আজ দেখাবো রুট না
করার পিছনে ১০ টি উপযুক্ত কারন যা দেখে অনেকে রুট করবেন না। যাই হোক, রুট
করলে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন তবুও চলুন দেখি রুট না করার পিছনে কি কি কারন
থাকতে পারে…
১- রুট সবার জন্যে নাঃ রুট করলে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন সত্যি তবে যারা সবেমাত্র এন্ড্রয়েড ওয়ার্ল্ড এ ঢুকেছেন এবং টেকনিক্যাল ব্যাপারে জ্ঞান কম তাদেরকে বলবো আপনার রুট করার দরকার নেই। কারন রুট করতে গিয়ে অথবা রুট করার পর ভিবিন্য কিছু ট্রাই করতে গিয়ে আপনার ডিভাইস ড্যামেজ করে ফেলতে পারেন। সুতরাং রুট সবার জন্যে নয়।
২- রুট অনেক সময় আপনার ডিভাইস রিসেট করে ফেলবেঃ একচুয়াল টা বলা সম্ভব না তবে অনেক সময় রুট করতে গিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে আপনার ডিভাইস রিসেট সহ অরিজিনাল ফার্মওয়্যার দেয়া লাগতে পারে। এতে করে আপনার অনেক ডাটা হারানর একটা ভয় থেকে যাচ্ছে। এছাড়াও রুট করার পর ডিভাইস এ অনেক টাইপের প্রবলেম হয়। তাই ডাটা হারানর ভয় থেকেই যায়।
৩- গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি হারানোঃ এই টার্ম টা অনেকেই জানেন আগে। রুট প্রসেস টি আপনার ডিভাইস কোম্পানি থেকে না করে দেয়া হয়েছে। রুট করার পর ডিভাইস কিছু হলে সেটার দায়ভার কোম্পানি বহন করবে না। এছাড়াও রুট করার সাথে সাথে আপনার ডিভাইস এর ওয়ারেন্টি অথবা গ্যারান্টি যেটাই থাকুক না কেন তা নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা অনেকেই দেখা যায় ১ বছরের জায়গায় ২ বছরের ওয়ারেন্টি নেই টাকা বেশি দিয়ে। নিয়ে লাভ কি? আপনি রুট করলে তা আর পাবেন না।
৪- ডাটা সিকিউরিটি কমে যায়ঃ রুট করার পর আপনার কন্ট্রোল এ টোটাল ডিভাইস এক্সেস এসে যায়। এবং দেখা যায় আপনি ও আমি অনেক টাইপের অ্যাপ ইন্সটল করি। এতে করে কিছু কিছু অ্যাপ ডিভাইস এর এডমিন এক্সেস পেয়ে যায়। এডমিন এক্সেস পেলে ওইসব অ্যাপ আপনাকে না জানিয়ে আপনার ডিভাইস এর যেকোনো ডাটা কপি করে নিতে পারবে। এছাড়াও মুছেও দিতে পারবে। রুট না করলে এটার ভয় অনেক কম থাকে। সুতরাং রুট করার ফলে আপনার ডাটা ও ফাইল এর সিকিউরিটি কমে যাবে।
৫- অনেক প্রোগ্রাম চলতে বাধা দিবেঃ এখানে একটু বলে নেই, রুট করার ফলে আপনি অনেক টাইপের অ্যাপ ও প্রোগ্রাম ইউজ করতে পারবেন যা নরমালি পারবেন না। তবে প্লে ষ্টোর এ কিছু কিছু অ্যাপ আছে যা আপনি নরমালি ইউজ করতে পারবেন কিন্তু রুট করার পর তা পারবেন না। অনেক গেইম দেখা যাবে রুট করার পর হতাথ করে ওপেন হতে গিয়ে অফ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের গ্রুপ এ এরকম অনেকে জানিয়েছেন। তাই এই পয়েন্ট টা এখানে তুলে দিলাম।
৬- রুট সিস্টেম এর স্টেবিলিটি কমায়ঃ যদিও রুট করার ফলে আপনি আপনার রম ও সিস্টেম এ অনেক প্রকার কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন। তবে এখানে একটু বলে রাখা ভালো যে রুট করার ফলে আপনি এডমিন এক্সেস পেয়ে এমন কিছু কাস্টমাইজেশন করতে পারেন যাতে কিনা আপনার ডিভাইস এর স্টেবিলিটি কমে যাবে। যেতে পারে না কমে জাবেই। এতে করে মোবাইল টা একটু লং লাইফ এর চেয়ে কম লাইফ হবে :p
