তারা কেন ডা. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে লেগেছে।
প্রথমত. ঈর্ষা । তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তায় তারা ঈর্ষান্বিত হয়েছেন তাই তাদের এই কুটসা রটানো।
দ্বিতীয়ত. কুরআন ও সহীহ হাদীস অনুসরণ:
তিনি তো বিভিন্ন মত অনুসরণ করছেন না, বরং কুরআন ও সহীহ হাদীসের কথা বলছেন তাই তারা তাঁর পিছনে লেগেছে। কারণ কুরআন ও হাদীসের কথা বললে ঠিক আছে কিন্তু সহীহ হাদীস ? তাহলে তো আমাদের গোমর ফাঁস হয়ে যাবে। আমাদের মতের অধিকাংশই জাল যইফ হাদীস অনুযায়ী। তাহলে তো আমাদের বাপ-দাদাদের পথ ত্যাগ করতে হবে।
তৃতীয়ত. শিরক বিদআতের কথা না বলা
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও কাছে চাওয়া যাবে না বলাত কবর পুজারী ও বিদআতীরা তাঁর বিপক্ষে লেগেছে।
চতুর্থত.সুনির্দিষ্ট কোন মাযহাব না মানা
সম্ভবত এটাই সর্বাধিক গুরুতর অভিযোগ । এটাই এদের বিরোধিতা মূল কারণ। কারণ তিনি কোন একটি মাযহাবের মতের উপর থাকেন নি । বরং সকল মাযহাবের বর মাযহাব নাবী কারীম সা: এর মাযহাব অনুসরণ করেছেন এবং তাই করতে বলেছেন। এটা তো মহা অপরাধ! অথচ তিনি ঈমামদের ব্যাপারে কোন নেতিবাচক কথা বলেন নি। যেহেতু আমাদের উপমহাদেশে আলেমরা যতটা না কুরআন ও সহীহ হাদীস জানে তার চেয়ে বেশী জানে বিভিন্ন মাযহাবের কিতাব। তাই তাদের এই মাযহাবী ব্যবসায় বাধা হওয়ায় এ বিরোধিতা ও কোন ইমাম অনুসরণ না করার অভিযোগ। কে বলল, তিনি ইমাম অনুসরণ করেন না। তিনি সকল ঈমামের ইমাম মুহাম্মাদ (সা) এর অনুসরন করেন। আর প্রত্যেক ইমামই বলেছেন যখন সহীহ হাদীস পাবে সেটাই আমার মাযহাব (মত)।
দলাদলী বিহীন ইসলাম প্রচার:
তিনি ইসলামে দলাদলি না করে এক তাওহীদের উপর দাড়ানোর আহবান জানিয়েছিন। তিনি মুসলিমকে শিয়া, সুন্নী, হানাফী, শাফেয়ী, হাম্মলী প্রভৃতি নয়, বরং মুসলিম হতে বলেছেন, মুসলিমের পরিচয় এটাই। এটা বলাও তাঁর একটি অপরাধ ! কারণ উপমহাদেশে একশ্রেণীর নামধারী আলেম আছেন যারা দলাদলী করতে খুব মজা পায় । এটাকেই ইসলাম বলে।
ডা. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয় সেগুলো উল্লেখ পূর্বক জওয়াব নিচে দেওয়া হলো:
প্রশ্ন ১. তিনি কোন ইমামের অনুসারী? সোজা বাংলায় কোন মাযহাবের অনুসারী?
উত্তর: তিনি সকল মাযহাবের অনুসারী। কারণ সকল ইমামরাই একমত যে যখনই সহীহ হাদীস পাবে সেটাই আমার মাযহাব। অতএব তিনি সকল মাযহাবের অনুসারী।
প্রশ্ন ২. তিনি কেন টাই পড়েন ? এটা তো পড়া হারাম?
উত্তর: ইসলামে পোশাকের মূলনীতি দেয়া আছে। আমি তার কয়েকটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করছি।
১. নারীদের সারা অঙ্গ ঢাকতে হবে। কিন্তু পুরুষের সতর নাভী থেকে হাটু পর্যন্ত। এবং সলাত আদায় করার সময় কাঁধে কাপড় না থাকলে সলাত আদায় হবে না।
২. নারীরা গিরার নিচেও কাপড় পরিধার করতে পারবে কিন্তু পুরুষদের জন্য এটা নিষেধ।
৩. নারীরা রেশমী কাপড় ও সোনার তৈরী গহনা পড়তে পারবে কিন্তু পুরুষদের জন্য তা হারাম।
৪. পোশাক ঢিলেঢালা হতে হবে।
৫. পোশাক এমন হতে পারবে না যেটি বিপরীত লিঙ্গের পোশাক।
৬. পোশাক এমন হতে পারবে না যাতে শরীরের ভিতরের অংশ দেখা যায়।
৬. অবিশ্বাসীদের বিশেষ কোন চিহ্ন বুঝায় এমন পোশাক বা লেবেল পরিধান করা যাবে না। যেমন, ক্রুশ, কপালে ওম লিখা, মাথার টিকা প্রভৃতি।
এবার আসি টাই নিয়ে । তিনি কেন টাই পড়েন কেন? অনেক মুসলিম আছে তাদের ধারণা টাই হলো ক্রসের প্রতীক ।কিন্তু খ্রিস্টানদের কোন ধর্মগ্রন্থেই বলা নেই যে, টাই ক্রসের প্রতীক। বরং বিশেষজ্ঞদের মতে ঠান্ডা আবহাওয়ার দেশের লোকেরা টাই পড়ে কাপড় বেধে রাখতো। তাই টাই পড়া হারাম নয়। তবে গলায় ক্রম যেটা যোগ চিহ্নের মতো সেটো পড়া হারাম।
প্রশ্ন ৩. তিনি কেন কথায় কথায় অন্য ধর্ম গ্রন্থ হতে উদ্ধৃতি দেন?
উত্তর : যারা এটা বলে থাকেন তাদের বলছি এটাও বুঝার ভুল। তিনি সেগুলো থেকেই উদ্ধৃতি দেন যেগুলোতে কুরআনের বিপরীত নেই। আর কুরআনেই তো আছে আসুন আমরা কথা বলি যা আমাদের ও তোমাদের মাঝে মিল রয়েছে।
এরকম অনেক প্রশ্ন আছে। যেগুলো করা হয়। ।
ভাই আপনি ঠিক কথাটা বলেছেন,কিন্তু আমাদের সমাজে অন্ধ মানুষের সংখ্যা একটু বেশি তাই তারা দেখতে পায় না।
ReplyDelete