Monday, October 31, 2011

An example of telephone number in UK?

An example of telephone number in UK?


123 Any street
Any town, Oxfordshire,
Postal Code AB5 6LA
Phone Number 01292 111111
UK United Kingdom

About iTunes Store authorization and deauthorization

How do I reset the authorized computer setting/restriction on my iPod when it connects to iTunes?


I have the limit of 5 authorized (synch'ed) computers for my iPod and cannot use any more computers to listen to my music when connecting to iTunes. 3 computers associated with my iPod are gone and packed away somewhere in neverland (LOL), so I can't reconnect to them unauthorize. What to I do to remove those 3, do I have to reset my iPod and lose my music? What do I do?

You can do it via iTunes account administration.


You can deauthorize all five computers in one fell swoop through iTunes. Here are the instructions from Apple’s website (scroll toward the bottom of the article for the steps on deauthorizing all computers):

About iTunes Store authorization and deauthorization

iTunes Store purchases can be authorized in iTunes to play on up to five computers. Deauthorizing a computer allows you to manage which computers can play purchased music, videos, audiobooks, or other content.


Authorization helps protect the copyrights on the content you buy. You can use your digital rights management (DRM) protected music purchases from the iTunes Store on up to five different computers (this can be any mix of Macintosh or Windows-compatible computers). When you play an item you’ve purchased, your computer is "authorized" to play content purchased using your Apple Account.


Note: Songs you encode in AAC format from a source other than the iTunes Store, such as your own audio CDs, do not need to be authorized.


To authorize a computer to play purchases using your Apple Account

  1. Select a song, video, or audiobook you’ve purchased (in your library or the Purchased playlist).
  2. Click the Play button.

If the computer is already authorized, the item plays. If the computer has not yet been authorized, iTunes asks you to enter the Apple ID and password you used to purchase the song.

Remember to deauthorize your computer before you sell it, give it away, or get your computer serviced.


To deauthorize a computer

  1. Open iTunes.
  2. From the Store menu, choose Deauthorize Computer (In earlier versions of iTunes access this from the Advanced menu).
  3. Select "Deauthorize Computer for Apple Account" and enter your Apple ID and password.

Make sure you deauthorize your computer before you upgrade your RAM, hard disk or other system components, or reinstall Windows. If you do not deauthorize your computer before you upgrade these components, one computer may use multiple authorizations. If you find you have reached 5 authorizations due to system upgrades, you can reset your authorization count by clicking Deauthorize All in the Account Information screen. Note: You may only use this feature once per year. The Deauthorize All button will not appear if you have fewer than 5 authorized computers or if you have used this option within the last 12 months.


To deauthorize all computers associated with your account

  1. Click iTunes Store in the Source pane.
  2. If you’re not signed in to the store, click the Account button, then enter your account name and password.
  3. Click the Account button again (your ID appears on the button), enter your password, and then click View Account.
  4. In the Account Information window, click Deauthorize All.


As Apple points out, the Deauthorize All button appears only if you have five authorized machines.

Also, you can use this function only
once every 12 months, so be sure you don’t want to do this again in the near future.


Hope this helps!

Hide 2011 DVDRip 350MB

[Movie Title].......................[Hide]
[Release Year].......................[2011]
[Genre]......................[Horror | Thriller]
[Size]...........................[350MB]
[Resolution]....................[720*304]
[Format]..............................[Mkv]
[Subtitle]................................[No]
[Source]........................[DVD]
Screenshots
Hide 2011 DVDRip 350MB Movie Mediafire Free Download ScreenShots 1

MediaFire

Password
tinymoviez.com

Escapee 2011 DVDRip 400MB

[Movie Title].......................[Escapee]
[Release Year].......................[2011]
[Genre]......................[Horror | Thriller ]
[Size]...........................[400MB]
[Resolution]....................[640*352]
[Format]..............................[Mkv]
[Subtitle]................................[No]
[Source]........................[DVD]
Screenshots
Escapee 2011 DVDRip 400MB Movie Mediafire Free Download ScreenShots 1
Trailer

MediaFire

[ Part 1 ] [ Part 2 ]

Password
tinymoviez.com

ডেসটিনি এবং কিছু অভিজ্ঞতা (ফান পোষ্ট).



এক.
একদিন শুক্রবার গেলাম এক বড় ভাই এর দাওয়াত এ। কিন্তু এই দাওয়াত যে ডেস্টিনির, তা বুঝতে পারছি, "তোমার নাম কি? ইয়েস, ইয়েস" শুনে। এদের নাম জিগাইলেও ইয়েস, ইয়েস করতে থাকে। বাংলার তামাম বেকুব গুলান মনে হয় এইখানেই গিয়া একত্রীত হয়।

দুই.
৬ মাস ডেসটিনিতে থেকে অন্যের কাছে ছোট হওয়া, সবাইকে পন্য মনে করা, নিজের পার্সোনালিটি বিকিয়ে দেবার পর বুঝেছি, আর বেশি দিন থাকলে আমি ভোদাই ই হয়ে বেরুতাম, নিজের এলাকায় নিজের ইজ্জত শুন্যের কোঠায় নেমে গিয়েছিল -Emran Ahmed

তিন.
আমাদের মত হুযুগে মাতাল দেশের লোকজনদের সাথে বাটপারি করে শালারা হাজার কোটী টাকা কামিয়ে নিচ্ছে...বিনিময়ে অসহায় মানুষগুলু পাচ্ছে অপূর্ণ Destiny cycle আর মানুষের গালাগালি...আমি খুব অবাক হই যখন দেখি কিছু শিক্ষিত মানুষও নিজের অল্প লাভের জন্য এসব বাটপারির সাথে নিজেকে জরাচ্ছে এবং অন্যদের convince করছে...আমার কথা হচ্ছে আপনারা অন্যকে convince করতে গিয়ে যে সময় ফালতু ব্যাপারে চাপাবাজি করে নস্ট করছেন্‌।।সে সময়টা কোন productive কাজ করে তার চেয়ে বেশি income করতে পারবেন...আর যদি destiny করতেই হয় তাহলে অন্নের জন্য চাপাবাজি না করে নিজেই একটা mlm খুলে নিজের জন্য চাপাবাজি করেন...।
-Musafir Ali

চার.
অশিক্ষিত পোলাপাইন যখন টাই পইরা ঘুরে তখন মনডা চায় টাইয়ের মাথাডা সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ির পিছে বাইন্ধা দেই। ওই বিল্ডিঙ্গে যাওয়ার মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা আমার ও হইছিলো!!! -Rifatul Islam Chayon

পাঁচ. undefined
প্রথম ব্যাক্তি: আমাকে ১০ হাজার টাকা ধার দাও প্লিজ।
দ্বিতীয় ব্যাক্তি: আচ্ছা দিব না হয়, কিন্তু কবে ফেরৎ দিবেন?
প্রথম ব্যাক্তি: বেশি না, মাত্র ১২ বছর পর, কিন্তু তুমার আরেকটা শর্ত/সুযোগ আছে..
দ্বিতীয় ব্যাক্তি: কি শর্ত?
প্রথম ব্যাক্তি: তুমি যদি এরকম দু'জন লোক যেগাড় করে দিতে পার যারা আমাকে ১০ হাজার টাকা করে ধার দিতে পারবে, তাহলে তোমাকে ৬০০ টাকা ফেরৎ দিয়ে দিব।
দ্বিতীয় ব্যাক্তি: আর বাকিটা?
প্রথম ব্যাক্তি: তোমাকে এরকম ৩৩ জন লোক যোগাড় করে দিতে দিতে হবে যার আমাকে ১০ হাজার টাকা করে (৩৩*১০০০০=৩৩০,০০০) টাকা দিবে, তাহলে তোমার পুরা টাকাই ফেরৎ দিয়ে দিব।
দ্বিতীয় ব্যাক্তি: (দ্বিতীয় ব্যাক্তি মহাখুশি হয়ে পকেট থেকে ১০ হাজার টাকা বের করে দিল)
এই দুই ব্যাক্তিকে আপনি কি বলবেন? মহা উন্মাদ? আরে না! এদের একজন ডেসটিনি কর্মী, আরেকজন নব্য যোগ দেয়া ডিস্ট্রিবিউটর।

ছয়.
উইক এন্ড-এ সবাই নিশ্চয়ই দেরি করে উঠেছেন। এই নিন.. চা অথবা কফি যেটা ভালো লাগে।

পুনশ্চঃ চা-কফি খাওয়ানোতে আমাদের আর ডেস্টিনি রোগীদের মধ্যে পার্থক্য জানেন? আমরা সবাই খাওয়াই নিঃস্বার্থভাবে, ভাবি, 'জীবনটাতো খারাপ না'। আর ওরা ভাবে 'একবার যদি তোরে ফাঁদে ফেলতে পারি তাহলে কমিশন তো তুলবই, চায়ের বিলটাও তুলব'।

সাত.
Boy: Marry me.. ?
Girl: Do you have a house.. ?
Boy: No..
Girl: Do you have a BMW car.. ?
Boy: No..
...Girl: How much is your salary.. ?
Boy: No salary.. but,..
Girl: But?
Boy: I am a distributor of DESTINY. I will have everything in 2012. I will do everything...
Girl:O accha...!! Tui tahole destiny vo***? Sha**... dure giya mor!

আট.
বাঙালীর আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখা যতদিন থাকবে ততদিন ডেস্টিনি থাকবে।৯০% সদস্য যারা ধরা খাওয়ার পর খামোশ হইয়া যায় তখন বাকী ১০জন সেই টাকায় কোটিপতি হওয়ার লাইনে থাকে। ৯০জনের দলে যারা থাকে তারা মামলা-হামলা কিছুই করতে যায় না,মনে করে হারাইছি তো হারাইছি,আর যামুনা।আর বাটপাড় ১০জন চিরকালই আরো ৯০০জনকে স্বপ্ন দেখাইয়া চলে।৯০জনের ডেস্টিনি(ভাগ্য) নিয়া ১০জনে নিজের ডেস্টিনি গড়ে।
আপনি যদি তুরুদ্দুম বাটপাড় হয়া থাকেন তবে আপনার জন্যই ডেস্টিনি।

নয়.
১ম ব্যাক্তি: কিছুদিন থেকে আমার পেছনে লাগছে এই বাহিনী। আঠারমত .. বলে ৬ মাস পর নাকি ৫০ হাজার করে ইনকাম করা যাবে।

২য় ব্যাক্তি: ওদের মধ্যে ৬ মাস আগে যারা ঢুকছে তাদের কাছে ৫০০০ টাকা ধার চান!! ツ ツ ツ


বি:দ্র: ইন্টারনেট অবলম্বনে (ফেসবুক)

জুমলা ডাউনলোড লিঙ্ক

জুমলা ডাউনলোড

ইন্টারনেট দুনিয়ায় জুমলা হলো সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।আজ আমরা জানি নেটে কোটি কোটি ওয়েব সাইট প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে । কিন্তু এ সব সাইটের অধিকাংশ হচ্ছে জুমলা এর প্লাটফর্মে তৈরি ওয়েব সাইট।
জুমলায় সাধারন সাইট থেকে ই-কমার্স সাইট ডিজাইন করা যায় খুব সহজেই। সবচেয়ে বড় কথা হলো এটি একটি ওপেন সোর্স এর সফট্ওয়ার।তাই যে কেউ এটি ফ্রি ব্যবহার করতে পারেন।জুমলা ডাউনলোড করার জন্য একটি লিন্ক দেয়া হলো আপনাদের জন্য।
Download Joomla
Download Joomla

জুমলার সম্পূর্ণ টিউটোরিয়াল লিঙ্ক

জুমলা টিউটোরিয়াল ১: প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডাউনলোড

জুমলা টিউটোরিয়াল ২: wamp সার্ভার ইনস্টল

জুমলা টিউটোরিয়াল ৩: লোকালহোস্টে wampserver কনফিগারেশন

জুমলা টিউটোরিয়াল ৪: ফ্রি ওয়েব সার্ভারে মাইএসকিউএল কনফিগারেশন

জুমলা টিউটোরিয়াল ৫: জুমলা ইনস্টল

জুমলা টিউটোরিয়াল ৬: configuration.php ফাইল ঠিকঠাক করা

জুমলা টিউটোরিয়াল ৭: জুমলার বিভিন্ন মেন্যু বা অপশন পরিচিতি

জুমলা টিউটোরিয়াল ৮: সাইট মেন্যু

জুমলা টিউটোরিয়াল ৯: মেন্যু

কিছু ইসলামিক শব্দের অর্থ

আল হামদুলিল্লাহ:

আল হামদুলিল্লাহ শব্দের অর্থ,সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। যে কোন সুখবর বা ভালোঅবস্থা সম্পর্কিত সংবাদের বিপরীতে সাধারণত এটি বলা হয়ে থাকে। যেমন ভাই আপনি কেমন আছেন? জবাবে বলা উচিত,আল হামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।

ইনশাআল্লাহ:

ইনশাআল্লাহ শব্দের অর্থ, মহান আল্লাহ যদি চান তাহলে। ভবিষ্যতের হবে, করবো বা ঘটবে এমন কোন বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলা সুন্নাত। যেমন ইনশাআল্লাহ আমি আগামী কাল আপনার কাজটি করে দিবো। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ মুমিনদেরকে এরনির্দেশ দিয়েছেন।

মাশা আল্লাহ:

মাশা আল্লাহ শব্দের অর্থ, আল্লাহ যেমন চেয়েছেন। এটি আল হামদুলিল্লাহ শব্দের মতোই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অর্থাৎযে কোনো সুন্দর এবং ভালো ব্যাপারে এটি বলা হয়। যেমন, মাশা আল্লাহ তুমি তো অনেক বড় হয়ে গেছো।

সুবহানাল্লাহ:

সুবহানাল্লাহ শব্দের অর্থ আল্লাহ পবিত্র ও সুমহান। আশ্চর্য জনক ভালো কোন কাজ হতে দেখলে সাধারণত এটি বলা হয়ে থাকে। যেমন সুবহানাল্লাহ! আগুনে পুরো ঘর পুরে গেলেও কুরআন শরীফ অক্ষত আছে।
নাউযুবিল্লাহ:

নাউযুবিল্লাহ শব্দের অর্থ,আমরা মহান আল্লাহর কাছে এ থেকে আশ্রয় চাই। যে কোনো মন্দ ও গুনাহের কাজ দেখলে তার থেকে নিজেকে আত্মরক্ষার্থে এটি বলা হয়ে থাকে।
আসতাগফিরুল্লাহ:

আসতাগফিরুল্লাহ শব্দের অর্থ আমি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। অনাকাঙ্খিত কোন অন্যায় বাগুনাহ হয়ে গেলে আমরা এটি বলবো।

ইন্নালিল্লাহ বা ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রা-জিউন:

অর্থ, নিশ্চয়ই আমরা মহান আল্লাহর জন্য এবং আমরা তার দিকেই ফিরে যাবো। যে কোনো দু:সংবাদ বা বিপদের সময় আমরা এটি বলবো।
লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ: অর্থ; মহান আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তাছাড়া আর কোন আশ্রয় ও সাহায্য নেই। শয়তানের কোনওয়াসওয়াসা বা দূরভিসন্ধিমূলক কোন প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্যএটি পড়া উচিত।

