“Why
this kolabery,kolabery,kolabery D ?” গানটি শুনে কেউ হয়তো তাল মিলিয়ে
গেয়েছেন,কেউবা বিরক্তবোধ করেছেন,কারো কারো খুনে রাগ চেপেছে এমন মাতাল গান
বন্ধ করতে,আবার কারো মনে হয়তো এমন প্রশ্নও জেগেছিল কেন এই হৈ চৈ?কি আছে এই
গানে?
যার যাই মনে হোক,দানুশের গাওয়া গানটি একবারও শুনেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।ছবি মুক্তি পাওয়ার আগে গান প্রকাশ পাওয়ার প্রচলিত নিয়মে মুক্তি পেয়েই এমন আলোচিত হয় যে হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায় ব্যাপারটা।হাইকোর্ট থেকে নোটিশ জারি হয় যাতে করে সিনেমাতে গানটি না দেওয়া হয়।কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল ইভ-টিজিং।অবশেষে বহাল তবিয়তে মুক্তি পেয়েছে “3”-তার আলোচিত গান সমেত।মুভি দেখেই আপনাদের জন্য প্রিভিউ লেখার লোভ সামলাতে পারলাম না।
হোস্টেল লাইফের সুবিধা এটাই মাগনা মাগনা মুভি কালেকশন করা যায়।হল প্রিন্ট দেখার অভ্যাস অনেকেরই নাই,তবে আমার নিজের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় আছে।এর জন্যি হল প্রিন্টের “3” দেখলাম।আপনাদের যাদের অরিজিনাল প্রিন্ট দেখার ব্যাপারে আপোষ করার ইচ্ছে নাই তারা নাহয় কটা দিন অপেক্ষা করবেন।
প্রচলিত প্রেমের কাহিনী নি্যেই সাজানো সিনেমাটি।কোনো এক বৃষ্টির দিনে নায়ক দানুশ বাবাজি কলেজে যাচ্ছিলেন শখের বাইকে চড়ে।দেখে আমার একটু হিংসা হচ্ছিল,কেননা আমার বাবা আমাকে ইন্টারমিডিয়েট তো দূরে থাক ভার্সিটি লাইফেও বাইক কিনে দেননি।আর দানুশ কিনা ইন্টারমিডিয়েটেই বাইক চালায়।ইশ,যদি সিনেমার নায়কও হইতাম।যাক সে কথা,দুঃখ থেকে একটু রোমান্সে যাই।তো আমাদের নায়ক সাহেব বৃষ্টির দিনে কলেজ যাইতে গিয়ে দেখলেন রাস্তায় জ্যামের মধ্যে নায়িকা ও তার বোন সাইকেলের চেইন ঠিক করতাছে।আর কি যা হয় সব সময়,নায়ক গিয়ে সমস্যা সমাধান করে দিলেন।নায়িকা “ধন্যবাদ” দিয়ে চলে গেল-ইশকুলের নাম বাতালো না।আর নায়িকার ছোট বোন সাইকেলের পিছন থেকে নায়কের পানে চেয়ে থাকল।মোরাল অব দ্য স্টোরি হল-“নায়িকার আগে তার ছোট বোনকে পটাতে হয়”।
আচ্ছা,নায়ক-নায়িকা একবার যদি মোলাকাত হয়ে যায় তাহলে কি হবে?সহজ উত্তর-প্রেম কাহানি।সেটাই হলো।নায়িকাকে দেখতে নায়ক প্রতিদিন নায়িকার ইশকুলের রাস্তায় ক্যাবলাকান্ত হয়ে দাঁড়ায় থাকে।নায়িকা যে স্যারের কাছে পড়ে সেই স্যারের কাছে পড়তে যায়,আর লুকাই লুকাই নায়িকারে দেখে।স্যারের কাছে ধরা খায় নায়কের বন্ধু,বকা খায় নায়কের বন্ধু;আর নায়ক?প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেই সবাইরে তাক লাগিয়ে দিয়ে জবাব,সারাদিন তো একটা সাবজেক্টই পড়ে।অন্যগুলোতে ৭,১২ করে পেলেও ফিজিক্সে ৮৬ পায়,অবশ্য নায়িকা যদি অন্য সাবজেক্টের জন্য প্রাইভেট পড়ত তাহলে অন্যগুলোতেও ৮০+ হতো বলে নায়কের বন্ধুর ভাষ্য।