৭- OTA আপডেট পাবেন নাঃ রুট করার ফলে আপনার ডিভাইস এর OTA আপডেট ফিচার টি অফ হয়ে যাবে। তবে এটি সব ডিভাইস এ না । কিছু কিছু ডিভাইস এ এটি হবে। এতে করে আপনি কাস্টম আপডেট করতে হতে পারে আপনার ডিভাইস।
৮- কাস্টম রম ইউজ করে বিপদে পরাঃ রুট করার ফলে আপনি এডমিন এক্সেস পেয়ে যাবেন। এতে করে আপনি কাস্টম রম ইউজ করতে পারবেন। রম মানে হল মোবাইল এর সাথে আসা অরিজিনাল সিস্টেম। সুতরাং এই অরিজিনাল সিস্টেম এর অনেক কাস্টম ভার্সন পাওয়া যায়। যার মধ্যে Cyanogen MOD অন্যতম। যাই হোক কাস্টম রম এ আপনি অনেক ফিচার পাবেন। তবে এতে করে রিস্ক থাকে বেশি। দেখা যায় অনেক সময় আপনার ডিভাইস এর ক্যামেরা কাজ করতেছে, ভাইব্রেশন কাজ করতেছেন, কল করা যাচ্ছেনা, মাঝে মাঝে কল করে কথা শুনা যাচ্ছে না এরকম আরও অনেকে প্রবলেম দেখা যায় অনেকের ডিভাইস এ । কারন কাস্টম রম এ অনেক বাগ থাকে। যদিও আমি প্রতি সপ্তাহে রম চেঞ্জ করি।
৯- রুট খামখেয়ালি অথবা মজা করার জিনিস নাঃ আমরা দেখা যায় অনেকে রুট করি শুধু মাত্র কিছু অ্যাপ ও ফিচার স্টাইল ইউজ করার জন্যে। ডিভাইস এর চেহারা পরিবর্তন করার জন্যে। এতে করে একটু মজা পাওয়া যায়। তবে আপনি জানেন কি!! রুট কোন প্রকার মজা করার জিনিস না। এই রুট করার কারনে আপনার ডিভাইস এর এডমিন এক্সেস যেকোনো অ্যাপ সহজে নিয়ে নিতে পারে। এতে করে দেখা যায় আপনি যেকোনো প্রকার হ্যাক এর ভিক্টিম হতে পারেন। এছাড়াও আপনার ডিভাইস এ যেকোনো প্রকার ড্যামেজ ও ডাটা হারাতে পারেন। তাই যদি না বুঝেন তাইলে রুট কইরেন না। মজা করতে হলে অন্য কিছু নিয়ে করেন।
১০- পাইরেট অ্যাপ ইন্সটলঃ প্রতিদিন লাখ লাখ ইউজার এন্ড্রয়েড নিচ্ছে এবং এন্ড্রয়েড এ আসতেছে। অ্যাপল যারা ইউজ করেন তারা হয়তো জানেন JAILBREAK এর কথা। JAILBREAK করার ফলে আপনি অনেক পাইরেটেড অ্যাপ ও ফিচার ইউজ করতে পারবেন। তো অনেকে এন্ড্রয়েড এ মনে করে যে পাইরেটেড অ্যাপ ইউজ করতে হলে মনে হয় রুট ও আনলক করতে হবে। আরে না!! আপনি যা ইচ্ছা ইউজ করেন অ্যাপ সেটার জন্যে আপনাকে রুট করতে হবেনা। এন্ড্রয়েড একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম। এখানে আপনি ইচ্ছামতো অ্যাপ ইউজ করতে পারবেন। আপনাকে বাধা দেয়ার অধিকার নেই গুগল এর। যাই হোক, অনেকে ওইসব পাইরেটেড অ্যাপ ইউজ করতে গিয়ে অনেক বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন কারন ওই অ্যাপ গুলো থার্ড পার্টি সাইট থেকে নেয়া এবং তাতে ভাইরাস থেকে যায় মাঝে মাঝে যা এডমিন এক্সেস নিয়ে আপনাকে এটাক করবে। রুট না করলে কিন্তু ওইসব অ্যাপ এডমিন এক্সেস পাচ্ছে না। এতে করে আপনার ভয় থেকে যাচ্ছে কম।
যাই হোক… যদিও উপরে দেখিয়ে কিছু কারন যা রুট না করতে আপনাকে বাধ্য করবে। তবে আমি পারসনালি সব ডিভাইস রুট করে রেখেছি। আমার কথা হল রুট না করে এন্ড্রয়েড ইউজ করার চেয়ে জাভা ইউজ করাই ভালো। তবে এটা আপনার ব্যাপার। নিজের বিপদ নিজে টেকেল দিতে পারলে রুট করুন।