সংগৃহীত।

Dell Inspiron N5030 – সাধ্যের মধ্যে বাজারের সবচেয়ে ভাল ল্যাপটপ


ডেল এর ল্যাপটপ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই । মানুষ ল্যাপটপ কিনতে গেলে প্রথমে ডেল এর ল্যাপটপ দেখে । প্রবল জনপ্রীয়তার কারণ হচ্ছে এদের ব্রান্ডের ল্যাপটপে তেমন একটা তাপ উৎপন্ন করে না । ব্যাটারি ব্যাকআপ অন্য সব কোম্পানির থেকে অনেক বেশী । আজ আমি একটা কথা বলব Dell Inspiron N5030 ল্যাপটপ নিয়ে । আপনারা নিজেরাই নিচের ফিচার দেখতে বুঝতে পারবেন কেন আমি Dell Inspiron N5030 কিনতে বলছি । তার আগে বলে নিই এই ল্যাপটপে আপনি বাংলাদেশর যে কোন জায়হায় ১বছরের ওয়ারেন্টি পাবেন । সুতারং নিশ্চন্তে কিনতে পারেন –

Dell Inspiron N5030 এর ফিচার (বিস্তারিত……………)
PROCESSOR ---ইন্টেল পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর
RAM ---৪GB, DDR3
Hard Disk ---৩৬0GB
Display ---15.6" LED
Optical Drive ---DVD Writer
Graphics Card---Intel New HD 300MB
Networking ---LAN/WLAN/WiFi
Webcam ---yes
Battery ---6 hours Backup
Price in Bangladesh ---click here for current price
OS- --- ORIGINAL windows Seven
বাংলাদেশে এই ল্যাপটপের দাম ---বর্তমান বাজার দর জানতে এখানে ক্লিক করুন

Sunday, October 30, 2011

একটা মেয়ে যখন ৩ টা ছেলের সাথে বিছানায় থাকে তখন সবাই ।। ১৮+

*প্রশ্ন- একটা মেয়ে যখন ৩ বা ৪ টা ছেলের
সাথে বিছানায় থাকে তখন সবাই
তাকে খারাপ মেয়ে বলে,
কিন্তু একটা ছেলে যখন ৭-৮ টা মেয়ের সাথে থাকে তখন সবাই তাকে আসল
পুরুষ বলে, কিন্তু কেনো? ,
উত্তর -
ব্যাপারটা আসলে এরকম্, যখন
একটা তালা ৩ টা চাবি দিয়ে খুলে তখন
সেটা খারাপ তালা
আর যখন
একটা চাবি দিয়ে ৭-৮ টা তালা খুলে তখন
সেটা মাস্টার কী (MASTER KEY) । লুল

Apple MacBook Pro এখন বাংলাদেশে অফিসিয়ালি পাওয়া যাচ্ছে


আ্যাপলের ম্যাকবুক অনেকের কাছে স্বপ্নের জিনিস । অসাধারণ সব ফিচার থাকবে এটাই স্বাভাবিক । আর এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য মোবাইলের থেকেও পাতলা । কনফিগারেশনের কথা নিশ্চয় বলতে হবে না হাই কারণ এটা আমরা সবাই জানি অ্যাপল মানেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সব ফিচার । অনেকেই ম্যাকবুক কিনতে চান । তাদের জন্যই মূলতো এই ব্লগ । আমি নিচে Apple MacBook Pro এর ফিচার দিচ্ছি, অনেকেই চমকিত হবেন সন্দেহ নাই । সাথে এটাও বলে রাখছি আপনি ইচ্ছা করলেই এখন বাংলাদেশ থেকে এই product কিনতে পারবেন ।

Incredible Features of Apple MacBook Pro – বিস্তারিত
PROCESSOR ---ইন্টেল কোর আই৫, 2.4 Ghz
RAM ---4GB
Hard Disk ---500GB/700 GB
Display ---13" LED
Optical Drive ---DVD Writer
Graphics Card--- Intel HD Graphics 3000 with 384MB of DDR3
Networking ---LAN/WLAN/WiFi
Webcam ---Face Time HD Camera
Battery ---7 hours Backup
Weight ---2.04 kg
Price in Bangladesh ---click here for current price
বাংলাদেশে এই ল্যাপটপের দাম ---বর্তমান বাজার দর জানতে এখানে ক্লিক করুন

Internet Download Manager (IDM)- ফ্রি তে ডাউনলোড এবং ব্যাবহার করুন


ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার মাত্র ২.২ মেগা বাইট এখানে ক্লীক করে ডাউনলোড করে নিন।
IDM.zip ফাইলটি UnZIP করুন অথবা IDM.zip ফাইলটি ওপেন করে IDM.exe ফাইলটি রান করুন। খুব সহজেই Install হয়ে যাবে।

ওপরের ছবির মতো একটি ডায়ালগ বক্স আসবে, এখানে লাইসেন্স দেয়া আছে, আপনি চাইলে আপনার নাম দিতে পারেন। ওকে বাটন এ ক্লীক করুন, আপনার রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। ব্যবহার করে দেখুন, লাইসেন্স চলে যাবার ভয় নেই, নিজ থেকে আপডেট নেবেনা, আপনি আপডেট করে নিতে পারেন। আপডেট করার পরেও লাইসেন্স হারাবে না।

ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার কে যেভাবে প্রিমিয়াম করবেন

ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার দিয়ে ডাউনলোড যারা করেছেন তারা হয়ত এর গুরুত্বটা ভাল বুঝবেন, যাই হোক ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার এর ফুলভারশন কিনতে অনেক টাকার দরকার।আর ট্রায়াল ভারশন ব্যবহার করলে ১মাস পরই এটি ঝামেলা করতে থাকে।

IDM 5.18 কে বানিয়ে ফেলুন ফুলভারশন।বিভিন্ন সাইট থেকে বড় বড় ভিডিও ডাউনলোড করতে IDM অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি সফ্টওয়ার।ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার এর ৫.১৮ ভারশন টা নামিয়ে নিন এর পরএক্সট্রাক্ট করুন , তারপর idman518.exe ফাইল টি সেটাপ দিয়ে নিন।এবার রানে গিয়ে C:\Program Files\Internet Download Manager লিখুন অথবা এই ডিরেক্টরি টা বের করুন।
এবার যেটা একটু আগে ডাউনলোড করলেন এবং এক্সট্রাক্ট করলেন সেখানে crack নামের একটা ফাইল আছে এবার crack ফোল্ডার থেকে IDMan নামের ফাইল টা এখানে কপি করুন, এবং এটি রিপ্লেস করুন শেষে আরেকটা কাজ crack ফোল্ডারে ২ টা রেজি: কি আছে , এখন আপনার পিসি যে ভারশন মানে 32বিট or 64বিট, আপনার পিসি যে ভারশনের সেই ভারশনটিতে ডাবল ক্লিক করুন , এবং ইয়েস করুন। এইবার আপনার ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার টি আর এক মাস পরে ডির্স্টাব করবেনা।
সবাই ভাল থাকবেন ধন্যবাদ

ফেসবুক ফেন পেজের লাইক বাড়িয়ে নিন মাগনা

ফেসবুকে ঢুকলেই শুধু পেজের বিজ্ঞাপন আর বিজ্ঞাপন ! বিজ্ঞাপন দেখতে দেখতে মাথা গরম হয়ে যাবার দশা তাই বসে পরলাম এতো বিজ্ঞাপন না দিয়ে কিভাবে আপনি আপনার পেজের মেম্বার বা লাইক বারাবেন সে সম্পর্কে লিখতে । ফেসবুকে আপনার পেজের মেম্বার যত বেশি, আপনি প্রতিদিন ততো বেশী লাইক পেতে থাকবেন । অর্থাৎ সকলের আকর্শন হল বড় বড় পেজ গুলোর প্রতি । সবাই ই কোন পেজে জয়েন করার আগে দেখে নেয় পেজের মেম্বার কত ? যদি বেশী না হয় তাহলে ওই পেজে কেও লাইক করতে আগ্রহী নয় । কারন যত মেম্বার বেশী ততো ফান ততো এক্টিভ পেজ ।

তাই পেজের মেম্বার বা লাইক এর পরিমান বারাতে হলে আপনাকে অন্তত ১,০০০ এর কোঠা ছারাতে হবে । ১,০০০ মেম্বার হয়ে গেলে দেখবেন অন্যান্য পেজের এডমিন রাও আপনার সাথে প্রমোট এক্সচেঞ্জ করতে আগ্রহী হচ্ছে । এবং মেম্বার রাও নির্দিধায় লাইক দিচ্ছে আপনার পেজে। তাই আপনার ছোট বা বড় পেজটিতে প্রতিদিন ২০-১০০ টি বা এর ও বেশী লাইক পেতে সাহায্য করবে "ফেনস্লেভ" নামক একটি সাইট। এরা আপনার পেজের বিজ্ঞাপন দিবে এবং আপনাকে কিছু পেজ লাইক করতে বলবে । আপনি ওদের পেজ গুলো লাইক করলেই পয়েন্ট পাবেন এবং ক্রেডিটও পাবেন । ওই পয়েন্ট বা ক্রেডিট গুলোর বিনিময়ে সকলে আপনার পেজ লাইক করবে । অর্থাৎ গিভ এন্ড টেক বা এক্সচেঞ্জ । আপনি কিছুখন পর পর ওদের পেজ লাইক করে পয়েন্ট বারাবেন আবার ওই পয়েন্টের বিনিময়েন অন্যরা আপনার পেজে লাইক দিতে থাকবে ।

আর হা আপনি ইচ্ছা করলে আপনার এই ক্রেডিট পেজের লাইক এর বিনিময়ে খরচ না করে পে-পাল বা মানি বুকারস এর মাদ্ধমে কেশ আওট করতে পারবেন । যাই হোক এখন কাজের কথায় আসি, চলুন শুরু করা যাক । প্রথমে এখানে ক্লিক করে প্রবেশ করুন। তারপর নিচের ছবিটির মতো "Join Now!" ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করুন ।

রেজিস্ট্রেশন করা হলে আপনার ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করুন । লগিন করার পর নিচের ছবিটির মতো Connect ক্লিক করুন । তাহলে এটি আপনার ফেসবুক একাওন্টের সাথে যুক্ত হবে ।



কানেক্ট ক্লিক করার পর যদি আপনার ফেসবুক একাউন্টে সিকিউর ব্রাউজ়িং চালু থাকে তাহলে সিকিউর ব্রাউজিং বন্ধ করার কথা জিজ্ঞেস করবে ওটাতে Continue ক্লিক করে প্রবেশ করুন । তারপর ওদের এপ্লিকেশনটি এলাউ করুন । তারপর কানেক্ট হয়ে গেলে উইন্ডো ক্লোজ করতে বলবে তখন ক্লোজ ক্লিক করে ক্লোজ করে দিবেন ।

এখন হল আসল কাজ । নিচের ছবিটি দেখুন এখানে যেভাবে ১,২,৩ ক্রমানুসারে দেখানো হয়েছে ওইভাবেই আপনি কাজ করুন । আর Add New Fanpage এর উপরে এডিট অপশন পাবেন ওখান থেকে আপনি আপনার পেজের মেম্বার কোন দেশের হতে হবে, সর্বনিম্ন কতজন ফ্রেন্ড সম্বলিত প্রফাইল হতে হবে, বয়স, বা প্রতিদিন কতজন মেম্বের জয়েন করতে পারবে ইত্যাদি এডিট করতে পারবেন ।


আশা করি আপনারা উপক্রিত হবেন । আপনাদের সামান্য পরিমান উপকারে আসলেই টিউন টি করা সার্থক হবে । কেও যদি না বুঝে থাকেন তাহলে কমেন্টে জানাবেন । আর টিউনে কোথাও কোন ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকলে ক্ষমার চোখে দেখবেন । ধন্যবাদ সবাইকে

The Silence of the Lambs (1991) : সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার



মানুষের উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় তার সৃষ্টিতে।প্রতিভার বিকাশ হয় ধীরে ধীরে,কিন্তু কাউকে প্রতিভাবান ঘোষণা দেয়ার জন্য সারা জীবন অপেক্ষা করতে হয় না।কার বিশেষত্ব কোন ক্ষেত্রে সেটি প্রমাণের জন্য একজন মানুষের একটি মাস্টারপিসই যথেষ্ট।The Silence of the Lambs (1991) তেমন একটি মাস্টারপিসের নাম।মুভি দেখেছেন,অথচ এই মুভির নাম শুনেন নি এটা হতেই পারে না।এই মুভির রিভিউ,সিনপসিস বা ক্রিটিসিজম লিখা বড় বড় ক্রিটিকদের জন্যই চ্যালেঞ্জস্বরুপ আর আমি কোথাকার কোন চুনোপুটি।তাই রিভিউ লেখার স্পর্ধা আমি দেখাব না,তার চাইতে মুভিটির কোন কোন বিশেষত্ব আমাকে আলোড়িত করেছে সেটা অন্যান্য মুভিপ্রেমীর সাথে শেয়ার করাই আমার এই পোস্টের প্রয়াস।

The Silence of the Lambs উপন্যাসটি বের হয়ে ১৯৮৮ সালে,লিখেছিলেন Thomas Harris.উপন্যাসটি ঐ বছর Bram Stoker Award জিতে নেয়।বইটি ছিল ১৮৮১ সালে লেখা Red Dragon এর সিকুয়েল।Dino De Laurentiis ১৯৮৬ সালে Red Dragon অনুকরণে Manhunter ছবিটি প্রডিউস করেছিলেন ১৯৮৬ সালে।কিন্তু ছবিটি ফ্লপ করায় তিনি Orion Pictures কে The Silence of the Lambs তৈরি করার স্বত্ব দিয়ে দেন।Orion Pictures পরিচালক Jonathan Demme কে মুভিটি নির্মানের জন্য আহ্বান করে।Dr. Hannibal Lecter এর চরিত্রের জন্য প্রাথমিকভাবে Gene Hackman এবং Clarice Starling চরিত্রে Michelle Pfeiffer নির্বাচিত করা হয়।শেষ পর্যন্ত পরিচালক Anthony Hopkins এবং Jodie Foster কেই সিলেক্ট করেন।Clarice Starling এর চরিত্রের জন্য ৩০০ জন নামীদামী অভিনেত্রী অ্যাপ্লিক্যান্ট ছিলেন।ছবির স্ক্রিন প্লে লিখেছিলেন Ted Tally এবং মিউজিক কম্পোজ করেছিলেন Howard Shore.