যথারীতি নায়ক-নায়িকার প্রেম হলো,প্রেমের ৫বছরের মাথায় নায়িকা স্ব-পরিবারে আমেরিকা যাবে-বেচারির মন মাইন্ড দুটোই খারাপ।আর বেচারা মনের দুঃখে বিচে গিয়ে বন্ধু নিয়ে মদ খেয়ে টাল হয়ে সেই বিখ্যাত গান ধরলেন,“ভাল আছি ভাল থেকো,আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো”…সরি…“Why this kolabery?”।
নায়িকা পরের দিন নিজের পাসপোর্ট জ্বালাই দিতে গিয়ে মায়ের হাতের চড় খেয়ে চির জীবনের জন্য নায়কের কাছে চলে আসলো।নায়ক বহু কষ্টে নায়িকারে বুঝাই বাড়িতে ফেরত পাঠালো।এরপরই ঘটল দুটো সিনেম্যাটিক সিকোয়েন্স।নায়ক বাপের কাছে গিয়ে প্রেমের কথা বলতেই বাবা আলাদা এপার্টম্যান্ট সহ ছেলেরে ব্যবসা ধরায় দিলেন,ছেলে খালি একটু কষ্ট করে বউ ঘরে তুলবে।ওদিকে নায়িকারে তার বাবা ইমোশনালি ব্লেকমেইল করতে লাগল-তোর মা তোর জন্য এতগুলো বছর আমেরিকান এম্বেসিতে এমন করছে,অমন করছে আর তুই কিনা নিজের সুখের জন্য…নায়িকা বাপের পা জড়ায় ধরে কান্না করতে লাগল-বাবা আমি ওরে ছাড়া বাঁচবো না।নায়িকার কান্না দেখে তার জন্মের বোবা বোন হঠাত কথা বলে উঠালো;এত বছর পর প্রথম যে কথাটা বলল তাও জাক্কাস-বাবা আপারে যাইতে দাও,আমাগো আমেরিকা যওন লাগবো না,এহানেই ভালা আছি।
মা বাবা তো ছোট মেয়েরে কথা বলতে দেইখাই খুশি,বড় মেয়েরে কইলেন “যাও যেহানে খুশি,আমাগো কাছে আইওনের দরকার নাই,আমরাও তুমারে দেখবার যামু না”।আর কি ভাই,পুরান কাহিনী;নায়ক-নায়িকা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো।
ভাবতাছেন ধুরঃ কি আর দেখমু সিনেমা !! কোন থ্রিল নাই,আইটেম সং মাই,আলিফ লাইলা মার্কা মাইর নাই,নায়িকার বিকিনি পরা সিন নাই।মানি আপনার কথা ঠিক,তবে দেখার মত কিছু আছে এই মুভিতে।বিশেষ করে যারা মুভি বানাইবার হাউশঃ করেন আর যারা জীবনে একবারের জন্য হলেও সত্যিকারের প্রেম করছেন তাদের জন্য।কারণ এর অসাধারণ সিনেম্যাটোগ্রাফি চিত্রনাট্যকে সাধারণ্যের উর্ধ্বে নিয়ে গেছে।সাধারণ ডায়ালগটাও আপনার আবেগকে ছুয়ে যাবে।প্রেমিক সমাজ নিজের জীবনের গল্প খুজে পাবেন।আর আছে কাহিনীর মোড়,তাই পরিচিত কাহিনী মনে হলেও শেষটা আন্দাজ করতে পারবেন না-এটাই দক্ষিনের ছবির বৈশিষ্ট্য।আমিও বাকি কাহিনী বলতাছি না,আগ্রহ যেন না মরে।এই টুকু শেয়ার করি মুভিটা দেখে আমার মনে হইছিল আমাদের পরিচিত গল্প কিন্তু নিজের মাথায় এই আইডিয়াটা আসে নাই,যেমন মনে হইছিল গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ “মনপুরা” দেখে সিনেমা হল থেকে বের হওয়ার পর।
ডাউনলোড লিংক দিতা পারতাছি না,কারণ আমি নিজেই ডাউনলোড করি নাই-আরেক জন থেকে মুফতে নিছি।এই টুকু ইনফরমেশন দিতে পারি সিডি ভিসিডি’র দোকানগুলোতে হলপ্রিন্টটা পাওয়া যাচ্ছে।দেখবেন আশা করি,আর হাঃ,কষ্টের বিনিময়ে লিখছি-কমেন্ট করতে ভুইলেন না;স্বার্থক হবো।
