন্টেল কোর আর থ্রি সিরিজের প্রসেসর ৯ হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে ১১ হাজার টাকা থেকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। ইন্টেল সেলেরন ১.৮ গিগাহার্জের প্রসেসর ৩ হাজার ৪৫০ টাকা, ইন্টেল  কোর আই-৫ ৩.১ গিগাহার্জের প্রসেসর ১৭ হাজার টাকা, ইন্টেল কোর আই-৭ প্রসেসর ২৯ হাজার ৭০০ টাকা, পেন্টিয়াম ডুয়েল  কোর সিরিজের প্রসেসর ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ২০০ টাকা ও ইন্টেল ওপেন কোরআই-৩ ৩.০৬ গিগাহার্জের প্রসেসর ৫ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মনিটরের দামেও হতাশা
খুচরা যন্ত্রাংশের পাশাপাশি মনিটরের দামও বেড়েছে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। এর আগে স্যামসাং এলইডি ১৮.৫ ইঞ্চি পর্দার মনিটর ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে এটি বিক্রি হচ্ছে ৯ হাজার টাকায়। ২১.৫ ইঞ্চির মনিটর ১৪ হাজার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে দাম বৃদ্ধি পেয়ে স্যামসাং  ১৭ ইঞ্চি ৮ হাজার ৫০০ টাকা, ২০ ইঞ্চি ১১ হাজার ৫০০ টাকা, ২৪ ইঞ্চি ২৩ হাজার ৭০০ থেকে ২৪ হাজার টাকা, ফিলিপস     ১৮.৫ ইঞ্চির মনিটর ৮ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার ৪০০ টাকা, ডেল ১৭ ইঞ্চি ৯ হাজার ২০০ টাকা। প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে এলজি ও আসুস ব্যান্ডের মনিটরগুলো। দাম বাড়ার বিষয়ে বিক্রেতারা বললেন, শুধুমাত্র ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণের মনিটরের দাম বেড়েছে।
প্রিন্টার স্ক্যানারের দামও বেড়েছে
কম্পিউটারের অন্যান্য যন্ত্রাংশের পাশাপাশি প্রিন্টার ও স্ক্যানারের দামও বেড়েছে। বাংলাদেশে ক্যাননের পরিবেশক জান অ্যাসোসিয়েটের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ দেবাশিষ সাহা বলেন, প্রায় প্রতিটি প্রিন্টারেই ৩ থেকে ১৫ শতাংশ দাম বেড়েছে। কয়েকমাস আগে ক্যাননের আইপি ২৭৭২ মডেলের প্রিন্টার ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে এটি ৩ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এইচপি২৭৬ মাল্টিফাংশনের প্রিন্টার ৫ হাজার ৮০০ থেকে ৬ হাজার টাকা, এলবিপি ৬০০০ মডেলটি ৮ হাজার থেকে বেড়ে ৮ হাজার ৫০০ টাকা, এমএফ৪৪১২ মডেলটি ২০ হাজার থেকে বেড়ে ২১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এইচপি ১১০২ মডেলের প্রিন্টার ৭ হাজার ৩০০ থেকে ৮ হাজার ৩০০ টাকা এবং ২০৩৫ মডেলের ল্যাপটপটি ২০ হাজার ৫০০ থেকে ২৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে স্ক্যানারের দাম। ক্যানন লাইট ১১০ মডেলের স্ক্যানার ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে ৪ হাজার ২০০ টাকা, ৭০০ এফ মডেলটি ৯ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা, এইচপি ২৪১০ মডেলটি ৪ হাজার ৬০০ টাকা থেকে বেড়ে ৫ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আনুপাতিক হারেই বেড়েছে স্ক্যানারগুলোর দাম।
প্রিন্টার, স্ক্যানারের পাশাপাশি বেড়েছে কার্টিজের দাম। সর্বনিু ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে কার্টিজগুলো।
ডিজিটাল ক্যামেরায়ও আগুন
কম্পিউটারের পাশাপাশি ডিজিটাল ক্যামেরার দামও বেড়েছে খুব। বাজার ঘুরে দেখা যায়, দামের আনুপাতিক হারে সর্বনিু ২ হাজার থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ক্যামেরার দাম। ক্যাননের আইএক্সইএক্স ১১৫ মডেলের ক্যামেরাটি ১৫ হাজার থেকে বেড়ে ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইদামে বিক্রি হচ্ছে এ৩৩০০ মডেলের ক্যামেরা। পাওয়ার শট এস৯৫ মডেলের ক্যামেরাটি ৩২ হাজার থেকে বেড়ে ৩৫ হাজার টাকা, জি১২ মডেলটি ৪২ হাজার থেকে বেড়ে ৪৫ হাজার টাকা, এসএলআর ১১০০ডি ৫০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার ও ৬০০ডি ৭৫ হাজার থেকে বেড়ে ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠরা জানান, মেমোরির দাম ও ডলারের দাম বৃদ্ধির সমন্বয়ে ক্যামেরার দাম বেড়েছে। ৮ থেকে ১৫ শতাংশ বেড়েছে ব্যাটারির দাম।
অন্যান্য পণ্যের দামও থেমে নেই
প্রযুক্তি বাজারের অন্যান্য পন্যগুলোর দামও থেমে নেই। প্রতিটি টিভি কার্ডের দাম বেড়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, ক্যাসিংয়ের দাম বেড়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, ¯িপ্রকার প্রতি দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। একইভাবে ল্যাপটপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির বাজার দরও এখন বেশ চড়া। এক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য এখনো গোটা পৃথিবী জাপানের উপর নির্ভর করায় এ অবস্থা থেকে খুব শীঘ্রই পরিত্রান পাওয়ার আশা নেই বলে ভাবছেন সংশ্লিষ্ঠরা। রাউটারের দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। একইভাবে খুচরা প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে।
গত বুধবার রাজধানীর আইডিবি ভবনের বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে ল্যাপটপ কিনতে আসা চাকুরিজীবি হানিফুজ্জামান বাবু সাথে এ বিষয়ে কথা বলি আমি। তিনি জানান, ল্যাপটপ কিনতে এসেছি। দু’তিন মাস ধরে ল্যাপটপ কেনার জন্য ঘুরছি। কিন্তু দামতো কমছেই না, বরং বাড়ছে। তাই মডেল অভিন্ন হওয়া স্বত্বেও বাধ্য হয়ে আগের দামের থেকে প্রায় ৩ হাজার টাকা বেশি দামে ল্যাপটপ কিনেছি।
তবে আন্তর্জাতিকভাবে দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের প্রধান প্রধান প্রযুক্তিপন্য আমদানিকারকরা দাম বৃদ্ধির পিছনেও কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিএস কম্পিউটার সিটির একজন ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, বহি:বিশ্বে দাম বাড়ছে এটা সঠিক। তবে এই সুযোগে আমদানিকারকরা মুহুর্তের মধ্যেই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন আবার সামান্য কমিয়েও আনছেন। দেখা দেখে একই পণ্য পাশাপাশি দুটি দোকানো দামের অনেক পার্থক্য রয়েছে।
Source

No comments:

Post a Comment

ওয়ানপ্লাসের নতুন অক্সিজেন ওএস ১৫ আসছে AI নিয়ে

  অ্যান্ড্রয়েড ১৫  এর ওপর ভিত্তি করে আসছে  ওয়ানপ্লাসের  অক্সিজেন    ওএস  ১৫। অক্টোবরের ২৪ তারিখ বাংলাদেশ সময় রাত ৯:৩০ এ আনুষ্ঠানিকভাবে অপ...