source
১- রুট সবার জন্যে নাঃ রুট করলে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন সত্যি তবে যারা সবেমাত্র এন্ড্রয়েড ওয়ার্ল্ড এ ঢুকেছেন এবং টেকনিক্যাল ব্যাপারে জ্ঞান কম তাদেরকে বলবো আপনার রুট করার দরকার নেই। কারন রুট করতে গিয়ে অথবা রুট করার পর ভিবিন্য কিছু ট্রাই করতে গিয়ে আপনার ডিভাইস ড্যামেজ করে ফেলতে পারেন। সুতরাং রুট সবার জন্যে নয়।
২- রুট অনেক সময় আপনার ডিভাইস রিসেট করে ফেলবেঃ একচুয়াল টা বলা সম্ভব না তবে অনেক সময় রুট করতে গিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে আপনার ডিভাইস রিসেট সহ অরিজিনাল ফার্মওয়্যার দেয়া লাগতে পারে। এতে করে আপনার অনেক ডাটা হারানর একটা ভয় থেকে যাচ্ছে। এছাড়াও রুট করার পর ডিভাইস এ অনেক টাইপের প্রবলেম হয়। তাই ডাটা হারানর ভয় থেকেই যায়।
৩- গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি হারানোঃ এই টার্ম টা অনেকেই জানেন আগে। রুট প্রসেস টি আপনার ডিভাইস কোম্পানি থেকে না করে দেয়া হয়েছে। রুট করার পর ডিভাইস কিছু হলে সেটার দায়ভার কোম্পানি বহন করবে না। এছাড়াও রুট করার সাথে সাথে আপনার ডিভাইস এর ওয়ারেন্টি অথবা গ্যারান্টি যেটাই থাকুক না কেন তা নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা অনেকেই দেখা যায় ১ বছরের জায়গায় ২ বছরের ওয়ারেন্টি নেই টাকা বেশি দিয়ে। নিয়ে লাভ কি? আপনি রুট করলে তা আর পাবেন না।
৪- ডাটা সিকিউরিটি কমে যায়ঃ রুট করার পর আপনার কন্ট্রোল এ টোটাল ডিভাইস এক্সেস এসে যায়। এবং দেখা যায় আপনি ও আমি অনেক টাইপের অ্যাপ ইন্সটল করি। এতে করে কিছু কিছু অ্যাপ ডিভাইস এর এডমিন এক্সেস পেয়ে যায়। এডমিন এক্সেস পেলে ওইসব অ্যাপ আপনাকে না জানিয়ে আপনার ডিভাইস এর যেকোনো ডাটা কপি করে নিতে পারবে। এছাড়াও মুছেও দিতে পারবে। রুট না করলে এটার ভয় অনেক কম থাকে। সুতরাং রুট করার ফলে আপনার ডাটা ও ফাইল এর সিকিউরিটি কমে যাবে।
৫- অনেক প্রোগ্রাম চলতে বাধা দিবেঃ এখানে একটু বলে নেই, রুট করার ফলে আপনি অনেক টাইপের অ্যাপ ও প্রোগ্রাম ইউজ করতে পারবেন যা নরমালি পারবেন না। তবে প্লে ষ্টোর এ কিছু কিছু অ্যাপ আছে যা আপনি নরমালি ইউজ করতে পারবেন কিন্তু রুট করার পর তা পারবেন না। অনেক গেইম দেখা যাবে রুট করার পর হতাথ করে ওপেন হতে গিয়ে অফ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের গ্রুপ এ এরকম অনেকে জানিয়েছেন। তাই এই পয়েন্ট টা এখানে তুলে দিলাম।
৬- রুট সিস্টেম এর স্টেবিলিটি কমায়ঃ যদিও রুট করার ফলে আপনি আপনার রম ও সিস্টেম এ অনেক প্রকার কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন। তবে এখানে একটু বলে রাখা ভালো যে রুট করার ফলে আপনি এডমিন এক্সেস পেয়ে এমন কিছু কাস্টমাইজেশন করতে পারেন যাতে কিনা আপনার ডিভাইস এর স্টেবিলিটি কমে যাবে। যেতে পারে না কমে জাবেই। এতে করে মোবাইল টা একটু লং লাইফ এর চেয়ে কম লাইফ হবে :p