ট্রেইলার



প্লট

[যারা মুভিটি দেখেন নি,তারা প্লট অংশটুকু স্কিপ করতে পারেন :) ]

এফ বি আই ট্রেইনী ক্ল্যারিস স্টারলিংকে নরখাদক সিরিয়াল কিলার Baltimore State Hospital for the Criminally Insane এ বন্দী ড. হ্যানিব্যাল লেক্টারের কাছে কিছু তথ্য নেয়ার জন্য পাঠানো হয়।উদ্দেশ্য ছিল,হ্যানিবালের ইনসাইট ব্যবহার করে "Buffalo Bill" নামে আরেক সিরিয়াল কিলারকে পাকড়াও করা।বাফেলো বিল যে কিনা তার নারী ভিকটিমদের হত্যা করে তাদের চামড়া খুলে নেয়।হ্যানিবাল প্রাথমিকভাবে কোন তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং এবংসম্পূর্ণ আন্দাজের উপর স্টারলিং এর এফ বি আই তে ঢুকার আগে দুর্বিসহ জীবন সম্পর্কে বর্ননা করতে থাকে।শেষ পর্যন্ত সে এই ক্লু দেয় যে বাফেলো বিলকে পেতে হলে তার একজন প্রাক্তন পেশেন্ট মিস মফেটের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।মিস মফেটের ক্লু ধরে স্টারলিং একটি স্টোর হাউজে এক ব্যক্তির মৃতদেহ খুঁজে পায় কিন্তু লেকটার এই ব্যক্তির মৃত্যুর সাথে তার যোসাজস অস্বীকার করে।Miss Hester Mofet মূলত ছিল একটি অ্যানাগ্রাম-Miss The-Rest-of-Me অর্থাৎ লেক্টার নিজেই ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল।

এর মাঝে বাফেলো বিল তার ষষ্ঠ ভিকটিম মার্কিন সিনেটরের মেয়েকে কিডন্যাপ করে।স্টারলিং তখন লেক্টারকে এই অফার দেয় যে,বাফেলো বিল সম্পর্কে তথ্য প্রদান করলে তার এই বদ্ধ প্রিজন থেকে ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করা হবে।লেক্টার তখন স্টারলিংএর সাথে quid pro quo শুরু করে।অর্থাৎ লেক্টার বাফেলো বিল সম্পর্কে তথ্য দিবে যদি না স্টারলিং তার নিজের দুঃসহ শৈশব সম্পর্কে স্টারলিংকে বলে।

লেক্টার বাফেলো বিল সম্পর্কে বাকি তথ্য স্বয়ং সিনেটরের সম্মুখে বলার বায়না ধরলে তাকে মেম্ফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।স্টারলিং Tennessee courthouse এ গিয়ে লেক্টারের সাথে দেখা করে।লেক্টার তাকে বাফেলো বিলের উপর কেইস ফাইলগুলো ফেরত দেয় এবং ওখানকার গার্ডরা স্টারলিংকে জোরপূর্বক ওই সেল পরিত্যাগ করতে বাধ্য করে।কিছুক্ষণ পর লেক্টার ওই সেলের পাহারারত দুই গার্ডকে খুন করে এবং অবিশ্বাস্য রকমের কারসাজি খাটিয়ে পুরো স্কোয়াডকে ধোঁকা দেয় এবং পালিয়ে যায়।

কেইস ফাইল থেকে স্টারলিং ধারণা করতে পারে যে,বাফেলো বিল তার ফার্স্ট ভিক্টিমকে চিনত।স্টার্লিং ওই ভিক্টিমের বাড়িতে ভিজিট করে এবং আবিস্কার করে যে বাফেলো বিল মূলত একজন টেইলর,কারণ ভিক্টিমদের গা থেকে চামড়া কাটার স্টাইলের সাথে মেয়েদের পোশাকের সাথে মিলে যায়।অর্থাৎ Transvestise বাফেলো বিল মেয়েদের চামড়া কেটে তা দিয়ে "woman suit" বানানোর চেষ্টা করছে।স্টারলিং ওই ভিক্টিমের এক বান্ধবীর সাথে কথা বলে Jack Gordon নামে এক লোকের কথা জানতে পারে এবং তল্লাশীর জন্য প্রস্তুত হয়।

এদিকে স্টারলিংএর বস হাসপাতালের আর্কাইভ থেকে লেক্টারের প্রাক্তন পেশেন্ট Jame Gumb নামে একজন লোকের সন্ধান পায় এবং ইলিনয়েসে তার বাড়ি মনে করে সেখানে তল্লাশী চালানোর ডিসিশন নেয়।কিন্তু স্টারলিং বুঝতে পারে যে এই Jame Gumb ই হল Jack Gordon এবং সে এখানেই লুকিয়ে আছে।Jack Gordon বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে সে সিনেটরের মেয়েকে উদ্ধার করে এবং বাফেলো বিলকে গুলি করে হত্যা করে।

স্বকীয়তা

মূলত Anthony Hopkins এবং Jodie Foster এর চোখ ধাঁধানো অভিনয়,Thomas Harris এর দুর্দান্ত কাহিনী,Ted Tally এর শক্তিশালী স্ক্রিন প্লে এবং Jonathan Demmeএর পরিচালনায় সুচারু মুন্সিয়ানা ছবিটিকে কালজয়ী করেছে।

Anthony Hopkins



এই ছবিতে হপকিন্সের স্ক্রিন টাইম ছিল ১৬ মিনিট সর্বসাকুল্যে,কিন্তু এই ষোল মিনিটে তিনি যা করে দেখিয়েছেন তা ভাষায় অপ্রকাশিত।হপকিন্সের অভিনয় দেখে মনে হয়েছে যে শুধু এই মুভিতে অভিনয় করার জন্যই তিনি অভিনেতা হয়ে জন্মেছেন।এত অপূর্ব ডায়লগ থ্রোয়িং,ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন এবং নেতিবাচক ব্যক্তিত্বের কম্বিনেশন খুব কম মুভিতেই পাওয়া যায়।

Jodie Foster



প্রথমেই বলেছি যে তিনি ৩০০ জন অভিনেত্রীর মধ্যে সিলেক্টেড হয়েছিলেন,যার মধ্যে Geena Davis, Melanie Griffith, Meg Ryan এরা পর্যন্ত ছিলেন।একজন জীবনের সাথে সংগ্রামী নারী যার শৈশব-কৈশোর কেটেছে চরম বিপাকে,অথচ জীবনে প্রতিষ্ঠালাভের আশা যাকে খুঁজে ফিরে এমন একটি চ্যালেঞ্জিং ক্যারেক্টারে জুডি ছিলেন সম্পূর্ণ সাবলীল।ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার একসেন্ট,ক্যারিয়ারের পদে পদে নারী হিসেবে বিপত্তি থেকে উত্তরণ,চরম বিশ্লেষণী অথচ ব্যক্তিত্বময় চরিত্র এজেন্ট স্টারলিংকে ফুটিয়ে তুলেছেন শতভাগ।

Thomas Harris

মূল উপন্যাসটা পড়ার সৌভাগ্য হয় নি।তবে ছবির রানটাইম ১১৮ মিনিটে উত্তেজনা এক মিনিটের জন্যই থেমে থাকে নি,কারণ একটাই-অসাধারণ বুনিয়াদের একটি গল্প।সাসপেন্স যার মুহুর্তে মুহুর্তে,রহস্য যার বাঁকে বাঁকে।থ্রিলারের উদাহরণ হিসেবে এটিকে শীর্ষাসনেই রাখতে হবে।

Ted Tally

লেক্টারের প্রতিটি ডায়লগ ছিল একেকটি অ্যাড্রেনালিন রাশ।কয়েকটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে...
"Memory, Agent Starling, is what I have instead of a view."

"Oh, Agent Starling, do you think you can dissect me with this blunt little tool?"

"A census taker once tried to test me. I ate his liver with some fava beans and a nice Chi-an-ti."

"A fledgling killer's first effort at - transformation."

"Quid pro quo. I tell you things, you tell me things."

"Brave Clarice. You will let me know when those lambs stop screaming, won't you?"

Jonathan Demme

ডেমের জীবনের সেরা কাজ নিঃসন্দেহে।দারুণ ডিরেকশন,বাস্তব অথচ ভয়ংকর শ্যুটিং স্পট এবং সেট,ক্যামেরার কাজ- এককথায় অতুলনীয়।

নামকরণ

স্টারলিংকে ছোটবেলায় কিছুদিনের জন্য একটি ফার্মে থাকতে হয়েছিল।রাতের বেলায় প্রায়ই পিতৃমাতৃহীন স্টারলিংএর ঘুম ওই ফার্মের ভেড়ার চিৎকারে ভেঙ্গে যেত।একদিন সে ভীষণ ভয় পেয়ে যায় এবং দেখে যে ভেড়াদের জবাই করা হচ্ছে।সে তখন একটি ভেড়া নিয়ে পালিয়ে যায়।এই দমবন্ধ করা পরিবেশ থেকে সে ছুটে যেতে থাকে অজানার দিকে যার কোন ঠিকানা নেই।এরপর থেকে প্রায়ই রাতের বেলা তার ঘুম ভেঙ্গে যেত।

মূলত স্টারলিংএর বিষাদময় অতীতের প্রভাব তার জীবনে যে শুন্যতার সৃষ্টি করেছিল,তার একটি শৈল্পিক উপস্থাপনের জন্যই এই নামকরণ।এক পর্যায়ে লেক্টার ক্ল্যারিসকে বলে,

Lecter: You still wake up sometimes, don't you, wake up in the dark, and hear the screaming of the lambs? Clarice: Yes. Lecter: And you think if you save poor Catherine you could make them stop, don't you? You think if Catherine lives you won't wake up in the dark ever again to that awful screaming of the lambs. Clarice: I don't know. I don't know.

পুরস্কার

ছবিটি Best Picture, Best Actress (Foster), Best Actor (Hopkins), Best Director (Demme) and Best Adapted Screenplay (Ted Tally) এই পাঁচটি বিভাগে অস্কার জিতে নেয়।এছাড়া পরিচালক ডেম 41st Berlin International Film Festival এ Silver Bear for Best Director পান।জুডি ফস্টার Golden Globe Award,BAFTA Award এবং অ্যান্থনি হপকিন্স BAFTA Award জিতেন।

American Film Institute এর র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী-

AFI's 100 Years... 100 Movies— ৬৫ তম
AFI's 100 Years... 100 Thrills— পঞ্চম
AFI's 100 Years... 100 Heroes and Villains:
Dr. Hannibal Lecter— Villain : প্রথম
Clarice Starling— Hero : ষষ্ঠ

ডাউনলোড লিঙ্ক

মিডিয়াফায়ার থেকে
View this link
View this link
View this link
View this link
View this link
View this link
View this link

স্টেজভু থেকে

টরেন্ট থেকে

ভালোবাসা কি !!!

ভালোবাসা কি !!!

ভালোবাসা হচ্ছে যখন মা রাতে আমার রুম এ এসে বলে " বাবা, আমি তোকে ভালোবাসি"
ভালোবাসা হচ্ছে যখন কলেজ থেকে দেরিতে আসি আর বাবা বলে " বাবা, দেরি হবে যখন একবার কল করে দিলেই পারতি"
ভালোবাসা হচ্ছে যখন ভাবি বলে" কিরে প্রেম ট্রেম করিস নাকি??
ভালোবাসা হচ্ছে যখন বোন বলে" আমার বিয়ের পর আমার সাথে ঝগড়া কে করবে"
যখন মন ভালো থাকেনা ভাই এসে বলে " চল কোথাও ঘুরে আসি"
ভালোবাসা হচ্ছে যখন প্রিয় বন্ধু কল করে আর বলে "শালা, তোরে ছাড়া কিছু ভালো লাগেনা "
তারপরও আমরা ভালবাসা নামের একটা জিনিস আবদ্দ হতে ইচ্চুক । কেও পাই কেও পাই না..................

মানুষ কোথা থেকে আসে আর কোথায় যায় ?

মানুষ কোথা থেকে আসে আর কোথায় যায় ?

পৃথিবীর সব মানুষকে আমি প্রশ্ন করলাম- বলুনতো মানুষ কোথা থেকে আসে আর কোথায় যায় ? এর উত্তরে নানান জনের নানান মতামত ।
আমি কি বলি শুনুন ।" মানুষ কোথা থেকে আসে"-এই প্রশ্নের উত্তর দিই। আমরা প্রত্যেকেই জানি এবং দেখেছি যে মানুষ মায়ের গর্ভ থেকে আসে । মায়ের গর্ভ থেকে দু রকমের মানুষ আসতে পারে- নারী অথবা পুরুষ । আবার এই নারী বা পুরুষ মৃত বা জীবিত হতে পারে । যার সৃষ্টি নেই তার ধ্বংস নেই । আর সৃষ্টি হলেই ধ্বংস হবে- বিজ্ঞানীদের কথা নাকি । আমি আগে ছিলাম না , তাহলে আমার জন্ম মানেই আমার নতুন সৃষ্টি । আর মৃত্যু মানে কি আমার ধ্বংস ? আমি বলি -না । আমি বলি জন্ম মানে- দেহ এবং প্রাণের মিলন । দেহ এবং প্রাণ একত্রিত হয়ে মানুষের জন্ম । আবার দেহ আছে অথচ প্রাণ নেই এমন মানুষের জন্ম হতেই পারে।
আর মৃত্যুর অর্থ হলো- দেহ এবং প্রাণ আলাদা হয়ে যাওয়া । দেহ থেকে প্রাণ আলাদা হলেই মৃত্যু। মানুষের মৃত্যুর পর দেহটা আমরা দেখতে পাই। প্রাণটা দেখতে পাই না। দেহটাকে ধ্বংস করতে পারি। কিন্তু প্রাণ ধ্বংস করবো কি করে ? প্রাণ যেখান থেকে এসেছিল প্রাণটি সেখানেই ফিরে যাবে । তাই মৃত্যুর পর প্রাণ ভূত হয়ে ঘুরতে থাকে । তারপর এই প্রাণ-ভূত মানুষের শরীরে ঢোকে আবার বের হয় , এই রকম করতে করতে এক সময় প্রাণ-ভূত মায়ের গর্ভে ঢোকে ।

ফেসবুকে প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়।

ফেইসবুক তথ্যঃ
# বর্তমানে সারাবিশ্বে ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৮০ কোটি
# মোট ব্যবহারকারীরা প্রায় গড়ে সাত হাজার কোটি মিনিট সময় কাটান।
# ফেসবুকে প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়।
# প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ফেসবুকে এক বিলিয়ন বার লগ-ইন হয়।
# প্রতিদিন শতকরা ০.৫% ব্যবহারকারী বিভিন্ন রকমের স্প্যাম পেয়ে থাকেন
(তথ্য গুলো জানিয়েছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ।

আইফোন সমগ্র ১

স্মার্ট ফোন হিসেবে আইফোনের জুড়ি নেই। অভিনব, উন্নত ও স্মুথ মাল্টিটাচ। ব্যবহারে অধুনিকতা আর Appstore এর লক্ষ লক্ষ মজাদার, দারুন আর সৃজনশীল গেমস আর অ্যাপ্লিক্যাশানের সমারহ আইফোনকে করেছে আর সকল স্মার্ট ফোন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

আমাদের দেশেও রয়েছে আইফোনের বেশ ব্যবহারকারি। কিন্তু আইফোন non-US country তে ব্যবহারের সিমাবদ্ধতা থাকায়, Appstore থেকে App সরাসরি কিনতে না পারা, এবং বাংলায় ভাল টিউটোরিয়াল না থাকায় আইফোন শুধু মাত্র কল করা ও রিসিভ করার কাজেই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে স্মার্টফোন হিসেবে আইফোনের ব্যবহার ব্যাপক ও সীমিহীন। আর তাই আইফোন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান, সঠিক ব্যবহার জানননোর জন্যই আমার এই ধারাবাহিক টিউনের শুরু।

আজকে আমি আপনাদেরকে iPhone সমন্ধে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেব। যা আইফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেই দুইট বিষয় হল Jailbreak এবং iPhone Unlock সমন্ধে। এই দুইটি বিষয় আলোচনা করা আগে আপনাদেরকে আমি আইফোন সমন্ধে ছোট্ট একটু ধারণা দেব।

আইফোন কি বা কেমন?

