অমুক সফটওয়্যার ব্যবহার করে পিসিকে গেমিং পিসি বানান, তমুক এমুলেটর
ব্যবহার করে নতুন নতুন গেম খেলুন। এগুলো সবই ফালতু। গেমিং পিসি বানাতে হলে
অবশ্যই আপনাকে নতুন হার্ডওয়্যার কিনতে হবে।
গেমিং পিসি কি?
গেমিং পিসি হল এক প্রকার কম্পিউটার যেটি গেম খেলার জন্য আলাদা ভাবে তৈরি করা হয়। যেটিতে হাই কোয়ালিটি এবং গ্রফিক্স ওয়ালা গেমস সুন্দর ভাবে খেলা যায়। বাজারে বিভিন্ন ব্যান্ড এর গেমিং পিসি পাওয়া যায়। তবে আপনি চাইলে আপনার বর্তমান পিসিকে গেমিং পিসিতে আপগ্রেড করে নিতে পারেন।
একটি গেমিং পিসিতে যেগুলো অতি দরকারী সেগুলো হল:
1. Graphic Card,
2. RAM,
3. Processor
Graphic Card:
গ্রাফিক্স কার্ড অথবা ভিডিও কার্ড বা Video Ram সাধারণত ব্যবহার করা হয় উন্নত কোয়ালিটির গ্রাফিক্স পেতে। গ্রাফিক্স কার্ড পিক্সেল এর আকার বৃদ্ধি করে, কালার বিট বৃদ্ধি করে যেকোনো অবজেক্ট যেটি মনিটরে প্রদর্শিত হয় সেটিতে আরো চমৎকার করে। বর্তমান সময়ের গেমস গুলোতে গ্রাফিক্স কার্ড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
Ram:
রাম এর অর্থ হলো Random Access Memory অর্থ্যাৎ এটি হলো এক প্রকার মেমরি যা সবকিছুতে একসেস করে। আপনার পিসিতে সমস- কাজ এই রাম উপর নির্ভর করে রান করে।
তবে আপনার হার্ডডিস্ক এর উপর ভিত্তি করে রাম নির্বাচন করা উচিত। ২৫০জিবি হার্ড ডিস্কের জন্য ১জিবি রাম যথেষ্ট। আবার ৭০০জিবি হার্ডডিস্কে যদি ১জিবি রাম ব্যবহার করেন তাহলে ব্যাপারটা এমন দাড়ায় যে, আপনি আমাকে ভূড়ি / পেট দিলেন ১০কেজি কিন্তু আমার খাওয়ার ক্ষমতা দিলেন মাত্র ১কেজি। (যদিও আমার ভূড়ি নাই। আমি স্লিম!!!! হি হি হি)
Processor:
প্রসেসর যেকোন প্রোগ্রাম এবং এ্যাপ্লিকেশন এর সমস্ত নির্দেশ পালন করে যা ব্যবহারকারী কতৃর্ক প্রদত্ত এবং সেই প্রোগ্রাম এবং এ্যাপ্লিকেশন এর প্রসেসিং পাওয়ার চালনা করে।
আপনি অনেক সময় দেখবেন যে কিছু কিছু গেমস আপনার পিসিতে খেলার সময় পিসি অনেক স্লো হয়ে যায়। যদিও আপনার পিসিতে রাম অনেক বেশি। কারণ টা হলো আপনার প্রসেসর কম স্পিড এর। তাই গেম খেলার জন্য আপনার চাই উন্নত মানের প্রসেসর।
$$$$$$$$
উপরের এই ৩টি জিনিস আপনি আলাদা করে কিনে এনে যদি আপনার বর্তমান পিসিকে আপগ্রেড করেন তবে আপনার পিসি মোটামুটি গেমিং পিসি তে পরিণত হবে।
এখন আমি আপনাকে দেখাবো যে কিভাবে একটি সম্পূর্ণ গেমিং পিসি বানানো হয়:
১। গ্রাফিক্স কার্ড - কালার এবং হাই কোয়ালিটি পিক্সেল এর জন্য।
২। প্রসেসর - স্পিডিং প্রসেস এর জন্য।
৩। রাম - দ্রত একসেস এর জন্য।
৪। মনিটর – আরো উন্নত মানের দেখার জন্য:
মনিটর এখন অনেক রকমের পাওয়া যায়। অনেকেই এল.সি.ডি মনিটর ব্যবহার করেন। আবার অনেকেই এখনো পুরানো মডেল এর সি.আর.টি (মোটা) মনিটর ব্যবহার করেন। তবে বাজারে গেমিং মনিটর ও পাওয়া যায়। যদিও এদের দাম অনেক বেশি।
আমার গেমিং মনিটর কে দেখুন। (৩২ইঞ্চি)
৫। মাদারবোর্ড - সবগুলো গেমস খেলার জন্য।
মাদারবোর্ড এর উপর নির্ভর করে শেডার মডেল এর ভার্সন। ২০০৮ এর পরের গেমস গুলো শেডার মডেল ৩.০ দিয়ে তৈরি। অনেক পিসিতেই হাই কোয়ালিটির প্রসেসর এবং রাম থাকা সত্ত্বেও অনেক গেমস চলে নাহ কারণ তাদের মাদারবোর্ড শেডার মডেল ৩.০ সাপোর্ট করে নাহ। তবে যারা ইন্টেল কোর আই ৫ বা কোর আই ৭ ব্যবহার করেন তাদের কে এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কারণ কোর আই ৫ এ শেডার মডেল ৪ এবং কোর আই ৭ এ শেডার মডেল ৬ আগে থেকেই দেওয়া থাকে।
৬। হার্ডডিস্ক - গেমগুলো সংগ্রহে রাখার জন্য।
৭। কুলিং -পিসিতে ঠান্ডা রাখার জন্য।
৮। কেবিনেট বা কেসিং - আরো সুন্দর ডিজাইন এর জন্য।
৯। হাই স্পিড ডিভিডি ড্রাইভ - দ্রত ইন্সটল এর জন্য।
১০। জয়স্টিক - আরো উন্নত মানের খেলার জন্য।
১১। গেমিং কিবোর্ড এবং মাউস।
বাজারে গেমস খেলার জন্য আলাদা কিবোর্ড এবং মাউস পাওয়া যায়। দাম একটু বেশি নিবে।
১২। বড় স্পিকার - ভাল এবং উন্নত শব্দের জন্য।
আশা করি আমার টপিক টা বুঝতে পারছেন।
বর্তমান সময়ে ভাল মাদারবোর্ড এবং কোর ২ ডুয়ো প্রসেসর এবং ২জিবি রাম সাথে ১জিবি গ্রাফিক্স কার্ড থাকলেই সবধরণের গেমস আপনি খেলতে পারবেন। আল্লাহর রহমতে আমার কাছে গেমিং পিসি আছে। দাম অনেক। না বলাই ভাল। তবুও আপনাদের ধারণার জন্য আমার গেমিং পিসির আলাদা আলাদা পার্টস এর দাম দিচ্ছি:
১। প্রসেসর – ইন্টেল হাইপার ডুয়াল কোর আই ৭ – ৩৫০০০টাকা
২। মাদারবোর্ড – ইন্টেল এইচ.ডি ৩৪৫০ – ১৮০০০টাকা
৩। রাম – ইসনিক ৮জিবি – ১২০০০টাকা
৪। গ্রফিক্স কার্ড – এন.ভিডিয়া ৫জিবি – ৫৬০০০টাকা
৫। কেসিং – ৪০০০টাকা
৬। মনিটর – ৩২ইঞ্চি গেমিং মনিটর – ১.২ লাখ টাকা।
৭। স্পিকার – ৬:২ হোম থিয়েটার – ৩৫০০০টাকা
৮। গেমিং মাউস – ৩০০০ টাকা
৯। গেমিং কিবোর্ড – ৬০০০ টাকা
আমি কিবোর্ড দিয়েই খেলতে ভালবাসি। জয়স্টিক দিয়ে খেলা একটু কঠিন।
আশা করি বুঝতে পারছেন যে গেম খেলতে হলে কি কি লাগবে। তবে আপনি যেই মডেল এর পিসি ব্যবহার করুন না কেন অবশ্যই আলাদা করে গ্রাফিক্স কার্ড লাগাবেন। কখনোই বিল্ট ইন গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে গেম চালাবেন নাহ। এতে মাদারবোর্ড এবং হার্ডডিস্ক প্রচন্ড চাপ এর সৃষ্টি হয়।
ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য।
গেমিং পিসি কি?