যার যাই মনে হোক,দানুশের গাওয়া গানটি একবারও শুনেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।ছবি মুক্তি পাওয়ার আগে গান প্রকাশ পাওয়ার প্রচলিত নিয়মে মুক্তি পেয়েই এমন আলোচিত হয় যে হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায় ব্যাপারটা।হাইকোর্ট থেকে নোটিশ জারি হয় যাতে করে সিনেমাতে গানটি না দেওয়া হয়।কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল ইভ-টিজিং।অবশেষে বহাল তবিয়তে মুক্তি পেয়েছে “3”-তার আলোচিত গান সমেত।মুভি দেখেই আপনাদের জন্য প্রিভিউ লেখার লোভ সামলাতে পারলাম না।
হোস্টেল লাইফের সুবিধা এটাই মাগনা মাগনা মুভি কালেকশন করা যায়।হল প্রিন্ট দেখার অভ্যাস অনেকেরই নাই,তবে আমার নিজের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় আছে।এর জন্যি হল প্রিন্টের “3” দেখলাম।আপনাদের যাদের অরিজিনাল প্রিন্ট দেখার ব্যাপারে আপোষ করার ইচ্ছে নাই তারা নাহয় কটা দিন অপেক্ষা করবেন।
প্রচলিত প্রেমের কাহিনী নি্যেই সাজানো সিনেমাটি।কোনো এক বৃষ্টির দিনে নায়ক দানুশ বাবাজি কলেজে যাচ্ছিলেন শখের বাইকে চড়ে।দেখে আমার একটু হিংসা হচ্ছিল,কেননা আমার বাবা আমাকে ইন্টারমিডিয়েট তো দূরে থাক ভার্সিটি লাইফেও বাইক কিনে দেননি।আর দানুশ কিনা ইন্টারমিডিয়েটেই বাইক চালায়।ইশ,যদি সিনেমার নায়কও হইতাম।যাক সে কথা,দুঃখ থেকে একটু রোমান্সে যাই।তো আমাদের নায়ক সাহেব বৃষ্টির দিনে কলেজ যাইতে গিয়ে দেখলেন রাস্তায় জ্যামের মধ্যে নায়িকা ও তার বোন সাইকেলের চেইন ঠিক করতাছে।আর কি যা হয় সব সময়,নায়ক গিয়ে সমস্যা সমাধান করে দিলেন।নায়িকা “ধন্যবাদ” দিয়ে চলে গেল-ইশকুলের নাম বাতালো না।আর নায়িকার ছোট বোন সাইকেলের পিছন থেকে নায়কের পানে চেয়ে থাকল।মোরাল অব দ্য স্টোরি হল-“নায়িকার আগে তার ছোট বোনকে পটাতে হয়”।
আচ্ছা,নায়ক-নায়িকা একবার যদি মোলাকাত হয়ে যায় তাহলে কি হবে?সহজ উত্তর-প্রেম কাহানি।সেটাই হলো।নায়িকাকে দেখতে নায়ক প্রতিদিন নায়িকার ইশকুলের রাস্তায় ক্যাবলাকান্ত হয়ে দাঁড়ায় থাকে।নায়িকা যে স্যারের কাছে পড়ে সেই স্যারের কাছে পড়তে যায়,আর লুকাই লুকাই নায়িকারে দেখে।স্যারের কাছে ধরা খায় নায়কের বন্ধু,বকা খায় নায়কের বন্ধু;আর নায়ক?প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেই সবাইরে তাক লাগিয়ে দিয়ে জবাব,সারাদিন তো একটা সাবজেক্টই পড়ে।অন্যগুলোতে ৭,১২ করে পেলেও ফিজিক্সে ৮৬ পায়,অবশ্য নায়িকা যদি অন্য সাবজেক্টের জন্য প্রাইভেট পড়ত তাহলে অন্যগুলোতেও ৮০+ হতো বলে নায়কের বন্ধুর ভাষ্য।