আইফোন মূলত একটি মোবাইল ফোন যা iPhone Operating System (iOS) -এ পরিচালিত। এই অপারেটিং সিস্টেমটির অনেকগুলি ভার্সন আছে তার মধ্যে সবচেয়ে নতুন ভার্সনটি হল iOS 4.2.1 । এই অপারেটিং সিস্টেমটি সমন্ধে আরও বিস্তারিত জানতে উইকিপিডিয়া তে যেতে পারেন।

iOS 4.2.1 - এর হোমস্কিন

iPhone গুলি সাধারণত দেখতে এইরকম ।

আচ্ছা। এই গেল আইফোন সমন্ধে ছোট্ট একটু ধারণা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এবার আসা যাক Jailbreak -এ ।

Jailbreak কি?

"Jail" মূলত একটি ফাইল সিস্টেম। যা আইফোনগুলিকে ব্যবহাররের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা রাখে। এই সীমাবদ্ধতার ফলে আপনি আইফোনটির সিস্টেম ফাইলে কোন প্রকার পরিবর্তন এমনকি এর যে বিল্ট-ইন মোমোরী রয়েছে সেটিকে সরাসরি কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করেও কোন কিছু ঢুকাতে পারবেন না।

Jailbreaking হল আইফোনের ফাইল সিস্টেমটিকে হ্যাক করা। সোজা কথায় Jailbreak করা মানেই হল হ্যাক করা। হ্যাক করলে আপনি আইফোনের সিস্টেমকে ইচ্ছামত পরিবর্তন করতে পারবেন, যেকোন ক্রাক করা এপ্লিকেশন ইন্সটল করতে পারবেন মানে এককথায় ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারবেন। এইবার নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন।

এছাড়াও সবচেয়ে মজার ব্যাপারটি হল আপনি Apple Store ছাড়াই যেকোন এপ্লিকেশন Cydia -এর সাহায্যে ইন্সটল করতে পারবেন। Cydia সমন্ধে বিস্তারিত জানতে উইকিপিডিয়াতে যেতে পারেন। আশা করি Jailbreak সমন্ধে আপনাদের মোটামুটি ধারণা এসেছে। তারপরেও যদি বুঝতে সমস্যা থাকে তাহলে মন্তব্য করতে পারেন।

এবার আসি iPhone Unlock - এ

iPhone Unlock কি?

আপনি যখন একটি জিনুইন আইফোন কিনবেন তখন যদি আপনি বাংলাদেশের যেকোন সিম (Subscriber Identity Modules) লাগান তাহলে আইফোনে সেটি সাপোর্ট করবে না। দেশের যেকোন GSM প্রযুক্তির সিম দিয়ে আপনি আইফোন থেকে কল করতে পারবেন না। তাই এইগুলি সিমগুলি চালানোর জন্য আপনাকে আইফোনটিকে আনলক করতে হবে। আইফোনটি যখন আনলক করবেন তখন আর কোন সমস্যাই হবে না। তখন যেকোন একটা GSM প্রযু্ক্তির সিম লাগালেই সেটি চলবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

সর্তকতা

জেনে রাখা ভাল যে, Jailbreak করা এবং iPhone কে আনলক করা দুটিই আপনার আইফোনটির ওয়ারেন্টির নিয়মের বর্হিভূত। শুধুমাত্র "হংকং" বাদ দিয়ে যেখানে আইফোনগুলি কেনাথেকেই আনলক করাই থাকে।

আরেকটি সুখবর হল Jailbreak কিন্তু এককালীন নয় আপনি যখনি চাইবেন তখনি আপনার আইফোনকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে আইফোনটির ফ্রেমওয়ার ভার্সনটিকে রিস্টোর করতে হবে।


কিভাবে আইফোনটিকে Jailbreak বা Unlock করবেন?

আরেকটি সুখবর হল Jailbreak কিন্তু এককালীন নয় আপনি যখনি চাইবেন তখনি আপনার আইফোনকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে আইফোনটির ফ্রেমওয়ার ভার্সনটিকে রিস্টোর করতে হবে। এর জন্য Jailbreak সম্পূর্ণ নিরাপদ।

তো আজকে আমি আপনাদেরকে বর্তমানে আইফোনের iOS 4.2.1 ভার্সনটিকে কিভাবে Jailbreak করা যায় তা দেখাব।

আইফোনের Jailbreak করার জন্য বিভিন্ন ধরণের টুল পাওয়া যায়। এদের মধ্যে আমার জানা মতে সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং বহুল ব্যবহৃত টুলটির নাম হল Greenpois0n। Greenpois0n-এর বর্তমানে সবচেয়ে লেটেস্ট ভার্সনটি হল Greenpois0n 1.0 RC 6.1 । এবং এটি দিয়ে Jailbreak করা খুবই সহজ। শুধুমাত্র কয়েকটা সিম্পল স্টেপ।

------সাবধান------

এই টিউটোরিয়াল অনুসরণ করাতে যদি আপনার আইফোনের কোন সমস্যা হয় তাহলে আমি কোনভাবেই দায়ী থাকব না।

তাই যা করবেন, নিজের ঝুকিতে করবেন।

তবে প্রতিটি স্টেপ মনোযোগ এবং ঠিঠাকমত সম্পন্ন করলে কো সমস্যা না হওয়ার সম্ভবনাই বেশি।

Greenpois0n -এর সাহায্যে Jailbreak করবেন যেভাবে-

Supported iDevices:

iPod

  • - iPod Touch 2G (all bootroms)
  • - iPod Touch 3G
  • - iPod Touch 4G

iPhone

  • - iPhone 3Gs (all bootroms)
  • - iPhone 4
  • - iPhone 4 Verizon

iPad

  • iPad 1G

Apple TV

  • Apple TV 2

নিচের কয়েকটি সহজ স্টেপ খুব মনযোগ দিয়ে পালন করুন।

১। প্রথমে জেনে নিন আপনি আপনার বর্তমান আইফোনটিতে iOS এর কোন ভার্সনটি ব্যবহার করছেন। এটি জানার জন্য আপনার হোমাস্কিন থেকে Settings এ যান। তারপর Settings মেনু থেকে General -অপশনটিতে প্রবেশ করুন। এরপর About -এ ক্লিক করুন। এবার নিচে Version এর জায়গায় দেখুন আপনার আইফোনটির বর্তমান ভার্সনটি কত। বুঝতে সমস্যা হলে এই লিংকে প্রবেশ করতে পারেন।

২। আমার এই পদ্ধতিতে আপনার আইফোনটি Jailbreak করার জন্য অবশ্যই 4.2.1 ভার্সনে আপডেট করতে হবে। যদি আপনার আইফোনের বর্তমান ভার্সনটি 4.2.1 এর কম হয়, তাহলে iTunes এর সবচেয়ে লেটেস্ট ভার্সনটির সাহায্যে আইফোনটিকে আপডেট করে নিন। আইফোনটিকে আপডেট করার পর ব্যকআপ করেও রাখতে পারেন। যাতে পরবর্তিতে কোন সমস্য হলে রিস্টোর করতে পারেন। iTunes এর সাহায্যে কিভাবে আইফোনকে ব্যকআপ, আপডেট, রিস্টোর করতে হয় তা জানার জন্য এই লিংকে ক্লিক করতে পারেন।

(বিঃদ্রঃ আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলঃ আপনারা যারা আইফোন ৪ ব্যবহারকারী তারা এই ২ নম্বর স্টেপের পদ্ধতি অবলম্বন করবেন না। কারণ এই ভার্সনে আইফোন ৪ -কে আপডেট করার ফলে যে ফোনটিতে Baseband ভার্সনটি তৈরী হয় সেটি আনলক করা বর্তমানে সম্ভব নয়। তাই আইফোন ৪ -এর BaseBand ভার্সন পরিবর্তন না করেই কিভাবে ৪.২.১ ভার্সনে আপডেট করবেন তার জন্য এই টিউনটি দেখুন।)

৩। Jailbreak করার জন্য আপনার ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী নিচের লিংকগুলি থেকে Greenpois0n ডাউনলোড করে নিন।

৪। ডাউনলোড করা ফাইলটিকে আনজিপ করুন। আনজিপ করলে দুইটি ফাইল দেখতে পাবেন। একটি মূল সফট্ওয়ার ও তার সাথে Jailbreak করার নিয়ম। এবার greenpois0n নামের ফাইলটিকে ডাবল ক্লিক করুন। সামান্য কিছুক্ষণ পর নিচের মত একটি মেসেজ আসবে। No ক্লিক করুন।

৫। আপনার সেটটির পাওয়ার অফ (Power Off) করে USB কেবলের সাহায্যে কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করুন।

এবার Prepare to Jailbreak (DFU) তে ক্লিক করুন। DFU = Device Firmware Update

৬। এরপর নিচের মত একটি উইনডো আসবে এবং আপনাকে কি কি করতে হবে তা ওইখানে লেখাই থাকবে। আপনাকে শুধু নির্ধারণ করা সময় অনুযায়ী আইফোনের বাটনগুলি চাপতে হবে।

রেডি হওয়ার জন্য ৩ সেকেন্ট সময় দেন-

৭। এইবার আপনার আইফোনের Sleep নামের বাটনটিকে ২ সেকেন্ট এর জন্য চাপে ধরুন।

৮। এরপর Sleep বাটনটিকে কিন্তু ছাড়বেন না। ওইটা সহ আইফোনটির Home বাটনটিকে ১০ সেকেন্ট চেপে ধরুন। খেয়াল রাখবেন যাতে বাটনগুলি নিময়অনুযায়ী চাপা হয়। নির্ধারিত সময়ের পূর্বে কখনোই বাটন ছেড়ে দিবেন না।

৯। এবার Sleep বাটনটিকে ছেড়ে দিন। কিন্তু Home বাটন ছাড়বেন না। ওইটাকে আরও ১৫ সেকেন্ট ধরে রাখুন।

১০। সবকিছু ঠিকঠাক মত হলে Jailbreak শুরু হবে। এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার আইফোনটিতে Verbose মুডের লেখা দেখাবে তারপর আইফোনটি একবার রিস্টাট হবে।

১১। এখন আপনার হোমস্কিনটা নিচের মত দেখতে পাবেন। এবং তাতে প্রথমে "Loader" টিতে ক্লিক করুন। তারপর Cydia ওপেন করুন।

Cydia তে ক্লিক করুন--

এখন Install Cydia তে ক্লিক করুন। ইন্সটল হওয়ার পর Loader টি রিমুভ করার জন্য একটি ম্যসেজ পাবেন। Loader টি এখন আর কোন দরকার নেই তাই রিমুভ করে দেওয়াই ভাল।

ব্যাস। Jailbreak হয়ে গেছে।

নেমে পড়েছেন কী আপনার iPhone টিকে Jailbreak করতে?

জেল ব্রেক আইফোন PlugnPlay A 2 Z

What is Jailbreaking?

Jailbreaking is the process by which Apple’s mobile operating system, iOS, is modified to run unsigned code in order to gain access to files that Apple wouldn’t normally let you access.

Jailbreaking adds unofficial application installers to your iOS device, such as Cydia, which let you download many 3rd-party applications, tweaks, and extensions that are unavailable through the App Store. These packages open up endless possibilites to do things on your iOS device that a non-jailbroken iOS device would never be able to do.

You can install extensions that give you instant access to your system settings from anywhere on your iOS device, bypass certain restrictions set in place by Apple and the carriers, and find packages that give you more control over your iOS experience.

Jailbreaking is about freeing your iOS device from Apple’s restrictions to let you install anything you want.

What are the Benefits of Jailbreaking?

The main reason why you’d want to jailbreak is to have the ability to install third party applications and tweaks that Apple doesn’t or wouldn’t approve in the App Store. There are tons of applications that don’t meet Apple standards and do things that Apple doesn’t want you to do on your iOS device for various reasons.

For example, Apple doesn’t allow you to customize your iPhone by changing app icons or the general user interface of your device. Thanks to the jailbreak community, there are several ways to completely change the way your iPhone looks, WinterBoard being the most popular one.

Besides applications, jailbreaking also gives you access to tweaks, mods, and extensions. These not exactly considered applications. They bring subtle improvements to the way your iOS device operates. For instance, Five Icon Switcher is a tweak that lets you have 5 icons in the iPhone app switcher at once, instead of the default 4.

A lot of people jailbreak their iOS device in order to unlock it to work on a different carrier. When you want to unlock your iPhone, the first step is to jailbreak it to then run and run software that will let you have other carriers work on your iPhone. For for information on unlocking, visit or dedicated unlock page.

Is Jailbreaking Legal?

Jailbreaking is completely legal, at least here in the US. For a long time, jailbreaking was considered illegal by the US government based on copyright litigation. In July of 2010, the US government passed a rule that made jailbreaking legal.

There is nothing to worry about. Even if you don’t live in the US, there’s a very slim chance that Apple would sue you because you jailbroke your iPhone. It hasn’t happened yet, and people all over the world have been jailbreaking since 2007.

Does Jailbreaking Void my Warranty?

Yes and no. Yes, because if you go to the Apple store and show your jailbroken iPhone to an Apple employee, you will be told that you can’t receive customer support because you voided your warranty the minute you jailbroke. Apple of course acknowledges the US government’s DMCA exception ruling that makes jailbreak legal, but that doesn’t mean that Apple has to allow jailbreak in its customer agreement.

From Apple’s support article on jailbreaking:

“Apple strongly cautions against installing any software that hacks the iOS. It is also important to note that unauthorized modification of the iOS is a violation of the iPhone end-user license agreement and because of this, Apple may deny service for an iPhone, iPad, or iPod touch that has installed any unauthorized software.”

If you really have to take your iOS device to an Apple store, you can always restore it to its factory settings in iTunes. This will bring your iOS device back to the way it was when you first bought it, and Apple will have no way of telling that you ever jailbroke.

Many people have taken previously jailbroken devices to Apple several times before that were restored beforehand. Apple is usually not able to tell will provide full and normal customer support.

Can I Brick My iPhone if I Jailbreak?

You might have heard a few horror stories about people who tried to jailbreak their iPhone and ended up turning it into a brick. While this could have happened in the early days of the iPhone, this is now completely impossible.

The worst thing that could happen when trying to jailbreak is that it might get stuck and become unresponsive, in which case some people may automatically think that there’s no hope. You’re always able to restore your iOS device’s firmware back to the stock version, and following these simple steps will make sure your iPhone goes back to its original state.