গেমিং পিসি হল এক প্রকার কম্পিউটার যেটি গেম খেলার জন্য আলাদা ভাবে তৈরি করা হয়। যেটিতে হাই কোয়ালিটি এবং গ্রফিক্স ওয়ালা গেমস সুন্দর ভাবে খেলা যায়। বাজারে বিভিন্ন ব্যান্ড এর গেমিং পিসি পাওয়া যায়। তবে আপনি চাইলে আপনার বর্তমান পিসিকে গেমিং পিসিতে আপগ্রেড করে নিতে পারেন।
একটি গেমিং পিসিতে যেগুলো অতি দরকারী সেগুলো হল:
1. Graphic Card,
2. RAM,
3. Processor
Graphic Card:
গ্রাফিক্স কার্ড অথবা ভিডিও কার্ড বা Video Ram সাধারণত ব্যবহার করা হয় উন্নত কোয়ালিটির গ্রাফিক্স পেতে। গ্রাফিক্স কার্ড পিক্সেল এর আকার বৃদ্ধি করে, কালার বিট বৃদ্ধি করে যেকোনো অবজেক্ট যেটি মনিটরে প্রদর্শিত হয় সেটিতে আরো চমৎকার করে। বর্তমান সময়ের গেমস গুলোতে গ্রাফিক্স কার্ড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
Ram:
রাম এর অর্থ হলো Random Access Memory অর্থ্যাৎ এটি হলো এক প্রকার মেমরি যা সবকিছুতে একসেস করে। আপনার পিসিতে সমস- কাজ এই রাম উপর নির্ভর করে রান করে।
তবে আপনার হার্ডডিস্ক এর উপর ভিত্তি করে রাম নির্বাচন করা উচিত। ২৫০জিবি হার্ড ডিস্কের জন্য ১জিবি রাম যথেষ্ট। আবার ৭০০জিবি হার্ডডিস্কে যদি ১জিবি রাম ব্যবহার করেন তাহলে ব্যাপারটা এমন দাড়ায় যে, আপনি আমাকে ভূড়ি / পেট দিলেন ১০কেজি কিন্তু আমার খাওয়ার ক্ষমতা দিলেন মাত্র ১কেজি। (যদিও আমার ভূড়ি নাই। আমি স্লিম!!!! হি হি হি)
Processor:
প্রসেসর যেকোন প্রোগ্রাম এবং এ্যাপ্লিকেশন এর সমস্ত নির্দেশ পালন করে যা ব্যবহারকারী কতৃর্ক প্রদত্ত এবং সেই প্রোগ্রাম এবং এ্যাপ্লিকেশন এর প্রসেসিং পাওয়ার চালনা করে।
আপনি অনেক সময় দেখবেন যে কিছু কিছু গেমস আপনার পিসিতে খেলার সময় পিসি অনেক স্লো হয়ে যায়। যদিও আপনার পিসিতে রাম অনেক বেশি। কারণ টা হলো আপনার প্রসেসর কম স্পিড এর। তাই গেম খেলার জন্য আপনার চাই উন্নত মানের প্রসেসর।
$$$$$$$$
উপরের এই ৩টি জিনিস আপনি আলাদা করে কিনে এনে যদি আপনার বর্তমান পিসিকে আপগ্রেড করেন তবে আপনার পিসি মোটামুটি গেমিং পিসি তে পরিণত হবে।
এখন আমি আপনাকে দেখাবো যে কিভাবে একটি সম্পূর্ণ গেমিং পিসি বানানো হয়:
১। গ্রাফিক্স কার্ড - কালার এবং হাই কোয়ালিটি পিক্সেল এর জন্য।
২। প্রসেসর - স্পিডিং প্রসেস এর জন্য।
৩। রাম - দ্রত একসেস এর জন্য।
৪। মনিটর – আরো উন্নত মানের দেখার জন্য:
মনিটর এখন অনেক রকমের পাওয়া যায়। অনেকেই এল.সি.ডি মনিটর ব্যবহার করেন। আবার অনেকেই এখনো পুরানো মডেল এর সি.আর.টি (মোটা) মনিটর ব্যবহার করেন। তবে বাজারে গেমিং মনিটর ও পাওয়া যায়। যদিও এদের দাম অনেক বেশি।