যথারীতি নায়ক-নায়িকার প্রেম হলো,প্রেমের ৫বছরের মাথায় নায়িকা স্ব-পরিবারে আমেরিকা যাবে-বেচারির মন মাইন্ড দুটোই খারাপ।আর বেচারা মনের দুঃখে বিচে গিয়ে বন্ধু নিয়ে মদ খেয়ে টাল হয়ে সেই বিখ্যাত গান ধরলেন,“ভাল আছি ভাল থেকো,আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো”…সরি…“Why this kolabery?”।
নায়িকা পরের দিন নিজের পাসপোর্ট জ্বালাই দিতে গিয়ে মায়ের হাতের চড় খেয়ে চির জীবনের জন্য নায়কের কাছে চলে আসলো।নায়ক বহু কষ্টে নায়িকারে বুঝাই বাড়িতে ফেরত পাঠালো।এরপরই ঘটল দুটো সিনেম্যাটিক সিকোয়েন্স।নায়ক বাপের কাছে গিয়ে প্রেমের কথা বলতেই বাবা আলাদা এপার্টম্যান্ট সহ ছেলেরে ব্যবসা ধরায় দিলেন,ছেলে খালি একটু কষ্ট করে বউ ঘরে তুলবে।ওদিকে নায়িকারে তার বাবা ইমোশনালি ব্লেকমেইল করতে লাগল-তোর মা তোর জন্য এতগুলো বছর আমেরিকান এম্বেসিতে এমন করছে,অমন করছে আর তুই কিনা নিজের সুখের জন্য…নায়িকা বাপের পা জড়ায় ধরে কান্না করতে লাগল-বাবা আমি ওরে ছাড়া বাঁচবো না।নায়িকার কান্না দেখে তার জন্মের বোবা বোন হঠাত কথা বলে উঠালো;এত বছর পর প্রথম যে কথাটা বলল তাও জাক্কাস-বাবা আপারে যাইতে দাও,আমাগো আমেরিকা যওন লাগবো না,এহানেই ভালা আছি।
মা বাবা তো ছোট মেয়েরে কথা বলতে দেইখাই খুশি,বড় মেয়েরে কইলেন “যাও যেহানে খুশি,আমাগো কাছে আইওনের দরকার নাই,আমরাও তুমারে দেখবার যামু না”।আর কি ভাই,পুরান কাহিনী;নায়ক-নায়িকা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো।
ভাবতাছেন ধুরঃ কি আর দেখমু সিনেমা !! কোন থ্রিল নাই,আইটেম সং মাই,আলিফ লাইলা মার্কা মাইর নাই,নায়িকার বিকিনি পরা সিন নাই।মানি আপনার কথা ঠিক,তবে দেখার মত কিছু আছে এই মুভিতে।বিশেষ করে যারা মুভি বানাইবার হাউশঃ করেন আর যারা জীবনে একবারের জন্য হলেও সত্যিকারের প্রেম করছেন তাদের জন্য।কারণ এর অসাধারণ সিনেম্যাটোগ্রাফি চিত্রনাট্যকে সাধারণ্যের উর্ধ্বে নিয়ে গেছে।সাধারণ ডায়ালগটাও আপনার আবেগকে ছুয়ে যাবে।প্রেমিক সমাজ নিজের জীবনের গল্প খুজে পাবেন।আর আছে কাহিনীর মোড়,তাই পরিচিত কাহিনী মনে হলেও শেষটা আন্দাজ করতে পারবেন না-এটাই দক্ষিনের ছবির বৈশিষ্ট্য।আমিও বাকি কাহিনী বলতাছি না,আগ্রহ যেন না মরে।এই টুকু শেয়ার করি মুভিটা দেখে আমার মনে হইছিল আমাদের পরিচিত গল্প কিন্তু নিজের মাথায় এই আইডিয়াটা আসে নাই,যেমন মনে হইছিল গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ “মনপুরা” দেখে সিনেমা হল থেকে বের হওয়ার পর।
ডাউনলোড লিংক দিতা পারতাছি না,কারণ আমি নিজেই ডাউনলোড করি নাই-আরেক জন থেকে মুফতে নিছি।এই টুকু ইনফরমেশন দিতে পারি সিডি ভিসিডি’র দোকানগুলোতে হলপ্রিন্টটা পাওয়া যাচ্ছে।দেখবেন আশা করি,আর হাঃ,কষ্টের বিনিময়ে লিখছি-কমেন্ট করতে ভুইলেন না;স্বার্থক হবো।
No comments:
Post a Comment