Is Jailbreaking the Same as Unlocking?

No, jailbreaking and unlocking are two different things. To unlock your iPhone, you usually have to jailbreak first. As noted previously, jailbreaking an iPhone lets you install third party applications and mods, while unlocking allows you to use your iPhone on a different carrier.

You can learn more about the difference between jailbreaking and unlocking if you’re interested.

Can I Still Use iTunes and the App Store After Jailbreaking?

People often ask this question. Yes, you can use iTunes and the App Store after jailbreaking your device. As a matter of fact, nothing will really change. The only notable change to your iOS device will be that, after jailbreaking, you will have a new application installed on your device called Cydia.

What is Cydia?

In short, Cydia is like the App Store of jailbreak applications. Just like the App Store, you can browse Cydia for apps, tweaks, and mods. Just like the App Store, you can download and install Cydia apps effortlessly. Most apps and tweaks in Cydia are free, but it is not unusual for a jailbreak app to sell for a few dollars.

Will Jailbreaking Prevent Me from Updating iOS?

If your iOS device is jailbroken and you decide to update it to the latest version of iOS, doing so will overwrite the jailbreak and restore your device to its factory settings. This might not be a big problem for most people, but it can become an issue for people who rely a lot of jailbreak apps and tweaks.

Every time Apple releases a new iOS update, hackers generally aren’t too far behind with an update for the tools that let you jailbreak. When a new iOS version and accompanying jailbreak are released, the preferred method is to backup your device first, update to the latest iOS version, and jailbreak again using one of the updated tools.

It’s important to note that it sometimes takes a while for hackers to develop a jailbreak following an iOS update, which is why we usually recommend jailbreakers to hold off on updating when a new iOS version is made available.

What are the different types of jailbreaks?

The are 3 types of jailbreaks: tethered, semi tethered, and untethered. Read this article to learn more about the differences between these kinds of jailbreak.

Can Jailbreaking Allow Me to Get App Store Applications for Free?

Yes, but we do not recommend installing pirated apps on your jailbroken device. Not only are you doing something illegal, but you’re also stealing money from hard working developers. We do not help troubleshoot or give support on app piracy.

Is Jailbreaking Easy?

These days, jailbreaking is very easy. Usually, you just need to download a piece of software, plug your iOS device into your computer, and run the software. There is no specific knowledge or skills required.

You will find some very useful tutorials on how to jailbreak at the bottom of this page. If you don’t feel completely comfortable jailbreaking your iOS device, make sure to have a look at our tutorials, they will guide you through the process with step-by-step instructions and illustrations.

What is the Best Jailbreak Tool?

There isn’t a “best” jailbreak tool, as tools are constantly being updated and replaced with new and improved methods. Performing an actual jailbreak can be a very different experience depending on your iOS device and software version. What tool you use is also determined by if you use a Mac or Windows computer.

Does it Cost Anything to Jailbreak?

No. You should never pay for a jailbreak.

Hackers that develop jailbreaks do it for free, sometimes (rarely) asking for donations. Some people may charge you to jailbreak your iOS device for you. If it makes you feel better to pay someone, you can do that, but why pay when you can do it yourself for free?

How to Jailbreak Your iPhone, iPod touch, iPad, and Apple TV

iOS 5:

  • iPhone 4S No jailbreak for this firmware version yet
  • iPhone 4: RedSn0w
  • iPhone 3GS: RedSn0w
  • iPad 2: No jailbreak for this firmware version yet
  • iPad 1: RedSn0w
  • iPod Touch 4G: RedSn0w
  • iPod Touch 3G: RedSn0w

iOS 4.3.5:

iOS 4.3.4:

iOS 4.3.3:

iOS 4.3.2:

iOS 4.3.1:

iOS 4.2.8

iOS 4.2.1

Jailbreak iPhone iOS 4.1

Jailbreak iPhone iOS 4.0.2

Jailbreak iPhone iOS 4.0.1

Jailbreak iPhone iOS 4

Jailbreak iPad 3.2.1

Jailbreak iPad 3.2

Jailbreak iPhone 3.1.3

Jailbreak iPhone 3.1.2

Jailbreak iPhone 3.1

Jailbreak iPhone 3.0.1

Firmware 3.0 Jailbreak

Saturday, October 29, 2011

যে কারনে ছেলে মেয়ে বন্ধু হতে পারেনা !

বাংলাদেশে যে কারনে ছেলে মেয়ে বন্ধু হতে পারেনা !
বিশ্লেষন করে দেখলাম আসলেই বাংলাদেশে ছেলে মেয়ে বন্ধু হতে পারেনা!
ছেলে মেয়ে বন্ধু হলে :-
1. ছেলে মেয়ে বন্ধু হলে তাদের বন্ধু বান্ধবরা তাদের ক্ষেপায়।
2. তাদেরকে প্রেমিক প্রেমিকা ভাবা শুরু হয়।
3. ছেলে মেয়ে বন্ধু হলে মেয়েটিকে ভালো চোখে দেখা হয়না।
4. মেয়ের সংগে ছেলে কথা বললে মেয়ে মনে করে ছেলে মতলববাজ এবং ছেলের সংগে মেয়ে কথা বললে ছেলে মেয়েটিকে ভালো চোখে দেখেনা।
5. আমাদের সমাজে একধরনের মানুষ আছে (মানুষ বিশেষনটি মনে হয় এদের বেলায় খাটে না) যারাছেলে মেয়ের বন্ধুতকে সহজ ভাবে নিতে চান না এবং বন্ধুত হতে দেখলে মেয়েটির চরিত্র খারাপ প্রমান করার চেষ্টা করেন যার ফলাফল মেয়েটিকে সারা জীবন বহন করতে হয়
6. মানুষ বদলাচ্ছে পৃথীবি বদলাচ্ছে, সময়ের পরিবর্তন এসেছে কিন্তু এই সহজ সত্যিটা মেনে নেয়ার মত সাহস খুব কম বাবা মার-ই আছে। তারা সব কিছু বিবেচনা করেন তাদের মান্ধাতা আমলের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে । তাই বাংলাদেশে অভিভাবক্দের দৃষ্টিভঙ্গি যতদিন পরিবর্তন হবে না ততদিন এই সম্যাসার সমাধান হবে না !
আপনাদের কি আরো কোনো মতামত আছে?
বিঃদ্রঃ আমি এখানে দুপক্ষ বিশ্লেষণ করে নিরেপেক্ষ মতামত প্রকাশ করেছি।

রা ওয়ান Ra One 2011 DVDScr 600 MB

[Movie Title].......................[Ra One]
[Release Year].......................[2011]
[Genre]......................[Action | Adventure | Sci-Fi]
[Size]...........................[6000MB]
[Format]..............................[Mkv]
[Language]..............................[Hindi]
[Subtitle]................................[No]
[Source]........................[DVDScr]
Screenshots
http://img510.imageshack.us/img510/1212/demraonescrganoolcoms.jpg
Trailer

MediaFire

[ Part 1 ] [ Part 2 ] [ Part 3 ]

Friday, October 28, 2011

সকল বন্ধুদের লিস্টটি ব্যাকআপ করে নেয়া । আর সেই সুবিধা দিতে এসেছে “ফ্রেন্ডস লকার”

আজকাল মানুষের দৈনন্দিন জীবণ যাপনের সকল যোগাযোগ মাধ্যমই যেন হয়ে গেছে ভার্চুয়াল। কতশত ঘটনা যে রোজ ঘটছে ফেসবুক ঘিরে।অনেকের ব্যাংক আ্যাকাউন্টের মতোই আগলে রাখে নিজের ফেসবুক আ্যাকাউন্ট। কে যে কখন হ্যাক করে, কখন যে ফেসবুক প্রোফাইলটা ব্লক করে দেয় কোন গ্যারান্টি নাই । আর নিজের প্রোফাইল হারানো মানেই সকল বন্ধুদের হারানো । এমন পরিস্থিতিতে পরার আগেই সকলের উচিত নিজের সকল বন্ধুদের লিস্টটি ব্যাকআপ করে নেয়া । আর সেই সুবিধা দিতে এসেছে “ফ্রেন্ডস লকার” ।রোজ রোজ শত শত আ্যপলিকেশনের মতো এটিও একটি। এখানে আপনি আপনার সকল বন্ধুদের নাম সহ তাদের প্রোফাইল লিংক সংরক্ষণ করতে পারবেন । কখনো যদি আপনার এমন প্রোফাইল কাজ না করে তাহলে আপনি নতুন প্রোফাইল বানানোর পর এই প্রোগাম থেকে আপনার সকল বন্ধুদের লিস্ট দেখতে পারবেন এবং আপনার সকল বন্ধুর প্রোফাইল লিংক থেকে সকল বন্ধুর সাথে আবার সংযুক্ত হতে পারবেন ।
http://apps.facebook.com/friends-locker/

প্রাচীন ভারতীয় নাস্তিক্যবাদ

প্রাচীন ভারতীয় নাস্তিক্যবাদ
আমরা অনেকেই মনে করি যে নাস্তিক্যবাদ বা নিরীশ্বরবাদ হল একটি আধুনিক মতবাদ। কিন্তু সত্যিকার অর্থে এই মতবাদ তেমন নতুন কিছু নয়। আজ থেকে প্রায় ২৫০০ বছর আগেও আমাদের উপমহাদেশেই এই নাস্তিক্য মতবাদ ছিল যা আমরা অনেকেই জানি না।


আমরা জানি, নাস্তিক শব্দটির অর্থ হল যে ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না। বৈদিক সাহিত্য অবশ্য নাস্তিক শব্দএর একটু অন্য ধরণের বিস্তৃত অর্থ তৈরি করেছে। যথা-

১. যে বেদ মানে না।
২. যে বেদকে অপৌরুষেয় অর্থাৎ ঈশ্বর সৃষ্ট মনে করে না।
৩. যে বেদকে অভ্রান্ত মনে করে না,
৪. যে দেশাচার মানে না,
৫. যে পরলোকে বিশ্বাস করে না।
৬. যে ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না।


বৈদিক সাহিত্যে ছ'টি শ্রেণীর নাস্তিকের কথা বলা হয়েছে। যথা - ১. মাধ্যমিক, ২. যোগাচার, ৩. সৌত্রান্তিক, ৪. বৈভাষিক, ৫. চার্বাক ও ৬. দিগম্বর।


প্রাচীন ভারতঈয় নাস্তিক্যবাদী দর্শন নিয়ে আলোচনার আগে আমরা এই বৈদিক সাহিত্য দ্বারা সংজ্ঞায়িত ৬ শ্রেণীর নাস্তিকদের নিয়ে ছোট্ট করে কিছু আলোচনা সেরে নেই।


১. মাধ্যমিক
নাগার্জুন মাধ্যমিক মতবাদের প্রবক্রা। এটি একটি মহাযানপন্থী বৌদ্ধ দর্শন। মাধ্যমিক মতে- আমরা যা দেখি, যা অনুভব করি, সবই আপেক্ষিক ভাবে মনে হওয়া, অনুভব করা। আলোয় যে প্রকৃতিকে আমরা দেখতে পাই, অন্ধকারে তা দেখা যায় না। চোখ না থাকলে জগতের বস্তু, রঙ সবই মিথ্যা। যে দ্রব্য একজন দুর্বল দ্বারা পরীক্ষিত হলে কঠিন মনে হয়, তাই একজন সবলের কাছে কম কঠিন অনে হয়। গুণাবলী স্বয়ং অস্তিত্ববান হতে পারে না। যে খাদ্যবস্তুর স্বাদ একজনের কাছে উপাদেয়, অপরের কাছে খারাপ মনে হতে পারে। সুতরাং বস্তুর বাস্তব গুণ নেই। বস্তুগুণ আপেক্ষিক।


একটি বস্তুর মধ্যে একই সঙ্গে সৃষ্টি-স্থিতি-লয় থাকতে পারে না। জগতের প্রকৃত কোনও অস্তিত্ব নেই। বস্তুসমূহ চীরস্থায়ীও নয়, ক্ষণস্থায়ীও নয়। বস্তু উৎপন্নও হয় না, বিলুপ্তও হয় না। আমরা যে সব বস্তু দেখছি তা আসলে অলীক।


মাধ্যমিক দর্শন কিছু যুক্তি ও কিছু যুক্তিহীনতায় ভরা দর্শন। বৈদিক যুগের ধর্মগুরুরা মাধমিক দর্শনের যুক্তিমনস্কতাকে ভয় পেয়েছিলেন। তারই পরিণতিতে মাধ্যমিকদের একঘরে করার চেষ্টায় মেতেছিলেন। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এমন কিছু গভীর ও সূক্ষ্ম চিন্তার মানুষ ছিলেন- ভাবলে বিষ্ময় জাগে।



২. যোগাচার
গাচারযোগাচারও একটি মহাযান বৌদ্ধ দর্শন। যোগাচার বা বিজ্ঞানবাদ এর মতে - চৈতন্য, চেতনা, জ্ঞান ও বিজ্ঞান নিজে থেকেই ক্রিয়াশীল। বাইরের কোনও শক্তির দ্বারাই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি।


যোগাচার দর্শনে এমন বিজ্ঞানমনষ্ক চিন্তার পাশাপাশি কিছু ভ্রান্তিও ছিল। যোগাচারীরা মাধ্যমিকদের মতই মনে করতেন - যেহেতু চৈতন্য ছাড়া আমরা কোনও কিছুই দেখতে পারিনা, জানতে পারি না, তাই দৃশ্যমান কোন বস্তুর বাস্তব অস্তিত্ব নেই।



৩. সৌত্রান্তিক
সৌত্রান্তিকপন্থীরা নিরীশ্বরবাদী। তাঁরা মনে করেন, ঈশ্বর নেই। বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড, প্রকৃতির কোনও কিছুই ঈশ্বরের সৃষ্টি নয়। সব কাজের পিছনেই থাকে কারনের বিবর্তনমূলক প্রকৃয়া। মাটিতে বীজ পুঁতলে অংকুর হয়। অংকুর থেকে শিশু গাছ, কাণ্ড-শাখা-প্রশাখা-পাতা-ফুল-ফল সবই একটা কারনের বিবর্তনমূলক প্রকৃয়া। সৃষ্টি স্থান-কাল নির্ভর। একটা বীজকে মাটিতে বপন না করে মাটি বা ধাতুর পাত্রে রেখে দিলে মাটি ও জলের অভাবে বীজ থেকে অঙ্কুর সৃষ্টি হবে না। মৈথুএর এক পক্ষের মধ্যে জন্মও নেবে না একজন শিশু। নারি-পুরুষের মিলন থেকে সকল শিশুর জন্মানোর যে বিবর্তন প্রক্রিয়া,তার জন্য একটা নির্দিষ্ট কালের প্রয়োজন। ঈশ্বর এই স্থান-কালের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে সৃষ্টি করতে পারে না। সৌত্রান্তিক্রা শুধুমাত্র প্রত্যক্ষ প্রমাণকে গ্রহণ করতেন না।অভিজ্ঞতার সঙ্গে প্রত্যক্ষপ্রমাণকে মিলিয়ে বিচার করলে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় বলে মনে করতেন। হীনযানী বৌদ্ধদেরই একটি সম্প্রদায়ের নাম হল সৌত্রান্তিক।