আমার গেমিং মনিটর কে দেখুন। (৩২ইঞ্চি)
৫। মাদারবোর্ড - সবগুলো গেমস খেলার জন্য।
মাদারবোর্ড এর উপর নির্ভর করে শেডার মডেল এর ভার্সন। ২০০৮ এর পরের গেমস গুলো শেডার মডেল ৩.০ দিয়ে তৈরি। অনেক পিসিতেই হাই কোয়ালিটির প্রসেসর এবং রাম থাকা সত্ত্বেও অনেক গেমস চলে নাহ কারণ তাদের মাদারবোর্ড শেডার মডেল ৩.০ সাপোর্ট করে নাহ। তবে যারা ইন্টেল কোর আই ৫ বা কোর আই ৭ ব্যবহার করেন তাদের কে এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কারণ কোর আই ৫ এ শেডার মডেল ৪ এবং কোর আই ৭ এ শেডার মডেল ৬ আগে থেকেই দেওয়া থাকে।
৬। হার্ডডিস্ক - গেমগুলো সংগ্রহে রাখার জন্য।
৭। কুলিং -পিসিতে ঠান্ডা রাখার জন্য।
৮। কেবিনেট বা কেসিং - আরো সুন্দর ডিজাইন এর জন্য।
৯। হাই স্পিড ডিভিডি ড্রাইভ - দ্রত ইন্সটল এর জন্য।
১০। জয়স্টিক - আরো উন্নত মানের খেলার জন্য।
১১। গেমিং কিবোর্ড এবং মাউস।
বাজারে গেমস খেলার জন্য আলাদা কিবোর্ড এবং মাউস পাওয়া যায়। দাম একটু বেশি নিবে।
১২। বড় স্পিকার - ভাল এবং উন্নত শব্দের জন্য।
আশা করি আমার টপিক টা বুঝতে পারছেন।
বর্তমান সময়ে ভাল মাদারবোর্ড এবং কোর ২ ডুয়ো প্রসেসর এবং ২জিবি রাম সাথে ১জিবি গ্রাফিক্স কার্ড থাকলেই সবধরণের গেমস আপনি খেলতে পারবেন। আল্লাহর রহমতে আমার কাছে গেমিং পিসি আছে। দাম অনেক। না বলাই ভাল। তবুও আপনাদের ধারণার জন্য আমার গেমিং পিসির আলাদা আলাদা পার্টস এর দাম দিচ্ছি:
১। প্রসেসর – ইন্টেল হাইপার ডুয়াল কোর আই ৭ – ৩৫০০০টাকা
২। মাদারবোর্ড – ইন্টেল এইচ.ডি ৩৪৫০ – ১৮০০০টাকা
৩। রাম – ইসনিক ৮জিবি – ১২০০০টাকা
৪। গ্রফিক্স কার্ড – এন.ভিডিয়া ৫জিবি – ৫৬০০০টাকা
৫। কেসিং – ৪০০০টাকা
৬। মনিটর – ৩২ইঞ্চি গেমিং মনিটর – ১.২ লাখ টাকা।
৭। স্পিকার – ৬:২ হোম থিয়েটার – ৩৫০০০টাকা
৮। গেমিং মাউস – ৩০০০ টাকা
৯। গেমিং কিবোর্ড – ৬০০০ টাকা
আমি কিবোর্ড দিয়েই খেলতে ভালবাসি। জয়স্টিক দিয়ে খেলা একটু কঠিন।
আশা করি বুঝতে পারছেন যে গেম খেলতে হলে কি কি লাগবে। তবে আপনি যেই মডেল এর পিসি ব্যবহার করুন না কেন অবশ্যই আলাদা করে গ্রাফিক্স কার্ড লাগাবেন। কখনোই বিল্ট ইন গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে গেম চালাবেন নাহ। এতে মাদারবোর্ড এবং হার্ডডিস্ক প্রচন্ড চাপ এর সৃষ্টি হয়।
ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য।
No comments:
Post a Comment