৭- OTA আপডেট পাবেন নাঃ রুট করার ফলে আপনার ডিভাইস এর OTA আপডেট ফিচার টি অফ হয়ে যাবে। তবে এটি সব ডিভাইস এ না । কিছু কিছু ডিভাইস এ এটি হবে। এতে করে আপনি কাস্টম আপডেট করতে হতে পারে আপনার ডিভাইস।
৮- কাস্টম রম ইউজ করে বিপদে পরাঃ রুট করার ফলে আপনি এডমিন এক্সেস পেয়ে যাবেন। এতে করে আপনি কাস্টম রম ইউজ করতে পারবেন। রম মানে হল মোবাইল এর সাথে আসা অরিজিনাল সিস্টেম। সুতরাং এই অরিজিনাল সিস্টেম এর অনেক কাস্টম ভার্সন পাওয়া যায়। যার মধ্যে Cyanogen MOD অন্যতম। যাই হোক কাস্টম রম এ আপনি অনেক ফিচার পাবেন। তবে এতে করে রিস্ক থাকে বেশি। দেখা যায় অনেক সময় আপনার ডিভাইস এর ক্যামেরা কাজ করতেছে, ভাইব্রেশন কাজ করতেছেন, কল করা যাচ্ছেনা, মাঝে মাঝে কল করে কথা শুনা যাচ্ছে না এরকম আরও অনেকে প্রবলেম দেখা যায় অনেকের ডিভাইস এ । কারন কাস্টম রম এ অনেক বাগ থাকে। যদিও আমি প্রতি সপ্তাহে রম চেঞ্জ করি।
৯- রুট খামখেয়ালি অথবা মজা করার জিনিস নাঃ আমরা দেখা যায় অনেকে রুট করি শুধু মাত্র কিছু অ্যাপ ও ফিচার স্টাইল ইউজ করার জন্যে। ডিভাইস এর চেহারা পরিবর্তন করার জন্যে। এতে করে একটু মজা পাওয়া যায়। তবে আপনি জানেন কি!! রুট কোন প্রকার মজা করার জিনিস না। এই রুট করার কারনে আপনার ডিভাইস এর এডমিন এক্সেস যেকোনো অ্যাপ সহজে নিয়ে নিতে পারে। এতে করে দেখা যায় আপনি যেকোনো প্রকার হ্যাক এর ভিক্টিম হতে পারেন। এছাড়াও আপনার ডিভাইস এ যেকোনো প্রকার ড্যামেজ ও ডাটা হারাতে পারেন। তাই যদি না বুঝেন তাইলে রুট কইরেন না। মজা করতে হলে অন্য কিছু নিয়ে করেন।
১০- পাইরেট অ্যাপ ইন্সটলঃ প্রতিদিন লাখ লাখ ইউজার এন্ড্রয়েড নিচ্ছে এবং এন্ড্রয়েড এ আসতেছে। অ্যাপল যারা ইউজ করেন তারা হয়তো জানেন JAILBREAK এর কথা। JAILBREAK করার ফলে আপনি অনেক পাইরেটেড অ্যাপ ও ফিচার ইউজ করতে পারবেন। তো অনেকে এন্ড্রয়েড এ মনে করে যে পাইরেটেড অ্যাপ ইউজ করতে হলে মনে হয় রুট ও আনলক করতে হবে। আরে না!! আপনি যা ইচ্ছা ইউজ করেন অ্যাপ সেটার জন্যে আপনাকে রুট করতে হবেনা। এন্ড্রয়েড একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম। এখানে আপনি ইচ্ছামতো অ্যাপ ইউজ করতে পারবেন। আপনাকে বাধা দেয়ার অধিকার নেই গুগল এর। যাই হোক, অনেকে ওইসব পাইরেটেড অ্যাপ ইউজ করতে গিয়ে অনেক বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন কারন ওই অ্যাপ গুলো থার্ড পার্টি সাইট থেকে নেয়া এবং তাতে ভাইরাস থেকে যায় মাঝে মাঝে যা এডমিন এক্সেস নিয়ে আপনাকে এটাক করবে। রুট না করলে কিন্তু ওইসব অ্যাপ এডমিন এক্সেস পাচ্ছে না। এতে করে আপনার ভয় থেকে যাচ্ছে কম।
যাই হোক… যদিও উপরে দেখিয়ে কিছু কারন যা রুট না করতে আপনাকে বাধ্য করবে। তবে আমি পারসনালি সব ডিভাইস রুট করে রেখেছি। আমার কথা হল রুট না করে এন্ড্রয়েড ইউজ করার চেয়ে জাভা ইউজ করাই ভালো। তবে এটা আপনার ব্যাপার। নিজের বিপদ নিজে টেকেল দিতে পারলে রুট করুন।
source
No comments:
Post a Comment