৪. বৈভাষিক
হীনযানী বৌদ্ধদেরই আরও একটি শাখা বৈভাষিক। বৈভাষিকদের মতে গৌতম বুদ্ধ বৌদ্ধত্ব প্রাপ্তির পর যে'সব উপদেশ দিয়েছিলেন, সেগুলি নিয়েই সাতটি অভিধর্ম গ্রন্থ। এই অভিধর্ম গ্রন্থই বৌদ্ধদর্শনের প্রামাণ্য উৎসগ্রন্থ।


বৈভাষিকরা প্রত্যক্ষপ্রমাণকে শ্রেষ্ঠ মনে করতেন। মনে করতেন সমস্ত বস্তু চারটি ভূত দ্বারা গঠিত। এরা হল, পৃথিবী, জল, অগ্নি ও বায়ু। বৈভাষিকরা ন্যায়বৈশেষিকদের পারমাণবিক তত্ত্বকে স্বীকার করতেন।


বৈভাষিক দর্শনে বলা হয়েছে, পরমাণুর ছয়টি কোণ আছে। বস্তুর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র, অবিভাজ্য বিশ্লেষণ অযোগ্য অ অস্থির চরিত্র হল পরমাণুর গুণ। এককভাবে অদৃষ্য হলেও সমষ্টিগতভাবে দৃশ্যমান।


বৈভাষিকরা নিরীশ্বরবাদী। এমন নিরীশ্বরবাদীদের পরবর্তী জন্মও শেয়াল যোনিতে হবে বলে বৈদিক পূজারীরা গালি দিলেও, সেটা আদৌ অস্বাভাবিক ঠেকে না। বাঁচোয়া- শকুনের অভিশাপে গরু মরে না।



৫. চার্বাক
চার্বাক দর্শন একটু বৃহৎ আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে সেটাকে এখানে আলোচিত না করে আলাদাভাবে আলোচিত করা হয়েছে। চার্বাক মতবাদ সম্পর্কে জানতে নিচের নিবন্ধগুলো পড়তে পারেন-

চার্বাক দর্শন প্রাচীন ভারতের নিরীশ্বরবাদী মতবাদগুলোর মধ্যে অন্যতম।



চার্বাক মতবাদ - ১ - http://www.facebook.com/note.php?note_id=10150209618089561
চার্বাক মতবাদ - ২ - http://www.facebook.com/note.php?note_id=10150212369704561
অথবা,
চার্বাক মতবাদ - http://sumitroydipto.blogspot.com/2011/06/blog-post_03.html



৬. দিগম্বর
মহাবীরের দিগম্বর মতবাদ সম্পর্কেও আলাদাভাবে আলোচনা করা হয়েছে। নিচে উল্লিখিত নিবন্ধটি দেখুন-

মহাবিরের দিগম্বর মতবাদ - http://www.facebook.com/note.php?note_id=10150219224724561
অথবা,
মহাবিরের দিগম্বর মতবাদ - http://sumitroydipto.blogspot.com/2011/06/blog-post_04.html



এতক্ষন যেসব নাস্তিক্যবাদী মতবাদ বৈদিক সাহিত্যে উল্লিখিত হয়েছে সেসব মতবাদ নিয়ে আলোচনা করলাম। এখন অন্যান্য মতবাদগুলো নিয়ে আলোচনা করব। তার আগে কিছু গুরুত্বপুর্ণ কথা বলে রাখি। প্রাচীন ভারতীয় দর্শন বলতে যে চিন্তাধারা বোঝায়, তা প্রধানত নিরিশ্বরবাদী। কথাটা একটু নতুন শোনালেও এটাই সত্যি, একশো শতাংশ সত্যি।


আমরা খবরের কাগজ পড়ে ততটাই জানতে পারি যেটুকু ছাপানো হয়, চাপা খবর আমরা পাই না। ঠিক তেমনই বেশির ভাগ ভারতীয় দার্শনিক প্রাচীন ভারতীয় দর্শন সম্পর্কে যতটা ছেপেছেন, তার চেয়ে বেশি চেপেছেন।


ম্যাক্সমুলার থেকে রাধাকৃষ্ণ, ভারতীয় দর্শনের গবেষক থেকে প্রামাণ্য দার্শণিকেরা বলতে চেয়েছেন, হিন্দু ধর্ম মূলত একেশ্বরবাদী। তারা দেখাতে চেয়েছেন, বেদের দেবতারা ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির প্রতিনিধি বা প্রতীক। পরবর্তিকালে বেদ বিশ্বাসী মানুষরা বুঝেছিলেন, সমস্ত শক্তির উৎস এক। তিনিই পরম ব্রহ্ম, ব্রহ্মাণ্ডের সব কিছুর নিয়ন্তা।


এইসব ভারত বিশেষজ্ঞ, পণ্ডিত, দার্শনিকেরা ব্রিটিশ শাসনের অধীনে, ব্রিটিশ শক্তির পরিমণ্ডলে পরিপক্ক হওয়ার ফলে খ্রিষ্টীয় একেশ্বরবাদের সাংস্কৃতিক শাসনকে মেনে নিয়েছিলেন। বৈদিক ধর্মের যাগযজ্ঞ সর্বস্বতাকে, বহু ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসকে, খ্রিস্ট্রীয় একেশ্বরবাদের তুলনায় হীন বলে মনে করেছিলেন। ফলে বৈদিক ধর্মকে মূলত একেশ্বরবাদী বলে প্রচার করতে চেয়েছিলেন। আর এই চাওয়াকে সার্থক করতে এইসব তথাকথিত পণ্ডিতেরা ইতিহাস বিকৃত করতে চেষ্টার কসুর করেননি।


মুশকিল হল, বৈদিক সাহিত্য একেশ্বরবাদী তো নয়-ই, এমনকী ঈশ্বরকে সমস্ত কিছুর নিয়ন্তা বলে মনে করে না। বেদ দ্বিধাহীন ভাবে মনে করে, যে কারণে যজ্ঞ করা হবে, সে ফল মিলবেই। ঈশ্বরের ক্ষমতা নেই এই ফল লাভ আটকে দেবার। ক্ষমতা নেই ফল দেবার। যজ্ঞই একমাত্র সত্য। দেবতার ভুমিকা শুণ্য। বেদে যজ্ঞের ভূমিকার প্রাধান্য দেবার একটা বিশেষ কারনও আছে বটে। সবাই যদি মনে করে যে সকল অভিষ্টপূরণকারী হল দেবতা আর সেই দেবতাকেই উপাসনা করায় সবাই ব্যাস্ত হয়ে পরে তাহলে ব্রাহ্মণদের পেট কী করে চলবে? কারণ তখনকার সময় ব্রাহ্মণদের জীবিকাই ছিল এইসব যাজ্ঞের উপর নির্ভরশীল। তাই নিজেদের পেট চালানোর জন্য ব্রাহ্মণেরা বেদে যজ্ঞের বিধান দেন এবং দেবতাদের ভূমিকাকে কমিয়ে দিয়ে নিজেদের জীবিকা নিশ্চিত করেন। পাঠকগণ, আশা করি ইতিমধ্যে আপনারা সকলে বুঝে গেছেন যে ধর্মগুরুদের ধ্যানলব্ধ জ্ঞানের দ্বারা নয় বরং ধর্মগুরুদের পেটের তাগিদেই পরিকল্পিতভাবে হিন্দুধর্মের উৎপত্তি হয়েছিল আর তারপর বিভিন্নভাবে সমাজকে আয়ত্তে আনার চেষ্টায় এই হয়েছে এই ধর্মের বিবর্তন।


যাইহোক এখন মূল আলোচনায় আসি। বেদে অনুল্লিখিত প্রাচীন ভারতের নিরীশ্বরবাদী মতবাদগুলো সম্পর্কে নিম্নে উল্লেখ করা হল -



সাংখ্য
সাংখ্য দর্শনকে ভারতের প্রাচীনতম দর্শন বলে মনে করেন ভারতীয় দার্শনিকরা। সাংখ্য দর্শন নিরিশ্বরবাদী দর্শন। এখানেই শেষ নয়। সাংখ্য দর্শন মূলত বস্তুবাদী দর্শন। সাংখ্য যে একটি প্রাচীন মতবাদ, তার প্রমাণ- উপনিষদ সমূহে ও মহাভারতে সাংখ্য দর্শনের উল্লেখ আছে। গৌতম বুদ্ধ গৃহত্যাগের পর সাংখ্য অধ্যয়ন করেছিলেন বলে মনে করা হয়। কারণ সাংখ্য দার্শনিক কপিল ছিলেন বুদ্ধের উত্তরসুরী এবং বৌদ্ধ ধর্মের উপর সাংখ্যের প্রভাব স্পষ্ট।


কপিল তার সাংখ্যে ব্রহ্ম বা পরমাত্মাকে কোনও স্থান দেননি। তার মতে প্রকৃতি নিত্য, সমস্ত জাগতিক পদার্থ তারই পরিবর্তনের ফলে উৎপন্ন।


সাংখ্য মনে করে- জড় প্রকৃতির বিবর্তনের মধ্য দিয়েই বিশ্বের সব কিছুর সৃষ্টি। প্রতিটি কাজ বা ঘতনার পিছনেই রয়েছে কারণ। শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ সাংখ্য-সংস্থাপক কপিলকে ঋষি বলে শ্রদ্ধা জানিয়েছিল। নিরীশ্বরবাদী কপিল মুনি হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কাছে ঈশ্বরের পরমভক্ত মুনি হিসেবে পুজিত হচ্ছেন- এটাই দুঃখ। ইতিহাস বিকৃতিকে দেখার দুঃখ। প্রচারের দৌলতে বিকৃতিকারীদের আলোকিত হতে দেখার দুঃখ।



মীমাংসা
ভারতবর্ষের আরও একটি প্রাচীন ও অত্যন্ত শক্তিশালী দর্শন হল মীমাংসা। মীমাংসাবাদীরা স্পষ্টতই নিরীশ্বরবাদী। মীমাংসক কুমারিল ভট্টের রচিত শ্লোকবাতিক থেকে মীমাংসা দর্শনের কিছু মতামত তুলে ধরছি-


১. কেউ যদি বলেন এই বিষ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আগে থেকেই ঈশ্বর ছিলেন, তবে তাকে প্রশ্ন করা যেতে পারে সৃষ্টি না থাকলে স্থান থাকে না। স্থান না থাকলে ইশ্বর কোন স্থানে থাকতেন?


২. ঈশ্বর নিরাকার ছিলেন, নাকি তার আকার ছিল, দেহ ছিল? দেহ থাকলে সেই দেহের নিশ্চই একজন স্রষ্টা ছিলেন?


৩. ঈশ্বর সৃষ্টির জন্য নিশ্চই আর একজন ঈশ্বরের প্রয়োজন হয়েছিল। সেই ঈশ্বরকে সৃষ্টি করতে আরও একজন ঈশ্বরের প্রয়োজন হয়েছিল। এভাবে অনন্ত ঈশ্বরের প্রয়োজন হতেই থাকবে।


৪. কোন উপাদান দিয়ে তিনি বিশ্ব সৃষ্টি করেছিলেন? সেই উপাদানগুলো কি সৃষ্টির আগে থেকেই বর্তমান ছিল? থাকলে সেগুলো কোথায় ছিল?


৫. সৃষ্টির উপাদান গুলোর স্রষ্টা কে?


৬. যদি ঈশ্বর তার দেহ থেকেই এই উপাদান তৈরি করে থাকে- তবুও প্রশ্ন থেকে যায় সেই দেহের স্রষ্টা কে? স্রষ্টা হিসেবে একের পর এক ঈশ্বর আনলেও এর উত্তর পাওয়া যাবে না।


৭. ইশ্বর কেন জগৎ সৃষ্টি করলেন? কী অভাববোধ থেকে এই সৃষ্টি? ঈশ্বরের অভাববোধ থাকার অর্থ তিনি পূর্ণ নন।


৮. এই সৃষ্টিকে ঈশ্বরের লীলা বললে, বলতেই হয় ঈশ্বর দায়িত্বজ্ঞানহীন।


৯. ঈশ্বর যদি করুণা থেকে জগৎ সৃষ্টি করে থাকেন, তাহলে জগতে কেন এত দুঃখ?


১০. বেদ এ'কথাই বলে যে, বাঞ্ছিত ফল পেতে যজ্ঞই একমাত্র সত্য, দেবতার কোনও ভূমিকা নেই। দেবতা ফল দিতেও পারে না, ফল লাভ বন্ধও করতে পারে না। বোইদিক যজ্ঞ নীত 'ব্রাহ্মণ' তার প্রমাণ। তাহলে দেবতা বা ঈশ্বর সর্বশক্তিমান নন।


পাঠকেরা, আমার মনে হয় উপরে যা যা বললাম তাতে মীমাংসা দর্শন তদকালীন ব্রাহ্মণ্যবাদী দলের কাছে কী ভয়ানক চীজ ছিল সে বিষয়ে আপনাদের বুঝতে আর বাকি নেই। ঈশ্বর বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে এমন ভয়ংকর আক্রমণ আর কোনও দর্শনই হানতে পারেনি। সত্যি বলতে কী, এ'যুগের উচ্চডিগ্রিধারী অনেকের চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিদীপ্ত ছিলেন মীমাংসাবাদীরা। মজার কথা হল, প্রচারের আলোয় আলোকিত বিখ্যাত পণ্ডিতদের শেষ পর্যন্ত স্বীকার করতে হয়েছে যে, সাংখ্য এবং মীমাংসা নিরীশ্বরবাদী মতবাদ ও মূলত বস্তুবাদী মতবাদ।



স্বভাববাদ
শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের যুগে আরও একটি যুক্তিমনষ্ক মতবাদ উঠে এসেছিল। মতবাদটির নাম স্বভাববাদ। স্বভাববাদের উল্লেখ আমরা পাই মহাভারতে, বৌদ্ধ লংকাবতার সূত্রে ও অশ্বঘোষের বুদ্ধ চরিত-এ। স্বভাববাদ স্পষ্টতই একটি যুক্তিমনষ্ক মতবাদ। এই মতবাদ অনুসারে-

১. বিষ্বপ্রকৃতি কার্য-কারণের নিয়মশৃঙ্খলে বাঁধা।
২. একটি বিশেষ ধরণের ঘটনার পেছনে একটি বিশেষ ধরণের কারণ থাকে। যেমন, মাটি থেকে মৃতপাত্র-ই হত পারে, পরিধেও বস্ত্র নয়।
৩. কারণহীন বা অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটা সম্ভব নয়।
স্বভাববাদীরা ছিলেন অতিপ্রাকৃতে অবিশ্বাসী, নিরীশ্বরবাদী।



বৌদ্ধ মতবাদ
বোউদ্ধ মতবাদ নিয়ে লিখতে গেলে প্রাসংগিক অনেক কিছুই লিখতে হয়। তাই আয়তনের বিশালতার কারণে আলাদাভাবে বৌদ্ধ মতবাদ নিয়ে লেখা হল। নিচে নিবন্ধটির লিঙ্ক দেয়া হল-

বৌদ্ধ মতবাদ - ১ - http://www.facebook.com/note.php?note_id=10150206453329561
বৌদ্ধ মতবাদ - ২ - http://www.facebook.com/note.php?note_id=10150206465459561
অথবা,
বৌদ্ধ মতবাদ - http://sumitroydipto.blogspot.com/2011/06/blog-post_4264.html

চার্বাক দর্শন প্রাচীন ভারতের নিরীশ্বরবাদী মতবাদগুলোর মধ্যে অন্যতম।

চার্বাক মতবাদ প্রাচীন ভারতের নিরীশ্বরবাদী মতবাদগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি একই সঙ্গে নিরীশ্বরবাদী, অনাত্মাবাদী এবং ভূতবাদী। এর আরেক নাম লোকায়ত মতবাদ। ভারতের প্রথম বস্তুবাদী চিন্তার প্রতিফলন ঘটেছিল চার্বাক মতবাদে। এই দর্শনের আরও একটি নাম বস্তুবাদী দর্শন। বৈদিক সাহিত্যে যে ছয়টি শ্রেণীর নাস্তিকের কথা বলা হয়েছে তাদের মধ্যে চার্বাক একটি। অন্য ৫টি হল : মাধ্যমিক, যোগাচার, সৌত্রান্তিক, বৈভাষিক ও দিগম্বর।



প্রথমে প্রাচীন বস্তুবাদী মতবাদের নামটা নিয়ে একটু আলোচনা সেরে নেই। আগেই বলে রাখছি, আমি যে 'চার্বাক' শব্দটি লিখছি সেটা বাংলাতে এবং এর বাংলা উচ্চারণও 'চার্বাক'। কিন্তু সংস্কৃত ভাষায় এর উচ্চারণ হল 'চার্বাকা' (चार्वाक, Cārvāka) । অর্থাৎ এখানে চার্বাকের 'ক' এর নিচে কোন হসন্ত ব্যবহার হবে না।



এখন আলোচননায় আসি। 'চার্বাক' শব্দটি কোথা থেকে এলো? অনেক দার্শনিকের মতে 'চারু+বাক্‌' থেকে চার্বাক কথাটি এসেছে। তাদের মতে, মানুষের স্বাভাবিক ভোগ প্রবৃত্তির কথা যে মতবাদে 'চারু' বা সুন্দরভাবে বলে, তাই চার্বাক। চার্বাক মতে, ইহ জগতেই সব কিছুর শেষ। মৃত্যুর পরে অন্য জগত বলে কিছু নেই। অতএব ভোগ কর।


অন্য মতে 'চর্ব' (অর্থাৎ চর্বন) করে যে- এই অর্থে চার্বাক শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। এই ধরণের ব্যখ্যায় তারা বলতে চান -চর্ব-চোষ্য খানা-পিনার মধ্যেই জীবনের চরমতম স্বার্থকতা যে মতবাদ খুঁজে পায়, তারই নাম চার্বাক দর্শন।


ব্যাকরণ মানতে গেলে দুট মতকেই বাতিল করতে হয়। 'চারু+বাক্‌' থেকে 'চারুবাক্‌' অথবা 'চার্‌বাক্‌' বা 'চার্বাক্‌' ( চার্বাক বা চার্বাকা নয়)। আবার 'চর্বন করে যে' সে চার্বক (চার্বাক বা চার্বাকা নয়)।



পালি সাহিত্য বিষয়ে সুপণ্ডিত রিস দেভিডস (Rhys Davids) - এর মতে মহাভারতের এক কুচরিত্র রাক্ষস চার্বাক-এর নাম থেকেই ভাববাদীরা বস্তুবাদী মতবাদটির নাম রাখেন চার্বাক দর্শন। মহাভারতে আছে- চার্বাক ছিল দুর্যোধনের বন্ধু আর এক দুরাত্মা। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ-বিজয়ী ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরকে ব্রাহ্মণ ছদ্মবেশধারী চার্বাক জ্ঞাতিঘাতী হিসেবে ধিক্ষার জানিয়ে আত্মঘাতী হতে প্ররোচিত করেছিল। কিন্তু উপস্থিত ব্রাহ্মণগণ তাদের অতীন্দ্রিয় ক্ষমতায় চার্বাক-এর আসল পরিচয় জেনে ফেলে যুধিষ্ঠিরকে রক্ষা করেন। পাঠকগণ, বুঝতেই পারছেন, প্রাচীন ভাববাদীরা বস্তুবাদী মতবাদটির প্রতি মানুষের অশ্রদ্ধা ও ঘৃণা সৃষ্টির জন্যই এমন এক ঘৃণ্য রাক্ষস চরিত্রের নামে মতবাদটির নাম রেখেছিলেন।

সে'যুগের কিছু ভাববাদী চার্বাক বা লোকায়ত মতবাদকে দেবগুরু বৃহস্পতি প্রণীত বলে উল্লেখ করেছেন। পুরাণে আছে- অসুরদের পরাক্রমে বিধ্বস্ত দেবকুলকে রক্ষা করতে এক কৌশল অবলম্বন করেছিলেন দেবগুরু বৃহস্পতি। অসুরদের ধ্বংসের জন্য, অধঃপাতে নিয়ে যাবার জন্য এই ভ্রান্ত মতবাদ রচনা করলেন। তারপর অসুরের ছদ্মবেশে অসুরদের মধ্যে বস্তুবাদী দর্শনটি প্রচার করলেন। ফলে নীতিভ্রষ্ট, ভ্রান্ত অসুররা দেবতাদের কাছে পরাজিত হল। এখানেও আমরা দেখতে পাচ্ছি- বস্তুবাদী চার্বাক মতবাদই অসুরদের ধ্বংসের কারণ হয়েছিল- এই রকম প্রচারের মধ্য দিয়ে বস্তুবাদী দর্শনের প্রতি আতঙ্ক এবং বিদ্বেষ সৃষ্টির চেষ্টা স্পষ্ট।

শঙ্করাচার্য প্রমুখ ভাববাদী দার্শনিকেরা এই মতবাদকে 'লোকায়ত' নামে অবহিত করার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন- দর্শনটি ইতর লোকের দর্শন, তাই 'লোকায়ত' দর্শন। এখানে দার্শনিকদের লোকায়ত মতবাদের প্রতি অশ্রদ্ধা স্পষ্ট।



সাধারণ মানুষের মধ্যে যুক্তিবাদী চিন্তার বিরুদ্ধে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে 'রামায়ণ', 'মহাভারত'- এর মত মহাকাব্যগুলোতে ঢুকে পড়েছে অনেক কাহিনী, অনেক নীতকথা। রামায়নের অযোদ্ধা-কাণ্ডের দিকে তাকান। রামচন্দ্র তখন চিত্রকূটে। ভরত এলেন। রামচন্দ্র ভরতকে রাজ্য-পরিচালন বিষয়ে উপদেশ দিতে গিয়ে বললেন,


ক্কচিন্ন লোকায়তিকান্‌ ব্রাহ্মণাংস্তাত সেবসে।

অনর্থকুশলা হ্যেতে বালাঃ পণ্ডিতমানিনঃ।।


অর্থাৎ, '' আশা করি তুমি লোকায়তিক ব্রাহ্মণদের সেবা করছ না। ওরা অনর্থ ঘটাতে খুবই পটু। "



মহাভারতের শান্তিপর্ব। এক ধনী বণিক অথে যাবার সময় এক ব্রাহ্মণকে ধাক্কা মারে। ক্ষুব্ধ ব্রাহ্মণ অপমানের জ্বালা ভুলতে আত্মহত্যা কথা চিন্তা করে। দেবরাজ ইন্দ্র ব্রাহ্মণের আত্মহত্যার মধ্যে সর্বনাশের সংকেত দেখতে পেয়ে শিয়াল সেজে হাজির হলেন। ব্রাহ্মণকে পশুজীবনের বহু কষ্টের কথা বলে মানবজীবনের জয়গান গাইলেন। জানালেন, অনেক জন্মের পর পুণ্যের ফল সঞ্চয় করে এই মানবজন্ম পাওয়া। এমন মহার্ঘতম মানবজীবন, বিশেষত শ্রেষ্ঠ মানুশ হিসেবে ব্রাহ্মণ হয়েই জন্মলাভের পরেও কেউ কি পারে সে-জীবন ধ্বংস করতে? অভিমানে আত্মহত্যা করা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। শিয়াল, সে নিজেও আগের জন্মে ব্রাহ্মণ কয়েই জন্মেছিল। কিন্তু সে জন্মে চূড়ান্ত মূর্খের মত এক মহাপাতকের কাজ করেছিল বলেই আজ এই শিয়ালের জন্ম।


চূড়ান্ত মূর্খের মত কাজটা কী? এ-বারেই বেরিয়ে এল নিতিকথা -

অহমাংস পণ্ডিতকো হৈতুকো দেবনিন্দকঃ।

আন্বীক্ষিকীং তর্কবিদ্যম্‌ অনুরক্তো নিরার্থিকাম।।

হেতুবাদান্‌ প্রবদিতা বক্তা সুংসৎসু হেতুমৎ।

আক্রোষ্টা চ অভিবক্তা চ ব্রাহ্মবাক্যেষু চ স্বিজান্‌।।

নাস্তিকঃ সর্বশঙ্কী চ মূর্খঃ পণ্ডিতমানিকঃ।

ভাস্য ইয়ং ফলনিবৃত্তিঃ শৃগালত্বং মম দ্বিজ।।

(শান্তিপর্ব- ১৮০/৪৭-৪৯)


অর্থাৎ, আমি ছিলাম এক বেদ-সমালোচক তার্কিক পণ্ডিত। নিরর্থক তর্কবিদ্যায় ছিলাম অনুরক্ত। বিচারসভায় ছিলাম তর্কবিদ্যার প্রবক্তা। যুক্তিবলে দ্বিজদের ব্রহ্মবিদ্যার বিরুদ্ধে আক্রোশ মেটাতাম। ছিলাম জিজ্ঞাসু মনের নাস্তিক। অর্থাৎ কিনা পাণ্ডিত্যভিমানী মূর্খ। হে ব্রাহ্মণ, তারই ফলস্বরূপ আমার এই শিয়ালজন্মও।



পাঠক-পাঠিকা গণ, আশা করি আপনাদের মাথায় নিশ্চই এখন উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছে, চার্বাক বা লোকায়ত মতবাদে কি এমন কথা বলা হয়েছে, যা অবহেলায় পাশে সরিয়ে দেয়ার সাধ্য সে যুগের রথী-মহারথী দার্শনিকদের ছিল না (যদিও প্রক্ক্রিত অর্থে তারা কেউই 'দার্শনিক' ছিলেন না।) যার ফলে ভাববাদী রথী-মহারথীরা বস্তুবাদী এই মতবাদকে লক্ষ্য করে তীক্ষ্ণ আক্তমণ করেছেন? সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষদের দর্শনটি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে নানাভাবে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন?




ভারতবর্ষে আধ্যাত্মবাদী বা ভাববাদী সর্শনের সুস্পষ্ট প্রকাশ দেখতে পাই আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে 'উপনিষদ' সাহিত্যে। চার্বাক বা লোকায়ত দর্শন বা বস্তুবাদী যুক্তিবাদের সূচনা সঠিক কবে হয়েছিল বলা সম্ভব নয়। তবে আনুমানিক অষ্টম শতকে রচিত বৌদ্ধ দার্শনিক কমলশীলের ব্যাখ্যা-গ্রন্থ 'পঞ্জিকা'তে বস্তুবাদী চার্বাক মতবাদের উল্লেখ রয়েছে দেখতে পাই।



কমলশীলের গুরু শান্তরক্ষিত নিজের মতের সমর্থনে 'তত্ত্বসংগ্রহ' নামে একটি দর্শনগ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর রচনায় দেখতে পাই বস্তুবাদী যুক্তি-তর্ক নির্ভর মতবাদকে তিনি 'চার্বাক' না বলে 'লোকায়ত' বলে বর্ণনা করেছিলেন।



শান্তরক্ষিত থেকে শঙ্করাচার্য পর্যন্ত বেশ কয়েকজন বিখ্যাত আধ্যাত্মবাদী বা ভাববাদী দার্শনিকের রচনায় 'লোকায়ত' বা 'চার্বাক' নামের যুক্তি-তর্ক নির্ভর মতবাদটির উল্লেখ আছে। সে সময় ভারতীয় দর্শনের প্রথামত পরমত খণ্ডণ করে নিজের মত স্থাপন করা হত। পরমত হিসেবেই এইসব ভাববাদী দার্শনিকেরা চার্বাক বা লোকায়ত মতবাদের বিভিন্ন মতের উল্লেখ করেছেন। আর সেই উল্লেখ থেকেই আমরা চার্বাক দর্শন বিষয়ে কিছু জানতে পারি। চার্বাক বা লোকায়ত দর্শন ছিল সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের দর্শন, যা ছড়া হিসেবে প্রচলিত ছিল মানুষের মুখে মুখে। অলিখিত এই ছড়াই লোকগাথার রূপ পেয়েছিল।



আত্মা অবিনশ্বর হলে তবেই মৃত্যুর পর আসে স্বর্গ নরক ভোগের প্রশ্ন, জন্মান্তর পূর্বজন্মের কর্মফল ইত্যাদি প্রশ্ন। আত্মা নশ্বর হলে এইসব প্রশ্নই অর্থহীন হয়ে যায়।

চার্বাক বা লোকায়ত-দর্শনে আত্মার বিষয়ে এমন কিছু যুক্তির অবতারণা করা হয়েছিল যেগুলো ইতরজন বা সাধারণের কাছেও গ্রহণীয় হয়ে উঠেছিল।

চার্বাক দর্শনে আত্মা বা চৈতন্যকে দেহধর্ম বলে বর্ণনা করা হয়েছে। আর এই বক্তব্যই ভাববাদী দার্শনিকের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বস্তুবাদী চার্বাক দর্শনের সঙ্গে ভাববাদী দর্শনের। সুদীর্ঘ লড়াই চলেছিল শুধুমাত্র আত্মা 'অমর' কি 'মরণশীল' এই নিয়ে।



লোকায়ত দর্শন মতে- কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য প্রমাণের প্রয়োজন। বিশ্বাস-নির্ভর অনুমানের সাহাহ্যে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়। অনুমান-নির্ভর, একান্ত বিশ্বাস-নির্ভর অমর আত্মা, ইহলোক, পরলোক ইত্যাদি ধারণাগুলো লোক ঠকানোর জন্য একদল ধূর্ত লোকের সৃষ্টি।



প্রমাণের জন্য প্রত্যক্ষ প্রমাণই শ্রেষ্ঠ বলে চার্বাক দর্শন মনে করলেও প্রত্যক্ষ অনুগামী জ্ঞানকেও মর্যাদা দিয়েছিল। অপ্রত্যক্ষ প্রমাণের ক্ষেত্রে প্রতিটি অনুমানের মূল শর্ত অবশয়ই হবে 'পূর্ব প্রত্যক্ষ' অর্থাৎ প্রত্যক্ষের ওপর নির্ভর করে অনুমান। যেমন ধোঁইয়া দেখলে আগুনের অনুমান, গর্ভ দেখলে অতীত মৈথুনের অনুমান ইত্যাদি।



ভাববাদীদের চোখে প্রত্যক্ষ ও প্রত্যক্ষ-অনুগামী জ্ঞানের গুরুত্ব ছিল সামান্য অথবা অবান্তর। তারা অনেক বেশি গুরুত্ব দিতেন, 'ঋষি' নামধারী ধর্মগুরুদের মুখের কথাকে, ধর্মগুরুদের অন্ধ-বিশ্বাসকে যার উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছিল আত্মা সংক্রান্ত মতবাদ বা আধ্যাত্মবিদ্যা।



আজও যারা বলেন, "বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্ম এবং আধ্যাত্মবাদের কোন দ্বন্দ্ব নেই, বরং আধ্যাত্মতত্বই 'পরম বিজ্ঞান', তারা এটা ভুলে যান- প্রত্যক্ষ জ্ঞান বা অপ্রত্যক্ষ প্রমাণ ছাড়া প্রকৃত বিজ্ঞানের প্রথম ধাপটিতে পা রাখাই সম্ভব নয়। আর আধ্যাত্মতত্ব দাঁড়িয়ে আছে 'আত্মা অমর' এই বিশ্বাসের উপর, যা বিজ্ঞান-বিরোধী বিশ্বাস।



লোকায়ত দর্শন প্রত্যক্ষ ও প্রত্যক্ষ অনুগামী জ্ঞানের উপর নির্ভর করে দ্বিধাহীন ভাষায় ঘোষণা করেছিল- চৈতন্য দেহেরই গুণ বা দেহেরই ধর্ম। দেহ ধ্বংস হওয়ার পর চৈতন্যস্বরূপ আত্মার অস্তিত্ব অজ্ঞান ও ধূর্তদের কল্পনা মাত্র। আর 'আধ্যাত্মতত্ত্ব' বা আত্মার অবিনশ্বরতার উপর নির্ভর করে ওঠা তত্ত্ব বিজ্ঞানের লক্ষণ নয় ; অজ্ঞানের লক্ষণ।



লোকায়ত দর্শনের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে শংকরাচার্য যে যুক্তি দিয়েছিলেন তা হল- লোকায়তদের মতে দেহের মূল উপাদান জল, মাটি, আগুন, বায়ু ইত্যাদি ভূত-পদার্থ। এই প্রতিটি পদার্থই জড় বা অচেতন পদার্থ। তাহলে এই অচেতন পদার্থে গড়া মানুষের মধ্যে চেতনা আসছে কোথা থেকে? আসছে নিশ্চই এই সব অচেতন পদার্থের বাইরে থেকেই। অতএব স্বীকার করে নেয়া উচিৎ- চৈতন্য বা আত্মা দেহের অতিরিক্ত একটা কিছু। আত্মা বিষয়ে অন্যান্য বহু আধ্যাত্মবাদী দার্শনিক যে সব তর্কের ঝড় তুলেছেন, তাঁদের অনেকের বক্তব্যেই শংকরাচার্যের এই যুক্তির সুর লক্ষ্য করা যায়। তাঁরাও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন- জড় বা অচেতন পদার্থে গড়া দেহ তো সরল যুক্তিতে অচেতনই হবার কথা। তবে মানুষের চৈতন্য আসছে কোথা থেকে?



লোকায়ত দর্শন এই যুক্তির বিরুদ্ধে পালটা যুক্তিও হাজির করেছে - মদ তৈরির উপকরণগুলোতে আলাদা করে কোন মদশক্তি নেই। কিন্তু সেই উপকরণগুলোকেই এক ধরণের বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মিলন ঘটানোর পর সম্পূর্ণ নতুন এক গুণ পাওয়া যাচ্ছে, যাকে বলছি মদ। আত্মা বা চৈতন্যও একই জাতীয় ঘটনা।

লোকায়তিকদের চৈতন্যএর সঙ্গে মদশক্তির তুলনা নিয়ে কোন বিপক্ষ দার্শনিকই কুটতর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেননি। তবে, দৃষ্টান্ত হিসেবে এনেছেন মৃতদেহের তুলনা। চৈতন্য যদি দেহেরই লক্ষণ বা ধর্ম হয়, তবে মৃতদেহেও তো চৈতন্য থাকার কথা, থাকেনা কেন?



লোকায়ত দর্শনের আত্মা বা চৈতন্যতত্ত্বের কাছে এটাই সবচেয়ে জোরালতম যুক্তি। চার্বাক বা লোকায়ত দর্শন এর বিপক্ষে জোরাল কোন যুক্তি আর হাজির করতে পারেনি। প্রাচীনকালের পটভূমিতে শারিরবিদ্যার অনগ্রসরতার যুগে এই ধরনের যুক্তির কোন উত্তর দেয়া সম্ভব ছিল না। আজ বিজ্ঞানের তথা শারীর-বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আমরা অনেক কিছুই জেনেছি, তারই ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি দেহ ও মৃতদেহের ধর্ম সমান নয়। চিন্তা, চেতনা বা চৈতন্য মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষের ক্রিয়া।



মৃতদেহের ক্ষেত্রে মৃতদেহেরই অংশ মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষের যেহেতু মৃত্যু ঘটে তাই স্নায়ুকোষের ক্রিয়াও ঘটে না, ফলে মৃতদেহের ক্ষেত্রে চৈতন্য বা চিন্তা থাকে অনুপস্থিত।

লোকায়ত দর্শনে আত্মা, পরলোক এবং পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম নিয়ে এমন অনেক যুক্তি দেখান হয়েছে, যেসব যুক্তি এযুগের যুক্তিবাদীদেরও ঈর্ষা জাগাবার মত। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি এর সম্পাদক প্রবীর ঘোষ চার্বাক দর্শনের কিছু শ্লোকের কাব্যানুবাদ করেছেন। কিছু উদাহরণ দেয়া হল :



১. ব্রাহ্মণ জীবিকা হেতু তৈরি শ্রাদ্ধাদি বিহিত।

এছাড়া কিছুই নয় জেনো গো নিশ্চিত।।


- ব্রাহ্মণেরা তাদের জীবিকার তাগিদেই 'শ্রাদ্ধ' নামক নিয়ম চালু করেছে। পয়সা কামানোর অজুহাত ছাড়া শ্রাদ্ধ আর কিছুই নয়।



২. যদি, শ্রাদ্ধকর্ম হয় মৃতের তৃপ্তির কারণ।

তবে, নেভা প্রদীপে দিলে তেল উচিৎ জ্বলন।।


- শ্রাদ্ধকর্মের ফলে যদি মৃতের তৃপ্তি হয় তাহলে নেভা প্রদীপে তেল দিলেও আগুন জ্বলা উচিৎ।



৩. পৃথিবি ছেড়ে যে ভূতপদার্থে ফেরে তার পাথেও দিতে পিণ্ডদান বৃথা।

যেমন, ঘর যে গ্রামান্তরে তার পাথেও ঘরে দেয়া বৃথা।।


- বিদেশে থাকা পরিবারের সদস্যের জন্য দেশে বসে রান্না করা বৃথা, ঠিক তেমনি মৃতের উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করাও বৃথা।



৪. চৈতন্যরূপ আত্মার পাকযন্ত্র কোথা?

তবে তো পিণ্ডদান নেহাতই বৃথা।।


- আত্মার কি পাকস্থলী আছে? যদি না থাকে তাহলে তার উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করলে সে খাবে পিণ্ড বা মাংস খাবেই বা কিভাবে আবার হজম করবেই বা কিভাবে?



৫. যদি জ্যোতিষ্টোম যজ্ঞে বলি দিলে পশু যায় স্বর্গে।

তবে, পিতাকে পাঠাতে স্বর্গে ধরে-বেধে বলি দাও যজ্ঞে।।


- জ্যোতিষ্টোম যজ্ঞে পশুবলি দিলে যদি পশু স্বর্গেই গিয়ে থাকে, তাহলে পিতাকে স্বর্গে পাঠানোর জন্য তাকে ধরে-বেধে যজ্ঞে বলি দিলেই তো হয়, শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের দরকার কী?




৬. ভণ্ডরা পশুর মাংস খেতে অজুহাত চান।

তাই তারা দিয়েছেন বলির বিধান।।


- ব্রাহ্মণেরা পশুহত্যা মহাপাপ বলেছিলেন। তারা হিন্দুদের নিরামিষ ভোজনের বিধান দিয়েছিলেন। কিন্তু নিজেরা মাংস খাওয়ার লোভ সামলাতে পারেন নি। তাই ব্রাহ্মণদের আমিষ খাওয়া নিশিদ্ধ হলেও যজ্ঞে উৎসর্গকৃত পশুর মাংস তারা খেতেই পারতেন। তাই তারা যজ্ঞে পশুবলির বিধান দেন।




বুদ্ধের পর চার্বাক দর্শনের বিকাশের কোন খবর আমরা পাইনি।তার কারণ হতে পারে,

১. বৌদ্ধ দর্শন চার্বাক দর্শন অপেক্ষা অনেক উন্নততর, সংঘবদ্ধ, সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য দর্শন ছিল।

২.বৌদ্ধ দর্শনের আবির্ভাব ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বৌদ্ধ অনুরাগিদের অগ্রগমন, পিছিয়ে থাকা চার্বাক দর্শনকে আরো পিছিয়ে দিয়েছিল।

৩. চার্বাক দর্শনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের মগজ ধোলাই।



ফলে আমরা দেখতে পেলাম, যে শোষিত সাধারণ মানুষদের উপকারের জন্য চার্বাক দর্শন আত্মাবাদ ও ঈশ্বরবাদকে শানিত যুক্তিতে খণ্ডন করেছিল, সেই শোষিত সাধারণ মানুষই একসময় চার্বাক দর্শনকে এক নীতিহীন দর্শন বলে দূরে ঠেলে দিয়েছিল। এমনকি 'চার্বাক' শব্দটিকে লোকে গালাগাল বলেই ভাবতে শুরু করেছিল।



উপাসনা-ধর্মে বিশ্বাসীরা (উপাসনা ধর্ম বলতে ইংরেজি 'religion' শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দকে বোঝাতে চাইছি। শুধু 'ধর্ম' শব্দটির দ্বারা ইংরেজি 'property' শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ বোঝায়) চার্বাকদের আরো নানা নামে চিহ্নিত করেছিল- লোকায়ত, বৃহস্পত্য, স্বাভাবিক, ভূতবাদী ইত্যাদি। চার্বাকেরা মনে করতেন, জগৎ স্বভাবগতভাবেই বৈচিত্র্যময় ও বৈচিত্র্যের কারণ। অতএব ঈশ্বরকে বৈচিত্র্যের স্রষ্টা ভাবাটা ভূল। ভূতবাদী হিসেবে ওরা মনে করতেন- ক্ষিতি বা পৃথিবী, অপ বা জল, তেজ বা আগুন ও মরুৎ বা বায়ু থেকেই সব কিছুর সৃষ্টি। ধ্বংসে সবই আবার এই চার ভূতেই বিলীন হয়।



'ভূতবাদ' মনে করত, পৃথিবীতে পদার্থেও পরিমাণ পাঁচ। আবার কিছু ভূতবাদীদের মতে পৃথিবীতে মৌলিক পদার্থের পরিমাণ চার। এই মৌলিক পদার্থ থেকেই পৃথিবীর বস্তু ও প্রাণীর সৃষ্টি। ধ্বংসে আবার সবই পঞ্চভূতে বা চার ভূতে বিলীন হয়। এই মৌলগুলো কী কী তা আমরা আগেই জেনেছি। এখন আমরা এই চারটি বা পাঁচটি মৌলিক পদার্থের তত্ত্ব মেনে নিতে পারব না। তাদের বর্ণিত মৌলিক পদার্থগুলোর মধ্যে একটিও প্রকৃত অর্থে মৌলিক পদার্থ নয়। আজ আমরা জানি এই পর্যন্ত আবিষ্কৃত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা ১১১টি। কিন্তু পাঠক পাঠিকাগণ আপনারা এই তত্ত্ব কোন যুগের সেটা একটু বিবেচনায় আনুন। একটু বিবেচনা করলে স্বীকার করে নিতেই হয়, আজ থেকে দু'আড়াই হাজার বছর আগের কিছু চিন্তাবিদ কী অসাধারণ বিপ্লবাত্মক চিন্তায় পৌঁছেছিলেন- সব কিছুই মৌলিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত এবং মৃত্যুর পর মৃতদেহ মৌলিক পদার্থে বিলীন হয়ে যায়। দেহাতীত আত্মা বলে কিছু নেই। এমন চিন্তা মানুষের মাথায় এসেছিল সম্ভবত মৃত্যুর পর দেহের পরিণতি দেখে, অস্ত্র ও তৈজস্পত্রের ভঙ্গুরতা দেখে। মৃতদেহকে পচে-গলে মাটিতে মিশে যেতে দেখে, পূড়ে ছাই হয়ে শেষ হয়ে যেতে দেখে। অনুমান করে বলা যেতে পারে, তাদের এসব প্রত্যক্ষ প্রমাণ চতুর্ভূত বা পঞ্চভূত তত্ত্বে পৌঁছে দিয়েছিল।



সে সময়ের প্রেক্ষিতে চতুর্ভূত বা পঞ্চভূত তত্ত্বকে অবশ্যই অসাধারণ বলতেই হয়। দুঃখ এই, আজকের যুগে যেখানে মৌলিক পদার্থ নিয়ে বিজ্ঞানের গবেষণা যখন বিশাল রকম এগিয়ে গেছে, শারীরবিদ্যা নিয়ে গবেষণাও যখন অনেক দূরে এগিয়ে গেছে, সেখানে কিছু মানুষ আজও বিশ্বাস করে, মৃত্যুর পর দেহ মাটিতে পুঁতে ফেললেও, আগুনে পুড়িয়ে দেবার পরও সব শেষ হয় না, বেঁচে থাকে আত্মা, অর্থাৎ চিন্তা, চেতনা, চৈতন্য বা মন। আড়াই হাজার বছরে বিজ্ঞান অনেক এগোলো, কিন্তু আমাদের চেতনা এগোলো কই? আমরা তো যুক্তিহীনতার আবর্তে তলিয়ে যাচ্ছি। এই অধঃপাতকেই কি আমরা মেনে নেব?

ওয়ানপ্লাসের নতুন অক্সিজেন ওএস ১৫ আসছে AI নিয়ে

  অ্যান্ড্রয়েড ১৫  এর ওপর ভিত্তি করে আসছে  ওয়ানপ্লাসের  অক্সিজেন    ওএস  ১৫। অক্টোবরের ২৪ তারিখ বাংলাদেশ সময় রাত ৯:৩০ এ আনুষ্ঠানিকভাবে অপ...